আমাদের মধ্যে অনেক রুচিশীল এবং স্মার্ট টেকসেভি উদ্যোক্তা আছেন যারা ইউনিক বিজনেস আইডিয়া খুঁজে থাকেন। তাদের উদ্যেশ্য করেই আজকের এই লেখা।
মূলত প্রযুক্তির উন্নয়ন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সহজলভ্যতা এবং ভোক্তাদের পরিবর্তিত চাহিদার কারণে এই ধরণের ব্যবসার প্রসার বাড়ছে।
এই লেখায় এমন ৭টি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই ব্যবসাগুলো বর্তমান বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তুলনামূলক কম প্রতিযোগিতামূলক এবং ভবিষ্যতে বড় পরিসরে বিস্তৃত করার সুযোগ রয়েছে।
যারা নতুন উদ্যোক্তা হতে চান বা বিদ্যমান আয়ের পাশাপাশি নতুন কিছু শুরু করতে চান তাদের জন্য ইউনিক বিজনেস আইডিয়াগুলো বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
৭ টি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া
নিচে ৭ টি বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক গ্রাম থেকে শহর খাবার সাপ্লাই
সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক “গ্রাম থেকে শহর” খাবার সাপ্লাই একটি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া। বর্তমানে শহরে মানুষের মধ্যে গ্রামের খাটি খাবারের চাহিদা বাড়ছে। এর বড় কারণ হচ্ছে শহরে ফ্রেশ খাবারের সোর্স কম।
এই ব্যবসার মডেল হচ্ছে একজন ব্যবসায়ী গ্রামের খাঁটি খাবার (চাল, ডাল, মধু, ঘি, সরিষার তেল, মসলা ইত্যাদি) শহরের মানুষের কাছে মাসিক সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিতে সরবরাহ করেন।
যেভাবে শুরু করবেন
এই ধরণের ব্যবসা হচ্ছে প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসা। আপনাকে ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে হবে।
তাই প্রথমেই আপনার উচিৎ হবে একটি একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করা এবং তার ফেসবুক বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে টার্গেট গ্রাহকদের অনুসারী বানানো। এর পাশাপাশি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। গ্রাহকরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্যের অর্ডার করবে।
আপনাকে ২–৩টি গ্রামের বিশ্বস্ত সাপ্লাই সোর্স খুজে বের করতে হবে। তাদের কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ডেলিভারি পাওয়ার জন্য চুক্তি করে নিতে পারেন।
টার্গেট কাস্টমার
আপনার টার্গেট কাস্টমার হবেঃ
- শহরের চাকরিজীবী পরিবার,
- ব্যবসায়ী,
- বাচ্চা আচ্ছে এমন পরিবার,
এদের টার্গেট করে আপনাকে প্রচারণা চালাতে হবে। এজন্য আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ জোর দিতে হবে।
খরচ ও লাভ
এই ধরণের ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার ৫০,০০০–১,০০,০০০ টাকা মূলধন হলেই চলবে। মালামাল রাখার জন্য একটা স্পেস ভাড়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেওয়া, ওয়েবসাইট তৈরি ইত্যাদির জন্য আপনার খরচ করতে হবে। ভালভাবে ব্যবসা করতে পারলে মাসে ৩০–৫০% পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব।
২. ডিজিটাল প্রোডাক্ট ব্যবসা
ইন্টারনেটের এই যুগে ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাত্যহিক জীবন আরো সহজ, দ্রুত ও সাচ্ছন্দ্য করার জন্য মানুষ ডিজিটাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করে। ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর মধ্যে রয়েছে :
- ইবুক,
- অনলাইন কোর্স,
- ওয়ার্কশপ,
- টিউটোরিয়াল,
- অডিওবুক,
- স্টক ফটো,
- ডিজিটাল আর্ট,
- মিউজিক ভিডিও ক্লিপ,
- গ্রাফিক টেম্পলেট,
- মোবাইল অ্যাপস,
- সফটওয়্যার,
- অনলাইন স্প্রেডশিট,
- এআই টুলস,
- প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ কন্টেন্ট ইত্যাদি।
যেভাবে শুরু করবেন
প্রথমে ঠিক করুন আপনি কোন ধরণের ডিজিটাল প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান। তারপর আপনাকে একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করতে হবে।
নিজেই ওয়েবসাইট বানাতে পারেন বা Shopify এর মার্কেটপ্লেসে অনলাইন স্টোর খুলতে পারেন। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও একাউন্ট খুলন।
ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট এ আপনার কাজগুলো প্রদর্শন করুন এবং মার্কেটিং শুরু করুন। ইউটিউব ভিডিও ডিজিটাল পণ্য বিক্রিতে বেশ ভাল ভূমিকা পালন করে। তাই আপনার পণ্যগুলো নিয়ে সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরি করে গ্রাহক আকর্ষণ করতে পারেন।
খরচ
আপনি কোন ধরণের ডিজিটাল প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান এবং পরিধির উপর নির্ভর করবে কেমন খরচ হবে। যদি ইবুক, টিউটোরিয়াল, স্টক ফটো, ডিজিটাল আর্ট ইত্যাদি নিয়ে শুরু করতে চাল তাহলে খুব কম খরচ।
আর মোবাইল অ্যাপ বা সফটওয়্যার নিয়ে ব্যবসা করতে চাইলে অফিস সেট আপ, কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার ইত্যাদির পেছনে ভালই খরচ হবে।
আরও পড়ুন:রাইড শেয়ারিং ব্যবসা কি? শুরু করার স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন।
৩. Influencer Marketing Agency
ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ইনফ্লোয়েন্সার মার্কেটিং এজেন্সি ব্যবসাকে বেছে নিতে পারেন। এই ব্যবসার মডেল অনুসারে আপনারা এজেন্সিতে একঝাঁক ইনফ্লুয়েন্সার থাকবে বা তাদের লিস্ট থাকবে।
আপনার গ্রাহকরা ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের পছন্দমত ইনফ্লুয়েন্সার খুঁজে বের করবে। তারপর তারা নির্দিষ্ট অর্থেই বিনিময়ে ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে তাদের কাজের চুক্তি করবে।
যেভাবে শুরু করবেন
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ইনফ্লুয়েন্সারদের একটি লিস্ট তৈরি করুন। তারা কোন ধরণের কন্টেন্ট তৈরি করে তার ভিত্তিতে তাদেত ক্যাটাগরি তৈরি করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করুন। তার আগে ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে চুক্তি করে নিন।
বিভিন্ন কোম্পানির সাথে ডিল করুন। আপনার সেবা সম্পর্কে তাদের অবহিত করুন। ভালভাবে কাস্টমার সাপোর্ট দিন।
লাভ
এই ধরণের ব্যবসায় বিভিন্নভাবে আয় করা যায়। যেমন:
- প্রতিটি ক্যাম্পেইনে ২০–৩০% কমিশন,
- ইনফ্লুয়েন্সার এন্ট্রি ফি,
- ব্যবসায়ী এন্ট্রি ফি,
- প্রিমিয়াম সার্ভিস নেওয়ায় জন্য এক্সট্রা ফি ইত্যাদি।
৪. Mobile Video Ad Creator
Meta তাদের এক রিপোর্টে জানিয়েছে ভিডিও এড এ এনগেজমেন্ট এর পরিমাণ অন্য কন্টেন্ট এর তুলনায় ২২% বেশি হয় এবং প্রতিদিন ২ বিলিয়ন ব্যবহারকারী শর্ট ভিডিও দেখে।
এসব কারণে বিজ্ঞাপনদাতারা এখন ভিডিও এড এর উপর বেশি ফোকাস করছে। কিন্তু একটি আকর্ষণীয় ভিডিও এড বানানো সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই অনেক বিজ্ঞাপন দাতা এখন মোবাইল ভিডিও এড তৈরি করার সার্ভিস খুঁজে।
আপনি যদি ভাল ভিডিও এডিটিং এর দক্ষতা থাকে তাহলে ভিডিও এড তৈরির সার্ভিস দিতে পারেন। ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এই ধরণের ব্যবসা দারুণ হবে।
যেভাবে শুরু করবেন
প্রথমেই আপনাকে ভিডিও এডিটিং এ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কিভাবে ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরি করা যায় সে ব্যাপারে চাইলে ট্রেনিং নিতে পারেন৷ চাইলে কিছু ভিডিও তৈরিতে এক্সপার্ট লোক নিয়েও শুরু করতে পারেন।
একটা ছোট রুম নিয়ে তাতে কম্পিউটার সেট আপ নিয়ে শুরু করে দিন। নিজেদের সার্ভিস গ্রাহকের সামনে প্রদর্শন করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট খুলুন এবং একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন।
আপনার কাজের পোর্টফলিও ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করে রাখুন যাতে গ্রাহকরা সেগুলো দেখে আপনার কাজ সম্পর্কে ভাল ধারণা পায়। বিভিন্ন প্যাকেজ বানিয়ে গ্রাহকেরা অফার দিন।
আবার আপনি এমন একটি সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেন যেখানে গ্রাহকরা কমান্ড দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এড তৈরি করতে পারে। তবে এই ধরণের সফটওয়্যার তৈরি করা এবং ম্যানেজ করতে আপনার ভাল পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে।
লাভ
প্রতি ভিডিও ১০০০–৩০০০ টাকা বিক্রি করতে পারলে মাসে ৩০ ভিডিও = ৩০–৯০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। কাজের ভলিউম যত বাড়বে আয় তত বাড়বে।

Omneky এমন একটি প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকরা এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে খুব সহজেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এড তৈরি করতে পারে।
৫. বিজনেস সেটআপ সার্ভিস
অনেক নতুন উদ্যোক্তা ব্যবসা শুরু করার আগে বুঝতে পারেন না কিভাবে ব্যবসা শুরু করার প্রাথমিক কাজগুলো করবেন।
এসব উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা শুরুর প্রাথমিক কাজগুলো করে দেওয়ার জন্য বিজনেস সেটআপ সার্ভিস এর সাহায্য নিয়ে থাকেন।
ইউনিক বিজনেস আইডিয়া হিসেবে আপনি বিজনেস সেটআপ সার্ভিস বিজনেস শুরু করতে পারেন। ছোট পরিসরে শুরু করতে চাইলে আপনার উচিৎ হবে ছোট উদ্যোক্তাদের টার্গেট করা।
আর যদি বড় পরিসরে শুরু করতে চান তাহলে ছোট ও বড় সবধরণের উদ্যোক্তাদের টার্গেট করতে হবে।
যেসব কাজ করতে হবে:
- ট্রেড লাইসেন্স করে দেওয়া,
- ব্যাংক একাউন্ট খোলা,
- অংশীদারী ব্যবসা হলে অংশীদারী ব্যবসার চুক্তিপত্র তৈরি করে দেওয়া,
- কোম্পানি হলে কোম্পানি খুলে দেওয়া, TIN, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন এর ব্যবস্থা করে দেওয়া,
Memorandum & Article of Association তৈরি করে দেওয়া, - সোশাল মিডিয়ায় একাউন্ট পেজ তৈরি করা ইত্যাদি,
লাভ
প্রতিটি ছোট ব্যবসার সেটআপে ৫–২০ হাজার টাকা। আর বড় ব্যবসার সেট আপে কাজের পরিধি অনুযায়ী লাভের পরিমাণ নির্ভর করবে।
আরও পড়ুন : ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা কি? শুরু করার ধাপ, লাভ-খরচসহ বিস্তারিত
৬. Wholesale Sourcing Agent
Wholesale Sourcing Agent হচ্ছে এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে একজন এজেন্ট এর মূল কাজ হচ্ছে উৎপাদকের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করা এবং গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
এজেন্ট উতপাদক বা সাপ্লায়ার খুঁজে বের করেন, দাম নিয়ে দরকষাকষি করেন, পণ্যের কোয়ালিটি চেক করেন এবং সবশেষে পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেন।
যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে:
সাপ্লায়ার যাচাই: ক্রেতার চাহিদার অনুযায়ী সাপ্লায়ার খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই সাপ্লায়ার ভাল না খারাপ তা যাচাই করতে হবে।
দরদাম: সাপ্লায়ার খুঁজে বের করার পর তাদের সাথে পণ্যের দাম নিয়ে দরকষাকষি করতে হবে। পেমেন্ট এর শর্ত ঠিক করতে হবে। ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা করতে হবে।
কোয়ালিটি যাচাই: গ্রাহিকের চাহিদা অনুযায়ী আপনাকে কোয়ালিটি যাচাই করতে হবে। স্যাম্পল দেখাতে হবে।
প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট: গ্রাহক যেভাবে চাইবে সেভাবে প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের চাওয়া অনুযায়ী কাচামাল ব্যবহার এবং প্যাকেজিং করতে হবে।
লাভ
আপনার গ্রাহক কোন ধরণের সার্ভিস চাচ্ছে তার উপর নির্ভর করবে আপনি কেমন লাভ করবেন৷ যদি আপনাকে দোকানদার ও পাইকার/ফ্যাক্টরির মধ্যে সংযোগ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাহলে এক ধরণের কমিশন নিবেন।
আবার যদি ফ্যাক্টরি ইন্সপেকশন, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, দরদাম করা ইত্যাদি দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে বেশি কমিশন নিবেন।
৭. এআই টুল ব্যবসা
ইউনিক বিজনেস আইডিয়া হিসেবে এআই টুল ব্যবসা করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি একজন প্রোগ্রামার হয়ে থাকেন তাহলে এই ধরণের ব্যবসায় আসা উচিৎ। আর যদি প্রোগ্রামার না হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে সফটওয়্যার তৈরি এবং ম্যানেজমেন্টে দক্ষ প্রোগ্রামার নিয়োগ দিতে হবে।
বর্তমান যুগ হচ্ছে এআই এর যুগ। ChatGPT (OpenAI), Claude, Gemini, Copilot এর মতো আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স সারা পৃথিবীতে দাপট দেখাচ্ছে। আপনিও চাইলে এমন একটা সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেন যার মাধ্যমে আপনি গ্রাহকদের অটোমেশন সার্ভিস দিতে পারবেন।
এই ধরণের ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে আপনি কাদের কোন ধরণের সার্ভিস দিবেন। যেমন আপনি যদি একটি ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার তৈরি করেন তাহলে আপনার টার্গেট হবে ব্যবসায়ী। আপনি যদি ফটো জেনারেট বা ভিডিও তৈরির কোন এআই টুল তৈরি করে এআই সার্ভিস দেন তাহলে আপনার টার্গেট হবে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।
উপসংহার
ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে শুধু আইডিয়া থাকলেই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন কৌশল এবং ধারাবাহিক পরিশ্রম।
উপরে আলোচিত ৭টি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া এমনভাবে নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে আপনি নিজের দক্ষতা, বাজেট এবং সময় অনুযায়ী যেকোনো একটি বা একাধিক আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে পারেন।
সফল উদ্যোক্তা হতে হলে ছোট পরিসরে শুরু করে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা অর্জন করা, গ্রাহকের চাহিদা বোঝা এবং সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট রাখা অত্যন্ত জরুরি।
আপনি যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ধৈর্যসহকারে এগিয়ে যান, তাহলে এই ইউনিক ব্যবসার আইডিয়াগুলো ভবিষ্যতে আপনাকে আর্থিক স্বাধীনতা ও একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।