বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পখাত। এই শিল্পের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত একটি সম্ভাবনাময় ব্যবসা হলো গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা।
গার্মেন্টস ঝুট সোর্টিং ও পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে তুলা, সুতা, মপ, ম্যাট্রেস ফিলিংসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয়। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ কমে, অন্যদিকে তৈরি হয় লাভজনক একটি ব্যবসায়িক সুযোগ।
অল্প পুঁজি, তুলনামূলক কম ঝুঁকি এবং সারা বছর স্থায়ী চাহিদার কারণে গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা নতুন ও অভিজ্ঞ—উভয় উদ্যোক্তার কাছেই দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা কি?
গার্মেন্টস কারখানায় পোশাক উৎপাদন করার সময় যে অতিরিক্ত কাপড়, সুতা, কাট পিস, ডিফেক্টিভ কাপড় বা অব্যবহৃত ফ্যাব্রিক পড়ে থাকে এগুলোকে গার্মেন্টস ঝুট বলে। এসব ঝুট ব্যবসা করাকেই গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা বলে।
একসময় এসব ঝুটকে অব্যবহৃত বর্জ্য হিসেবে দেখা হলেও বর্তমানে এগুলোই রিসাইক্লিং শিল্পের একটি মূল্যবান কাঁচামাল।
গার্মেন্টস থেকে ঝুট সংগ্রহ করে আপনি বিভিন্ন দোকানে সাপ্লাই দিতে পারেন। আবার ঝুট থেকে তুলা তৈরি করে বাজারে তুলা বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
ঝুটের ধরণ
বিভিন্ন ধরণের ঝুট আছে সেগুলো হচ্ছে:
১. কটন ঝুট
২. ডেনিম ঝুট
৩. পলিয়েস্টার ঝুট
৪. নিট ফ্যাব্রিক ঝুট
৫. সুতা ও থ্রেড ঝুট
৬. কাট পিস / ছোট কাপড়
গার্মেন্টস ঝুট কোথায় ব্যবহৃত হয়?
গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা শুরু করার আগে ঝুট দিয়ে কি কি করা যায় সে বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে। কারণ এই বিষয়ে যদি আপনার পরিপূর্ণ ধারণা না থাকে তাহলে আপনি ঝুটের ব্যবসায় ভাল করতে পারবেন না।
ঝুটের ব্যবহার
- রিসাইকেল সুতা ও কাপড় তৈরিতে,
- মপ, ডাস্টার ও ফ্লোর ক্লিনার বানাতে,
- ম্যাট্রেস, পিলো, কুশন ফিলিং,
- কাগজ ও ইনসুলেশন শিল্পে,
- কম দামের গার্মেন্টস বা হোম টেক্সটাইল তৈরিতে,
এসব কারণে লোকাল ও এক্সপোর্ট—দুই বাজারেই ঝুটের চাহিদা আছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দৈনিক কয়েকশো টন ঝুট রপ্তানি হয়।
কিভাবে গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা শুরু করবেন?
গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা শুরু করা কোন কঠিন কাজ নয়। খুব সহজেই আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। নিচে এই বিষয়ে আলোচনা করা হলো:
ধাপ ১: ব্যবসার ধরন নির্ধারণ করুন
গার্মেন্টস ঝুট দিয়ে বিভিন্নভাবে ব্যবসা করা যায় যেমন স্থানীয় মার্কেটে বিক্রি, পাইকারি ব্যবসা, বিদেশে রপ্তানি করা, রিসাইক্লিং ইউনিট স্থাপন করে ব্যবসা করা ইত্যাদি।
শুরুর জন্য ট্রেডার বা পাইকারি ব্যবসা সবচেয়ে নিরাপদ। তাই শুরুতে স্থানীয় মার্কেটে ট্রেডিং করুন বা পাইকারি বাজারে বিক্রি করতে পারেন। আর মূলধন বেশি থাকলে ও সামর্থ্য থাকলে বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন বা রিসাইক্লিং ইউনিট স্থাপন করতে পারেন।
ধাপ–২: ঝুট সংগ্রহের সোর্স তৈরি করুন
এই পর্যায়ে আপনাকে ঝুট সংগ্রহ করার জন্য সোর্স খুঁজে বের করতে হবে।
ঝুট সংগ্রহ করা হয় মূলতঃ
- গাজীপুর
- সাভার
- আশুলিয়া
- নারায়ণগঞ্জ
- টঙ্গী
ঝুট সংগ্রহ করার জন্য সরাসরি সরাসরি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সাথে চুক্তি করতে পারেন, ঝুট ডিলারদের মাধ্যমে বা নিলাম (Auction) এর মাধ্যমে ঝুট সংগ্রহ করতে পারেন। এক্ষেত্রে ৩-৫টি কারখানার সাথে নিয়মিত সাপ্লাই চুক্তি থাকলে ব্যবসা অনেক টেকসই হয়।
ধাপ–৩: ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি
যেকোনো ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে বৈধতা অর্জন করতে হবে। আর এই বৈধতা অর্জন করতে হলে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে যেমন :
- TIN সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা,
- ব্যাংক একাউন্ট করা,
- (এক্সপোর্ট করলে) ERC লাইসেন্স এর আবেদন জরা,
- (বড় পরিসরে হলে) পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়া,
আরওপড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স অনলাইন আবেদন এবং সরাসরি সংগ্রহ করার নিয়ম
ধাপ–৪: গুদাম ও লজিস্টিক
গার্মেন্টস থেকে ঝুট সংগ্রহ করে সেই ঝুট স্টোর করার জন্য আপনার গুদাম লাগবে। ব্যবসার পরিধি অনুযায়ী ছোট বা বড় গুদাম ভাড়া করতে পারেন। যেমন ১০০০-৩০০০ স্কয়ার ফিটের মধ্যে একটি গুদাম ভাড়া করতে পারেন। নিজের যায়গা হলে তো অনেক ভাল। ভাড়ার খরচ বেচে যাবে।
তারপর মালামাল পরিবহনের জন্য আপনার ট্রাক লাগবে। আপনি চাইলে ভাড়াকৃত ট্রাক দিয়ে মালামাল পরিবহন করতে পারেন তবে দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করতে চাইলে অবশ্য নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঝুট থেকে তুলা তৈরি করলে মেশিন ক্রয় করা ও কারখানা সেটআপ দিতে হবে।
ধাপ–৫: গ্রেডিং ও সোর্টিং
সব ঝুটের দাম এক না। এটাকে গ্রেডিং করে বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হয়। তাই ঝুট ক্রয় করার সময় কাপড়কে গ্রেডিং ও সোর্টিং করতে হবে। সঠিকভাবে সোর্টিং করতে পারলে ভাল লাভ করতে পারবেন। গ্রেডিং মান যেমন:
|
ঝুটের মান |
ব্যবহার | দাম |
|
A গ্রেড |
রিসাইক্লিং / এক্সপোর্ট |
বেশি |
|
B গ্রেড |
লোকাল ব্যবহার |
মাঝারি |
| C গ্রেড | মপ / ফিলিং |
কম |
ধাপ–৬: ক্রেতা খুঁজে বের করুন
ক্রেতা হচ্ছে যেকোনো ব্যবসার লাইফ লাইন। তাই গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসায় নামার আগে অবশ্যই নিয়মিত ক্রেতা যোগার করার উপর জোর দিন। নিয়মিত ক্রেতা থাকলে ব্যবসায় খুব দ্রুত প্রসার ঘটে। আপনার ক্রেতা হবে:
- রিসাইক্লিং মিল,
- সুতা কারখানা,
- লোকাল মপ প্রস্তুতকারক,
- বিদেশি বায়ার,
বায়ার খোঁজার জন্য বিভিন্ন মার্কেটে এবং কারখানায় যেতে হবে। এই ধরণের ব্যবসা করে এরকম ব্যক্তিদের নেটওয়ার্ক এ প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে ক্রেতার খোঁজ করতে হবে।
গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসায় আনুমানিক বিনিয়োগ
একটি গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা দিতে হলে আপনাকে প্রাথমিকভাবে কয়েক লাখ টাকা খরচ করতে হবে। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে ঝুট ক্রয়, গুদাম ভাড়া, শ্রমিক খরচ, লাইসেন্স খরচ ইত্যাদি। নিচে একটি আনুমানিক খরচের হিসাব দেওয়া হলো:
| খাত | আনুমানিক খরচ |
|---|---|
| প্রাথমিক ঝুট ক্রয় | ২–৫ লাখ টাকা |
| গুদাম ভাড়া (৩ মাস) | ৬০,০০০ – ১,০০,০০০ |
| শ্রমিক ও লোডিং | ৩০,০০০ |
| লাইসেন্স ও অন্যান্য | ২০,০০০ |
| মোট | ৩–৬ লাখ টাকা |
গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস
✔ ফ্যাক্টরির সাথে বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক
✔ ওজন ও মান নিয়ে স্বচ্ছতা
✔ ক্যাশ ফ্লো ম্যানেজমেন্ট
✔ আগুন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
✔ বাজারের দাম নিয়মিত আপডেট রাখা
ঝুট কাপড়ের দাম কেমন?
ঝুট কাপড়ের দাম নির্ভর করে ঝুটের মান, ফ্যাব্রিক টাইপ, গ্রেড, পরিমাণ ও বাজারের চাহিদা ইত্যাদির উপর।
নিচে বাংলাদেশের বর্তমান বাজার অনুযায়ী (গড়) ঝুট কাপড়ের দাম একটি সম্ভাব্য দামের তালিকা দিলাম।
বাংলাদেশে ঝুট কাপড়ের দাম (প্রতি কেজি)
১. কটন ঝুট কাপড়
|
গ্রেড |
দাম (টাকা/কেজি) |
|
A গ্রেড (পরিষ্কার, বড় পিস) |
৭০ – ১০০ |
| B গ্রেড |
৫০ – ৭০ |
| C গ্রেড |
৩০ – ৪৫ |
২. ডেনিম ঝুট কাপড়
|
গ্রেড |
দাম (টাকা/কেজি) |
|
A গ্রেড |
৯০ – ১৩০ |
|
B গ্রেড |
৭০ – ৯০ |
| C গ্রেড |
৪৫ – ৬৫ |
৩. নিট / জার্সি ঝুট
|
গ্রেড |
দাম (টাকা/কেজি) |
|
A গ্রেড |
৮০ – ১২০ |
| B গ্রেড |
৬০ – ৮০ |
| C গ্রেড |
৪০ – ৫৫ |
৪. পলিয়েস্টার / সিনথেটিক ঝুট
|
গ্রেড |
দাম (টাকা/কেজি) |
|
A গ্রেড |
৬০- ৯০ |
| B গ্রেড |
৪৫- ৬০ |
| C গ্রেড |
২৫-৪০ |
৫. সুতা / থ্রেড ঝুট
|
ধরন |
দাম (টাকা/কেজি) |
|
কটন থ্রেড |
১০০-১৬০ |
| পলিয়েস্টার থ্রেড |
৮০ – ১২০ |
৬. মিক্সড ঝুট (সব মিলিয়ে)
|
মান |
দাম (টাকা/কেজি) |
|
ভালো মান |
৪৫ – ৬৫ |
| সাধারণ মান |
৩০ – ৪৫ |
ফ্যাক্টরি গেট প্রাইস সাধারণত ৫–১০ টাকা/কেজি কম হয়। পাইকারি বাজারে সোর্টিং করা ঝুটের দাম বেশি হয়। আবার বাল্ক (৫–১০ টন) কিনলে আরও ৫–১৫% কম পাওয়া যায়।
দাম কম–বেশি কেন হয়?
দাম কম-বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে:
✔ কাপড়ের কন্ডিশন,
✔ বড় পিস না ছোট পিস,
✔ রং (সাদা/হালকা রঙের দাম বেশি),
✔ ময়েশ্চার বা ভেজা অবস্থা,
✔ মৌসুম (রপ্তানি সিজনে দাম বাড়ে),
নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য টিপস
শুরুতে মিক্সড বা B গ্রেড ঝুট দিয়ে শুরু করুন
ঝুট কেনার আগে স্যাম্পল দেখে ও ওজন চেক করে নিন
ভেজা ঝুট কখনোই কিনবেন না
প্রতি সপ্তাহে গাজীপুর/সাভার মার্কেট রেট আপডেট রাখুন
লাভ কেমন হয়?
* গড়ে ১০–২৫% লাভ থাকে,
* সঠিক সাপ্লাই ও বায়ার থাকলে মাসিক ৫০,০০০ – ২,০০,০০০ টাকা লাভ সম্ভব,
* এক্সপোর্ট করলে লাভ আরও বেশি,
আরও পড়ুন: ব্যাংক লোন কত প্রকার ও কি কি? ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়।
বাংলাদেশে প্রধান ঝুট পট্টি কোথায়?
ঝুট পট্টি বলতে মূলত যেসব এলাকায় গার্মেন্টস ঝুটের বড় আকারের পাইকারি ক্রয়–বিক্রয় হয় এরকম স্থান।
বাংলাদেশে পরিচিত ঝুট পট্টিগুলোর একটা তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
১. গাজীপুর (সবচেয়ে বড় ঝুট পট্টি)
এলাকাঃ
- টঙ্গী,
- চেরাগ আলী,
- কোনাবাড়ি,
- কালিয়াকৈর,
- জয়দেবপুর,
এসব এলাকায় ডেনিম, কটন, নিটসহ সব ধরনের ঝুট এখানে পাওয়া যায়।
২. সাভার – আশুলিয়া ঝুট পট্টি
এলাকাঃ
- আশুলিয়া,
- বাইপাইল,
- হেমায়েতপুর,
- ধামসোনা,
এসব এলাকায় বড় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বেশি। ফ্যাক্টরি গেট প্রাইসও তুলনামূলক কম।
৩. নারায়ণগঞ্জ ঝুট পট্টি
এলাকাঃ
- ফতুল্লা
- সিদ্ধিরগঞ্জ
- কাঁচপুর
- আদমজী এলাকা
এসব এলাকা নিট ও সুতা ঝুটের জন্য বিখ্যাত।
৪. ঢাকা শহরের ঝুট পট্টি
এলাকা:
- মিরপুর (১০, ১১, ১২),
- কেরানীগঞ্জ,
- তেজগাঁও শিল্প এলাকা
এসব যায়গা হচ্ছে ছোট ও মাঝারি ডিলারদের হাব।
৫. চট্টগ্রামের ঝুট পট্টি
এলাকাঃ
- বায়েজিদ বোস্তামি,
- কালুরঘাট,
- সাগরিকা,
ঝুট কাপড় থেকে তুলা কীভাবে তৈরি হয়?
ঝুট থেকে তুলা তৈরির ধাপসমূহ
ধাপ–১: সোর্টিং করে রং ও মান অনুযায়ী কটন ঝুট আলাদা করা।
ধাপ–২: বড় কাপড় ছোট পিসে কাটা হয়।
ধাপ–৩: কাপড় ছিঁড়ে ফাইবার বানানো হয়। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
ধাপ–৪: ধুলা, সুতা, ময়লা আলাদা করা হয়।
ধাপ–৫:তৈরি তুলা প্রেস করে বেল বানানো হয়।
ঝুট থেকে তুলা তৈরির মেশিনের নাম
১. Cotton Waste Opening Machine : এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেশিন। এই মেশিন কাপড় ছিঁড়ে তুলায় পরিণত করে।
২. Textile Shredding Machine: এটি শক্ত কাপড় (ডেনিম) কাটতে ব্যবহৃত হয়।
৩. Cutting Machine (Fabric Cutter): এই মেশিন দ্বারা বড় কাপড় ছোট পিস করা হয়।
৪. Dust & Trash Separator : এটি ধুলা ও ময়লা আলাদা করে।
৫. Blower / Air Opener: এই মেশিন দিয়ে ফাইবার ফ্লাফি করে এবং কোয়ালিটি বাড়ানো হয়।
৬. Cotton Baling Press Machine: দ্বারা তৈরি তুলা প্রেস করে বেল বানানো হয়।
একটি সম্পূর্ণ সেটআপে যেসব মেশিন লাগে
1️⃣ Fabric Cutting Machine
2️⃣ Cotton Waste Opener
3️⃣ Dust Separator
4️⃣ Blower
5️⃣ Baling Press
বাংলাদেশে এই মেশিনগুলো কী নামে পরিচিত?
- Cotton Opener Machine
- Waste Cotton Recycling Machine
- Textile Waste Opener
- Rag Tearing Machine
- Shoddy Machine (International নাম)
আনুমানিক মেশিন খরচ (ছোট ইউনিট)
|
মেশিন |
আনুমানিক দাম |
| Cotton Opener |
৩–৬ লাখ টাকা |
|
Cutting Machine |
১–২ লাখ |
|
Dust Separator |
১–১.৫ লাখ |
| Baling Press |
২–৪ লাখ |
| মোট (ছোট সেটআপ) |
৭–১২ লাখ টাকা |
উপসংহার
গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা বাংলাদেশের জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা। সঠিক পরিকল্পনা, সোর্সিং ও সাপ্লাই চেইন তৈরি করতে পারলে অল্প পুঁজি দিয়েই বড় পরিসরে এই ধরণের ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব।