কালের বিবর্তনে আমাদের দেশের গ্রামগুলো এখন শুধু কৃষিনির্ভর নয়, এখানে তৈরি হচ্ছে নতুন উদ্যোক্তা, নতুন ব্যবসা এবং নতুন আয়ের সুযোগ। কম পুঁজি, কম ঝুঁকি এবং সহজ পরিচালনার কারণে গ্রামে ব্যবসা শুরু করা শহরের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধাজনক। গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে এই লেখায় আজকে আলোচনা করবো গ্রামে কি কি লাভজনক ব্যবসা আছে এবং কিভাবে গ্রামে ব্যবসা শুরু করবেন।
গ্রামের ব্যবসার ৫টি বড় সুবিধা
- দোকান ভাড়া কম,
- নিয়োগ দেওয়ার জন্য অল্প বেতনে লোক পাওয়া যায়,
- গ্রামে ব্যবসায়ীক প্রতিযোগিতা কম,
- স্থানীয় বাজার সম্পর্কে আগে থেকে ভাল আইডিয়া থাকে,
- পরিবারকে সম্পৃক্ত করা যায়,
১০ টি গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া

১. গরু ও ছাগল পালন ব্যবসা – গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া
গ্রামের ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে গরু ও ছাগল পালন বরাবর প্রথম দিকেই থাকবে। এই ব্যবসা গ্রামের সবচেয়ে পুরনো, নিরাপদ ও লাভজনক ব্যবসাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
যেভাবে শুরু করবেন
গরু-ছাগল পালন করার জন্য প্রথমে ২-৩টি গরু বা ৫-৬টি ছাগল দিয়ে শুরু করতে পারেন। প্রথম দিকে বেশি বিনিয়োগ না করাই ভালো। লালন পালন করার জন্য পরিষ্কার গোয়ালঘর তৈরি করুন। গোয়ালঘরে যাতে সহজে আলো বাতাস ঢুকে সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিয়মিত স্থানীয় ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পরিষ্কার পানি, কাচাঘাসসহ প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ান।
পুঁজি
এই ধরণের ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে গরুর জন্য ১-৩ লক্ষ টাকা এবং ছাগলের জন্য ৫০,০০০–১,৫০,০০০ টাকা পুজি প্রয়োজন হতে পারে।
সম্ভাব্য লাভ
প্রতি গরু ৩০–৭০ হাজার টাকা লাভ হতে পারে। কোরবানির সময় লাভ সবচেয়ে বেশি। ছাগলের ক্ষেত্রে ছাগল প্রতি ৫-১০ হাজার টাকা লাভ হতে পারে।
ঝুঁকি
গরু ছাগলের বিভিন্ন ধরণের রোগ-বালাই হতে পারে এবং হঠাৎ করে খাবারের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিস্তারিত পড়ুন: স্বল্প পুঁজিতে গরুর খামার শুরু করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন
২. মুরগির খামার – গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া
আমাদের দেশে ডিম ও মুরগির মাংসের চাহিদা সারাবছরই থাকে। চাহিদার তুলনায় আমাদের দেশে মুরগির মাংস এবং ডিমের উৎপাদন তুলনামূলক কম।
যেভাবে শুরু করবেন
প্রথম দিকে কম পরিমাণে মুরগি নিয়ে শুরু করতে পারেন। এটা হতে পারে ১০০–২০০ বাচ্চা। মুরগির লালন পালন করার জন্য বাঁশ-টিন দিয়ে ছোট শেড তৈরি করতে পারেন। শেডে আলোবাতাসের সুযোগ রাখুন। মুরগির যত্ন নিন এবং পরিষ্কার খাবার খাওয়ান। দেশি মুরগি, ব্রয়লার হচ্ছে মাংসের জন্য আর লেয়ার হলে ডিম উৎপাদনের জন্য লালন পালন করা হয়।
পুঁজি
পুঁজির বিষয়টি নির্ভর করে আপনার ব্যবসার পরিধির উপর। মোটামুটি ৫০,০০০–১,৫০,০০০ টাকা দিয়েই আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রতি ব্যাচ মুরগি বিক্রি করে ১৫–৪০ হাজার টাকা লাভ হতে পারে।
বিস্তারিত পড়ুন: মুরগির ফার্ম ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে। খামার ব্যবস্থাপনাসহ বিস্তারিত
৩. মাছ চাষ ব্যবসা
নিজের বা ভাড়া করা পুকুরে মাছ চাষ একটি দীর্ঘমেয়াদি লাভজনক ব্যবসা। গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে মাছ চাষ একটি উপযুক্ত এবং আদর্শ ব্যবসা। প্রায় ২০ কোটির মানুষের দেশে রয়েছে মাছের বিশাল মার্কেট। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে অসংখ্য ব্যবসায়ী বেশ ভাল আয় করছে।
যেভাবে শুরু করবেন
নিজের পুকুর থাকলে সহজেই চাষ শুরু করে দিতে পারেন। নিজের না থাকলে পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতে পারেন। পুকুরের চারপাশে উঁচু পাড় দিয়ে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তারপর মাছের পোনা ছাড়ুন। রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন ধরণের মাছের পোনা ছাড়তে পারেন। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দিন ও পানি পরীক্ষা চলমান রাখুন। ৪–৬ মাস পর মাছ বিক্রির উপযোগী হবে।
পুঁজি
অল্প মূলধনেই আপনি মাছের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ৭০,০০০ – ২,৫০,০০০ টাকা দিয়েই আপনি শুরু করে দিতে পারেন।
বার্ষিক লাভ
আপনার উৎপাদন খরচ নিয়ন্ত্রণ ও বিক্রয় দক্ষতার উপর নির্ভর করবে আপনি কেমন লাভ করবেন। ভাল করে ব্যবসা করতে পারলে বছরে ১–৩ লক্ষ টাকা বা তার বেশি আয় করতে পারবেন।
ঝুঁকি
এই ধরণের ব্যবসার কিছু ঝুঁকি বিদ্যমান যেমন পুকুরের পানি দূষণ, অকালে মাছ মারা যাওয়া ইত্যাদি। এজন্য নিয়মিত পানি পরীক্ষা পরীক্ষা করুন ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে সম্পন্ন করুন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
৪. সবজি ব্যবসা – গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া
গ্রামের ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে সবজি ব্যবসার হচ্ছে সবচেয়ে কমন একটা ব্যবসা। বর্তমান এই ব্যবসা বেশ লাভজনক। কারণ মোটামুটি সারা বছর সবজির দাম চড়া থাকে। তবে এটাও ঠিক শহরে সবজি যে দামে বিক্রি হয় কৃষক পর্যায়ে তার অর্ধেকও হয় না।
যেসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল সেসব এলাকার সবজি ব্যবসায়ীরা কয়েকজন মিলে নিজস্ব বা ভাড়া করা পরিবহনে শহরে সাপ্লাই দিতে পারেন তাহলে ভাল লাভ পেতে পারেন।
যেভাবে শুরু করবেন
আপনার নিজের জমি থাকলে নিজেই বিভিন্ন ধরণের সবজি উতপাদন করে বাজারে বিক্রি করতে পারেন। আবার চাইলে কৃষক থেকে সরাসরি ক্রয় করে বাজারে বা পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।
পুঁজি
সবজি ব্যবসা শুরু করতে আপনার খুব বেশি পুঁজি খাটাতে হবে না। ২০,০০০ – ৬০,০০০ টাকার মধ্যে আপনি শুরু করে দিতে পারেন। চাইলে আরো অল্প টাকা দিয়েও করা যায়।
লাভ
আপনি যদি নিজে চাষ করেন তাহলে প্রতি মৌসুমে ৫০,০০০–১,৫০,০০০ টাকা লাভ করতে পারেন। আর যদি সবজি কিনে পাইকার বা সরাসরি বাজারে বিক্রি করেন তাহলে বিক্রির ভলিউমের উপর লাভের পরিমাণ নির্ভর করবে।
ঝুঁকি
সবজি একটি পচনশীল পণ্য তাই এর স্থায়িত্ব কম। বেশিদিন স্টোর করে রাখা যায় না। তাই সময়মতো বিক্রয় করতে না পারলে পচে যেতে পারে। এছাড়া বন্যার পানিতে ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে। এজন্য নিয়মিত বন্যার আপডেট রাখতে হবে এবং ঝুঁকি দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫. মুদি দোকান ব্যবসা – গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া
গ্রামের ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে মুদি দোকান ব্যবসা একটা ঝামেলাহীন ব্যবসা। গ্রামের কমন ব্যবসাগুলোর মধ্যে মুদি দোকানকে রাখতে হবে।
যেভাবে শুরু করবেন
বাড়ির সামনে একটা ঘরকে দোকান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। বাড়ির সামনে যদি দোকান দেওয়ার মতো যায়গা না থাকে তাহলে বাজারে দোকান ভাড়া নিতে পারেন। বেশি মূলধন থাকলে বাজারের মতো জনবহুল যায়গায় মুদি দোকান ব্যবসা দিতে পারেন এর ফলে আপনার ভাল সেল হবে।
প্রথম দিকে বিভিন্ন ধরণের মুদি আইটেম যেমন চাল, ডাল, তেল, সাবান, বিস্কুট, ছোটদের বিভিন্ন খাবারের আইটেম, ফ্রিজ থাকলে আইস্ক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস আইটেম রাখতে পারেন। এগুলো ভাল চলবে।
পুঁজি
আপনার দোকানের আয়তন, ভাড়া এবং মুদি দোকান আইটেম এর পরিমাণের উপর নির্ভর করবে কি পরিমাণ পুঁজি লাগবে। মোটামুটি ৩৫,০০০ – ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে আপনি গ্রামে একটি মুদি দোকান দিতে পারবেন।
প্রতিদিন লাভ
আইটেম অনুযায়ী লাভের পরিমাণ নির্ভর করবে। প্রতিদিন কয়েকশো থেকে হাজার টাকাও লাভ করা যায়।
৬. মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশ/নগদ ব্যবসা
গ্রামে আপনি সহজেই একটি মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশ / নগদের ব্যবসা দিতে পারেন। গ্রামে এই ধরণের সেবার বেশ চাহিদা আছে কারণ গ্রামে মোবাইল রিচার্জ বা মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদান করে এমন দোকান সব যায়গায় নেই।
বিকাশ/ নগদের দোকানে টাকা আদান প্রদানের পাশাপাশি ইউটিলাইজ বিল প্রদানের সার্ভিস দিতে পারেন।
যেভাবে শুরু করবেন
গ্রামে একটা ছোট দোকান নিয়েই আপনি এই ধরণের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। অনেকে একটা ছোট টেবিল আর চেয়ার নিয়েই শুরু করে দেয়।
পুঁজি
আপনার দোকানের সাইজ অনুযায়ী আপনার খরচ হবে।আপনি চাইলে ১০,০০০ – ৫০,০০০ টাকার মধ্যে একটি মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশ / নগদের দোকান দিতে পারেন।
লাভ
আপনি কি পরিমাণ অর্থ লেনদেন করেছেন তার উপর নির্ভর করবে আপনার লাভ। বিকাশে হাজারে ৪ টাকা ১০ পয়সা কমিশন দেয়। আর নতুন একাউন্ট খুলে দিলে ৫০ টাকা কমিশন পাবেন। নগদের এজেন্ট কমিশন ০.৪১%।
৭. টেইলারিং দোকান (সেলাই ব্যবসা)
টেইলারদের চাহিদা শহর থেকে গ্রাম সব যায়গায় আছে। আগে গ্রামের মানুষের আয় কম ছিল তাই তখন চাহিদা কম ছিল কিন্তু বর্তমানে মানুষের মাথাপিছু আয় অনেক বেড়েছে। আয় বাড়ার কারণে গ্রামের মানষও পোশাকের দিক থেকে সৌখিন হতে শুরু করেছে।
কাজের ধরন
- স্কুল ড্রেস
- পাঞ্জাবী
- বোরকা
- থ্রি-পিস ইত্যাদি সেলাই করা।
তবে সেলাই করার পাশাপাশি আপনি দোকাকে রেডিমেড কাপড়ও রাখতে পারেন। অনেকেই রেডিমেড কাপড় কিনতে পছন্দ করে।
পুঁজি
এই ধরণের ব্যবসা দেওয়ার জন্য আপনার একটি দোকান লাগবে আর কাপড় সেলাই করার মেশিন। একা শুরু করতে পারেন আবার কাউকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পার্টনার হিসেবে নিতে পারেন। ২০,০০০ – ৩০,০০০ টাকার মধ্যেই গ্রামে এই ধরণের দোকান দিতে পারবেন।
মাসিক আয়
নিয়মিত কাস্টমার পেলে মাসে ১৫,০০০ – ৪০,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন। সারাবছর সমান আয় করতে পারবেন না। ইদসহ বিভিন্ন উৎসবের সময় কাজ বেশি থাকে তাই তখন আয় বেশি হয়।
৮. সারের ডিলারশিপ ব্যবসা – গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া
আমাদের দেশ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে উর্বর মাটির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে বীজ বুনলেই ফসল হয়ে যায়। আমাদের গ্রামবাংলায় রয়েছে কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য।
যেতেতু ফসল উৎপাদনে সার ব্যবহার করতে হয় তাই গ্রামে সারের ব্যবসার খুব ভাল চাহিদা রয়েছে। গ্রামের বাজারের কাছাকাছি বা জনবহুল এলাকায় আপনি সারের ডিলারশিপ ব্যবসা দিতে পারেন।
সরকারি বা বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানের সারের ডিলারশিপ নেন না কেন আপনাকে সরকারি নীতিমালা মেনে ব্যবসা করতে হবে। যেমন এক পরিবারের মালিকানায় একাধিক ডিলারশিপ চালানো, ইউনিয়নে ৩ জনের বেশি ডিলার না থাকা।
এছাড়া প্রতিটি ডিলারের অধীনে তিনটি বিক্রয়কেন্দ্র থাকবে, যেখানে সরকারি ভর্তুকি, বিক্রয়মূল্যসহ তথ্য প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। বিক্রয়, উত্তোলন ও হিসাবরক্ষণ ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। ডিলার নিজ এলাকায় নির্ধারিত কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও সার বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবেন না।
এসব নিয়ম মেনে আপনি ভাল পরিমাণে আয় করতে পারবেন। আবার চাইলে আপনি জৈব সারের ব্যবসাও করতে পারেন। আপনার উতপাদন খরচ ৬ টাকার মতো পড়বে বিক্রি করতে পারবেন ১০-১২ টাকা প্রতি কেজি। সে হিসেবে যত বেশি উৎপাদন করে বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি লাভ।
৯. ইট-বালু-সিমেন্ট ডিলারশিপ
গ্রামে বাড়িঘর নির্মাণ বাড়ায় ইট-বালু-সিমেন্ট এর চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। তাই আপনি চাইলে গ্রামে একটি ইট-বালু-সিমেন্ট ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
যেভাবে শুরু করবেন
ইট-বালু-সিমেন্ট ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে হলে আশপাশের ব্রিকফিল্ড ও সাপ্লায়ারের সাথে চুক্তি করতে হবে। সিমেন্টের ক্ষেত্রে কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে হবে। তারপর নিজের একটি দোকান বা গোডাউন ভাড়া নিতে হবে যাতে সহজে মালামাল রাখা যায়। অর্ডার নিয়ে মাল সরবরাহ করার জন্য ট্রলি বা ট্রাক ভাড়া করে ডেলিভারির ব্যবস্থা করতে হবে।
বিস্তারিত পড়ুন: ডিলারশিপ ব্যবসা কি? ডিলারশিপ ব্যবসার চুক্তিপত্র তৈরি করার নিয়ম।
১০. কম্পিউটার ও ফটোকপি সার্ভিস
গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে আমি ১০ নাম্বারে রেখেছি কম্পিউটার ও ডিজিটাল সার্ভিস। কম্পিউটার এবং ডিজিটাল সার্ভিসের চাহিদা শহর ও গ্রামে সব যায়গায় চাহিদা বিদ্যমান। যেসব সার্ভিস দিতে পারেনঃ
- ফটোকপি,
- পেজ টাইপ করে দেওয়া,
- পেজ প্রিন্টিং,
- চাকরিসহ বিভিন্ন বিষয়ের আবেদন,
- গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি।
এসব সার্ভিসের পাশাপাশি আপনি ষ্টেশনারী আইটেম রাখতে পারেন। ষ্টেশনারী আইটেম এর মধ্যে যেগুলো রাখতে পারেনঃ
- খাতা,
- স্টেপলার,
- পিন,
- কলম,
- পেন্সিল,
- ইরেজার,
- স্পাইরাল ইত্যাদি।
পুঁজি
একটি ফটোকপি মেশিনের দাম ৪০,০০০- ২,৫০,০০০ টাকা, একটি নরমাল কনফিগারেশনের কম্পিউটারের দাম ৩০,০০০-৪০,০০০ টাকা। এর সাথে দোকান ভাড়া ও ডেকোরেশন এর খরচ আছে। ১,৫০,০০০-২,০০,০০০ টাকার মধ্যে আপনি এই ধরণের একটি ব্যবসা দিতে পারেন।
আয়
মাসে ১৫,০০০-৩০,০০০ টাকা আয় করার সুযোগ আছে।
উপসংহার
আশা করি গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া থেকে আপনি যে ধারণা পেয়েছেন তা আপনার বিজনেস ক্যারিয়ারে কাজে লাগবে। সঠিক পরিকল্পনা, সততা, ও ধৈর্যের মাধ্যমে আপনি এই ১০টি গ্রামের ব্যবসার যেকোনো একটি দিয়ে ব্যবসা শুরু করলে আশা করি সফল হবেন।