HomeBusiness Guidelinesফার্মেসি ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে।খরচ লাভসহ বিস্তারিত

ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে।খরচ লাভসহ বিস্তারিত

বর্তমান সময়ে ফার্মেসি ব্যবসা একটি বেশ লাভজনক ব্যবসা। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম আর ঔষধ সেই সেবার অন্যতম মূল উপাদান। তাই ফার্মেসি ব্যবসা শুধু লাভের উৎস নয়, এটি সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটাকে সেবামূলক ব্যবসাও বলা যায়।
আজ আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো- ফার্মেসি ব্যবসা করতে কি লাগে, প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও ডকুমেন্টস, খরচ, লাভ, প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার, নতুন ফার্মেসির জন্য ঔষধের তালিকা, অনলাইন ফার্মেসি ইত্যাদি সম্পর্কে।

 ফার্মেসি ব্যবসা করতে কি কি লাগে

একটি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু নির্দিষ্ট প্রস্তুতি নিতে হয়। নিচে ধাপে ধাপে সেগুলো দেওয়া হলোঃ

১. লোকেশন নির্বাচন

 ফার্মেসি খোলার ক্ষেত্রে লোকেশন নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্যস্ত বাজার বা আবাসিক এলাকার পাশে দোকান দিতে পারেন তাহলে  বিক্রি ভালো হয়। সবসময় ক্রেতা পাওয়া যায়।

২. দোকান বা স্পেস

ফার্মেসি দোকান সেটআপ করতে  অন্তত ১২০–২০০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন হয়। আপনি যদি বড় আকারের দোকান দিতে চান সেটা আপনার সক্ষমতার উপর নির্ভর করবে।  ওষুধ ভালোভাবে সংরক্ষণ করার জন্য  দোকানটি পরিচ্ছন্ন ও ভেতরের আবহাওয়া ঠান্ডা রাখা উচিৎ।

৩. ফ্রিজ এবং স্টোরেজ

কিছু ওষুধ যেমন ইনজেকশন, ইনসুলিন, ভ্যাকসিন ইত্যাদি ঠান্ডা আবহাওয়ায় রাখার প্রয়োজন আছে তাই একটি মেডিকেল ফ্রিজ অপরিহার্য।

৪. ডিসপ্লে র‍্যাক ও শেলফ

বিভিন্ন ধরণের ওষুধ সাজিয়ে রাখতে কাচের র‍্যাক ও লকযোগ্য ক্যাবিনেট প্রয়োজন। তাই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী র‍্যাক ও শেলফ বানিয়ে নিন।

৫. প্রশিক্ষিত বিক্রেতা বা ফার্মাসিস্ট

ওষুধ বিক্রির জন্য প্রশিক্ষিত বা ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট থাকা আবশ্যক। আপনি যদি ফার্মেসি ব্যবসা দিতে চান তাহলে হয় আপনাকে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগ দিতে হবে নাহয় নিজেই কোন ফার্মেসিতে কয়েকমাস কাজ করে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিন। অথবা কোন কোর্স করে নিন।

৬. লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স

আমদের দেশের আইন অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া ফার্মেসি চালানো যায় না। নিচে এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

ফার্মেসি ব্যবসা করতে যেসব যোগ্যতা ও ডকুমেন্টস লাগে

ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে যেসব ডকুমেন্টস লাগে

বাংলাদেশে ফার্মেসি ব্যবসা করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে যেগুলো আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি কিছু যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে যা আপনার থাকতে হবে। সেগুলো হলোঃ

১. প্রাথমিক যোগ্যতা 

  •    ন্যূনতম এসএসসি/এইচএসসি পাস হতে হবে,
  •    ওষুধ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা বা প্রশিক্ষণ থাকা ভালো
  •    একজন ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট (Registered Pharmacist) থাকতে হবে।

২. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার যেসব ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো হচ্ছে:
  •    ট্রেড লাইসেন্স (সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা থেকে)
  •    ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (TIN)
  •    ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (DGDA) থেকে ড্রাগ লাইসেন্স
  •    জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ও ছবি
  •    দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র বা মালিকানার কাগজ
  •    ফার্মাসিস্টের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট
  •    দোকানের ফ্লোর প্ল্যান ও ম্যাপ

৩. লাইসেন্সের ধরণ

  •    খুচরা (Retail Drug License):  সাধারণ ফার্মেসির জন্য।
  •    পাইকারি (Wholesale Drug License):  ওষুধ ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসার জন্য।

ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে কেমন খরচ হয়

ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার খরচ নির্ভর করে দোকানের অবস্থান, আয়তন এবং ডেকোরেশন এর ওপর। নিচে খরচের একটি সাধারণ ধারণা দেওয়া হলোঃ
খরচের বিষয় আনুমানিক পরিমাণ (টাকা)
দোকান ভাড়া ও সাজসজ্জা ৫০,০০০ – ১,০০,০০০
ফার্মেসি লাইসেন্স ও কাগজপত্র ২০,০০০ – ৩০,০০০
ওষুধের প্রাথমিক স্টক ২,০০,০০০ – ৩,০০,০০০
ফ্রিজ, র‍্যাক, আসবাব ৫০,০০০ – ৭০,০০০
সফটওয়্যার ও কম্পিউটার ২০,০০০ – ৩০,০০০
অন্যান্য খরচ (বিজ্ঞাপন, ব্যাগ, ইত্যাদি) ১০,০০০ – ২০,০০০
মোট আনুমানিক খরচ: প্রায় ৩.৫ থেকে ৫ লাখ টাকা। যদি বড় পরিসরে শুরু করেন (যেমন হোলসেল ফার্মেসি), তাহলে খরচ আরও বেশি হতে পারে।

ফার্মেসি ব্যবসা কেমন লাভজনক

মানুষের কোন না কোন অসুখ লেগেই থাকে তাই ঔষধের চাহিদা সারা বছরই থাকে। আপনার দোকানে যদি বিভিন্ন ধরণের ঔষধ থাকে তাহলে সবসময় প্রচুর ক্রেতা পাবেন।
লাভের হার
  • খুচরা ফার্মেসিতে গড়ে ১৫%–২৫% পর্যন্ত লাভ পাওয়া যায়।
  • কিছু ওষুধ বা সার্জিক্যাল আইটেমে ৩০% পর্যন্ত লাভ হয়।
লাভ বৃদ্ধির টিপস
  • প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়াও ফার্মেসিতে প্রসাধনী, হেলথ সাপ্লিমেন্ট, বেবি প্রোডাক্ট ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট রাখুন।
  • স্থানীয় ক্লিনিক, ডাক্তার ও প্যাথলজি সেন্টারের সাথে সম্পর্ক তৈরি করুন। আপনার দোকান রেফার করার জন্য তাদের উতসাহ দিন।
  • অনলাইন অর্ডার বা হোম ডেলিভারি সেবা চালু করুন।
আপনি যদি ভালভাবে পরিকল্পিতভাবে ফার্মেসি পরিচালনা করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসা থেকে মাসে ৩০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নিট লাভ করা সম্ভব।

ফার্মেসি ব্যবসার সফটওয়্যার

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ফার্মেসি পরিচালনার জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, বিলিং, স্টক কন্ট্রোল, ও বিক্রির হিসাব অনেক সহজ হয়ে যায়। আপনাকে এসব ম্যানেজ করার জন্য বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে না। সফটওয়্যারেই আপনি সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।

নিচে কিছু জনপ্রিয় ফার্মেসি সফটওয়্যারের লিস্ট দেওয়া হলো:

১. Smart Pharmacy POS – ইনভেন্টরি, সেলস ও একাউন্ট একত্রে ম্যানেজ করার টুল।
২. PharmaSoft – ড্রাগ লাইসেন্স অনুযায়ী বিক্রয় রিপোর্ট তৈরি করতে পারে।
৩. QuickPharma – হোলসেল ও রিটেইল দুটোর জন্যই উপযুক্ত।
৪. POS Software (Local version) – বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি কাস্টম POS সলিউশন সেবা প্রদান করে।

সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা

  • মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সহজে শনাক্ত করা যায়,
  • বিক্রির হিসাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়া যায় এবং সংরক্ষণ করা যায়,
  • স্টক কমে গেলে নোটিফিকেশন পাওয়া যায়,
  • ব্যয় ও লাভের রিপোর্ট সহজে তৈরি হয়,

নতুন একটি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাকে এমন কিছু ওষুধ রাখতে হয়, যেগুলোর চাহিদা প্রতিনিয়ত থাকে এবং যেগুলো সহজে বিক্রি হয়। নিচে ক্যাটাগরি অনুযায়ী একটি **নতুন ফার্মেসির জন্য ঔষধের তালিকা (Medicine List) দেওয়া হলো:

 নতুন ফার্মেসির জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধের তালিকা
১. পেইন রিলিফ ও ফিভার (Pain & Fever)
  • Napa / Napa Extra / Napa Extend (Paracetamol)
  • Ace / Ace Plus / Ace Power
  • Algin / Fast / Seclo Fast (Pain relief + Acid control)
  • Napa Syrup (শিশুদের জন্য)
  • Napa Suppository (শিশুদের রেকটাল ব্যবহারের জন্য)
  • Napa Rapid (Pain killer tablet)
২. ঠান্ডা-কাশি ও অ্যালার্জি (Cold, Cough & Allergy)
  • Histacin / Fenadin / Fix / Xyzal / Fexo (Anti-allergy)
  • Napa Cold / Napa Extend Cold
  • Alergin / Cetirizine / Lorin
  • Brozedex / Ambrox / Tosolin Syrup
  • Codex / Tusca / Brofex Syrup
  • Histacin Syrup (শিশুদের জন্য)
৩. অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics)
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বিক্রি করতে হয়।
  • Cef-3 / Cef-3 DS / Cefurox / Cefradine
  • Azith / Zithrin / Azin / Azycin (Azithromycin)
  • Ciprocin / Ciproflox / X-Cin (Ciprofloxacin)
  • Amoxil / Moxacil / NapaMox (Amoxicillin)
  • Fluclox / Flux / Flucloxin (Flucloxacillin)
  • Metronidazole (Flagyl / Filmet / Metro)
  • Cefixime / Cef-3 / Cef-3 DS
৪. অ্যান্টাসিড ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ (Antacid & Ulcer)
  • Seclo / Nexum / Losectil / Omep / Pantocid
  • Esoral / Esonix / Neotack
  • Gaviscon / Ranitidine / Digecid / Antacid Syrup
  • Mucaine Gel / Eno / Sodium Bicarbonate Powder
৫. ডায়রিয়া, বমি ও হজমের ওষুধ (Diarrhea, Vomiting & Digestive)
  • Orsaline-N / ORS
  • Napa ORS
  • Entacyd / Smectha / Esonid
  • Motigut / Emistat / Ondansetron
  • Gastricon / Digestive Enzyme Syrup
  • Ciplox-TZ / Filmet-TZ
৬. চর্মরোগ ও অ্যান্টিসেপটিক (Skin & Antiseptic)
  • Betnovate / Fucicort / Neobacrin / Sofradex Cream
  • Clotrim / Daktarin / Mycogynax (Fungal infection)
  • Savlon / Dettol / Hexisol Solution
  • Burn Cream (Silverex / Burnol)
  • Hydrocortisone Cream
৭. চোখ, কান ও নাকের ওষুধ (Eye, Ear & Nasal Drops)
  • Optachlor / Ciplox Eye Drop
  • Xylomet / Otrivin (Nasal drop)
  • Ciprocin Ear Drop / Otocin Ear Drop
  • Refresh Tear / Tearsol Eye Drop
৮. ইনজেকশন ও ইনসুলিন (Injection & Insulin)
(রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণযোগ্য)
  • Insulin (Humulin, Insulatard, Novolin)
  • Diclofenac Injection
  • Ceftriaxone Injection
  • Ringer’s Lactate / Normal Saline
  • Glucose IV
৯. ফার্স্ট এইড ও সার্জিক্যাল আইটেম (First Aid & Surgical Items)
  • Cotton / Bandage / Gauze / Tape
  • Syringe (2ml, 5ml, 10ml)
  • Gloves / Mask / Thermometer
  • BP Machine / Glucometer / Strip
  • Nebulizer / Surgical Scissor / Blade
১০. বেবি ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট (Baby & Healthcare)
  • Lactogen / S26 / Biomil / Aptamil Milk Powder
  • Diaper (Pampers, MamyPoko)
  • Baby Lotion / Powder / Soap / Oil
  • Oral Saline (Child version)
  • Feeder, Nipple, Teether
১১. পার্সোনাল কেয়ার ও কসমেটিক আইটেম (Personal Care)
  • Toothpaste, Brush, Soap, Shampoo
  • Hand Sanitizer, Facewash, Body Lotion
  • Hair Oil, Cream, Powder
  • Sunscreen, Moisturizer, Lip Balm

অনলাইন ফার্মেসি ব্যবসা 

অনেকেই অনলাইনে ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন সে বিষয়ে জানতে চান। আসুন দেখে নিই অনলাইনে কিভাবে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করবেন।

ধাপ ১: ব্যবসার আইনগত অনুমোদন ও রেজিস্ট্রেশন

অনলাইন ফার্মেসি চালাতে হলে প্রথমেই কিছু  আইনগত অনুমোদন নিতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে তা উপরেই দেওয়া আছে।  আপনাকে অফলাইন ফার্মেসির মতোই সব অনুমোদন নিয়ে তারপর অনলাইনে বিক্রয় কার্যক্রম চালাতে হবে।

ধাপ ২: অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা

অনলাইন ফার্মেসি পরিচালনার মূল মাধ্যম হলো ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ। তাই আপনাকে অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে হবে।
ওয়েবসাইট বা অ্যাপে যেসব ফিচার থাকা উচিত:
  • ওষুধ সার্চ ও ফিল্টার অপশন
  • প্রেসক্রিপশন আপলোড সিস্টেম
  • পেমেন্ট গেটওয়ে (bKash, Nagad, Rocket, Bank)
  • অর্ডার ট্র্যাকিং সিস্টেম
  • লাইভ চ্যাট বা কাস্টমার সাপোর্ট
  • স্টক ম্যানেজমেন্ট ও রিপোর্টিং সিস্টেম
  • ডেলিভারি লোকেশন সেটআপ (Dhaka/Mymensingh ইত্যাদি অনুযায়ী)

ধাপ ৩: ডেলিভারি ও লজিস্টিক ম্যানেজমেন্ট

ওষুধ ডেলিভারি অনলাইন ফার্মেসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
ডেলিভারি পরিচালনার ৩টি উপায় হচ্ছে:
১. নিজস্ব ডেলিভারি টিম:  লোকাল এলাকায় দ্রুত সার্ভিস দিতে পারবেন।
২. কুরিয়ার পার্টনার:  যেমন RedX, Pathao, Steadfast, Paperfly ইত্যাদির মাধ্যমে ডেলিভারি।
৩. হাইব্রিড সিস্টেম: নিজস্ব + কুরিয়ার উভয় পদ্ধতির সংমিশ্রণে ডেলিভারি।

ধাপ ৪: অনলাইন পেমেন্ট ও বিলিং সিস্টেম

সহজ পেমেন্ট ব্যবস্থা গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়ায়। তাই পেমেন্ট সিস্টেম যতটা পারা যায় সহজ রাখুন।
পেমেন্ট অপশন
  • Mobile Banking (bKash, Nagad, Rocket)
  • Debit/Credit Card
  • Cash on Delivery (COD)
  • Bank Transfer
ইনভয়েস ও বিলিং
ফার্মেসি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করুন, যেমন:
  • Smart Pharmacy POS
  • QuickPharma
  • PharmaSoft

ধাপ ৫: অনলাইন মার্কেটিং ও কাস্টমার খোঁজা 

অনলাইন ফার্মেসি সফল করতে হলে  আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে। যেসব কৌশল ব্যবহার করবেন:

১. Facebook ও Google Ads: নির্দিষ্ট এলাকায় টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দিন।
২. SEO ও ব্লগ কনটেন্ট: “অনলাইন ফার্মেসি”, “ওষুধ ডেলিভারি” ইত্যাদি কীওয়ার্ডে ওয়েবসাইট র‌্যাংক করুন। সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে র‍্যাংক করাতে পারলে প্রচুর অর্গানিক ট্রাফিক পাবেন
৩. ইমেইল মার্কেটিং: ইমেইলের মাধ্যমে নিয়মিত গ্রাহকদের নতুন ঔষধ নিয়ে অফার দিন।
৪. হেলথ টিপস ও কনটেন্ট মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাস্থ্যবিষয়ক দরকারি তথ্য শেয়ার করুন। এর ফলে গ্রাহকদের এনগেজমেন্ট বাড়বে।

উপসংহার

ফার্মেসি ব্যবসা শুধু একটি লাভজনক ব্যবসায়িক উদ্যোগ নয়, এটি একটি মানবিক ও সম্মানজনক পেশা। যদি আপনি স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান, তাহলে ফার্মেসি ব্যবসা আপনার জন্য একটি চমৎকার সুযোগ।

তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই লাইসেন্স, প্রশিক্ষণ এবং পরিকল্পনা সঠিকভাবে সম্পন্ন করুন।
সঠিক প্রস্তুতি ও আধুনিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আপনি সহজেই একটি সফল ফার্মেসি ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে পারবেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments