বাংলাদেশে মুরগির ফার্ম ব্যবসা বর্তমানে অন্যতম লাভজনক ও টেকসই ব্যবসা একটি ব্যবসা। এই ব্যবসা অল্প পুঁজিতেই শুরু করা যায়।
আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা ও পরিচর্যার মুরগির ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন তাহলে এর মাধ্যমে নিয়মিত ভাল পরিমাণে আয় করা সম্ভব।
আজকের এই পোস্টে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব- কিভাবে মুরগির ফার্ম ব্যবসা শুরু করবেন, দেশি ও পোল্ট্রি মুরগির খামার তৈরির নিয়ম, লালন-পালন পদ্ধতি, আধুনিক খামার ডিজাইন করার নিয়ম, খরচ ও লাভের হিসাব এবং মুরগির খামারের নাম ও লোগো সম্পর্কে।
মুরগির ফার্ম ব্যবসা শুরু করবেন যেভাবে
মুরগির ফার্ম ব্যবসা শুরু করতে কিছু মৌলিক ধাপ অনুসরণ করতে হয়:
১. ব্যবসার ধরন ঠিক করুন:
প্রথমেই আপনাকে ব্যবসার ধরণ ঠিক করতে হবে। আপনি কি দেশি মুরগি পালন করবেন, নাকি ব্রয়লার বা লেয়ার পোল্ট্রি সেটা ঠিক করুন।
বিভিন্ন ধরণের মুরগি চাহিদা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে যেমন,
ব্রয়লার মুরগি: মাংস উৎপাদনের জন্য
লায়ার মুরগি: ডিম উৎপাদনের জন্য
দেশি মুরগি: প্রাকৃতিকভাবে পালন, উচ্চ চাহিদা
২. স্থান নির্বাচন:
যেকোনো ব্যবসার জন্য স্থান নির্বাচন একটি বড় বিষয়। মুরগির ব্যবসার জন্যও একই কথা প্রযোয্য। মুরগির খামারের জন্য উন্মুক্ত, বায়ু চলাচলসমৃদ্ধ এবং পানির সহজলভ্য জায়গা বেছে নিন।
৩. প্রয়োজনীয় অনুমোদন গ্রহণ:
স্থানীয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে নিন। এতে ভবিষ্যতে কোনো ঝামেলা হবে না।
৪. পুঁজি পরিকল্পনা:
পুঁজির বিষয়টি আপনার উপর নির্ভর করবে। আপনি কত টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন সে বিষয়ে আপনার একটা পরিকল্পনা থাকতে হবে।
অনেকেই আছে ব্যবসার শুরুতেই ঋণ করে বড় বিনিয়োগ করতে চায়। এটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। আমি বলবো শুরুতে কম পুঁজিতে শুরু করুন। যেমন মুরগির ব্যবসার ক্ষেত্রে শুরুতে ২০০–৩০০ মুরগি দিয়ে শুরু করাই ভালো। ধীরে ধীরে ব্যবসার পরিধি বাড়ান।
দেশি মুরগির খামার তৈরির নিয়ম
দেশি মুরগির খামার খুব বেশি আধুনিক হতে হয় না তবে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ হওয়া জরুরি।
- খামার তৈরির কিছু নির্দেশনা:
- দেশি মুরগির ঘরটি দক্ষিণমুখী করুন যাতে ঘরটি পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস পায়।
- ঘরের মেঝে শুকনো ও উঁচু স্থানে রাখুন।
- প্রতি ১০টি মুরগির জন্য অন্তত ২০–২৫ বর্গফুট জায়গা রাখুন।
- খামারের চারপাশে জাল বা বেড়া দিন যাতে বন্য প্রাণী প্রবেশ করতে না পারে।
পোল্ট্রি মুরগির ঘর তৈরির নিয়ম
পোল্ট্রি ফার্মে ঘর তৈরির ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক নিয়ম অনুসরণ করা জরুরি। কারণ পোলট্রি মুরগি অন্য মুরগির তুলনায় অনেক বেশি সেনসিটিভ। প্রতিকূল পরিবেশে এরা অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে।
পোল্ট্রি মুরগির ঘর তৈরির সময় যেসব বিষয় বিবেচনা করবেনঃ
- ঘর উত্তর-দক্ষিণমুখি হওয়া উচিত যাতে তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ থাকে।
- প্রতিটি ঘরে যথেষ্ট ভেন্টিলেশন থাকতে হবে।
- ঘরের মেঝেতে করাতের গুঁড়া বা ধানের তুষ বিছিয়ে রাখুন।
- প্রতি বর্গফুটে ১টি মুরগি রাখার চেষ্টা করুন।
- খাওয়ার ও পানির ট্রে নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে শুরু করতে পারবেন এমন ৯ টি নতুন ব্যবসার আইডিয়া
দেশি মুরগি লালন-পালন করার নিয়ম

দেশি মুরগি সাধারণত প্রাকৃতিক পরিবেশে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে।
দেশি মুরগি লালন-পালনের টিপসঃ
- দেশি মুরগির খাবার হিসেবে শস্য, ভাঙা চাল, গম এবং প্রাকৃতিক খাবার দিন।
- মুরগিগুলোকে সকাল ও বিকেলে মাঠে ঘোরার সুযোগ দিন।
- টিকা (Newcastle, Fowl Pox, Gumboro) সময়মতো দিন।
- প্রতিদিন সকালে ঘর পরিষ্কার রাখুন এবং পানির পাত্রে বিশুদ্ধ পানি দিন।
- প্রতি ৩ মাস পর একবার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। মুরগিকে শুরুতে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানোর পর প্রথমে রানিক্ষেত এবং তার ৭ দিন পর বসন্ত রোগের টিকে দিতে হবে।
পোল্ট্রি মুরগি লালন-পালন করার নিয়ম
পোল্ট্রি মুরগি দ্রুত বেড়ে ওঠে তবে এর জন্য সঠিক খাদ্য ও পরিবেশ দরকার।
পোল্ট্রি মুরগি পালনের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহঃ
- প্রথম ৭ দিন তাপমাত্রা ৩৫°C রাখুন, পরে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমান।
- প্রতি ১০০টি মুরগির জন্য ১টি ফিডার ও ১টি ওয়াটার পট রাখুন।
- প্রতিদিন ৩ বার খাবার দিন।
- খামারকে প্রতিদিন ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার রাখুন।
- নিয়মিত ভ্যাকসিন ও ওষুধ প্রয়োগ করুন।
৬. দেশি মুরগি এবং পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসায় খরচ ও লাভের হিসাব
দেশি মুরগির খরচ ও লাভঃ
১০০টি দেশি মুরগি পালনে সম্ভাব্য খরচ ≈ ২৫,০০০–৩০,000 টাকা
৬ মাসে প্রতিটি মুরগির ওজন হয় ১–১.২ কেজি
বিক্রি মূল্য (প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা ধরে) = ৩৫,০০০–৪০,০০০ টাকা
লাভঃ প্রায় ৮,০০০–১২,০০০ টাকা (প্রতি ব্যাচে)
প্রতি কেজি যদি আরও বেশি মূল্যে বিক্রি করতে পারেন তাহলে লাভ আরও বেশি হবে।
পোল্ট্রি মুরগির খরচ ও লাভঃ
৫০০টি ব্রয়লার মুরগির জন্য সম্ভাব্য খরচ ≈ ৮০,০০০–৯০,০০০ টাকা
৩৫–৪০ দিনে বিক্রিযোগ্য হয়
বিক্রি মূল্য ≈ ১,২০,০০০–১,৩০,০০০ টাকা
প্রতি মাসে লাভ প্রায় ৩০,০০০–৪০,০০০ টাকা
তবে খরচ কমিয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করতে পারলে লাভের পরিমাণ বাড়বে। তবে এটা আপনার দরদাম করার ক্ষমতার উপর নির্ভর করবে।
আপনাদের মধ্যে অনেক স্মার্ট ব্যবসায়ী আছেন যারা একটা আধুনিক মুরগির ফার্ম করতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য নিচের অংশটি।
আধুনিক মুরগির ফার্মের ডিজাইন কিভাবে করবেন?
বর্তমান যুগে মুরগির ফার্ম শুধু বাঁশ-টিনের ঘর নয় বরং এটি একটি পরিকল্পিত, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিনির্ভর ফার্ম হয়ে উঠেছে। সঠিক ডিজাইনে তৈরি ফার্মে মুরগির বৃদ্ধি দ্রুত হয়, রোগবালাই কম হয়, এবং উৎপাদন বাড়ে।
একটি আধুনিক মুরগির ফার্ম ডিজাইনের মধ্যে যেসব বিষয় বিবেচ্য তার মধ্যে রয়েছে জায়গা নির্বাচন, ঘর তৈরির পদ্ধতি, বায়ু চলাচল, আলো, তাপমাত্রা এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কৌশল ইত্যাদি।
১. জায়গা নির্বাচন ও পরিকল্পনা
একটি সফল ফার্ম ডিজাইনের প্রথম ধাপ হলো সঠিক জায়গা নির্বাচন।
যায়গা নির্বাচনের সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন:
- মুরগির ফার্মটি যেন জনবসতি ও বাজার থেকে অন্তত ১–২ কিলোমিটার দূরে হয়।
- উচ্চ ভূমি বা পানি না জমে এমন জায়গা বেছে নিন।
- আশেপাশে ভালো পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকা জরুরি।
- ফার্মের চারপাশে সবুজ গাছ (যেমন কলাগাছ, ইউক্যালিপটাস, নিমগাছ) লাগানোর চেষ্টা করুন কারণ এটি
- প্রাকৃতিক ছায়া ও বায়ু ফিল্টার হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: কম খরচে শুরু করতে পারবেন এমন শহরে ব্যবসার আইডিয়া
২. আধুনিক মুরগির ফার্মের ঘর ডিজাইন
মুরগির ফার্ম ব্যবসা এর ক্ষেত্রে ফার্মের ঘর ডিজাইন হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আধুনিক পোল্ট্রি ফার্মে সাধারণত দুটি ধরনের ঘর দেখা যায়:
(ক) ওপেন শেড সিস্টেম (Open House)
- মুরগির ঘরের দেয়াল টিন বা জালের মাধ্যমে খোলা রাখা হয়।
- এর ভেতর দিয়ে প্রাকৃতিক আলো ও বাতাস চলাচল করে।
- এটি গ্রামাঞ্চলের পরিবেশের জন্য উপযোগী।
(খ) ক্লোজড সিস্টেম (Closed House)
- সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ (Temperature-Controlled)।
- এই সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয় ফিডার, ড্রিঙ্কার ও ভেন্টিলেশন ফ্যান থাকে।
- এই সিস্টেম ব্যবহার করলে উৎপাদন বেশি হবে ও রোগের ঝুঁকি কম থাকবে।
প্রথমে বিনিয়োগ বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক।
৩. ঘরের আকার ও কাঠামো
একটি আদর্শ ব্রয়লার ফার্মের ঘরের মাপ হতে পারে:
দৈর্ঘ্য: 100 ফুট
প্রস্থ: 30 ফুট
উচ্চতা: পাশে 8 ফুট, মাঝখানে 10 ফুট
দেশি মুরগির ক্ষেত্রে:
- প্রতি ১০টি মুরগির জন্য ২০–২৫ বর্গফুট জায়গা রাখুন।
- খোলা উঠান রাখলে মুরগির প্রাকৃতিক চলাচল হয়।
- ডিম পাড়া মুরগির লালন পালনের জন্য স্টারটার, অন্যান্য মুরগির জন্য আলাদা শেড নির্মাণ করতে হবে।
৪. ভেন্টিলেশন (বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা)
ভালো ভেন্টিলেশন মানে মুরগির স্বাস্থ্য ভালো। ওপেন হাউসে ৩ ফিট উচ্চতায় জাল দিয়ে খোলা জায়গা রাখুন।
ক্লোজড হাউসে Exhaust Fan + Cooling Pad System ব্যবহার করুন। ভেতরে বাতাসের দিক যেন একমুখী হয় সে দিকে খেয়াল রাখুন।
লক্ষ্য: ঘরের ভিতরের গ্যাস (অ্যামোনিয়া) বের হয়ে যাওয়া ও পর্যাপ্ত অক্সিজেন প্রবেশ নিশ্চিত করা।
৫. আলো ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
তাপমাত্রা:
প্রথম ৭ দিন ৩৪–৩৬°C রাখুন। পরের সপ্তাহগুলোতে ধীরে ধীরে ২৫–২৮°C পর্যন্ত নামানো হয়।
আলো:
দিনে প্রাকৃতিক আলো এবং রাতে LED লাইট ব্যবহার করুন।
ব্রয়লার মুরগির জন্য ২৪ ঘণ্টা হালকা আলো রাখা উত্তম।
২-১৮ সপ্তাহ মুরগির বাড়ন্ত সময় তাই এসময় মুরগির ঘরে আলো কমিয়ে ১২ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে হবে।
১৯ সপ্তাহ থেকে মুরগি ডিম পাড়া শুরু করে তাই তখন আলো ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা উত্তম।
৬. আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম
বর্তমানে অনেক ফার্মে অটোমেটেড সিস্টেম ব্যবহার করা হয় যা সময় ও শ্রম দুই-ই বাঁচায়।
প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জাম:
Automatic Feeder System – স্বয়ংক্রিয়ভাবে খাবার সরবরাহ করে
Automatic Drinker System – পানির সরবরাহ ঠিক রাখে
Temperature & Humidity Sensor – তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে
Exhaust Fan & Cooling Pad – বায়ু চলাচল বজায় রাখে
LED Lighting System – মুরগির ঘুম ও খাবার চক্র নিয়ন্ত্রণ করে
৭. ঘরের মেঝে ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
ঘরের মেঝে কংক্রিটের হওয়া সবচেয়ে ভালো।
মেঝেতে করাতের গুঁড়া, ধানের তুষ বা শুকনো বালু ২–৩ ইঞ্চি বিছিয়ে দিন। প্রতি ১৫ দিনে একবার করে তুষ পরিবর্তন করুন। প্রতিটি ব্যাচ শেষ হলে সম্পূর্ণ ঘর Disinfectant Spray দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৮. পানি ও ড্রেনেজ সিস্টেম
ফার্মে পানি সরবরাহ ও নিষ্কাশন দুটোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কার পানির জন্য টিউবওয়েল বা পানির ট্যাংক ব্যবহার করুন। ড্রেন এমনভাবে তৈরি করুন যাতে বৃষ্টির পানি বা বর্জ্য সহজে বের হয়ে যায়।
৯. ফার্ম ডিজাইনের উদাহরণ (Basic Layout)
——————————————————–
| Cooling Pad | Chicken Area | Feeding Line | Exhaust Fan |
——————————————————–
| Office/Store | Feed Storage | Entry/Exit Gate |
——————————————————–
এই ডিজাইনে এক পাশে ঠান্ডা বাতাস ঢোকে এবং অন্য পাশে এক্সহস্ট ফ্যান দিয়ে গরম বাতাস বের হয়। এতে ভেতরের পরিবেশ সবসময় নিয়ন্ত্রিত থাকে।
১০. ফার্ম ডিজাইন ও লাভের সম্পর্ক
একটি ভালো ডিজাইন করা ফার্মে-
- মুরগির মৃত্যুহার কমে যায়
- খাদ্য অপচয় কম হয়
- মুরগির ওজন দ্রুত বাড়ে
- উৎপাদন ২০–২৫% পর্যন্ত বেড়ে যায়
- অর্থাৎ, ডিজাইনে বিনিয়োগ মানে দীর্ঘমেয়াদে বেশি লাভ
মুরগির ফার্মের নাম সম্পর্কে কিছু সাজেশন
নাম বাছাইয়ের সময় মনে রাখবেন-
* সহজে মনে রাখা যায় এমন নাম রাখতে হবে,
* উচ্চারণে সহজ,
* এবং খামারের ধরন বা লক্ষ্যকে প্রকাশ করে এমন নাম রাখা উচিৎ।
নিচে ধরণভিত্তিক কিছু নাম দেওয়া হলো
১. সাধারণ/বাংলা ধাঁচের নাম
১. সোনার ডিম পোল্ট্রি ফার্ম
৩. সবুজ খামার
৩. মাটির ঘ্রাণ ফার্ম
৪. প্রিয় মুরগি খামার
৫. আশার আলো পোল্ট্রি
৬. গ্রামীণ পোল্ট্রি হাউজ
৭. সুখের খামার
৮. দেশি ডিম ফার্ম
২. আধুনিক ও ব্র্যান্ড-স্টাইল নাম
1. AgroNest Poultry
2. Farmify Chicken Hub
3. Golden Egg Agro
4. FreshFeather Farm
5. GreenLeaf Poultry
6. HatchHouse Agro
7. BirdBloom Farm
8. PurePoultry Ltd.
৩. দেশি-ইংরেজি মিক্স নাম
1. Deshi Hatch Farm
2. Grameen Agro Farm
3. MurgiMart
4. DeshiChick
5. PakhirBari Agro
6. Sonali Chick House
মুরগির ফার্ম ব্যবসার লোগো কেমন হওয়া উচিত?
লোগো হচ্ছে আপনার ফার্মের ভিজ্যুয়াল পরিচয় (Brand Identity)। এটি এমনভাবে তৈরি করা উচিৎ যেন এক নজরে বোঝা যায় এটি একটি পোল্ট্রি বা মুরগির ব্যবসা।
নিচে মুরগির ফার্ম এর লোগো ডিজাইনের কিছু দিকনির্দেশনা দিচ্ছি
১. লোগোতে কী থাকতে পারে:
মুরগির ছবি বা সিলুয়েট (outline design)
ডিমের আকৃতি (symbol of life/productivity)
পাতার বা সূর্যের প্রতীক (প্রাকৃতিক খামারের ইঙ্গিত)
খামারের আকৃতি (farm-house look)
নামের সংক্ষিপ্ত রূপ (যেমন GEF = Golden Egg Farm)
২. রঙের ব্যবহার
রঙ লোগোতে অনেক কিছু প্রকাশ করে—
লাল/কমলা: শক্তি, জীবন, পুষ্টি
সবুজ: প্রাকৃতিক, স্বাস্থ্যকর
হলুদ: ডিম ও আশাবাদ
সাদা: বিশুদ্ধতা
তাই, লাল + সবুজ + হলুদ এই তিন রঙের মিশ্রণ একটি আদর্শ ফার্ম লোগোতে ভালো মানায়।
৩. ডিজাইন স্টাইল
লোগোটি হওয়া উচিত-
Simple (বেশি জটিল না)
Vector Style (যাতে ব্যানার, প্যাকেজ, সোশ্যাল মিডিয়া সব জায়গায় মানানসই হয়)
Name + Symbol ভিত্তিক
উদাহরণ ধারণা:
একটি মুরগি ও ডিমের চিত্র, নিচে ফার্মের নাম।
সূর্যোদয়ের পেছনে মুরগির ছায়া, চারপাশে সবুজ পাতা।
ফার্ম হাউস আইকন ও তার সামনে একটি মুরগি।
অতিরিক্ত টিপস
আপনি যদি দেশি মুরগি পালন করেন তাহলে লোগোতে প্রাকৃতিক সবুজ টোন ব্যবহার করুন।
যদি পোল্ট্রি ব্যবসা (বড় স্কেল) হয়, তবে লোগোতে আধুনিক “farmhouse + chicken outline” ডিজাইন মানানসই হবে।
আপনার লোগো যেন এক নজরে খামার বোঝায় এটাই হবে ব্র্যান্ডিংয়ের মূল উদ্দেশ্য।
উপসংহার
মুরগির ফার্ম ব্যবসা আজকের দিনে শুধু একটি খামার ভিত্তিক উদ্যোগ নয়, এটি একটি সম্ভাবনাময় কৃষিভিত্তিক শিল্প। এই ব্যবসা অল্প পুঁজিতে শুরু করে নিয়মিত আয় করা যায়। আপনি যদি মুরগিদের নিয়মিত যত্ন নেন, খামার পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখেন এবং সঠিক নিয়মে মুরগির খামার তৈরি করে লালন পালন করেন অল্প সময়েই আপনি লাভজনক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারবেন।