আমাদের মধ্যে অনেক উদ্ভাবনী এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার অধিকারী অনেক তরুণ আছেন যাদের প্রচলিত ব্যবসার প্রতি আকর্ষণ কম। তাদের মধ্যে সবসময় নতুন কিছু করার তাড়না থাকে অর্থাৎ নতুন ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা তাদের কাছে কোন কঠিন বিষয় নয়। এমন মানুষের জন্যই আজকের এই লেখা।
নতুন ব্যবসার আইডিয়া
১. ট্রাভেলার গেস্ট শেয়ারিং
২. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
৩. পাবলিক রিলেশন এজেন্সি
৪. ব্র্যান্ড কনসালটেন্সি
৫. চাইল্ড কেয়ার সেন্টার
৬. সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা
৭. এআই ব্যবসা
৮. দোভাষী বা অনুবাদক সার্ভিস
৯. পোষা প্রাণীর ব্যবসা
ট্রাভেলার গেস্ট শেয়ারিং
নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ট্রাভেলার গেস্ট শেয়ারিং ব্যবসাকে বিবেচনা করতে পারেন। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পর্যটনের বিশাল বাজারকে টার্গেট করে আপনি এই ধরণের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
Statista এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৫ সাল থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে পর্যটন মার্কেটের প্রবৃদ্ধি হবে ৯.৬১ শতাংশ এবং মার্কেটের আকার হবে ৩.৪৬ বিলিয়ন ডলারের। ২০২৯ সালের মধ্যে হোটেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫.৫ মিলিয়নে পৌঁছাবে।
বিপুল পরিমাণ পর্যটকের চাহিদা শুধু আবাসিক হোটেল মেটাতে পারবে না। তাই এই ধরণের ব্যবসার করে আপনি ভাল পরিমাণে আয় করতে পারবেন।
ট্রাভেলার গেস্ট শেয়ারিং ব্যবসা করার জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ তৈরি করতে হবে। যেখানে গেস্ট রাখতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা তাদের রুমের বর্ণনা এবং সুযোগ সুবিধা উল্লেখ করে আপনার সাইটে রেজিস্টার করবে। এক্ষেত্রে তাদেরকে অবশ্যই নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনার সেট করে দেওয়া সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে।
গেস্টরা আপনার সাইটের মাধ্যমে রুম বুক দিবে। আপনি বিভিন্নভাবে আয় করতে পারবেন। গেস্টদের বুকিং মানির একটা অংশ আপনি কমিশন হিসেবে রাখতে পারবেন। আবার হোস্টদের আয় থেকে একটা অংশ প্লাটফর্ম ফি হিসেবে রাখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কম খরচে শুরু করতে পারবেন এমন শহরে ব্যবসার আইডিয়া
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটা মাধ্যম যেখানে সব বয়সী মানুষের বিচরণ আছে। সারা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট খুলে তাদের ব্যবসা এবং ব্যবসার পণ্য বা সেবার প্রচারণা করে থাকে৷ সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সফলতা পাওয়ার জন্য অনেক সময় দিতে হয়। গ্রাহক আকর্ষণ করা এবং তাদের এনগেজমেন্ট ধরে রাখা যথেষ্ট কঠিন কাজ। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এই কাজটাই করে থাকে।
আপনি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনা করবেন। তাদের পক্ষে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন। গ্রাহক আকর্ষণ করে এমন কন্টেন্ট তৈরি করে শেয়ার করবেন। গ্রাহকদের এনগেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন টেকনিক এপ্লাই করবেন।
এসব কাজের বিনিময়ে আপনি গ্রাহকদের কাছ থেকে আয় করতে পারবেন। আপনার সেবা বিভিন্ন রকম হতে পারে। আপনি বিভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করে সেবা দিতে পারেন। একেক প্যাকেজের সেবার পরিমাণ কম বেশি থাকবে এবং সে অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করবেন।
পাবলিক রিলেশন এজেন্সি
বর্তমান যুগে পাবলিক রিলেশন (পিআর) খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পাবলিক রিলেশন এর উপরে একটি ব্যবসার সফলতার অনেকাংশে নির্ভর করে।
পাবলিক রিলেশন বলতে বুঝায় একটি কোম্পানির তথ্য জনগণ এবং মিডিয়ার সাথে শেয়ার করার ব্যবস্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে তথ্য শেয়ার করার কৌশল নির্ধারণ, কোম্পানির ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নেতিবাচক বিষয়াবলী এমনভাবে মোকাবিলা করা যাতে নেতিবাচক খবরের কারণে যে ঝুঁকি তৈরি হয় সেটা কমানো যায়।
পাবলিক রিলেশন এজেন্সিকে একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে নিতে পারেন। পাবলিক রিলেশনশীপে দক্ষ এমন ব্যক্তিদের নিয়ে আপনি এই ধরণের এজেন্সি খুলতে পারেন। মিডিয়ায় কাজ করে পরিচিত সাংবাদিক, ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ভাল ধারণা আছে এমন ব্যক্তিদের নিয়ে আপনি এজেন্সি খুলতে পারেন।
আপনার এজেন্সির কাজ হবেঃ
১. আপনার গ্রাহক কোম্পানির ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি করা,
২. কোম্পানির অতীতে কোন সুনামহানী ঘটে থাকলে সেটি মেরামত করা এবং কোম্পানির সুনাম বাড়ানোর চেষ্টা করা,
৩. কোম্পানির পক্ষে সংবাদপত্র এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশের জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা। মিডিয়া ইতিবাচক খবরগুলো বার বার তুলে ধরার ব্যবস্থা করা।
৪. গ্রাহকের পাবলিক ফাংশন ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করা,
৫. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করা,
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের ৭ টি সম্ভাবনাময় বড় ব্যবসার আইডিয়া
ব্র্যান্ড কনসালটেন্সি
ব্র্যান্ড কনসালটেন্সি এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনি আপনার গ্রাহকের ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করতে সাহায্য করবেন এবং ব্র্যান্ডিং এর বিভিন্ন কৌশল নির্ধারণে তাকে সাহায্য করবেন।
নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ব্র্যান্ড কনসালটেন্সি খুব দারুণ একটি ব্যবসার আইডিয়া হবে। এই ধরণের ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই মার্কেটিং বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে হবে।
আপনার প্রতিষ্ঠানে যাদের নিয়োগ দিবেন তাদেরকেও মার্কেটিং এবং ব্র্যান্ডিং এ অভিজ্ঞ হতে হবে।
ব্র্যান্ড কনসালটেন্সি ফার্মগুলো যেসব কাজ করে থাকে,
১. গ্রাহকের টার্গেট মার্কেট নিয়ে গবেষণা করে,
২. গ্রাহকের প্রতিযোগী কারা সেটি নির্ধারণ করে। তাদের সক্ষমতা যাচাই করে এবং তাদেরকে টপকে কিভাবে গ্রাহকের ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তার কৌশল নির্ধারণ করে,
৩. বাজারে ব্র্যান্ডের পজিশন সেট করা এবং ব্র্যান্ড প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টা করা,
৪. ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ আছা সেগুলো মোকাবিলা করার কৌশল বের করা এবং সেসব কৌশল অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা,
এই ধরণের ব্যবসা খুব স্মার্ট ব্যবসা। আপনাকে সবসময় মার্কেটের চলতি ট্রেন্ড সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে। অনেক গবেষণা করতে হবে।
সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা – নতুন ব্যবসার আইডিয়া
সাধারণভাবে সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বলতে বুঝায় গ্রাহকের পক্ষে তার সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করা বা গ্রাহকের বিদ্যমান সম্পদ লাভজনক সেক্টরে বিনিয়োগ করে তার রিটার্ন আনার ব্যবস্থা করা।
আপনাকে গ্রাহকের পক্ষে আর্থিক পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে হবে। গ্রাহকদের বিজনেস পোর্টফলিও নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিতে হবে। কিভাবে বিজিনেস পোর্টফলিও কিভাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেসব সম্পর্কে কৌশল খুঁজে বের করতে হবে।
এই ধরণের ব্যবসা করতে হলে আপনাকে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের প্রয়োজন হবে। বিজনেস ব্যাকগ্রাউন্ড বিশেষ করে ফাইনান্স বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট প্রয়োজন হবে। আপনার গ্রাহক হবে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি, কোম্পানি, ব্যাংক, সরকারি প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে শুরু করতে পারবেন এমন ১০ টি স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া
এআই ব্যবসা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুল এবং টেকনিক ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক সমস্যার সমাধান করা এবং সেবা ও উতপাদনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি করাই হচ্ছে এআই ব্যবসার মূল বিষয়।
যেমন আমি Chat gpt এর কথাই বলতে পারি। এটি একটি এআই সেবা। আপনার যেকোনো প্রশ্নের উত্তর এটি খুব দ্রুত দিতে পারে। এর ফলে একজন ব্যবহারকারী খুব দ্রুত অনেক বিষয়ের সমাধান পেয়ে যাচ্ছে। ব্যবহারকারীরা অল্প সময়ে অনেক কাজ সম্পন্ন করতে পারছে।
Chat gpt শুধু প্রশ্ন-উত্তর নয় ছবি ভিডিও তৈরি সহ বিভিন্ন সেবা দিচ্ছে। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহে এদের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটিতে পৌঁছেছে।
এআই ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি আধুনিক নতুন ব্যবসার আইডিয়া। তবে এই ধরণের ব্যবসা সবাই করতে পারবে না। এই ধরণের ব্যবসা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানতে হবে। কিভাবে এআই কে ট্রেনিং দিতে হয় এসব বিষয়ে ভাল আইডিয়া থাকতে হবে।
আপনার যদি আইটি বিষয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে আমি পরামর্শ দিব এআই ব্যবসা শুরু করুন। এমন একটি সেবা বাজারে নিয়ে আসুন যেটি মানুষকে আকর্ষণ করবে। মনে রাখবেন এআই ব্যবসার ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সুপ্রসন্ন।
দোভাষী সার্ভিস – নতুন ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমান পৃথিবীকে বলা হয় গ্লোবাল ভিলেজ। কোন দেশ এই ভিলেজের বাইরে থাকতে পারবে না। নিজেদের প্রয়োজনে এক দেশের মানুষকে অন্য দেশের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে হচ্ছে।
বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের এই যোগাযোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যোগাযোগের এই ক্ষেত্রে ভাষা হচ্ছে মূল বিষয়। কিন্তু এখানে একটা বড় সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ দেশের মানুষ নিজেদের ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় খুব একটা দক্ষ নয়।
এই সমস্যা সমাধানের জন্যই দোভাষীর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়েছে। নতুন ব্যবসা হিসেবে দোভাষী সার্ভিস ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ধরণের ব্যবসা করার জন্য আপনাকে দুইটা ভাষায় দক্ষ এমন লোক দরকার হবে।
প্রাথমিকভাবে আপনি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রচুর মানুষ ব্যবহার করে এমন ভাষা নিয়ে কাজ করতে পারেন। যেমন ইংরেজি, চাইনিজ, আরবি, জার্মান, পর্তুগিজ, রাশিয়ান ইত্যাদি ভাষায় পারদর্শী লোক দিয়ে শুরু করুন।
একটি নির্দিষ্ট সার্ভিস ফি এর বিনিময়ে দোভাষী সরবরাহ করবেন। মেয়াদ অনুসারে সার্ভিস নির্ধারিত হবে।
পোষা প্রাণীর ব্যবসা
মানুষের আয় যত বাড়ছে মানুষের মধ্যে সৌখিনতা তত পরিমাণে বাড়ছে। সৌখিন মানুষের সৌখিনতার একটা দিক হচ্ছে পোষা প্রাণী লালন পালন করা।
নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে পোষা প্রাণীর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশে পোষা প্রাণী মার্কেট বেশ অনেক বড়। অদূর ভবিষ্যতে এই মার্কেটের আকার অনেক বড় হবে একথা নি:সন্দেহে বলা যায়।
পোষা প্রাণীর মধ্যে চাহিদা বেশি আছে যেসব প্রাণীর তাদের মধ্যে রয়েছে কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, বিভিন্ন ধরণের পাখি ইত্যাদি।
প্রাথমিকভাবে দোকান না দিয়ে অনলাইনে এই ধরণের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার খামারে থাকা পোষা প্রাণীগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে পেজ খুলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এছাড়া নিজের একটা ওয়েবসাইট খুলবেন যেখানে পোষা প্রাণী ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রদর্শিত হবে এবং বিস্তারিত তথ্য থাকবে।
পোষা প্রাণীর বাজার যে বড় হচ্ছে তা বোঝার জন্য এই রিপোর্টটি যথেষ্ট। পোষা প্রাণীর সংখ্যা বাড়ার কারণে তাদের খাবারের মার্কেটও বেড়ে চলেছে। গবেষণা সংস্থা স্ট্যাটিসটার মতে, ২০২৮ সালে পোষা প্রাণীর খাবারের বাজার নয় দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে ৩০৮ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিশেষে
নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে যেসব ব্যবসা নিয়ে লিখলাম এগুলো তাদের জন্য যাদের চিন্তাভাবনা আধুনিক এবং স্মার্ট। এসব ব্যবসা করতে হলে নিজের সৃজনশীলতা যেমন থাকতে হবে তেমনি প্রযুক্তি জ্ঞান, যোগাযোগ দক্ষতা এবং নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের স্পৃহা থাকতে হবে।