আপনার ফাইবার গিগ বিক্রি হচ্ছে না? অথবা আপনার ফাইবার গিগ ইম্প্রেশন হচ্ছে না? তাহলে সঠিকভাবে ফাইবার গিগ মার্কেটিং করাই হচ্ছে আপনার এই সমস্যা থেকে উত্তরণের মূল উপায় ।
অধিকাংশ নতুন ফ্রিল্যান্সাররা এই সমস্যায় ভোগেন। বেশিরভাগই বলে থাকেন তাদের গিগ সার্চ রেজাল্টে নিচের দিকে প্রদর্শিত হচ্ছে, ক্লিকের পরিমান খুব কম হচ্ছে, গিগ বিক্রি হচ্ছে না ইত্যাদি । কিন্তু তারা সবচেয়ে বড় ভুল করে যে তারা তাদের গিগ প্রমোট করে না। তারা মনে করে ফাইবার সার্চে গিগ প্রথমদিকে প্রদর্শিত হচ্ছে না মানে সব শেষ!
ফাইবারে প্রায় ৪ মিলিয়ন সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার আছে তাহলে বুঝতেই পারছেন এখানে কি পরিমান প্রতিযোগিতা । তাই ফাইবার গিগ বিক্রয় করতে হলে ফাইবার গিগ মার্কেটিং এর বিকল্প নেই।
কিভাবে ফাইবার গিগ মার্কেটিং করবেন?
ফাইবার গিগ মার্কেটিং করার জন্য ৭ টি কার্যকর টেকনিক আছে:
১. পেইড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে গিগ মার্কেটিং করা
২. কোল্ড ইমেইল (Cold Email) কৌশল
৩. পিন্টারেস্ট (Pinterest) ব্যবহার করে গিগ মার্কেটিং
৪. সঠিক এসইও (SEO) করুন
৫. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে ফাইবার গিগ মার্কেটিং করা
৬. ব্লগিং এর মাধ্যমে গিগ মার্কেটিং করুন
৭. রাউন্ড আপ পোস্টের মাধ্যমে ফাইবার গিগ মার্কেটিং
১. পেইড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ফাইবার গিগ মার্কেটিং করা
পেইড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে খুব দ্রুত বিশাল সংখ্যক মানুষের কাছে গিগ প্রমোট করা যায়। আপনি যদি সুন্দর করে একটা বিজ্ঞাপন তৈরি করে বুস্ট করতে পারেন তাহলে অনেক গিগ ক্লায়েন্ট পেয়ে যেতে পারেন।
গিগ প্রমোট করার জন্য পেইড বিজ্ঞাপন একটা বড় উপায়। আপনি যদি ফাইবারে বিজ্ঞাপন দেন তাহলে আপনার গিগ সার্চ বারে উপরের দিকে প্রদর্শিত হবে। তবে এই সুযোগ দেওয়া হয় লেভেল ১ সেলার হওয়ার পর। এছাড়া গিগ স্কোর ৪.৭, গিগে কমপক্ষে ২০ রিভিউ, তবে প্রো গিগ এবং টপ রেটেড সেলার হলে ৫ রিভিউ হলেই চলবে ।
এছাড়া গুগল, ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফাইবার গিগ মার্কেটিং করা যায়। যেহেতু এসব প্লাটফর্ম প্রতিনিয়ত বিশাল পরিমাণ ব্যবহারকারী ব্যবহার করছে তাই এসব প্লাটফর্ম থেকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচুর ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
- ফেসবুক অ্যাডস কি? স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন।
- গুগল অ্যাডস (Google Ads) কি? এটি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়?
২. কোল্ড ইমেইল (Cold Email) কৌশল
এই কৌশলের মূল বিষয় হচ্ছে একজন সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট যিনি ফাইবার প্লাটর্মে নেই তার কাছে আপনার গিগটি প্রচারের ব্যবস্থা করা। এই কৌশল তখনই সফল হবে যখন আপনার প্রোফাইলে বেশ কিছু পজিটিভ রিভিউ থাকবে কারণ আপনি যার কাছে আপনার গিগ (সার্ভিস) সম্পর্কে বলছেন সে প্রথমেই আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করে রিভিউ দেখতে চাইবে।
কোল্ড ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেকেই একটা বড় ভুল করে থাকে। ইমেইলে নিজের দক্ষতার বিষয়ে অনেক কিছু লিখলেও যাকে ইমেইল পাঠাচ্ছে তার আপনার সার্ভিস কিভাবে কাজে লাগবে সে ব্যাপারে কোন লেখা থাকে না। এজন্য সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট সত্যিকারের ক্লায়েন্টে পরিণত হয় না।
কোল্ড ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে পারেন।
১. গুগলে সার্চ করে আপনার আপনার সার্ভিস ক্রয় করতে পারে এমন ব্যবসায়ী খুঁজে বের করুন।
২. তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করুন।
৩. তাদের সমস্যা সমাধানে আপনি কি করতে পারবেন তা উল্লেখ করুন। এখানে আপনার অতীত অভিজ্ঞতাও তুলে ধরুন।
৪. আপনার গিগের লিংক প্রদান করুন এবং ফাইবার থেকে গিগ ক্রয় করতে উৎসাহিত করুন।
স্পেশাল টিপস: ইমেইলে পেশাদার আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করুন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার মেইল এড়িয়ে না যায়।
ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন: ইমেইল মার্কেটিং এর সংজ্ঞা টুলস সুবিধা এবং শুরু করার গাইডলাইন।
৩. পিন্টারেস্ট (Pinterest) ব্যবহার করে ফাইবার গিগ মার্কেটিং
ফাইবার গিগ মার্কেটিং করার জন্য পিন্টারেস্ট একটা বড় মাধ্যম। আপনি যখন গিগ তৈরি করবেন তখন পিন্টারেস্ট এর জন্যও একটা পিন তৈরি করবেন। এর রেশিও হবে 2:#।
ক্যানভা (Canva) ব্যবহার করে খুব সহজেই পিন তৈরি করা যায়। এই প্লাটফর্মে পিন্টারেস্ট ট্যামপ্লেট সাইজ ১২০০*১৮০০ তৈরি করা আছে। ব্যবহারকারীরা চাইলেই ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি চাইলে ক্লায়েন্টেদেয় রিভিউ, রেটিং এগুলো দিয়েও পিন তৈরি করতে পারেন। এর ফলে অনেকেই আপনার গিগ ক্রয় করতেন উৎসাহিত হবে।
পিন তৈরি করার সময় পিন টাইটেল, ডেস্ক্রিপশন এবং পিনের ভেতর লেখায় কীওয়ার্ড রিসার্চ করে সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন এর ফলে পিন্টারেস্ট সার্চে আপনার পিন প্রথম দিকে প্রদর্শিত হবে এবং ব্যবহারকারীরা যখন আপনার পিনে ক্লিক করবে তখন তারা সরাসরি আপনার গিগ পেইজে চলে যাবে এর ফলে আপনার ক্লায়েন্ট সংখ্যা বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন : কিভাবে একটি আকর্ষণীয় ফাইবার গিগ তৈরি করবেন উদাহরণসহ আলোচনা।
৪. সঠিক এসইও (SEO) করুন
অন্যান্য প্লাটফর্মের মত ফাইবারও তাদের এলগরিদম এমনভাবে তৈরি করেছে যে, ক্লায়েন্ট সার্চবারে যে কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে ফাইবার সে অনুযায়ী ক্লায়েন্টের সামনে গিগ প্রদর্শন করে। তাই আপনার গিগ এমনভাবে অপটিমাইজ করুন যাতে সার্চ র্যাংকিং এ আপনার গিগ প্রথম দিকে প্রদর্শিত হয়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি কোন বায়ারের লোগো ডিজাইনারের প্রয়োজন হয় তাহলে সার্চ বাড়ে “Logo Design” লিখে সার্চ দিবে ।
এখন আপনার গিগে টাইটেল এবং ডেস্ক্রিপশনে যদি এই কীওয়ার্ডটি থাকে তাহলে সেটি সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শিত হতে পারে । আপনার কাজ হচ্ছে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড গিগের টাইটেল, এসইও টাইটেল, ডেস্ক্রিপশন এবং FAQ এ ব্যবহার করুন। ছবির alt-text এ কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন । তাহলে ফাইবার সার্চে সেটি প্রথম পেজে প্রদর্শিত হওয়ার চান্স অনেক বেড়ে যাবে। কিভাবে ফাইবার গিগ টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন লিখতে হয় তা বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
৫. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে ফাইবার গিগ প্রমোট করা
ফাইবার গিগ মার্কেটিং করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটা বড় হাতিয়ার। বর্তমানে বিশ্বের কয়েক বিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। নিচে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিভাবে গিগ প্রমোট করবেন তা আলোচনা করা হলো:
ফেসবুক
ফেসবুক হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। নানা বয়সী মানুষ এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে । ফেসবুকে ফাইবার গিগ মার্কেটিং করার বিভিন্ন উপায় আছে।
- নিজের ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে প্রচার করা
- ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রচার করা
- নিজের বা অন্যের গ্রূপে প্রচার করা
আপনি কি জানেন আপনার ফ্রেন্ড লিস্টেই আপনার সম্ভাব্য বায়ার আছে? অবশ্যই থাকতে পারে । তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো ফাইবার সম্পর্কে খুব ভাল জানে না বা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট থেকে ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে কাজ করবে সেটি জানে না।
কিন্তু তাদের বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করার জন্য ফ্রিল্যান্সার প্রয়োজন হতে পারে । আপনি যখন আপনার একাউন্ট বা পেজে বা গ্রূপে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে প্রচার করবেন তখন অনেকেই আপনার গিগের ক্লায়েন্ট হতে চাইতে পারে ।
ইউটিউব
বর্তমানে অনেকেই ইউটিউবে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ইউটিউব ভিডিও দেখে থাকে । তাই ইউটিউব হতে পারে গিগ প্রচারের অন্যতম বড় মাধ্যম ।
আপনি আপনার সার্ভিস সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের বিষয়ভিত্তিক ভিডিও তৈরি করতে পারেন । এভাবে ধীরে ধীরে আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়বে এবং সার্চ ইঞ্জিনেও আপনার ভিডিও প্রথম পেজে আসতে শুরু করবে ।
আপনার ভিডিওতে আপনার গিগ সম্পর্কে প্রচার করুন । আপনার ভিডিও দেখে তারা যদি মনে করে আপনি কাজটি ভাল পারেন তাহলে আপনি সহজেই আপনার গিগ বিক্রয় করতে পারবেন ।
কিভাবে ক্লায়েন্ট আপনার গিগ পেজে নিবেন ? এক্ষেত্রে কিছু কৌশল ব্যবহার করতে হবে। আপনাকে ভিডিও তৈরি করতে হবে বায়ার এবং সেলার উভয়ের দিক বিবেচনা করে ।
ধরেন আপনি একজন ডিজাইনার তাহলে একটি ভিডিও তৈরি করতে পারেন “কিভাবে ফাইবার থেকে একজন ডিজাইনার ফ্রিল্যান্সার হায়ার করতে হয়।” তারপর ভিডিও ডেস্ক্রিপশনে আপনার গিগের লিংক দিয়ে রাখবেন। ক্লায়েন্টদের বলবেন এই লিংকের মাধ্যমে ফাইবারে প্রবেশ করুন।
ভিডিওতে এমন সব দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার কথা বলবেন সেগুলো যেন আপনার গিগে থাকে সেটি মনে রাখতে হবে কারণ ক্লায়েন্টরা যখন আপনার গিগ পেজে ল্যান্ড করবে তখন তারা যদি আপনার গিগে সেসব বিষয় দেখতে পায় তাহলে তারাই আপনার গিগের ক্লায়েন্ট হয়ে যেতে পারে ।
কোরা (Quora)
কোরা হচ্ছে একটি প্রশ্ন উত্তর সাইট। প্রতি মাসে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করছে। এখানে প্লাটফর্মের মূল বিষয় হচ্ছে কেউ প্রশ্ন করে আর কেউ প্রশ্নের উত্তর দেয়।
এই প্লাটফর্মের অনেক ব্যবহারকারী আসে বিভিন্ন বিষয়ে মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতা জানার জন্য। কারণ একটা প্রশ্নের অনেকেই উত্তর দিয়ে থাকে। এর ফলে প্রশ্নের সামষ্টিক উত্তর পাওয়া যায়। বিভিন্ন জন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করলে জানার বিষয়টা পরিপূর্ণতা পায়।
কোরা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই প্রচুর ট্রাফিক আপনার গিগ পেজে নিতে পারেন । আপনার সার্ভিস সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের জ্ঞানগর্ভ উত্তর দিন এবং উত্তরের মাঝে নিজের গিগের লিংক প্রদান করুন । আপনার লেখার মান ভাল হলে দেখবেন অনেকেই আপনার গিগ পেজে প্রবেশ করছে এবং আপনার ক্লায়েন্টে পরিণত হচ্ছে ।
কোরা থেকে গিগ ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য যা যা করতে হবে :
- একটি সম্পূর্ণ এবং পেশাদার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে,
- গিগ সার্ভিসের সাথে সম্পর্কিত টপিক সার্চ বারে সার্চ করে খুঁজে বের করতে হবে,
- এমনভাবে উত্তর দিতে হবে যেন কেউ আপনার উত্তর পড়ে মনে করবে আপনি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ,
- উত্তর দেওয়ার সময় কৌশলে নিজের গিগ প্রমোট করতে হবে। যেমন বলতে পারেন “আপনি যদি এই ধরণের সার্ভিস খুঁজে থাকেন তাহলে এই সার্ভিসটি চেক করে দেখতে পারেন”,
- কোরা স্পেস তৈরি করতে পারেন সেখানে ফাইবার গিগ এবং আপনার সার্ভিস সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন এবং স্পেস মেম্বারদের কাছে নিজের গিগ লিংক শেয়ার করুন।
৬. ব্লগিং এর মাধ্যমে ফাইবার গিগ মার্কেটিং করুন
ফাইবার গিগ মার্কেটিং করার একটি বড় প্লাটফর্ম হতে পারে ব্লগ। ব্লগে তথ্যবহুল মানুষের জন্য উপকারী কন্টেন্ট তৈরি করে খুব সহজেই মানুষের আস্থা অর্জন করা যায়।
ব্লগিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে অন্যান্য কন্টেন্টের পাশাপাশি ফাইবারে নিজের সম্পন্ন করা প্রজেক্টগুলোর সফলতা তুলে ধরা। সফলতার গল্পের ভেতর গিগের লিংকগুলো ব্লগ পোস্টে শেয়ার করুন।
মনে করেন আপনি ফাইবারে এসইও (SEO) সার্ভিস দিয়ে থাকেন। এখন যদি আপনি আপনার ব্লগে এসইও সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তথ্যবহুল কন্টেন্ট তৈরি করেন তাহলে আপনার ভিজিটর হবে এসইও সম্পর্কিত ব্যক্তিরা। এসব ভিজিটর যখন আপনার কন্টেন্ট থেকে উপকৃত হবে তখন তারাই আপনার ক্লায়েন্টে পরিণত হতে পারে।
আপনার কনভিন্সিং দক্ষতার উপর নির্ভর করবে আপনার কনভারসন রেট কেমন হবে। ব্লগিং এর বড় সুবিধা হচ্ছে যখন ব্লগ পোস্টগুলো সার্চ রেজাল্টে র্যাংকিং পেতে থাকে তখন প্রচুর ট্রাফিক পাওয়া যায় এবং সেটা প্রতিনিয়ত আসতে থাকে। এর ফলে আপনি নিয়মিত ক্লায়েন্ট পেতে থাকবেন।
আরও পড়ুন : ব্লগিং করে আয় করার ১৫ টি উপায়
৭. রাউন্ড আপ পোস্টের মাধ্যমে ফাইবার গিগ প্রমোট
রাউন্ড আপ পোস্ট হচ্ছে এমন একটি পোস্ট যেখানে একটি পোস্টের মধ্যে কোন একটি ইন্ডাস্ট্রি সেক্টরের সবচেয়ে ভাল প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া একটি পোস্টে একসাথে ১০ টি ব্যবসা প্রমোট করা যায়।
প্রচুর ট্রাফিক পায় এমন ওয়েবসাইটে যখন এই ধরণের পোস্ট দেয় সেসব পোস্টের মাধ্যমে আপনার গিগ প্রমোট করতে পারেন। ধরেন, ১০ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে একটি হচ্ছে রাইটিং সার্ভিস প্রদান। সেখানে কৌশলে গিগ প্রচার করা যায়।
রাইটিং সার্ভিস অংশে আপনার গিগকে হাইলাইট করে দিতে পারে। এর ফলে এসব হাই ট্রাফিক সাইট থেকে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক আপনার গিগ পেইজে যাবে এবং ভাল পরিমাণে অর্ডার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ওয়েবসাইট নির্বাচন করার আগে ঐ ওয়েবসাইটের অথরিটি স্কোর এবং অর্গানিক ট্রাফিক দেখে নিবেন।
পরিশেষে
আপনি ফাইবারে নতুন বা পুরাতন যাই হোন কেন না কেন নিয়মিত গিগ ক্লায়েন্ট পেতে হলে ফাইবার গিগ মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নেই । কারণ ফাইবার এলগোরিদম পরিবর্তন এবং নতুন নতুন গিগ প্রতিনিয়ত তৈরি হওয়ার জন্য গিগ প্রতিযোগিতা সর্বোচ্চ লেভেলে চলে গেছে। তাই গিগ প্রমোটের দিকে বিশেষ নজর দিন এবং উপরের টেকনিকগুলো এপ্লাই করুন । আপনার সফলতাই আমাদের কাম্য।