আমাদের দেশের অনেকেই আপওয়ার্ক এ কাজ করছেন কিন্তু আপওয়ার্ক (Upwork) এ বিড কিভাবে করবেন বা কিভাবে বিড করলে সহজে আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে নলেজ কম।
আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে বেশ কিছু কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ আপনি যদি সঠিক কৌশল না জানেন তাহলে আপনি অসংখ্য ফ্রিল্যান্সারের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকতে পারবেন না। আপনাকে কাজ পেতে হলে এমনভাবে কাভার লেটার লিখে প্রপোজাল সাবমিট করতে হবে যাতে আপনাকে ক্লায়েন্ট সবচেয়ে যোগ্য মনে করে। আর যদি আপনাকে সবচেয়ে যোগ্য মনে করে তাহলেই আপনি কাজ পাবেন ।
আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস পরিচিতি
আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস হচ্ছে এমন একটি প্লাটফর্ম যা ব্যবহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক এবং যারা ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে কাজ করাতে ইচ্ছুক ক্লায়েন্টরা একে অপরের সাথে যুক্ত হয়। আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এ ১৭০ এর অধিক বিশেষজ্ঞ কাজ করে থাকে । যার কারণে ক্লায়েন্টরা সহজেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সার পেয়ে যায়। ক্লায়েন্টরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী টেলেন্ট মার্কেটপ্লেসে প্রজেক্ট পোস্ট করে এবং ফ্রিল্যান্সাররা সেখানে বিড করে ।
আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায়
আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায় হচ্ছে আপনাকে প্রথমে সার্চ করে আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহের সাথে মিলে এমন কাজ খুঁজে বের করতে হবে এবং সেখানে আবেদন (বিড) করতে হবে।
কিভাবে আপওয়ার্কে কাজ খুঁজবেন ? আপওয়ার্কে কাজ খোঁজার জন্য আপনাকে সার্চ বারে গিয়ে কাজের নাম দিয়ে সার্চ করতে হবে । এছাড়া আপনার দক্ষতা এবং প্রজেক্টের ধরণ দিয়ে সার্চ করেও আপনি কাজ খুঁজে পেতে পারেন ।
আপনি বিভিন্নভাবে ফিল্টার করে আপনার জন্য ফিট স্পেসিফিক কাজ বের করতে পারবেন । আপনি Job Search এ কিছু লিখে সার্চ করার পর সংশ্লিষ্ট প্রজেক্টগুলো আপনি দেখতে পারবেন । তারপর বাম পাশে ক্যাটাগরি অনুযায়ী সার্চ ফিল্টার করতে পারবেন । যেমন:
- Experience Level
- Job Type
- Price
- Number of Proposal
- Client Type
- Client History
- Client Location
- Client time zones
- Project length
- Hours per week
- Job duration
আপওয়ার্ক এ বিড করা বলতে কি বুঝায়?
আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায় হচ্ছে ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টে বিড করে কাজ পেতে চেষ্টা করা।
ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টদের পাবলিশ করা প্রজেক্টে কাজ করার জন্য তাদের দক্ষতা,অভিজ্ঞতা এবং ক্লায়েন্টের কাজটি কিভাবে করবে এসব জানিয়ে ক্লায়েন্টের কাছে প্রপোজাল জমা দেয়। এই প্রক্রিয়াটিকেই বিড করা বলে। এটাকে আপওয়ার্ক এ চাকরি পাওয়ার চেষ্টাও বলা যায়।
একজন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন পদ্ধতিতে আপওয়ার্ক এ কাজ করার সুযোগ পায়, এর মধ্যে রয়েছে ঘন্টাভিত্তিক আপওয়ার্ক চাকরি এবং ফিক্সড প্রাইস ভিত্তিক চাকরি।
ঘন্টাভিত্তিক চুক্তি: এই চুক্তি অনুসারে ফ্রিল্যান্সাররা ঘন্টা ভিত্তিতে কাজ করার জন্য বিড করে থাকে এবং ক্লায়েন্ট সপ্তাহ শেষে আপনার ঘন্টা হিসেব করে অর্থ প্রদান করে থাকে।
ফিক্সড প্রাইস ভিত্তিক চুক্তি: আপওয়ার্ক এ কাজ করার জন্য আপনি ফিক্সড প্রাইস প্রজেক্টে আবেদন করতে পারেন। এর নিয়ম হচ্ছে আপনি পুরো প্রজেক্টের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দাবি করবেন। ক্লায়েন্ট যদি আপনার প্রস্তাবে রাজি হয় তখন আপনি কাজটি পাবেন। তবে এটি ভবিষ্যতে মাইলস্টোন ভিত্তিতে পরিবর্তন হতে পারে।
মাইলস্টোন সিস্টেম হচ্ছে আপনি একটি ধাপ সম্পন্ন করার পর আপনি অর্থ পাওয়ার যোগ্য হবেন। আপনি একেকটি মাইলস্টোন শেষ শেষ করে ক্লায়েন্টের নিকট সাবমিট করবেন আর ক্লায়েন্ট তার ভিত্তিতে আপনাকে অর্থ প্রদান করবে।
মূলত বড় প্রজেক্টের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি খুব কার্যকর। এর ফলে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টের মধ্যে বিশ্বাস থাকে যে উভয়ই কথা রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট যত্নশীল।
আপওয়ার্ক এ বিড করার পূর্বে আপনাকে যেসব ধাপ অতিক্রম করতে হবে:
১। আপওয়ার্কে সাইন আপ করতে হবে।
২। প্রোফাইল তৈরি করতে হবে ।
৩। আপওয়ার্ক সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে আপনার সাথে প্রাসঙ্গিক কাজ খুঁজে বের করতে হবে।
৪। আপওয়ার্ক এ কাজ পেতে হলে আপনাকে প্রজেক্টে আবেদন করতে হবে আর আবেদন করার জন্য আপনার কানেক্টস (Connects) লাগবে । কানেক্টস হচ্ছে ভার্চুয়াল কারেন্সি যা ব্যবহার করে আপনাকে আবেদন করতে হবে। একেক জবের জন্য কানেক্টস এর পরিমাণ একেক রকম হয়ে থাকে । আপনাকে প্রতি মাসে কিছু কানেক্টস ফ্রি দিবে কিন্তু আপনাকে বেশি আবেদন করতে চাইলে কানেক্টস ক্রয় করতে হবে।
৫। প্রজেক্টে আবেদন করা শুরু করতে হবে। আবেদন করার আগে যোগ্যতা এবং জব ডেসক্রিপশন ভাল করে পড়ে তারপর আবেদন করতে হবে। যোগ্যতা না থাকলে আবেদন করবেন না ।
আরও পড়ুন:
আপওয়ার্ক এ বিড করার ধাপসমূহ
১। এপ্লাই নাউ (Apply Now ) তে ক্লিক করে বিড শুরু করুন
আপনি যে প্রজেক্টে কাজ করতে চান সেটিতে প্রবেশ করে উপরে ডান পাশে সবুজ রঙের Apply Now বাটন দেখতে পাবেন । আবেদন করার সময় আপনি দেখতে পাবেন আপনার কত কানেক্টস আছে আর আবেদন করতে কত কানেক্ট লাগবে। তবে বিড করার আগে প্রজেক্টের বিবরণ ভালোভাবে পড়ুন। ক্লায়েন্টের চাহিদা, কাজের পরিধি, বাজেট এবং ডেডলাইন সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আপওয়ার্ক এ বিড করা শুরু করুন।
২। পেমেন্ট শর্ত ঠিক করুন
আপনি যখন প্রজেক্টে কাজ করার জন্য আবেদন করবেন তখন আপনি দেখতে পাবেন ক্লায়েন্ট উক্ত প্রজেক্টের জন্য কি পরিমাণ অর্থ বাজেট হিসেবে বরাদ্দ রেখেছে ।
আপনি চাইলে আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী বাজেট বাড়াতে বা কমাতে পারবেন । আপনি যে বাজেট সেট করবেন সেটা থেকে আপওয়ার্ক সার্ভিস ফি কেটে বাকি এমাউন্ট আপনাকে প্রদান করবে।
৩। সময়সীমা নিৰ্ধারণ করুন
ক্লায়েন্ট অনেক ক্ষেত্রেই কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় । যদি কোন কারণে ক্লায়েন্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে না দেয় তখন আপনি চাইলে ড্রপ ডাউন মেন্যু থেকে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারেন ।
৪। কাভার লেটার লিখুন
আপওয়ার্ক এ চাকরি পাওয়ার জন্য আপনি যখন প্রজেক্টে আবেদন করবেন তখন আপনাকে একটি কাভার লেটার লিখতে হবে। কাভার লেটার লেখার সময় ক্লায়েন্টের রিকোয়ারমেন্টগুলো উল্লেখ করবেন এবং আপনি কেন এই কাজের জন্য ফিট তা সুন্দর করে ব্যাখ্যা করবেন ।
কাভার লেটারের শুরুতে আপনার পরিচয় দিন।
তারপর প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরুন অর্থাৎ পূর্বে করা প্রজেক্টের উদাহরণ ক্লায়েন্টের কাছে তুলে ধরুন।
আপনি কীভাবে কাজটি সম্পন্ন করবেন, কাজের সময়সীমা কেমন হবে এবং আপনি কীভাবে ক্লায়েন্টের চাহিদা পূরণ করবেন তা ক্লায়েন্টকে লিখে জানান।
আরও পড়ুন : কিভাবে প্রপোজাল এবং কাভার লেটার লিখলে আপওয়ার্কে কাজ পাওয়া যায়?
৫। ক্লায়েন্টের অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তর দিন
অনেক সময় ক্লায়েন্ট আপনার কাছে প্রজেক্টের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করতে পারে । আপনাকে মনোযোগসহকারে ক্লায়েন্টের প্রশ্ন শুনে উত্তর দিতে হবে।
৬। ডকুমেন্টস আপলোড
আপনার যদি আগের কোন কাজের নমুনা দেখতে হয় বা অন্য কোন ডকুমেন্টস আপলোড করতে বলে তাহলে আপনাকে অ্যাটাচমেন্ট আপলোড করতে হবে। তবে আপনাকে কোন সিভি আপলোড করতে হবে না কারণ আপনি যখন আবেদন করেন তখন ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইলের তথ্য ক্লায়েন্ট দেখতে পায় তাই সিভির কোন প্রয়োজন নেই।
৭। প্রোফাইল হাইলাইট যুক্ত করা
আপনার প্রজেক্টের সাথে সম্পর্কিত বিষয় যুক্ত করুন । যেমন : পোর্টফোলিও আইটেম, কোন সার্টিফিকে বা পূর্বে করা আপওয়ার্ক জব। এর ফলে আপনার সক্ষমতা প্রকাশ পাবে ।
৮। প্রপোজাল বুস্ট করা
প্রপোজাল জমা দেওয়ার আগে আপনার কাছে প্রপোজাল বুস্ট করার অপশন দেওয়া হবে । আপনি চাইলে কানেক্টস এর বিনিময়ে প্রপোজাল বুস্ট করতে পারবেন । বুস্ট করার সুবিধা হচ্ছে এটি ক্লায়েন্টের কাছে যাওয়া প্রপোজালগুলোর একেবারে প্রথম দিকে থাকবে ।
৯। প্রপোজাল মাইলস্টোন
আপনি চাইলে প্রজেক্ট ভেঙে ছোট ছোট ধাপে বিভক্ত করতে পারেন। এর ফলে আপনি বড় প্রজেক্টের কাজ ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করে করতে পারবেন এবং প্রতি মাইলস্টোন শেষেই পেমেন্ট পাবেন ।
১০। প্রপোজাল জমা দেওয়া
প্রপোজাল জমা দেওয়ার আগে সবকিছু রিভিউ করে তারপর Send for X Connects এ ক্লিক করে প্রপোজাল জমা দিন।
কিভাবে সফলভাবে আপওয়ার্ক এ বিড করবেন? গুরুত্বপূর্ণ টিপস
আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করুন
আপওয়ার্ক এ চাকরি পেতে হলে আপনার এমন একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে যা দেখে একজন ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে যোগ্য মনে করবে।
সঠিক কাজ নির্বাচন করুন
সব কাজের জন্য বিড করবেন না। আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সাথে মিলে এমন কাজগুলোর জন্য বিড করুন। নতুনদের জন্য ছোট এবং নির্দিষ্ট বাজেটের কাজগুলি উপযুক্ত হতে পারে। আপনার জন্য উপযুক্ত পেতে চাইলে সার্চ বারে ফিল্টার করে সুনির্দিষ্ট কাজ খুঁজে বের করুন ।
পোর্টফোলিও তৈরি করুন
পোর্টফোলিও হচ্ছে আপনার কাজের প্রদর্শনী । আপনার কাজের এই প্রদর্শনী দেখে একজন ক্লায়েন্ট বুঝতে পারবে আপনার দক্ষতা কোন লেভেলের এবং কাজের প্রতি আপনার স্পৃহা কেমন ।
পোর্টফোলিও তৈরি করার জন্য আপনার সবচেয়ে ভাল কাজগুলো নির্বাচন করুন এবং সুন্দর করে বর্ণনা দিন । আপনি কিভাবে কাজগুলো কত দ্রুত সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন সেটা বর্ণনায় উল্লেখ করুন ।
প্রস্তাবনা কাস্টমাইজ করুন
সব কাজের জন্য একরকম প্রস্তাবনা পাঠাবেন না। প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা অর্থাৎ ক্লায়েন্টের চাহিদার উপর ভিত্তি করে কাস্টমাইজড প্রস্তাবনা তৈরি করুন। কাস্টমাইজ করে প্রস্তাব পাঠালে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
প্রস্তাবনা পাঠানোর আগে জব ডেসক্রিপশন ভাল করে পড়ুন । তারপর জব ডেস্ক্রিপশনে উল্লেখ করার কাজগুলো সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা তুলে ধরুন এবং কোন পদ্ধতিতে কাজগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করবেন তা উল্লেখ করুন ।
উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করুন
বাজারের বর্তমান পলিসি এবং কাজের পরিমাণ অনুযায়ী সঠিক মূল্য নির্ধারণ করুন। আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আপনার দামটি যৌক্তিক হতে হবে। একদম শুরুতে খুব বেশি বা খুব কম দাম দিয়ে বিড না করাই ভালো।
ফিক্সড প্রাইস চুক্তির ক্ষেত্রে সাধারণত ক্লায়েন্টের প্রস্তাবিত মূল্যেই কাজ করতে হয়। তবে আপনি যদি ক্লায়েন্টের প্রস্তাবিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য প্রস্তাব করে ক্লায়েন্টকে কনভিন্স করতে পারেন তাহলে সেটা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
রাইজিং ট্যালেন্ট বেজ ( Rising Talent badge)
আপনি যদি রাইজিং ট্যালেন্ট বেজে পেতে পারেন তাহলে ক্লায়েন্টরা আপনাকে নতুনদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বিবেচনা করবে এবং একবার ৩০ টি কানেক্ট বোনাস পাবেন। এই বেজে পেতে হলে আপনাকে কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে :
- নির্দিষ্ট সময়ে প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে হবে,
- প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট থাকতে হবে,
- Availability Status বজায় রাখতে হবে,
- নিয়মিত প্রপোজাল সাবমিট করতে হবে,
- বিগত ৯০ দিকে কমপক্ষে একটা প্রপোজাল জমা দিতে হবে বা ৩০ দিন আগে কোন পেতে পেতে হবে,
- JSS( Job Success Score) কমপক্ষে ৯০ হতে হবে,
- বিগত ৯০ দিনে একাউন্টে কোন হোল্ড( Hold) থাকতে পারবে না,
- আপওয়ার্ক কর্তৃক আমন্ত্রণ পেতে হবে ,
রিভিউ এবং রেটিং সংগ্রহ করুন
ক্লায়েন্টদের রিভিউগুলো আপনার একাউন্টে প্রদর্শিত হবে। তাই যে কোন ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দেওয়ার আগে আপনার রিভিউ চেক করে দেখবে। ভাল রিভিউ থাকলে আপনি সহজেই কাজ পেতে পারবেন । এজন্য যেকোন প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর ক্লায়েন্টের কাছে ইতিবাচক রিভিউ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
আপনি যদি একেবারে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার শিক্ষাজীবনের টেস্টিমোনিয়াল (Testimonials) বা প্রজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা বা কারো রিকোমেন্ডেশান থাকলে প্রোফাইলে যুক্ত করতে পারেন । এর ফলে কাজ পেতে আপনার সুবিধা হবে।
প্রপোজাল বুস্ট করা
প্রপোজাল বুস্ট করলে যেহেতু ক্লায়েন্টের প্রপোজাল লিস্টের প্রথম দিকে স্থান পাওয়া যায় সেহেতু কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
উপসংহার
আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে আমাদের গাইডলাইন অনুযায়ী সঠিক কাজ খুঁজে বের করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী ক্লায়েন্টের কাছে কৌশলী প্রপোজাল জমা দিতে হবে। এর ফলে আপওয়ার্কে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে ।