HomeFreelancing Guidelines২০২৫ সালের বেস্ট ফাইবার গিগ যা প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারের জানা উচিৎ

২০২৫ সালের বেস্ট ফাইবার গিগ যা প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারের জানা উচিৎ

ফাইবারে কাজ করতে চাচ্ছেন আর আপনি যদি বেস্ট ফাইবার গিগ সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনার ফাইবার ক্যারিয়ার সুখকর নাও হত পারে।

বেস্ট ফাইবার গিগ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে এজন্য যে আপনি কোন ধরণের গিগ এর বর্তমানে চাহিদা আছে এবং ভবিষ্যতেও চাহিদা থাকবে এবং ভাল পেমেন্ট পাওয়া যাবে এসব বিষয়ে ধারণা নেওয়ার জন্য।

আপনি যদি একটি চাহিদা আছে এবং ভাল পরিমাণে আয় করা যায় এমন গিগ তৈরি করে পাবলিশ করতে পারেন তাহলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।

ফাইবার (Fiverr) গিগ কি?

ফাইবার গিগ কি?

ফাইবার (Fiverr) গিগ হলো একটি সেবা বা কাজের অফার যা একজন ফ্রিল্যান্সার ফাইবার প্ল্যাটফর্মে প্রদান করে থাকে। সেলাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজের জন্য গিগ তৈরি করতে পারে যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি। গিগের মধ্যে সেলাররা  তাদের সেবার বিবরণ, মূল্য নির্ধারণ, ডেলিভারি সময় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করেন। বায়াররা এসব  গিগ দেখে সেলারকে যোগ্য মনে করলে তখন সে গিগ ক্রয় করে।

বেস্ট ফাইবার গিগ 

একটা বিষয় বলে রাখি এখানে যে গিগগুলোকে বেস্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছি সেগুলো বর্তমানে বেশ চাহিদা সম্পন্ন গিগ।  এসব গিগ তৈরি করলে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তবে আপনি যদি অন্য বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সেসব বিষয়েই গিগ তৈরি করবেন কারণ দক্ষ হলে কাজের অভাব হয় না। নিচে বেস্ট ফাইবার গিগ নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. কন্টেন্ট রাইটার

বেস্ট ফাইবার গিগ এর মধ্যে আমি কন্টেন্ট রাইটিংকে এক নাম্বারে রেখেছি কারণ ওয়েব পেজ থেকে ব্লিগ পোস্ট, ভিডিও স্ক্রিপ্ট, পডকাস্ট, কন্টেন্ট মার্কেটিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কন্টেন্ট রাইটার এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

আপনার যদি ভাল একাডেমিক ডিগ্রি থাকে বা লেখালেখিতে অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি সহজেই কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। বিভিন্ন ধরণের লেখা লিখতে পারেন এর মধ্যে রয়েছে ব্লগ রাইটিং, কপিএডিটিং, গবেষণামূলক লেখা এবং প্রোডাক্ট মার্কেটিং রাইটিং ইত্যাদি।

কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করলে অবশ্যই আপনাকে SEO সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ বর্তমানে এসইও ছাড়া লেখার মূল্য নেই। ফাইবারে আপনি যত বায়ার পাবেন দেখবেন সবাই এসইও সমৃদ্ধ লেখা চাইবে।

২. সিভি বা কভার লেটার রাইটার

বর্তমানে সিভি বা কভার রাইটারদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কারণ অসংখ্য চাকরি প্রত্যাশি আছে যারা চাকরির আবেদনের জন্য ভালভাবে সিভি লিখতে পারে না বা কাভার লেটার লিখতে পারে না। আপনি যদি ভাল সিভি বা কাভার লেটার লিখতে পারেন তাহলে এই নিশি নিয়ে কাজ করতে চান।

৩. ডিজিটাল মার্কেটার

যত দিন যাচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব তত বাড়ছে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছে।

তাই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই গিগকে ২০২৫ সালের বেস্ট ফাইবার গিগ বলা যায়। ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে আপনি অন পেজ এসইও, লোকাল এসইও, টেকনিক্যাল এসইও, ব্যাকলিংক বিল্ডার, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি যেকোনো কাজ করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপাদান যেহেতু অনেক তাই আপনি চাইলে এক বা একাধিক উপাদান নিয়ে কাজ করতে পারেন। সবগুলো নিয়ে কাজ না করাই ভাল। কারণ সব করতে গেলে আপনি কোন কাজেই বিশেষজ্ঞ হতে পারবেন না তাই সুনির্দিষ্ট কাজ করেন তাহলে কাজ বেশি শিখতে পারবেন এবং কাজ পাওয়ার হার বেড়ে যাবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে ইমেইল মার্কেটিং চাহিদা তুলনামূলক বেশি। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ইমেইল কার্যক্রম এর কৌশল তৈরি থেক শুরু করে ইমেইল ক্যাম্পেইন পরিচালনা সবকিছুর জন্য দক্ষ ইমেইল মার্কেটার খুঁজে থাকে। বর্তমানে প্রচুর চাহিদাসম্পন্ন এই কাজের চাহিদা ভবিষ্যতেও থাকবে। ইমেইল মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই ইমেইল মার্কেটিং টুলগুলোর ব্যবহার খুব ভালভাবে জেনে নিতে হবে।

৪. ওয়েব/অ্যাপ ডেভেলপার

ফাইবারসহ সকল জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে আপনি ওয়েব এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর প্রচুর কাজ পাবেন। যত দিন যাচ্ছে এই কাজের চাহিদা বেড়েই চলছে কারণ প্রত্যকটা প্রতিষ্ঠান এখন তাদের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যাপ তৈরি করতে চাচ্ছে আর তাতেই এই কাজের পরিধি বাড়ছে।

তাই আপনার যদি ওয়ার্ডপ্রেস এ ভাল দক্ষতা থাকে বা কোডিং ভাল জানেন তাহলে ওয়েব বা অ্যাপ ডেভেলপার গিগ তৈরি করতে পারেন।

৫. গ্রাফিক ডিজাইন

বেস্ট ফাইবার গিগ এর মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইনকে রাখতেই হবে। গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজের মধ্যে রয়েছে ইনফোগ্রাফিকস, বইয়ের কাভার, আর্টিকেল লেআউট, বিজ্ঞাপন ডিজাইন, বিজনেস কার্ড, ফ্লায়ার ইত্যাদি। ওয়েবসাইট মালিক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সবাইকে বিভিন্ন প্রয়োজনে গ্রাফিক ডিজানারের প্রয়োজন হয় এবং বেশিরভাগ মানুষ ফাইবার এ এসে ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে। কারণ ফাইবারে খুবই দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার পাওয়া যায়।

ডিজাইনারদের কাজগুলো যেহেতু ক্রিয়েটিভ কাজ তাই আপনাকে বায়ারের নির্দেশনা অনুযায়ী এমনভাবে ডিজাইন করে দিতে হবে যাতে বায়ার সন্তুষ্ট হয়। এছাড়া আপনি কেন এই ডিজাইন করেছেন এবং সেটা কিভাবে বায়ারের ব্যবসার সাথে প্রাসঙ্গিক সেটা বায়ারকে বুঝিয়ে বলুন।

৬. লোগো ডিজাইন

লোগো এমন একটি আবশ্যকীয় বিষয় যা প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকেই তৈরি করতে হয় কারণ এটা একটা আইডেন্টিটির মত বিষয়। আপনি এমন কোন প্রতিষ্ঠান পাবেন না যাদের নিজস্ব কোন লোগো নেই।

তাই আপনার যদি লোগো ডিজাইন এর উপর ভাল দক্ষতা থাকে তাহলে লোগো ডিজাইন গিগ তৈরি করতে পারেন। লোগো ডিজাইন এর সময় বায়ারের প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম এর বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। কপিরাইট ইস্যুর বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এমন কোন লোগো তৈরি করা যাবে না যা অন্য প্রতিষ্ঠানের লোগোর সাথে মিলে যায়।

৭. প্রুফরিডার/কপিরাইটার

প্রুফরিডিং হচ্ছে এমন একটি কার্যক্রম যেখানে একজন লেখকের লেখা শেষ হওয়ার পর সেটা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করার আগে প্রুফরিডার সেই লেখা ভালভাবে চেক করে বানান বা ব্যকরণগত ভুল থাকলে সেটা বের করে বা ফরম্যাটে কোন সমস্যা থাকলে সেটা ঠিক করে।

কপিরাইটার শুধু প্রফরিডিং করে না সে নতুন করে লিখে বা গঠনগত পরিবর্তন করে। ফাইবারে অসংখ্য বায়ার আসে প্রুফরিডার বা কপিরাইটার হায়ার করার জন্য। এই কাজের অনেক চাহিদা আছে। ভাল প্রুফরিডার বা কপিরাইটারের কাজের অভাব হয় না।

৮. ভিডিও এডিটিং

বেস্ট ফাইবার গিগ এর মধ্যে ভিডিও এডিটিং রেখেছি কারণ এই কাজের অনেক চাহিদা আছে এবং ভবিষ্যতেও চাহিদা অনেক বাড়বে।

ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা বাড়ার পেছনে একটা বড় কারণ হচ্ছে ভিডিও মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক টিকটক ইউটিউব থেকে আয় করা যাচ্ছে। এসব কারণে এখন অনকেই ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে এনগেজিং ভিডিও তৈরি করতে চাচ্ছে। অনেক বায়ার ফাইবারে আসছে ভাল ভিডিও এডিটর হায়ার করার জন্য।

৯. ইমেজ এডিটিং

মার্কেটিং, ব্র‍্যান্ডিং, বিক্রয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইমেজ একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া ব্লগ বা ওয়েবসাইটে প্রকশের জন্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারের জন্য বা প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইমেজ এডিটিং এর মাধ্যমে ভাল ইমেজ তৈরি করতে পারে এমন ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকে।

আপনি যদি ফটোশপে বা অন্য কোন ফটো এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহারে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফটো এডিটিং গিগ তৈরি করতে পারেন। ফটো এডিটিং এর যথেষ্ট চাহিদা আছে। ভাল গিগ সার্ভিস দিতে পারলে প্রচুর ক্লায়েন্ট পাবেন। তবে কাজের মধ্যে সৃজনশীলতা এবং পেশাদারিত্ব থাকতে হবে।

১০. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং গিগ

আমরা সবাই জানি বর্তমানে কয়েক বিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে। এসব মানুষকে টার্গেট করে বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালাচ্ছে। এজন্য দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে গিগ তৈরি করার আগে আপনাকে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার কিভাবে তার জানতে হবে। কিভাবে অর্গানিক এবং পেইড প্রচারণা চালাতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে। অবশ্যই ফেসবুক এডস এসং গুগল এডস সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। আর আপনার যদি কম্পিউটার না থাকে এবং মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনি মোবাইল ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হিসেবে আপনি প্রতিষ্ঠানের জন্য কন্টেন্ট স্ট্র‍্যাটেজি, অর্গানিক পোস্ট এবং পেইড এড ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে পারেন। এমন এনগেজিং কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট কন্টেন্ট এ ক্লিক করে এবং কনভার্সন রেট ভাল হয়।

১১. ভয়েজ ওভার গিগ

আপনার যদি একটা সুন্দর কন্ঠ থাকে এবং ভালভাবে শুদ্ধ উচ্চারণে স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারেন তাহলে আপনি ভয়েজ ওভার গিগ তৈরি করতে পারেন।

নিজের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য বা ভিডিওতে কন্ঠ দেওয়ার জন্য অনেকেই ভয়েজ আর্টিস্ট খুঁজে থাকে। তবে এই কাজের একটা ভাষাগত সীমাবদ্ধতা আছে। আপনি যে ভাষায় পারদর্শী সাধারণ সেই ভাষাভাষী বায়ার থেকে আপনি অর্ডার পাবেন। তবে আপনার যদি বহুভাষায় দক্ষতা থাকে তাহলে আপনার কাজ পাওয়ার হার বেড়ে যাবে।

১২. ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট

বেস্ট ফাইবার গিগ এর মধ্যে ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টকে রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি এখন তাদের কাজে সহায়তার জন্য ফ্রিল্যান্সার খুঁজে থাকে। এজন্য দিন দিন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টদের চাহিদা বাড়ছে।

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে আপনি যেসব সার্ভিস দিতে পারেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রাহকদের ফোন রিসিভ করা এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, কোম্পানির পণ্য বা সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের অবহিত করা, গ্রাহকদের ইমেইল করা এবং কোম্পানির ইমেইল কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং বায়ারের প্রয়োজনী অনুযায়ী আরো কিছু কাজ করা।

১৩. প্রোগ্রামিং গিগ 

গ্রোগ্রামিং সবসময় সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন গিগ ছিল। অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ট্রেইনিং, অটোমেশন ইত্যাদি কাজের জন্য কোডিং প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এই ধরণের কাজের রেট থাকে অন্যান্য যেকোনো কাজের চেয়ে অনেক বেশি। এই ধরণের কাজের রেকটা বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি খুব ভাল প্রোগ্রামিং কাজ জানেন তাহলে অনেক কোম্পানি আপনাকে পারমানেন্ট চাকরি দিতে চাইবে।

১৪. এআই সার্ভিস

গ্রোগ্রামিং সবসময় সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন গিগ ছিল। অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ট্রেইনিং, অটোমেশন ইত্যাদি কাজের জন্য কোডিং প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এই ধরণের কাজের রেট থাকে অন্যান্য যেকোনো কাজের চেয়ে অনেক বেশি। এই ধরণের কাজের রেকটা বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি যদি খুব ভাল প্রোগ্রামিং কাজ জানেন তাহলে অনেক কোম্পানি আপনাকে পারমানেন্ট চাকরি দিতে চাইবে।

১৫. প্রোডাক্ট ডেস্ক্রিপশন এবং রিভিউ

আমরা কোন কিছু ক্রয় করার আগে প্রথমেই সেই পণ্যের বর্ণনা পড়ে সেই পণ্য সম্পর্কে জানতে পারি এবং একটি পণ্য ক্রয় করার ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট ডেস্ক্রিপশন বড় ভূমিকা পালন করে। একটি সুন্দর গোছানো বর্ণনা যেকোন গ্রাহককে পণ্যটি ক্রয় করতে উৎসাহিত করে। অনেক গ্রাহক আছে যারা পণ্য ক্রয় করার আগে সেই পণ্যটি সম্পর্কে অনেক বেশি জানতে চায় এবং অন্য পণ্যের সাথে সেগুলো দিয়ে তুলনা করে।

তাই যে পণ্যের মধ্যে বর্ণনা যত বেশি তথ্য সমৃদ্ধ হবে সেই পণ্য ক্রেতা সেটি ক্রয় করতে বেশি উতসাহিত হবে। তাই প্রোডাক্ট ডেস্ক্রিপশন গিগগুলো সহজেই বায়ারকে আকর্ষণ করে এবং ভাল ডেস্ক্রিপশন দিতে পারলে বায়ার আপনাকে বার বার হায়ার করতে চাইবে।

রিভিউ গিগ হচ্ছে কোন পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে ভালভাবে জেনে তারপর সেটি নিয়ে মতামত দেওয়া। একটি ভাল রিভিউ প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অস্পর্ষনীয় সম্পদের মত। কারণ এই রিভিউ থেকে অন্য একজন ক্রেতা সেই পণ্য বা সেবা ক্রয় করত্ব উতসাহ পায় এবং প্রতিষ্ঠান লাভবান হয়। আপনাকে রিভিউ দেওয়ার আগে সেই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ভালভাবে জেনে সম্পর্কিত পণ্য বা সেবার সাথে তুলনা করে এমনভাবে রিভিউ দিতে হবে যাতে ক্রেতা মনে করে আপনার রিভিউ নিরপেক্ষে।

১৬. ট্রান্সক্রাইবিং (Transcribing)

ট্রান্সক্রাইবিং হচ্ছে বিভিন্ন অডিও ভিডিও ফাইল, প্রেসেন্টেশন ফাইল বা ইন্টারভিউ ফাইল থেকে কথাগুলো লেখা। অর্থাৎ বায়ার আপনাকে এসব ফাইল দিয়ে বলবে সেখানে যেসব কথা বলা হয়েছে সেগুলো ওয়ার্ড ফাইলে লিখে দিন। এই ধরণের কাজ আপনি কোন ধরণের অভিজ্ঞতা ছাড়াই করতে পারবেন। তবে এই ধরণের কাজ করার জন্য আপনাকে ভাল শ্রোতা হতে হবে এবং দ্রুত টাইপ করতে হবে যাতে বায়ারকে দ্রুত সার্ভিস দেওয়া যায়।

১৭. বুককিপিং ( Bookkeeping)

বর্তমানে বুককিপিং কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। এই ধরণের কাজের পেমেন্ট হার তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। বুককিপিং কাজের মধ্যে রয়েছে পেরোল (Payroll) ব্যবস্থাপনা করা, বাজেট তৈরি করা, টেক্স হিসাব করা, আর্থিক বিবরণী তৈরি করা, ইনভয়েজ তৈরি করা, বুককিপিং সফটওয়্যার পরিচালনা করা ইত্যাদি। এসব গিগের মূল্য ক্রেতা হচ্ছে ব্যবসায় উদ্যোক্তারা।

পরিশেষে

আশা করি বেস্ট ফাইবার গিগ সম্পর্কে ভালভাবে জানার পর আপনি এখন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে আপনার অনেক সুবিধা হবে। এসব বিষয়ের মধ্যে একটি বিষয়কে আপনি বেছে নিতে পারেন এবং বায়ারকে সেরা সার্ভিস দিতে পারলে আপনার সাফল্য কেউ আটকাতে পারবে না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments