HomeMarketing Guidelinesইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটি কি? গুরুত্ব, ধরণ ও ক্যাম্পেইন পরিচালনার নিয়ম

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটি কি? গুরুত্ব, ধরণ ও ক্যাম্পেইন পরিচালনার নিয়ম

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং কি?

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হচ্ছে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যবহার করে ব্র্যান্ড বা পণ্যের মার্কেটিং করা। অর্থাৎ অনলাইনে অনেক অনুসারি আছে এমন ব্যক্তিদের দিয়ে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা যার উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্র্যান্ড সচেতনতা এবং পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করা।

সাধারণত ইনফ্লুয়েন্সারদের একটি বড় অনুসারি দল থাকে যারা নিয়মিত তাদের অনুসরণ করে এবং তাদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়। তাদের এই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে কোম্পানিগুলো সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে তাদের পণ্য বা সেবা তুলে ধরে।

ইনফ্লুয়েন্সাররা যখন কোন পণ্য তাদের অনুসারীদের সামনে উপস্থাপন করে তখন শ্রোতাদের এনগেজমেন্ট বেশি থাকে এবং এই কারণে বিক্রির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

কাদের ইনফ্লুয়েন্সার বলা হয়?

ইনফ্লুয়েন্সার হচ্ছে এমন একজন ব্যক্তি যার কথাবার্তা, ব্যক্তিত্ব এবং কন্টেন্ট মানুষকে প্রভাবিত করে। শ্রোতাদের এমনভাবে তিনি প্রভাবিত করেন যা তাদের ক্রয় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।

এই ইনফ্লুয়েন্সাররা হতে পারেন —
• সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েটর
• ব্লগার
• ইউটিউবার
• টিকটক বা ইনস্টাগ্রাম তারকা
• এমনকি বিশেষ কোনো বিষয় (Fashion, Fitness, Technology, Food, Travel ইত্যাদি)-এ দক্ষ ব্যক্তিও।

ইনফ্লুয়েন্সারদের যথেষ্ট সৃজনশীল হতে হয় এবং নিশি সম্পর্কিত যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হয়। যেমন একজন ইনফ্লুয়েন্সার যদি প্রযুক্তি নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করেন তাহলে তাকে অবশ্যই প্রযুক্তি বিষয়ে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে।

প্রযুক্তির আপডেট এবং ট্রেন্ড সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। নিয়মিত প্রযুক্তি নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। এভাবেই তার একটা বড় অনুসারি দল সৃষ্টি হয় এবং অনুসারিরা ধীরে ধীরে তাকে তার বিশ্বস্ত হয়ে উঠে।

আরও পড়ুন: একজন নতুন মার্কেটার হিসেবে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন?

ইনফ্লুয়েন্সার এর প্রকারভেদ

ইনফ্লুয়েন্সারের ধরণ

ইনফ্লুয়েন্সার বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে যেমনঃ

ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার
মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার
ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার
মেগা ইনফ্লুয়েন্সার

ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার

ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সারদের ১ হাজার থেকে ১০ হাজার অনুসারি থাকে। এই ধরণের ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের নির্দিষ্ট নিশ নিয়েই কাজ করে থাকে এবং শ্রোতাদের সাথে খুব ভাল যোগাযোগ থাকে।

যেহেতু ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সাররা নির্দিষ্ট নিশ নিয়ে কাজ করে এবং শ্রোতাদের সাথে নিয়মিত সরাসরি যোগাযোগ থাকে সেহতু এদের মাধ্যমে মার্কেটিং কার্যক্রম বেশ কার্যক্রর হবে। এছাড়া এদের দিয়ে কম খরচে মার্কেটিং করা যায়।

Influencer Marketing Hub এর তথ্য মতে, ৪৪% ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সারদের দিয়ে মার্কেটিং করাতে অগ্রাধিকার দেয়।

মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার

যাদের অনুসারির সংখ্যা ১০ হাজার থেকে ১ লাখের মধ্যে তাদেরকে মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার বলে। এসব ইনফ্লুয়েন্সারদের ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবের মত প্লাটফর্মে শক্তিশালী উপস্থিতি থাকে ।

এই ধরণের ইনফ্লুয়েন্সার ভাল পরিমাণে আয় করে থাকে। দেশভেদে এই আয়ের পরিমাণ ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক। উন্নত দেশে মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রতি পোস্টের জন্য ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পারিশ্রমিক পেয়ে থাকে সেখানে বাংলাদেশে আপনি হয়তো ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পাবেন।

ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার

ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সারদের অনুসারির সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত যাদের অনুসারির সংখ্যা ১ লাখ থেকে ১ মিলিয়ন হয়ে থাকে তাদেরকেই ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার বলে। যেহেতু এদের বিশাল অনুসারি থাকে তাই তাদের সাথে বিভিন্ন কোম্পানি কাজ করতে চায়।

কারণ এই ধরণের ব্যক্তিরা তাদের নিশে নেতৃত্ব দেওয়ার পর্যায়ে চলে যায়। তারা যখন কোন ব্র্যান্ড নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে তখন সেটার রিচ অনেক বেশি হয়।

এই ধরণের ইনফ্লুয়েন্সাররা তুলনামূলক বেশি পারিশ্রমিক দাবি করে থাকে। গড়ে একজন ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সাদের প্রতি পোস্টের জন্য ১০০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার চার্য করে থাকে। তবে এদের মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করালে তার রিটার্ন অনেক ভাল আসে।

মেগা ইনফ্লুয়েন্সার

মেগা ইনফ্লুয়েন্সারদের অনুসারির সংখ্যা ১ মিলিয়নের বেশি হয়ে থাকে। এদেরকে সেলিব্রেটিও বলা যায়। বিখ্যাত খেলোয়াড়, অভিনয় শিল্পী, গায়ক, গোষ্ঠীকেন্দ্রিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ইত্যাদি।

যেহেতু তারা সেলিব্রেটি তাই তাদের বিভিন্ন ধরণের অনুসারি থাকে। যেমন আমি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা বলতে পারি। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কয়েক মিলিয়ন অনুসারি আছে। এজন্য তিনি যে ধরণের পণ্যের বিজ্ঞাপন করুন না কেন সেটার গ্রাহক তার অনুসারি তালিকায় অবশ্যই থাকবে।

বিশাল অনুসারি থাকার কারণে মেগা ইনফ্লুয়েন্সার দিয়ে মার্কেটিং করার জন্য কোম্পানিগুলোকে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ব্যয় করতে হয়। যেমনঃ

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ইন্সটাগ্রামে প্রতিটি স্পসর্ড পোস্টের জন্য প্রায় ৩.২৩ মিলিয়ন ডলার, লিও মেসি প্রায় ২.৬ মিলিয়ন ডলার, সেলেনা গোমেজ ২.৫৬ মিলিয়ন ডলার, কাইল জোনার ২.৩৯ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক নিয়ে থাকে।

আপনি যদি একজন ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ইনফ্লুয়েন্সারদের আয়ের একটা ধারণা থাকা দরকার। Sprout Social data অনুসারে ইনফ্লুয়েন্সাররা স্পন্সর্ড পোস্টের জন্য কি পরিমাণ আয় করে থাকেঃ

১. ইন্সটাগ্রামে প্রতি ১ হাজার ফলোয়ারের জন্য ১০ ডলার,
২. টিকটকে প্রতি ১ হাজার ফলোয়ারের জন্য ১০ ডলার,
৩. ফেসবুকে ইন্সটাগ্রামে প্রতি ১ হাজার ফলোয়ারের জন্য ২০ ডলার,
৪. ইউটিউবে প্রতি ১ হাজার সাবস্ক্রাইবারের জন্য ২০ ডলার,
৫. এক্স (পূর্বের টুইটার) প্রতি ১ হাজার ফলোয়ারের জন্য ২ ডলার,

আরও পড়ুন: কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? কিভাবে কন্টেন্ট মার্কেটিং করবেন? গাইডলাইন।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?

বর্তমান এই প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার জগতে বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশনলের মধ্যে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং আপনার ব্যবসাকে অবশ্যই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে দিবে।

২০২৪ সালের Sproutsocial এর ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪৯% ভোক্তা ইনফ্লুয়েন্সারদের পোস্ট দেখে মাসে কমপক্ষে ১ টি পণ্য ক্রয় করে এবং ৮৬% ভোক্তা বছরে কমপক্ষে ১ টি ক্রয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

Influencer Marketing Hub’s এর সর্বশেষ গবেষণা অনুসারে ২০২৪ সালে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটের সাইজ হবে ২৪ বিলিয়ন ডলার।

নিচে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ

বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং কেন প্রয়োজন

ইনফ্লুয়েন্সার হচ্ছে এমন একজন ব্যক্তি যাকে মানুষ বিশ্বাস করে এবং তার কথাকে অনেক গুরুত্ব দেয়। এজন্য আপনি যখন একজন ইনফ্লুয়েন্সার দিয়ে মার্কেটিং করাবেন তখন মানুষ আপনার ব্র্যান্ডকে জেনুইন হিসেবে ধরে নিবে এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।

এর একটা প্রমাণ আপনার সামনে হাজির করি। ই-অরেজঞ্জ একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। তাদেরকে মানুষ একেবারেই চিন্ত না। কিন্তু যখন মাশরাফি বিন মর্তুজাকে দিয়ে মার্কেটিং করালো তাদের পরিচিতি দ্রুত বেড়ে গেল। মানুষ মাশরাফির কারণে তাদেরকে প্রকৃত ব্যবসায়ী হিসেবে বিশ্বাস করে এবং পণ্য কেনা শুরু করে।

কিন্তু একসময় এই প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে এবং এর জের ধরে ক্রেতারা মাশরাফির বাড়ির সামনে আন্দোলন করে। উপরের ছবিতেই আপনি দেখতে পাচ্ছেন রাসেল নামের ভুক্তভোগী জানান, তারা মাশরাফিকে দেখেই ই-অরেঞ্জ থেকে ভাউচার কিনেছেন।

যদিও যদিও ই-অরেঞ্জ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের অফিসিয়াল পেজে এক পোস্টে জানিয়েছে, মাশরাফির সঙ্গে এখন আর সম্পর্ক নেই তাদের।

এই ঘটনা দ্বারা বুঝা যায় একজন ইনফ্লুয়েন্সার দিয়ে মার্কেটিং করালে সাধারণ মানুষের কাছে সেই প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়।

সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের সম্পৃক্ততা বাড়াতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত ইনফ্লুয়েন্সার দিয়ে মার্কেটিং করাতে হবে।

ধরা যাক, আপনার একটি কোম্পানি আছে। আপনি খেলাধুলার সামগ্রী বিক্রি করেন। এখন আপনি যদি একজন খেলোয়াড় দিয়ে মার্কেটিং করাতে পারেন তাহলে দেখবেন খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের কাছে আপনার পণ্যের মেসেজটা দ্রুত পৌঁছাবে যা আপনার বিক্রি বাড়িয়ে দিবে।

আরেকটা উদাহরণ দিচ্ছি, আজকাল দেখবেন অনেকেই ফুড ভ্লগিং করছেন। তারা বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে গিয়ে বিভিন্ন খাবার খেয়ে রিভিউ দিচ্ছে আর ভোজনবিলাসী মানুষজন সেগুলো দেখছে। আপনি যদি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে একজন জনপ্রিয় ফুড ভ্লগার দিয়ে মার্কেটিং করাতে পারেন তাহলে সহজেই ভোজনবিলাসী গ্রাহকের কাছে আপনার রেস্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে পারবেন।

ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি

ইনফ্লুয়েন্সারদের বিশাল পরিমাণ বিশ্বস্ত অনুসারি থাকে। আপনি যখন একজন ইনফ্লুয়েন্সারের সাথে আপনার ব্র্যান্ড প্রচারণার জন্য চুক্তি করবেন তখন তার কাজ হবে আপনার ব্র্যান্ড পরিচিতি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে এমন কন্টেন্ট তৈরি করা। যেহেতু তার বিশ্বস্ত অনুসারি দল আছে তারা অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে এই কন্টেন্ট দেখবে। আর এভাবেই আপনার ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

প্রচলিত বিজ্ঞাপনের তুলনায় ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর কিছু সুবিধাঃ

বিষয় প্রচলিত বিজ্ঞাপন ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
বিশ্বাসযোগ্যতা দর্শকরা অনেক সময় প্রচলিত বিজ্ঞাপনকে সন্দেহ করে। ইনফ্লুয়েন্সারের প্রতি ফলোয়ারদের ব্যক্তিগত বিশ্বাস থাকে যার কারণে তাদের কথায় সহজেই উদ্বুদ্ধ হয়।
খরচ এই ধরণের বিজ্ঞাপনে খরচ অনেক বেশি। বিজ্ঞাপনের খরচ কিছুটা কম হয় এবং ফলাফল বেশি পাওয়া যায়।
টার্গেট অডিয়েন্স টেলিভিশন, বিলবোর্ড বা পত্রিকায় অডিয়েন্স টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না। এই ধরণের মার্কেটিং এ নির্দিষ্ট নিস টার্গেট করা যায়।
এনগেজমেন্ট একমুখী যোগাযোগ। দুইমুখী যোগাযোগ (Like, Comment, Share)।
কনটেন্ট ফ্লেক্সিবিলিটি স্থির ও স্ক্রিপ্টেড। আপনি চাইলেই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারবেন না। ক্রিয়েটিভ ও বাস্তবধর্মী
রেজাল্ট মেজারমেন্ট এই ধরণের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার কতটুকু লাভ হল সেটা সহজে মেজার করতে পারবেন না। এখানে আপনি সহজেই মেজার করতে পারবেন। Engagement Rate, Conversion, Reach এগুলো দেখেই আপনি মেজার করতে পারবেন।

 

ইনফ্লুয়েন্সারদের জনপ্রিয় কন্টেন্ট টাইপ

ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের অনুসারীদের আগ্রহ ধরে রাখা এবং মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়। এসব কন্টেন্টের মধ্যে কিছু জনপ্রিয় কন্টেন্ট হচ্ছেঃ

শর্ট ভিডিও

বর্তমানে শর্ট ভিডিওর ট্রেন্ড চলছে। বেশিরভাগ মানুষ এখন শর্ট ভিডিও দেখতে পছন্দ করে। তাই ইনফ্লুয়েন্সারদের মধ্যেও এখন শর্ট ভিডিও তৈরির ঝোঁক তৈরি হয়েছে। শর্ট ভিডিওর মাধ্যমে এনগেজমেন্ট বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত ফ্যাশন, বিউটি এবং লাইফস্টাইল বিষয়ক ভিডিওর জন্য শর্ট ভিডিও খুব কার্যক্রর। ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদি প্লাটফর্মে আপনি শর্ট ভিডিও পোস্ট করতে পারবেন।

প্রোডাক্ট রিভিউ ভিডিও

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং

এই ধরণের ভিদিওতে কোন প্রোডাক্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। গ্রাহক আকর্ষণ করার জন্য একেবারে মোড়ক উন্মোচন থেকে ভিডিও তৈরি করা হয়। একবারে প্রথম দেখা থেকে শুরু করা পণ্যটির বৈশিষ্ট্য কেমন, এটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা যেসব সুবিধা পাবে এসব বিষয় টিউটোরিয়ালের মত উপস্থাপন করা হয়।

প্রোডাক্ট রিভিউ ভিডিও গ্রাহকদের সরাসরি ক্রয় সিদ্ধান্ত নিতে ব্যাপক প্রভাব রাখে। ভিডিওগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে গ্রাহকরা মনস্তাত্ত্বিকভাবে অনুপ্রাণিত হয়।

লাইভ ভিডিও এবং সেশন

ইনফ্লুয়েন্সাররা লাইভ ভিডিও এবং প্রশ্ন উত্তর পর্ব আয়োজনের মাধ্যমে শ্রোতাদের সাথে সরাসরি যোগসূত্র স্থাপন করে যা শ্রোতাদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে ভূমিকা পালন করে।

ই-কমার্সসহ বিভিন্ন রিটেইল ব্র্যান্ডগুলো তাদের বিক্রয় বাড়ানোর জন্য এভাবে লাইভ সেশন, প্রশ্নোত্তর, বিভিন্ন ইভেন্ট বা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তাদের বিক্রয় বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। এর ফলে গ্রাহকদের সাথে হৃদ্যতা বাড়ার পাশাপাশি বিক্রয়ও বাড়ে।

পোডকাস্ট

ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রায়ই পোডকাস্ট এর আয়োজন করে থাকে। পোডকাস্টে ইনফ্লুয়েন্সাররা সরাসরি শ্রোতাদের সাথে কথা বলে। শ্রোতারাও শুধু কথা শুনে না তারা এতে অংশও নিয়ে থাকে।

আবার অনেক সময় দেখা পোডকাস্টে একজন ইনফ্লুয়েন্সাররা আরেকজন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারকে নিয়ে আসে। এতে অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের এনগেজমেন্ট আরো বেশি হয়। টেকনোলোজি, ফাইনান্স, প্রফেশনাল সার্ভিস এবং বিজনেস টু বিজনেস এর ক্ষেত্রে পোডকাস্ট খুব কার্যকর।

ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরি করা কন্টেন্ট

একজন ব্যবহারকারী যখন কোন পণ্য ব্যবহার করে সন্তুষ্ট হয়ে সেই পণ্যের প্রসংশা করে কোন কন্টেন্ট তৈরি করে সেটা সামাজিক প্রামাণক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গ্রাহকেরা এই ধরণের কন্টেন্টে বেশি প্রভাবিত হয়।

ইনফ্লুয়েন্সাররা গ্রাহকদের এসব কন্টেন্টকে তাদের প্লাটফর্মে প্রকাশ করে। বিশেষ করে ফ্যাশন, রিটেইল, ভ্রমণ এবং লাইফ স্টাইল ইত্যাদি বিষয়ে গ্রাহকদের ব্যবহারিক ভিডিও এবং প্রামাণক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে খুব কার্যকর পদ্ধতি।

ব্র‍্যান্ডগুলো হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইন, প্রতিযোগিতা বা চ্যালেঞ্জিং ইভেন্টের আয়োজন করে গ্রাহকদের কন্টেন্ট তৈরিতে উতসাহ দিতে পারে।

কিভাবে একটি কার্যকর ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন?

একটি কার্যকর ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন যেকোনো ব্র‍্যান্ডের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ একটি ব্যাপার হতে পারে। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন এর মধ্যে রয়েছে লক্ষ্য নির্ধারণ, সঠিক ইনফ্লুয়েন্সার নির্বাচন, তাদের সাথে অংশীদারত্ব, কন্টেন্ট এবং পারফর্ম যাচাই করা ইত্যাদি।

নিচে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন এর ধাপগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:

ধাপ ১: ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা

যেকোনো ক্যাম্পেইনের শুরুতেই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয়। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের জন্যও আপনাকে প্রথমেই লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে:

  • ব্র‍্যান্ডের পরিচিতি বাড়ানো,
  • নতুন পণ্যের উদ্ভোদন,
  • গ্রাহকদের মধ্যে উন্মাদনা সৃষ্টি করা,
  • বিক্রয় বাড়ানো,
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুসারী বৃদ্ধি করা,

আপনি একসাথে অনেক লক্ষ্য একসাথে অর্জন করতে পারবেন এটা বাস্তবসম্মত কথা হবে না। তবে এক বা দুটি লক্ষ্য সামনে রেখে যদি ক্যাম্পেইন করতে পারেন তাহলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

ধাপ ২: ইনফ্লুয়েন্সার নির্বাচন করা

ক্রিয়েটর মার্কেটপ্লেস

লক্ষ্য নির্ধারণ করার পর আপনাকে একজন ইনফ্লুয়েন্সার নির্বাচন করতে হবে। এই ধাপটি বেশ চ্যালেঞ্জিং কারণ আপনাকে নিশ সম্পর্কিত একজন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার নির্বাচন করতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, ক্রিয়েটর মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি উপযুক্ত ইনফ্লুয়েন্সার খুঁজে পেতে পারেন। সঠিক ইনফ্লুয়েন্সার নির্বাচন করার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনা করবেন,

১. নিশ বিবেচনা করতে হবে। অর্থাৎ ইনফ্লুয়েন্সার আপনার ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড কিনা সেটা দেখতে হবে। যেমন আপনি যদি প্রযুক্তি পণ্যের ক্যাম্পেইন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এমন ইনফ্লুয়েন্সার নির্বাচন করতে হবে।

২. কন্টেন্টের মান যাচাই করতে হবে। দেখতে তিনি সৃজনশীল, ইউনিক এবং শ্রোতা আকর্ষণ করতে পারে এমন কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন কিনা।

৩. অনুসারীর সংখ্যা এবং বিভিন্ন পোস্টে তাদের সম্পৃক্ততা কেমন সেটা বিবেচনা করতে হবে। কারণ অনুসারীরা যত বেশি পোস্টে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করবে তত বেশি আপনার কনভার্সন বাড়বে।

৪. ইনফ্লুয়েন্সারের ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করতে হবে। আপনি যদি চান সারা বিশ্বে আপনার ব্র‍্যান্ড বা পণ্যকে ছড়িয়ে দিবেন তাহলে সারা বিশ্বে পরিচিত এমন কাউকে বেছে নিন। নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চল টার্গেট থাকলে সেই দেশ বা অঞ্চলের ইনফ্লুয়েন্সার নির্বাচন করুন।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমগুলো কি কি?

ধাপ ৩: ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে যোগাযোগ করা

সঠিক ইনফ্লুয়েন্সার নির্বাচন করার পর আপনার কাজ হবে তাদের সাথে যোগাযোগ করে কাজের অফার দেওয়া। সাধারণত ন্যানো এবং মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সাররা নিজেরাই নিজেদের বিষয় ডিল করে থাকে। তাদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সরাসরি মেসেজ দিতে পারেন অথবা মেইলে অফার দিতে পারেন।

ম্যাক্রো এবং মেগা ইনফ্লুয়েন্সারদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ম্যানেজার নিয়োগ করে থাকে। তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হয়। যেহেতু এরা বড় সেলিব্রেটি তাই তাদের হাতে অনেক কাজ থাকতে পারে এজন্য সিরিয়াল পেতে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।

এছাড়া ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটপ্লেসে ইনফ্লুয়েন্সার হায়ার করার জন্য নির্দিষ্ট কাঠামো থাকে। যেখানে ইনফ্লুয়েন্সারের প্রোফাইল, তার সাথে যোগাযোগ করা, চুক্তি করা এবং পেমেন্ট সিস্টেম ইন-বিল্ট থাকে তাই সহজেই ইনফ্লুয়েন্সার হায়ার করা যায়। যেমন টিকটক ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটপ্লেস।

অফার দেওয়ার সময় ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন। আপনার লক্ষ্যের কথা জানান। আপনার কোম্পানি সম্পর্কে বিস্তারিত লিখুন যাতে ইনফ্লুয়েন্সার আপনার সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পায়।

ধাপ ৪: ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য অংশীদারত্ব

ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে আপনাকে অংশীদারত্ব চুক্তি করতে হবে। এই চুক্তি বা গঠন্তন্ত্র অনুযায়ী ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম চলবে। এই গঠন্তন্ত্রে যেসব বিষয় থাকবে:

সময়সীমা : ক্যাম্পেইনের সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। এটা নির্দিষ্ট দিনক্ষণ হতে পারে আবার এক বা একাধিক পোস্টও হতে পারে। আবার আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদের কাজ করতে চান তাহলে সেটাও উল্লেখ করুন।

কন্টেন্টের ধরণ: আপনার জন্য কোন ধরণের কন্টেন্ট তৈরি করবে সেটি ঠিক করুন। সেটি হতে পারে ফেসবুক পোস্ট, রিলস, স্টোরিজ, ভিডিও বা ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব, টিকটক ইত্যাদি প্লাটফর্মে পোস্ট, ভিডিও ইত্যাদি।

কন্টেন্টের ব্যবহার : ইনফ্লুয়েন্সার তার কন্টেন্টটি কোথায় পোস্ট করবে? ফিড, স্টোরিজ বা উভয় যায়গায়? তারা আপনাকে পোস্ট ট্যাগ দিবে? কোন নির্দিষ্ট হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করবে? আবার আপনি যদি সেই কন্টেন্ট পুনরায় আপনার প্লাটফর্মে ব্যবহার করতে চান তাহলে সেটাও উল্লেখ করুন।

পেমেন্ট টার্ম : এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইনফ্লুয়েন্সারকে কোন মাধ্যমে কিভাবে পেমেন্ট দিবেন সেটা উল্লেখ করুন। পেমেন্টের পরিমাণ কত হবে এবং সেটা অগ্রিম নাকি কাজ শেষে দিবেন সেটা চুক্তিতে থাকতে হবে। আপনি চাইলে ভেঙে ভেঙেও পেমেন্ট দিতে পারেন।

ধাপ ৫: ক্যাম্পেইন পারফর্মেন্স মূল্যায়ন

Influencer marketing performance

ক্যাম্পেইন চূড়ান্তভাবে শুরু হওয়ার পর আপনাকে অবশ্যই পারফর্মেন্স ট্র্যাক করতে হবে। কারণ এর মাধ্যমেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ক্যাম্পেইন সফল নাকি বিফল।

পারফর্মেন্স মূল্যায়ন করার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারের এনালিটিক্স দেখুন। এনালিটিক্সে আপনি ক্যাম্পেইনের পারফর্মেন্স দেখতে পারবেন। কতজন মানুষ কন্টেন্টগুলো দেখেছে, কিভাবে তারা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে অর্থাৎ লাইক, কমেন্ট, শেয়ার কি পরিমাণ হয়েছে এবং কনভার্সন কেমন হয়েছে। এসব বিষয়ে আপনি স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

একটা গুরুত্বপূর্ণ টিপস : ইনফ্লুয়েন্সারের কন্টেন্টটি আপনি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বুস্ট করতে পারেন। এছাড়া আপনার ওয়েবসাইটেও প্রদর্শন করে রাখতে পারেন। এর ফলে আপনার অনুসারীরা বাড়ার পাশাপাশি ব্র‍্যান্ড সচেতনতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর পেমেন্ট কিভাবে করবেন?

বিভিন্নভাবে আপনি একজন ইনফ্লুয়েন্সারকে পেমেন্ট প্রদান করতে পারেন। সেগুলো হচ্ছে:
পোস্ট প্রতি পেমেন্ট : প্রতি পোস্টের জন্য আপনি পেমেন্ট দিতে পারেন। এটাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। ছোট ক্যাম্পেইন এবং ন্যানো মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সারদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়।.

ক্যাম্পেইন প্রতি পেমেন্ট: পুরো ক্যাম্পেইন এর জন্য ফিক্সড প্রাইস ঠিক করতে পারেন। ধরেন, আপনার ক্যাম্পেইন হচ্ছে ১ টি ফেসবুক রিলস, ১ টি ফেসবুক লাইভ, ২ টি ইন্সটাগ্রাম স্টোরিজ, ১ টি টিকটক ভিডিও। আপনি সবগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে পারেন।

পুন:ব্যবহার পেমেন্ট: কন্টেন্ট আপনার প্লাটফর্মে প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে পারেন।

ফ্রি পণ্য বা সেবা প্রদান: অনেক ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েন্সারদের তাদের ক্যাম্পেইনের বিনিময়ে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের বিনিময়ে পণ্য বা সেবা ফ্রি ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করা হয়।

কমিশন: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মতো কমিশন ভিত্তিক পেমেন্ট দিতে পারেন। ইনফ্লুয়েন্সারের পোস্টে শেয়ার করা লিংকের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যত বিক্রয় হবে তার একটা অংশ ইনফ্লুয়েন্সারকে দিতে পারেন।

পরিশেষে

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং একটি আধুনিক মার্কেটিং কৌশল। বর্তমানে বেশিরভাগ ব্র‍্যান্ড এই মার্কেটিং মডেল অনুসরণ করছে।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনার পর অবশ্যই পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে হবে। ইনফ্লুয়েন্সার পোস্টের শেয়ার, কমেন্ট, লাইক, ভিউ এবং কনভার্সন হার এসব বিষয় ভালভাবে বিশ্লেষণ করুন।

আশা করি এভাবে মার্কেটিং করতে পারলে আপনার ব্র‍্যান্ড পরিচিত এবং পণ্যের বিক্রয় উভয়েই বাড়বে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments