HomeMiscellaneous Blogইউটিউব থেকে আয় করার উপায়। বিস্তারিত গাইডলাইন।

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়। বিস্তারিত গাইডলাইন।

ইউটিউব থেকে আয় করা বর্তমানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছে একটি জনপ্রিয় আয়ের পদ্ধতি।  অনলাইন থেকে আয় করার যেসব উপায় রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউব অবশ্যই প্রথমদিকে রাখতে হবে।

ইউটিউব এমন একটি মাধ্যম যেখানে দিন দিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং ইউটিউবে ব্যবহারকারীদের ব্যয় করা সময় প্রতি বছরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিপুল পরিমান ব্যবহারকারীর কারণে ইউটিউব থেকে যায় করার সুযোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে ।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনাকে একটি মনিটাইজেশন যোগ্য চ্যানেল তৈরি করতে হবে এবং সেই চ্যানেলে মানসম্মত ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করতে হবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়

ইউটিউব থেকে আয় করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো :

  • বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়
  • শপিং ফিচারের মাধ্যমে আয়
  • ইউটিউব প্রিমিয়াম রেভিনিউ
  • চ্যানেল মেম্বারশিপ
  • সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকারস ( Super Chat & Super Stickers)
  • সুপার থ্যাংকস
  • স্পন্সরশিপ ও ব্র্যান্ড ডিল এর মাধ্যমে আয়
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়
  • পণ্য বিক্রি (Merchandising) এর মাধ্যমে আয়

নিচে প্রত্যকটি পদ্ধতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

১. ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম (YPP) এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে ইউটিউব থেকে আয়

ইউটিউবের মাধ্যমে সরাসরি আয়ের প্রধান পদ্ধতি হলো ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম (YouTube Partner Program) এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে আপনি আপনার ভিডিওগুলিতে বিজ্ঞাপন যুক্ত করতে পারবেন এবং সেই বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার শর্তাবলি:

• আপনার চ্যানেলে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।গত ১২ মাসে আপনার চ্যানেলে মোট ৪,০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে অথবা বিগত ৯০ দিনে বৈধ শর্ট ভিউ ১০ মিলিয়ন হতে হবে।
• ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।
• অ্যাক্টিভ Google AdSense অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
ইউটিউব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়ের ধাপগুলো:
চ্যানেল মনিটাইজেশন চালু করুন: ইউটিউবে মনিটাইজেশন চালু করা করার ধাপসমূহঃ
• ইউটিউবে সাইন ইন করুন।
• উপরে ডান দিকে অবস্থিত আপনার প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করে YouTube Studio তে প্রবেশ করুন।
• বাম পাশের ম্যানু থেকে Earn অপশনে ক্লিক করুন
• Apply Now সিলেক্ট করুন।
• Start বাটনে ক্লিক করে রিভিউ করে Accept করুন।

Google AdSense অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত করুন: ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনার চ্যানেলের সাথে একটি AdSense অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করতে হবে। গুগল অ্যাডসেন্স হলো একটি প্রোগ্রাম যা ওয়েবসাইট প্রকাশকদের বা ইউটিউবারদের কনটেন্টে গুগলের বিজ্ঞাপনদাতাদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়। AdSense যুক্ত করার জন্য https://adsense.google.com/start/ লিংকে প্রবেশ করে Get started এ ক্লিক করে নিজের গুগল অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করুন। তারপর আপনার ইউটিউবের লিংক ইনপুট দিয়ে স্ক্রিনের বাকি নির্দেশ মত কাজ করুন।

ভিডিওতে বিজ্ঞাপন যুক্ত করুন: মনিটাইজেশন চালু হলে ইউটিউব আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাবে। বিজ্ঞাপন থেকে আয় আপনার ভিডিওর ভিউ, বিজ্ঞাপন দেখার সময় এবং ভিউয়ারদের অবস্থান ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে।

আপনি যখন ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অংশগ্রহনের যোগ্যতা অর্জন করবেন তখন ইউটিউব থেকে আয়ের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো হবে আপনার চ্যানেলে প্রদর্শিত ডিসপ্লে ও ভিডিও বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা।

আপনি যখন একটি লম্বা দৈর্ঘের ভিডিও আপলোড দিবেন তখন ইউটিউব আপনার দর্শকদের জন্য ভিডিওর আগে (pre-roll) এবং পরে (post-roll) কিছু বিজ্ঞাপন দেখাবে যেগুলো স্কিপযোগ্যও হতে পারে আবার নাও হতে পারে। আপনি নির্দিষ্টভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না যে কোন বিজ্ঞাপনগুলো আপনার ভিডিওর আগে-পরে দেখানো হবে।

তবে, যদি আপনার ভিডিওটি ৮ মিনিট বা তার বেশি হয়, তাহলে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন ভিডিওর মাঝখানে (mid-roll) বিজ্ঞাপন যুক্ত করবেন কি না। এই মিড-রোল বিজ্ঞাপনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে পারে বা আপনি চাইলে নিজেও নির্দিষ্ট জায়গায় যুক্ত করতে পারেন।
লং ফর্মের ভিডিও ছাড়াও আপনি শর্ট ভিডিও এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। লং ভিডিওর তুলনায় ইউটিউব শর্টসের বিজ্ঞাপন আয়ের মডেল কিছুটা জটিল। আপনি কতটুকু আয় করবেন, তা নির্ভর করে আপনি শর্টসে কী ধরনের মিউজিক ব্যবহার করেছেন এবং আপনার ভিডিও আপনার দেশের অন্যান্য ক্রিয়েটরদের তুলনায় কেমন ভিউ পেয়েছে তার উপর।

ইউটিউব শর্টস মনিটাইজেশনের নিয়মটা হচ্ছে:
ইউটিউব শর্টস ফিডে ভিডিওর মাঝখানে যেসব বিজ্ঞাপন দেখানো হয়, সেখান থেকে ক্রিয়েটর আয় করে।
এই বিজ্ঞাপন আয় দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়:

১. Creator Pool – যেখানে ক্রিয়েটরদের আয় নির্ধারিত হয় তাদের ভিডিওর ভিউ এবং মিউজিক ব্যবহারের ভিত্তিতে।
২. Music Fund – যার মাধ্যমে শর্টসে ব্যবহৃত মিউজিকের লাইসেন্সিং খরচ মেটানো হয়।

এই ভাগাভাগির পরিমাণ নির্ভর করে আপনি শর্টসে মিউজিক ব্যবহার করেছেন কি না তার উপর।
প্রতিটি ক্রিয়েটর তাদের দেশের শর্টস ভিউয়ের অনুপাতে আয়ের অংশ পেয়ে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো ক্রিয়েটরের ভিডিও তার দেশের মোট শর্টস ভিউয়ের ২% হয়ে থাকে, তাহলে তিনি সেই দেশের Creator Pool থেকে মোট আয়ের ২% পাবেন।

সাধারণত ইউটিউব তাদের রেভিনিউ শেয়ার মডেল অনুসারে যোগ্য আয়ের ৪৫% ক্রিয়েটরকে প্রদান করে।

আরও পড়ুন:  ফেসবুক এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়? 

২. শপিং ফিচার (Shopping Features) এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়

শপিং ফিচার ব্যবহার করে আপনি পণ্য প্রচার এবং বিক্রি করার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। আপনি আপনার ভিডিও বা চ্যানেলের মাধ্যমে শ্রোতাদের সামনে পণ্য শো করতে পারেন।

ইউটিউব শপিং কী?

ইউটিউব শপিং হলো একটি ই-কমার্স প্রোগ্রাম যা ব্যবসায়ী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ইউটিউব ভিডিও, শর্টস, বিজ্ঞাপন ও লাইভস্ট্রিমের মাধ্যমে সরাসরি পণ্যের প্রচার করতে সহায়তা করে। অর্থাৎ এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি আপনার চ্যানেলে ই-কমার্স স্টোর যুক্ত করতে পারবেন।

ইউটিউব শপিং যোগ্যতার শর্তাবলি

যদিও এই প্রোগ্রামটি সবার জন্য উন্মুক্ত, তবে অংশগ্রহণের জন্য আপনাকে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সদস্য হতে হবে। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগদানের জন্য আপনার চ্যানেলকে যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে তা ইতোমধ্যে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

নিজস্ব অনলাইন স্টোর সরাসরি ইউটিউবের সাথে সংযুক্ত করা

আপনি আপনার অফিসিয়াল অনলাইন স্টোরকে ইউটিউবের সাথে সংযুক্ত করে ইউটিউবে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। একই ভিডিও, শর্ট বা লাইভস্ট্রিমে একাধিক স্টোর লিঙ্ক করা এবং প্রতিটি স্টোরের পণ্য প্রদর্শন করাও সম্ভব।

স্টোর সংযুক্ত করার ধাপসমূহ:

১. প্রথমে YouTube Studio-তে সাইন ইন করুন।

২. বাম পাশের মেনু থেকে Earn অপশনটি নির্বাচন করুন।

৩. Shopping ট্যাবে ক্লিক করুন। (এই ট্যাবটি শুধুমাত্র তখনই দেখতে পাবেন যদি আপনার চ্যানেল যোগ্য হবেন)।

৪. যদি আগে কখনো কোনো শপিং প্ল্যাটফর্ম বা রিটেইলার ইউটিউবের সাথে সংযুক্ত না করে থাকেন, তাহলে Get Started বোতামে ক্লিক করুন। অন্যথায়, প্রোডাক্ট কার্ডে Connect new store অপশনে ক্লিক করুন।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাথে অফিসিয়াল মার্চেন্ডাইজ স্টোর লিঙ্ক করতে অন-স্ক্রিন নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করুন।

নোট:
‘Shopping’ ট্যাবের Products সেকশনে আপনার সমস্ত স্টোরের তালিকা দেখতে পারবেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যত খুশি স্টোর লিঙ্ক করতে পারবেন। আপনি যেকোনো সময় একটি নতুন স্টোর সংযুক্ত করতে বা আগের স্টোরটি ডিসকানেক্ট করতে পারবেন।

পণ্য ট্যাগ করা

ভিডিওতে ট্যাগ করা পণ্যে ক্লিক করে ব্যবহারকারীরা সেই পণ্যের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং সরাসরি কিনতে পারবেন। ব্যবহারকারীরা চাইলে প্রোডাক্ট শেলফ থেকেও পণ্য দেখতে পারবেন।

আপনি ট্যাগের উপযুক্ত হলে আপনার কন্টেন্টে ফিচার করা প্রোডাক্ট ট্যাগ করতে পারবেন। আপনি যদি কন্টেন্টে প্রোডাক্ট ট্যাগ করেন তাহলে সেগুলি কন্টেন্টের ধরন অনুসারে আলাদা আলাদা দেখানো হবে।

বড় দৈর্ঘ্যের ভিডিওর ক্ষেত্রে আপনার কন্টেন্টের এক কোণে একটি ” shopping button” দেখানো হবে। আপনার ট্যাগ করা প্রোডাক্টের তালিকা পর্যালোচনা করার জন্য দর্শকরা লেবেল বেছে নিতে পারবেন।

Shorts-এর জন্য ট্যাগ করা প্রোডাক্ট তালিকার প্রথম প্রোডাক্টের জন্য একটি শপিং প্রোডাক্ট স্টিকার দেখানো হবে। আপনি শপিং প্রোডাক্ট স্টিকারটি অন্য কোনও প্রোডাক্টে দেখাতে চাইলে ট্যাগ করা প্রোডাক্ট তালিকার ক্রম পরিবর্তন করুন। এছাড়াও, YouTube মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি স্টিকারের সাইজ ও প্লেসমেন্ট বেছে নিতে পারবেন। দর্শকরা শপিং প্রোডাক্ট স্টিকারে ক্লিক করে রিটেলারের ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন। দর্শকরা down arrow আইকন ক্লিক করলে, আপনার ট্যাগ করা প্রোডাক্টের সম্পূর্ণ তালিকা দেখতে পাবেন।

৩. ইউটিউব প্রিমিয়াম (YouTube Premium Revenue)

এটি এমন একটি ফিচার যেখানে ইউটিউব ব্যবহারকারীরা কিছু বিশেষ সুবিধা পায় যেমন অ্যাড ফ্রি ভিডিও দেখার সুযোগ, অফ লাইনে ভিডিও দেখার জন্য ডাউনলোড সুবিধা ইত্যাদি।

ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবারদের ভিডিও দেখার সময় আপনি তাদের সাবস্ক্রিপশনের একটি অংশ থেকে আয় করতে পারেন অর্থাৎ সাবস্ক্রিপশনের অর্থ ইউটিউব আপনার সাথে ভাগাভাগি করবে।

যেকেউ এই প্লাটফর্মে যুক্ত হতে পারবেন এজন্য ইউটিউবকে কোন ফি দিতে হবে না। আপনার কন্টেন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউটিউব ফ্রি এবং প্রিমিয়ামে প্রদর্শিত হবে। আপনি যদি ইউটিউবের শর্তে রাজি থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটি হতে পারে ইউটিউব থেকে আয়ের আরেকটি ভাল উপায়।

আপনার কন্টেন্ট কতজন দেখেছে তার উপর  ভিত্তি করে আপনাকে পেমেন্ট করা হবে। ইউটিউবের নিয়ম অনুসারে আয়ের বড় অংশই পায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। প্রতি মাসের প্রথম দিকে ইউটিউব সাবস্ক্রিপশন রেভিনিউ পেমেন্ট আপনাকে প্রদান করবে।

৪. চ্যানেল মেম্বারশিপ (Channel Memberships)

চ্যানেল মেম্বারশিপ এর মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে যায় করতে পারেন । ভিউয়াররা আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রিপশন নিয়ে মাসিক ফি প্রদান করবে বিনিময়ে আপনি তাদের বিশেষ সুবিধা দিবেন যেমন ব্যাজ ইমোজি এবং এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট।

 চ্যানেল মেম্বারশিপের জন্য ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে জয়েন করার পাশাপাশি আপনার বয়স ১৮+ হতে হবে এবং ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।

৫. সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকারস (Super Chat & Super Stickers)

লাইভ স্ট্রিম চলাকালীন ভিউয়াররা টাকা দিয়ে তাদের মেসেজ হাইলাইট করতে পারে অথবা লাইভ চ্যাট চলাকালে সুপার স্টিকাররা চ্যাট বক্সে এনিমেটেড ইমেজ পেয়ে থাকে। ব্যক্তিগত দির্ঘ এবং শর্ট ভিডিও উভয় ক্ষেত্রেই সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকারস ব্যবহার করা যায়।

৬. সুপার থ্যাংকস (Super Thanks)

সুপার থ্যাংকস এর মাধ্যমে ক্রিয়েটররা কিছু অতিরিক্ত আয় করতে পারেন। এই ফিচার অনুসারে শ্রোতারা যখন ফান এনিমেশন ক্রয় করে তখন তাকে সুপার থ্যাংকস নামে অবিহিত করা হয়। সাধারণত দীর্ঘ এবং শর্ট ভিডিওর উপরের দিকে ফান এনিমেশন প্রদর্শিত হয়ে থাকে।

ক্রেতারা এই ফিচারের মাধ্যমে কমেন্ট সেকশনে তাদের কমেন্টকে প্রথমদিকে বিশেষভাবে প্রদর্শনের সুযোগ পায়। সুপার থ্যাংকস চালু করার জন্য আপনাকে ইউটিউব মনিটাইজেশনের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

সুপার থ্যাংকস চালু করার জন্য আপনাকে YouTube Studio তে প্রবেশ করে বাম দিকে থাকা Earn এ ক্লিক করতে হবে। তারপর Get started এ ক্লিক করে করে অন স্ক্রিন নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

আরও পড়ুনটিকটক থেকে কি কি উপায়ে আয় করা যায়? 

৭. স্পন্সরশিপ ব্র্যান্ড পার্টনারশিপের মাধ্যমে আয়

আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনার সাথে স্পন্সরশিপ বা পার্টনারশিপ করতে আগ্রহী হতে পারে। এই পদ্ধতিতে আপনি একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পণ্য বা সেবা আপনার ভিডিওতে প্রচার করবেন এবং এর বিনিময়ে সরাসরি অর্থ পাবেন।

কিভাবে স্পন্সরশিপ পেতে পারেন?

১. একটি নির্দিষ্ট নিশ (Niche) নির্বাচন করুন: স্পন্সরদের আকর্ষণ করতে হলে আপনার চ্যানেলের একটি নির্দিষ্ট নিশ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনার চ্যানেল প্রযুক্তি নিয়ে হয়, তাহলে প্রযুক্তি সম্পর্কিত ব্র্যান্ডগুলো আপনাকে স্পন্সর করতে আগ্রহী হবে।

২. ভিডিওতে প্রোডাক্ট রিভিউ বা ডেমো তৈরি করুন: অনেক ব্র্যান্ড তাদের পণ্য বা সেবা ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার করতে চায়, আপনি যদি নিয়মিত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ ভিডিও তৈরি করে থাকেন তাহলে খুব সহজেই বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সরশিপ পেতে পারেন

৩. স্পন্সরদের সাথে যোগাযোগ করুন: বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন বা রিভিউ করার প্রস্তাব দিতে পারেন। এছাড়াও স্পন্সরশিপ প্ল্যাটফর্ম যেমন FameBit, Grapevine Logic, বা Channel Pages ব্যবহার করে স্পন্সরশিপ পেতে পারেন।

৮. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়

ইউটিউব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এক ধরনের মার্কেটিং যেখানে আপনি ইউটিউব ভিডিও ব্যবহার করে আপনার টার্গেট করা দর্শকদের সাথে যোগাযোগ করে পণ্য বা সেবা বিক্রি করবেন এবং বিনিময়ে কমিশন আয় করবেন। অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামের মতো এখানেও মূল লক্ষ্য হলো পণ্য বা সেবা বিক্রি বৃদ্ধি করা যাতে সেই বিক্রি থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়। এ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব।

একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পার্টনার হিসেবে আপনার কাজ হবে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও তৈরি করা যেখানে আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট পণ্য সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ভক্তদের সামনে উপস্থাপন করবেন এবং পণ্যগুলো আপনার ভিডিওতে ট্যাগ করে রাখবেন। ট্যাগ করা আইটেমগুলোতে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করে রাখবেন। ইউটিউব ভিডিওতে প্রদর্শিত পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক সাধারণত ভিডিওর description অংশে প্রদান করা হয়।

ইউটিউব ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধাসমূহ

ইউটিউব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি যেসব সুবিধা পাবেনঃ

  • ভিডিও হলো এমন একটি ফর্ম যার মাধ্যমে সহজেই এনগেজড অডিয়েন্স তৈরি করা যায়।
  • ভিডিও ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে চ্যানেল মনিটাইজ করলে আপনি নিয়মিত প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
  • আপনি যদি আকর্ষণীয় প্রোডাক্ট রিভিউ ভিডিও তৈরি করতে পারেন তাহলে প্রচলিত কন্টেন্টের তুলনায় আপনার বিক্রয়ের পরিমাণ অনেক বেশি হবে।
  • এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৬৮% ব্যবহারকারী কেনাকাটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ইউটিউব ভিডিও দেখে। তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব হচ্ছে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম।

ইউটিউব অ্যাফিলিয়েট ভিডিও আইডিয়া

ভিডিও ক্রিয়েটরের জন্য অ্যাফিলিয়েট কনটেন্ট তৈরি শুরু করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্পনসর করা পণ্যগুলোকে  এমনভাবে উপস্থাপন করা যাতে শ্রোতাদের আকর্ষণ করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় কন্টেন্ট বিরক্তিকর হলে শ্রোতারা  ইনফ্লুয়েন্সারকে আনফলো করে দেন। আবার অনেক ব্যবহারকারী আছেন যারা অতিরিক্ত স্পনসর করা কনটেন্ট দেখলে  আনফলো করেন।

তাই আপনাদের এমনভাবে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে শ্রোতারা বিরক্ত না হয়। এমন ভিডিও কন্টেন্টের মধ্যে রয়েছেঃ

  • ট্রেন্ডিং ভিডিও
  • আনবক্সিং ভিডিও
  • টিউটোরিয়াল
  • প্রোডাক্ট রিভিউ ভিডিও

ট্রেন্ডিং ভিডিও

ট্রেন্ডিং ভিডিও হচ্ছে সেসব ভিডিও যেগুলো ইউটিউবে প্রচুর ভিউ পাচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু বা ভাইরাল কন্টেন্টগুলো ইউটিউবে ট্রেন্ডিং ভিডিওতে যায়গা করে নেয়। একেক দেশে একেক বিষয় ট্রেন্ডিং পেজে যায়গা করে নেয়। গান, সিনেমা, নাটক, গেসস, সংবাদ ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে যেসব ভিডিও ট্রেন্ডিং এ আছে সেগুলো ইউটিউব ব্যবহারকারীদের সামনে সবার আগে প্রদর্শন করে।

তাই ট্রেন্ডিং ভিডিও বানানোর চেষ্টা করুন। তারপর সেসব ভিডিও এর ভেতরে অ্যাফিলিয়েট  লিংক প্রচার করে প্রচুর সেল জেনারেট করুন।

আনবক্সিং ভিডিও

এই ধরণের ভিডিও ইউটিউবে খুব জনপ্রিয়। দর্শকরা আগ্রহ নিয়ে আনবক্সিং ভিডিও দেখে থাকে। কারণ দর্শকরা এসব ভিডিওতে একটি পণ্য নতুন অবস্থায় কেমন সেটি দেখতে পায়। এর পাশাপাশি নতুন অবস্থায় কতটা সহজে ব্যবহার করা এসব বিষয় দর্শকরা লাইভ দেখতে পারে।

আনবক্সিং ভিডিও অ্যাফিলিয়েট পণ্য বিক্রয় বাড়ানোর অন্যতম মাধ্যম। দর্শকরা যেহেতু আগ্রহভরে পুরো ভিডিও দেখে থাকে তাই আপনি যদি ভিডিও ডেস্ক্রিপশনে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে দর্শকদের সেই লিংক এর মাধ্যমে পণ্যটি কেনার আহবান জানান তাহলে দেখবেন অনেকেই সেই পণ্যটি কিনছে।

টিউটোরিয়াল ভিডিও

মনে রাখবেন যারা টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে, তারা সাধারণত কোন পণ্য কেনার সিদ্ধান্তের কাছাকাছি অবস্থায় থাকে। তাই অ্যাফিলিয়েট পণ্যটি বিক্রি করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউবে সেই পণ্যের বৈশিষ্ট্য, ব্যবহারবিধি, সুবিধা এবং অসুবিধা নিয়ে টিউটোরিয়াল তৈরি করা।

এমনভাবে এসব ভিডিও তৈরি করবেন যাতে মানুষ ভিডিও দেখে ভালভাবে জানতে পারে। তাদের জানার পিপাসা মিটাতে পারে। ধরেন আপনি পানির ফিল্টার বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনি সেই ফিল্টারের সুবিধা অসুবিধা, কোথায় কিভাবে সেট করলে ভাল হবে এসব নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন। এভাবে দর্শকদের চাহিদামত ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করতে পারলে আপনি অনেক লয়্যাল ক্রেতার সন্ধান পাবেন।

রিভিউ ভিডিও

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের কাছে অ্যাফিলিয়েট পণ্য বিক্রির জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে রিভিউ ভিডিও। এই ধরণের ভিডিওতে কোন পণ্য ব্যবহার করে গ্রাহকরা কি ধরণের সুবিধা পাবে বা অসুবিধার সম্মুখিন হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এর পাশাপাশি পণ্যটির বৈশিষ্ট্য নিয়েও আলোচনা করা হয়।

অসংখ্য মানুষ কোন পণ্য কেনার আগে ইউটিউবে রিভিউ ভিডিও দেখে থাকে। এটা বিশ্বব্যাপি একটা কমন ট্রেন্ড।

মনে রাখবেন ভিডিওতে একতরফা প্রশংসা করলে মানুষ আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি সুবিধার পাশাপাশি কিছু নেতিবাচক বিষয় ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে ক্রেতাদের কাছ থেকে ভাল সাড়া পাবেন।

৯. পণ্য বিক্রি (Merchandising) এর মাধ্যমে আয়

আপনার নিজস্ব পণ্য বা Merchandise বিক্রি করেও ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন। আপনি T-shirts, hats, mugs, bags ইত্যাদি পণ্য ডিজাইন করে দর্শকদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।

 

১১. ইউটিউবে আয় বাড়ানোর টিপস

নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করুন: নিয়মিত ভিডিও আপলোড করলে ইউটিউবের অ্যালগরিদম আপনাকে বেশি প্রমোট করবে। এর ফলে আপনার সাবস্ক্রাইবারের পরিমাণ বাড়বে। এক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি সাবস্ক্রাইবারদের এনগেজমেন্ট রেট বেশি হয় যার কারণে ইউটিউবে আয়ের পরিমান বাড়ে । 

ইউটিউব থেকে আয়

SEO ব্যবহার করুন: সঠিক টাইটেল, ট্যাগ এবং বর্ণনা ব্যবহার করে ভিডিওতে SEO (Search Engine Optimization) করুন, যাতে ভিডিওগুলি আরও বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারে।

ভিডিওর মান বজায় রাখুন: ভিডিওর মান যত ভালো হবে, তত বেশি ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার পেতে পারেন।

দর্শকদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করুন: কমেন্টের উত্তর দিন এবং দর্শকদের মতামতকে গুরুত্ব দিন এতে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনার সৃজনশীলতা এবং ধৈর্য গুরুত্বপূর্ণ। শুরুতে সময় লাগতে পারে, তবে যদি আপনি ধারাবাহিকভাবে মানসম্পন্ন ভিডিও তৈরি করেন এবং ইউটিউবের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারবেন। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম, স্পন্সরশিপ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এবং Merchandising এর মাধ্যমে আপনি উল্লেখযোগ্য আয় করতে পারেন।

ইউটিউব এর মাধ্যমে কত ভিউ এর জন্য কি পরিমাণ আয় করা যায়?

ইউটিউব থেকে আয় এর পরিমাণ নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর। সাধারণত ইউটিউবে আয় নির্ধারণের জন্য RPM (Revenue Per Mille) এবং CPM (Cost Per Mille) এই দুটি মেট্রিক ব্যবহার করা হয়।

RPM এবং CPM নির্ধারণ করে ইউটিউব আপনাকে কি পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে। তবে শুধু ভিউয়ের সংখ্যা কেবল একটি ফ্যাক্টর, এছাড়া আরও ফ্যাক্টর আছে যেমন বিজ্ঞাপনের ধরণ, কনটেন্টের ধরণ, দর্শকের অবস্থান ইত্যাদিও আয়ের উপর প্রভাব ফেলে।

. CPM (Cost Per Mille):

  • CPM হলো প্রতি ১,০০০ ইমপ্রেশন বা বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য বিজ্ঞাপনদাতা কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে চাচ্ছেন।
  • সাধারণত CPM নির্ধারণ হয় বিজ্ঞাপনের ধরণ, ভিউয়ারদের অবস্থান এবং কনটেন্টের প্রাসঙ্গিকতা অনুযায়ী।
  • CPM এর পরিমাণ সাধারণত $১ থেকে $১০+ পর্যন্ত হতে পারে, তবে এর পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে যদি আপনি নির্দিষ্ট এবং উন্নত দেশকে টার্গেট করে কনটেন্ট তৈরি করেন (যেমন, USA, Canada, UK)।

. RPM (Revenue Per Mille):

  • RPM হলো প্রতি ১,০০০ ভিউ থেকে আপনি কত আয় করছেন তা বোঝায়। এটি মোট আয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, যেখানে অ্যাড রেভিনিউ, ইউটিউব প্রিমিয়াম রেভিনিউ, চ্যানেল মেম্বারশিপ, সুপার চ্যাট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
  • সাধারণত RPM এর পরিমাণ $১ থেকে $৫ পর্যন্ত হতে পারে, তবে এটি আবার ভিউয়ারের দেশের অবস্থান, ভিডিওর ধরণ এবং কনটেন্টের এনগেজমেন্টের উপর নির্ভর করে।

 উদাহরণ:

  • CPM উদাহরণ: আপনার ভিডিওতে ১০,০০০ বার বিজ্ঞাপন দেখা হয়েছে এবং আপনার CPM যদি $৪ হয়, তাহলে: Revenue=  = 40 USD
  • RPM উদাহরণ: আপনার ভিডিওতে ১০,০০০ ভিউ হয়েছে এবং আপনার RPM যদি $২ হয়, তাহলে: Revenue=   = 20 USD

অন্যান্য ফ্যাক্টর:

  • ভিউয়ারদের অবস্থান: উন্নত দেশ থেকে ভিউ এলে CPM ও RPM বেশি হয়।
  • কনটেন্টের ধরণ: ফাইন্যান্স, টেকনোলজি, এডুকেশন ইত্যাদি বিষয়ভিত্তিক ভিডিওর CPM সাধারণত বেশি হয়।
  • কনটেন্টের দৈর্ঘ্য: ভিডিও যত বেশি সময়ের হয়, তত বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যায়, ফলে আয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য কত ভিউ এর প্রয়োজন?

ইউটিউব এডসেন্স থেকে আয় শুরু করার জন্য কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার লাগবে এবং বিগত ১ বছরে ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।

ইউটিউব ১ ভিউ এর জন্য কত প্রদান করে?

ইউটিউব প্রতি ভিউ এর জন্য ০.০০২ – ০.০১২ ডলার প্রদান করে। দেশ, সময় এবং কন্টেন্টভেদে এর তারতম্য হতে পারে।

প্রতি ১ হাজার ভিউ এর জন্য ইউটিউব কত প্রদান করে?

১ হাজার ভিউ এর জন্য ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন ২-১২ ডলার প্রায়। এক্ষেত্রে একটা নিয়ম আছে, বিজ্ঞাপন দাতার ইউটিউবকে ১ হাজার ভিউ এর জন্য জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করে তার ৪৫% ইউটিউব নিয়ে নেয় এবং ৫৫% কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রদান করে।

১ মিলিয়ন ভিউ এর জন্য ইউটিউব কত প্রদান করে?

আপনার কন্টেন্ট যদি ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউ পায় তাহলে আপনি ২ হাজার থেকে ১২০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

একজন নতুন ইউটিউবার হিসেবে আপনি কত আয় করতে পারবেন?

একজন নতুন ইউটিউবার হিসেবে আপনাকে প্রথম দিকে অনেক ধৈর্য্য ধরতে হবে। নিয়মিত তথ্যবহুল এবং এনগেজিং কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। একজন ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার সমৃদ্ধ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মাসে ৩০-৩০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

ইউটিউব শর্ট ভিডিও এর জন্য অর্থ প্রদান করে?

ইউটিউব তার নীট আয়ের ৪৫% শর্টস (Sgorts) মনিটাইজিং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রদান করে থাকে।

১ লাখ সাবস্ক্রাইবার থাকলে ইউটিউব থেকে মাসে কত আয় করা যায়?

আপনার যদি ১ লাখ সাবস্ক্রাইবার থাকে তাহলে আপনি মাসে গড়ে ১ থেকে ৫ হাজার ডলার আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায় কি?

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় হচ্ছে আপনাকে এডসেন্স একাউন্ট থাকতে হবে। আপনার একাউন্ট যখন ১০০ ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাবে তখন আপনি ইউটিউব থেকে টাকা তুলতে পারবেন। বাংলাদেশ এডসেন্স থেকে টাকা আনার উপায় হচ্ছে ব্যাংক ট্রান্সফার। আপনি যে একাউন্টটি এডসেন্স এ যুক্ত করবেন সেই একাউন্টে এডসেন্স কর্তৃপক্ষ টাকা পাঠাবে।

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়?

অনেকেই ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার বিষয়ে আমাদের প্রশ্ন করেন। আসলে ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করা যায় না।আপনি অন্য কারো ভিডিও যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল এ আপলোড করেন তাহলে সেটি কপিরাইট লঙ্ঘন হবে।

তবে আপনি চাইলে কয়েকটা ভিডিও নিয়ে সেগুলো কাট করে ক্রিয়েটিভ কোন ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন। এছাড়া ইউটিউবে লাইভে এসে কথা বলেও ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular