HomeMake Money Onlineইউটিউব থেকে আয় করার উপায়। বিস্তারিত গাইডলাইন।

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়। বিস্তারিত গাইডলাইন।

ইউটিউব থেকে আয় করা বর্তমানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছে একটি জনপ্রিয় আয়ের পদ্ধতি।  অনলাইন থেকে আয় করার যেসব উপায় রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউব অবশ্যই প্রথমদিকে রাখতে হবে।

ইউটিউব এমন একটি মাধ্যম যেখানে দিন দিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং ইউটিউবে ব্যবহারকারীদের ব্যয় করা সময় প্রতি বছরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিপুল পরিমান ব্যবহারকারীর কারণে ইউটিউব থেকে যায় করার সুযোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে ।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনাকে একটি মনিটাইজেশন যোগ্য চ্যানেল তৈরি করতে হবে এবং সেই চ্যানেলে মানসম্মত ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করতে হবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়

ইউটিউব থেকে আয় করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো :

  • বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়
  • শপিং ফিচারের মাধ্যমে আয়
  • ইউটিউব প্রিমিয়াম রেভিনিউ
  • চ্যানেল মেম্বারশিপ
  • সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকারস ( Super Chat & Super Stickers)
  • সুপার থ্যাংকস
  • স্পন্সরশিপ ও ব্র্যান্ড ডিল এর মাধ্যমে আয়
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয়
  • পণ্য বিক্রি (Merchandising) এর মাধ্যমে আয়
  • ক্রাউডফান্ডিং ও ফ্যান সাবস্ক্রিপশন এর মাধ্যমে আয়

নিচে প্রত্যকটি পদ্ধতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

১. ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম (YPP) এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে ইউটিউব থেকে আয়

ইউটিউবের মাধ্যমে সরাসরি আয়ের প্রধান পদ্ধতি হলো ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম (YouTube Partner Program। এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে আপনি আপনার ভিডিওগুলিতে বিজ্ঞাপন যুক্ত করতে পারবেন এবং সেই বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দেওয়ার শর্তাবলি:

আপনার চ্যানেলে ,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।গত ১২ মাসে আপনার চ্যানেলে মোট ,০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে অথবা বিগত ৯০ দিনে বৈধ শর্ট ভিউ ১০ মিলিয়ন হতে হবে।

ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলতে হবে।

 অ্যাক্টিভ Google AdSense অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

ইউটিউব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়ের ধাপগুলো:

১. চ্যানেল মনিটাইজেশন চালু করুন: ইউটিউবে মনিটাইজেশন চালু করা করার ধাপসমূহঃ

  • ইউটিউবে সাইন ইন করুন।
  • উপরে ডান দিকে অবস্থিত আপনার প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করে YouTube Studio তে প্রবেশ করুন।
  • বাম পাশের ম্যানু থেকে Earn অপশনে ক্লিক করুন
  • Apply Now সিলেক্ট করুন।
  • Start বাটনে ক্লিক করে রিভিউ করে Accept করুন।

২. Google AdSense অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত করুন: আপনার চ্যানেলের সাথে একটি AdSense অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করতে হবে, যাতে ইউটিউব থেকে আপনি আয় তুলতে পারেন।

৩. ভিডিওতে বিজ্ঞাপন যুক্ত করুন: মনিটাইজেশন চালু হলে ইউটিউব আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাবে। বিজ্ঞাপন থেকে আয় আপনার ভিডিওর ভিউ, বিজ্ঞাপন দেখার সময় এবং ভিউয়ারদের অবস্থান ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে।

আরও পড়ুন:  ফেসবুক এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায়? 

২. শপিং ফিচার (Shopping Features) এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়

শপিং ফিচার ব্যবহার করে আপনি পণ্য প্রচার এবং বিক্রি করার মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। আপনি আপনার ভিডিও বা চ্যানেলের মাধ্যমে শ্রোতাদের সামনে পণ্য শো করতে পারেন।

৩. ইউটিউব প্রিমিয়াম (YouTube Premium Revenue)

এটি এমন একটি ফিচার যেখানে ইউটিউব ব্যবহারকারীরা কিছু বিশেষ সুবিধা পায় যেমন অ্যাড ফ্রি ভিডিও দেখার সুযোগ, অফ লাইনে ভিডিও দেখার জন্য ডাউনলোড সুবিধা ইত্যাদি।

ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবারদের ভিডিও দেখার সময় আপনি তাদের সাবস্ক্রিপশনের একটি অংশ থেকে আয় করতে পারেন অর্থাৎ সাবস্ক্রিপশনের অর্থ ইউটিউব আপনার সাথে ভাগাভাগি করবে।

প্রতি মাসের প্রথম দিকে ইউটিউব সাবস্ক্রিপশন রেভিনিউ পেমেন্ট আপনাকে প্রদান করবে।

৪. চ্যানেল মেম্বারশিপ (Channel Memberships)

চ্যানেল মেম্বারশিপ এর মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে যায় করতে পারেন । ভিউয়াররা আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রিপশন নিয়ে মাসিক ফি প্রদান করবে বিনিময়ে আপনি তাদের বিশেষ সুবিধা দিবেন যেমন ব্যাজ ইমোজি এবং এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট।

 চ্যানেল মেম্বারশিপের জন্য ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে জয়েন করার পাশাপাশি আপনার বয়স ১৮+ হতে হবে এবং ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।

৫. সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকারস (Super Chat & Super Stickers)

লাইভ স্ট্রিম চলাকালীন ভিউয়াররা টাকা দিয়ে তাদের মেসেজ হাইলাইট করতে পারে অথবা লাইভ চ্যাট চলাকালে সুপার স্টিকাররা চ্যাট বক্সে এনিমেটেড ইমেজ পেয়ে থাকে। ব্যক্তিগত দির্ঘ এবং শর্ট ভিডিও উভয় ক্ষেত্রেই সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকারস ব্যবহার করা যায়।

৬. সুপার থ্যাংকস (Super Thanks)

আপনার ভিডিওতে ভিউয়াররা আপনাকে আর্থিকভাবে সমর্থন জানিয়ে বিশেষ বার্তা পাঠাতে পারেন। এই ফিচার অনুসারে শ্রোতারা যখন ফান এনিমেশন ক্রয় করে তখন তাকে সুপার থ্যাংকস নামে অবিহিত করা হয়।

আরও পড়ুনটিকটক থেকে কি কি উপায়ে আয় করা যায়? 

৭. স্পন্সরশিপ ব্র্যান্ড পার্টনারশিপের মাধ্যমে আয়

আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনার সাথে স্পন্সরশিপ বা পার্টনারশিপ করতে আগ্রহী হতে পারে। এই পদ্ধতিতে আপনি একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পণ্য বা সেবা আপনার ভিডিওতে প্রচার করবেন এবং এর বিনিময়ে সরাসরি অর্থ পাবেন।

কিভাবে স্পন্সরশিপ পেতে পারেন?

১. একটি নির্দিষ্ট নিশ (Niche) নির্বাচন করুন: স্পন্সরদের আকর্ষণ করতে হলে আপনার চ্যানেলের একটি নির্দিষ্ট নিশ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ যদি আপনার চ্যানেল প্রযুক্তি নিয়ে হয়, তাহলে প্রযুক্তি সম্পর্কিত ব্র্যান্ডগুলো আপনাকে স্পন্সর করতে আগ্রহী হবে।

২. ভিডিওতে প্রোডাক্ট রিভিউ বা ডেমো তৈরি করুন: অনেক ব্র্যান্ড তাদের পণ্য বা সেবা ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার করতে চায়, আপনি যদি নিয়মিত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ ভিডিও তৈরি করে থাকেন তাহলে খুব সহজেই বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সরশিপ পেতে পারেন

৩. স্পন্সরদের সাথে যোগাযোগ করুন: বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন বা রিভিউ করার প্রস্তাব দিতে পারেন। এছাড়াও স্পন্সরশিপ প্ল্যাটফর্ম যেমন FameBit, Grapevine Logic, বা Channel Pages ব্যবহার করে স্পন্সরশিপ পেতে পারেন।

৮. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়

ইউটিউবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো পণ্য বা সেবা প্রচার করে কমিশন আয় করার একটি পদ্ধতি। আপনি ভিডিওর মাধ্যমে একটি পণ্য বা সেবা প্রোমোট করবেন এবং আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে যদি কেউ সেই পণ্যটি কিনে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ধাপগুলো:

১. অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করুন: Amazon Associates, ClickBank, ShareASale বা অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিন।

২. পণ্য বা সেবা সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি করুন: পণ্য বা সেবা রিভিউ, টিউটোরিয়াল বা ডেমো ভিডিও তৈরি করুন।

৩. ভিডিওর বর্ণনাতে অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করুন: ভিডিওর বর্ণনা (Description) বক্সে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করুন যাতে দর্শকরা সেই লিংক ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারে।

৯. পণ্য বিক্রি (Merchandising) এর মাধ্যমে আয়

আপনার নিজস্ব পণ্য বা Merchandise বিক্রি করেও ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন। আপনি T-shirts, hats, mugs, bags ইত্যাদি পণ্য ডিজাইন করে দর্শকদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।

Merchandise বিক্রি করার ধাপগুলো:

১. Merchandise তৈরি করুন: আপনার চ্যানেলের ব্র্যান্ড অনুযায়ী পণ্যের ডিজাইন করুন।

২. একটি Merchandise প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করুন: আপনি Teespring, Spreadshop, বা Redbubble এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য তৈরি এবং বিক্রি করতে পারেন।

৩. ভিডিওতে পণ্য প্রচার করুন: আপনার ভিডিওতে এবং চ্যানেলের বর্ণনায় পণ্য প্রচার করুন, যাতে আপনার দর্শকরা পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হয়।

১০. ক্রাউডফান্ডিং ফ্যান সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে আয়

আপনার ভক্তরা আপনাকে ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম বা ফ্যান সাবস্ক্রিপশন এর মাধ্যমে আর্থিকভাবে সাপোর্ট করতে পারে। এর জন্য জনপ্রিয় কিছু প্ল্যাটফর্ম হলো Patreon এবং YouTube Membership

ক্রাউডফান্ডিং ফ্যান সাবস্ক্রিপশনের ধাপগুলো:

১. Patreon বা YouTube Membership চালু করুন: এখানে ভক্তরা মাসিক ভিত্তিতে আপনাকে সাপোর্ট  করতে পারবে এবং আপনি তাদের জন্য উন্নতমানের তথ্যবহুল কন্টেন্ট দিতে পারেন।

২. এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট অফার করুন: আপনার ভক্তদের বিশেষ কিছু অফার করুন যেমন পেছনের দৃশ্য, প্রিমিয়াম ভিডিও বা লাইভ সেশন।

১১. ইউটিউবে আয় বাড়ানোর টিপস

নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করুন: নিয়মিত ভিডিও আপলোড করলে ইউটিউবের অ্যালগরিদম আপনাকে বেশি প্রমোট করবে। এর ফলে আপনার সাবস্ক্রাইবারের পরিমাণ বাড়বে। এক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি সাবস্ক্রাইবারদের এনগেজমেন্ট রেট বেশি হয় যার কারণে ইউটিউবে আয়ের পরিমান বাড়ে । 

ইউটিউব থেকে আয়

SEO ব্যবহার করুন: সঠিক টাইটেল, ট্যাগ এবং বর্ণনা ব্যবহার করে ভিডিওতে SEO (Search Engine Optimization) করুন, যাতে ভিডিওগুলি আরও বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারে।

ভিডিওর মান বজায় রাখুন: ভিডিওর মান যত ভালো হবে, তত বেশি ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার পেতে পারেন।

দর্শকদের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করুন: কমেন্টের উত্তর দিন এবং দর্শকদের মতামতকে গুরুত্ব দিন এতে তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য আপনার সৃজনশীলতা এবং ধৈর্য গুরুত্বপূর্ণ। শুরুতে সময় লাগতে পারে, তবে যদি আপনি ধারাবাহিকভাবে মানসম্পন্ন ভিডিও তৈরি করেন এবং ইউটিউবের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারবেন। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম, স্পন্সরশিপ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এবং Merchandising এর মাধ্যমে আপনি উল্লেখযোগ্য আয় করতে পারেন

ক্রাউডফান্ডিং ফ্যান সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করে? 

ইউটিউবে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ক্রাউডফান্ডিং এবং ফ্যান সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে সরাসরি দর্শকদের কাছ থেকে আর্থিক সাপোর্ট পেতে পারেন। এসব পদ্ধতি কনটেন্ট মনিটাইজেশন এবং ভক্তদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করার খুব ভাল উপায়। নিচে প্রতিটি পদ্ধতির বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. ক্রাউডফান্ডিং (Crowdfunding):

ক্রাউডফান্ডিং হলো একটি পদ্ধতি যেখানে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের প্রকল্প বা কাজের জন্য অর্থ  প্রদান করতে দর্শকদের নিকট আহবান জানায় এবং দর্শকরা স্বেচ্ছায় এই কাজে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেন। ইউটিউবে ক্রাউডফান্ডিং করার কিছু জনপ্রিয় পদ্ধতি ও প্ল্যাটফর্ম:

ক. ইউটিউব ফান্ডরাইজার (YouTube Fundraisers):

ফান্ডরাইজার সুবিধা: ইউটিউব ক্রিয়েটররা সরাসরি তাদের ভিডিও বা লাইভ স্ট্রিমে ফান্ডরাইজিং ক্যাম্পেইন চালাতে পারেন। এটি সাধারণত দাতব্য কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।

কিভাবে শুরু করবেন:

আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজড থাকতে হবে।

“ফান্ডরাইজার” অপশন থেকে আপনি একটি ফান্ডরাইজিং ক্যাম্পেইন শুরু করতে পারেন।

ভিডিও বা লাইভ স্ট্রিমের সময় একটি ফান্ডরাইজিং গেজেট যোগ করতে পারেন।

খ. থার্ড-পার্টি ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্ম:

কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ইউটিউব ভিডিওর বর্ণনায় বা চ্যানেলের হোমপেজে বিভিন্ন ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। এর মধ্যে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলি হলো:

  • Patreon: এখানে দর্শকরা মাসিক সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিতে  কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আর্থিকভাবে সহায়তা করেন এবং এর বিনিময়ে বিশেষ কন্টেন্ট, এক্সক্লুসিভ অ্যাক্সেস, বা অন্যান্য পুরষ্কার পান।
  • Kickstarter: ক্রিয়েটররা নতুন প্রকল্প বা উদ্যোগের জন্য এককালীন ফান্ড সংগ্রহ করতে পারেন।
  • GoFundMe: ব্যক্তিগত বা সামাজিক উদ্যোগের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার একটি মাধ্যম।
  • Buy Me a Coffee: এখানে দর্শকরা এককালীন বা পুনরাবৃত্তি অর্থ প্রদান করতে পারেন, যাকে “কফি কেনা” বলে চিহ্নিত করা হয়।

গ. ফ্যানফান্ডিং (Super Chat & Super Stickers):

সুপার চ্যাট সুপার স্টিকার: লাইভ স্ট্রিমিং চলাকালে দর্শকরা সুপার চ্যাট বা সুপার স্টিকার কেনার মাধ্যমে আপনাকে আর্থিক সমর্থন দিতে পারেন। এটি চ্যাটের মধ্যে বিশেষভাবে হাইলাইট হয় এবং এটি একটি মজাদার উপায়।

কিভাবে শুরু করবেন:

    • আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু থাকতে হবে।
    • “Super Chat” অপশনটি চালু করতে হবে।
    • লাইভ স্ট্রিমে দর্শকদের অনুপ্রাণিত করতে পারেন, যাতে তারা সুপার চ্যাট বা স্টিকার কিনতে আগ্রহী হয়।

আরও পড়ুন :  টেলিগ্রাম থেকে কিভাবে আয় করা যায়? 

২. ফ্যান সাবস্ক্রিপশন (Channel Memberships):

ইউটিউব চ্যানেল মেম্বারশিপ হলো ক্রিয়েটরদের জন্য একটি পদ্ধতি যেখানে সাবস্ক্রাইবাররা মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি প্রদান করে মেম্বার হতে পারেন এবং বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন।

ক. চ্যানেল মেম্বারশিপের বৈশিষ্ট্য:

  • মেম্বারশিপ সুবিধা: মেম্বাররা বিশেষ ইমোজি, ব্যাজ, এক্সক্লুসিভ ভিডিও, লাইভ চ্যাট, কমিউনিটি পোস্ট, এবং আরও অন্যান্য সুবিধা পেতে পারেন।
  • বিভিন্ন টিয়ার: আপনি ভিন্ন ভিন্ন টিয়ার বা লেভেল তৈরি করতে পারেন, যেখানে প্রত্যেক লেভেলের জন্য আলাদা আলাদা ফি এবং পুরষ্কার নির্ধারণ করতে পারেন।

খ. চ্যানেল মেম্বারশিপ কিভাবে চালু করবেন:

  • আপনার চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু থাকতে হবে
  • চ্যানেলে কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
  • “Memberships” অপশনটি চালু করতে হবে এবং মেম্বারশিপ লেভেল ও সুবিধাগুলো কাস্টমাইজ করতে হবে।
  • মেম্বারদের জন্য এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন যা কেবল মেম্বাররা দেখতে পাবেন।

গ. মেম্বারশিপ প্রমোশন:

  • আপনার ভিডিওতে এবং চ্যানেলের হোমপেজে মেম্বারশিপ এর সুবিধাগুলো প্রচার করতে পারেন।
  • মেম্বারদের জন্য বিশেষ লাইভ স্ট্রিমিং সেশন বা প্রশ্ন উত্তর সেশন আয়োজন করতে পারেন।

৩. কেন ক্রাউডফান্ডিং ফ্যান সাবস্ক্রিপশন গুরুত্বপূর্ণ

  • স্বাধীনতা: বিজ্ঞাপন ছাড়াও অন্যভাবে আয় করার সুযোগ থাকে।
  • ভক্ত তৈরি: সক্রিয় ভক্তরা কনটেন্টের সাথে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত থাকে এবং কনটেন্ট তৈরিতে অনুপ্রেরণা যোগায়।
  • নিয়মিত কনটেন্ট তৈরির সুযোগ: আর্থিক সহযোগিতা থাকলে আপনি আরও বেশি ও মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে আরও ভালভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন।

ইউটিউব শপিং ফিচার কিভাবে কাজ করে?

ইউটিউব শপিং ফিচার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে তাদের ভিডিও বা লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে পণ্য প্রদর্শন এবং বিক্রির সুযোগ করে দেয়।

এই ফিচারটি ব্যবহার করে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সরাসরি দর্শকদের কাছে তাদের পণ্য প্রদর্শন করতে পারেন, যার ফলে দর্শকরা সহজেই পণ্যগুলো কিনতে পারেন।

এটি একটি কার্যকর ফিচার যেখানে ভিডিও কন্টেন্টের সাথে ই-কমার্স ফিচার যুক্ত করা যায়।

ইউটিউব শপিং ফিচার কিভাবে কাজ করে?

১. ইন্টিগ্রেশন

  • ইউটিউব শপিং ফিচারের জন্য ক্রিয়েটরদের একটি বৈধ মার্চেন্ট প্ল্যাটফর্ম (যেমন Shopify, Teespring, Spreadshop, Merchbar ইত্যাদি) এর সাথে ইউটিউব চ্যানেলকে যুক্ত করতে হয়।
  • পণ্যগুলো ইউটিউব স্টুডিওতে যুক্ত করার জন্য আপনাকে ইউটিউবের মার্চেন্ট সেন্টারের সাথে আপনার ই-কমার্স স্টোর যুক্ত করতে হবে।

২. পণ্য যোগ করা

  • আপনার ভিডিও বা লাইভ স্ট্রিমে পণ্য প্রদর্শন করতে, ইউটিউব স্টুডিওতে গিয়ে ভিডিও এডিটরের মাধ্যমে “Shopping” ট্যাবে পণ্য যোগ করতে পারেন।
  • এখানে একাধিক পণ্য যোগ করা যায় এবং প্রতিটি পণ্যের নাম, মূল্য, ছবি, ও বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া যায়।

৩. প্রোডাক্ট শেলফ

  • পণ্যগুলো “Product Shelf” নামে একটি সেকশনে দেখানো হয়, যা আপনার ভিডিওর নিচে বা লাইভ স্ট্রিম চলাকালীন পর্দায় প্রদর্শিত হয়।
  • দর্শকরা এই প্রোডাক্ট শেলফ থেকে সরাসরি পণ্য দেখতে ও কিনতে পারেন।

৪. ইন্টারেক্টিভ কার্ড

ভিডিওর সময়সূচীতে “পণ্য কার্ড” যোগ করা যায়, এটি দর্শকদের সেই নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে এবং তারা “Buy Now” বা “Learn More” বাটনে ক্লিক করে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।

৫. লাইভ স্ট্রিমিংয়ে শপিং

  • লাইভ স্ট্রিম চলাকালীন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা পণ্য সম্পর্কে যাবতীয় বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে দর্শকদের পণ্য কিনতে উৎসাহিত করতে পারেন।
  • দর্শকরা লাইভ স্ট্রিমের সময় প্রদর্শিত পণ্যগুলোতে ক্লিক করে সরাসরি পণ্য কিনতে পারেন।

৬. ইউটিউব এনালিটিক্স

  • ইউটিউব স্টুডিও এর মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিও বা লাইভ স্ট্রিমের শপিং পারফরম্যান্স ট্র্যাক করতে পারবেন।
  • কতজন দর্শক পণ্য দেখেছেন, কতজন ক্লিক করেছেন এবং কতজন পণ্য কিনেছেন তার পরিসংখ্যান দেখানো হয়।

ইউটিউব শপিং ফিচারের জন্য যেসব শর্ত মেনে চলতে হবে 

১. যোগ্যতা (Eligibility):

  • চ্যানেলে মনিটাইজেশন চালু থাকতে হবে এবং ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের (YPP) সদস্য হতে হবে।
  • চ্যানেলে কমপক্ষে ১০,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে (কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে)।
  • চ্যানেলটি ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন এবং মনিটাইজেশন নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

২. মার্চেন্ট প্ল্যাটফর্ম:

  • ইউটিউব অনুমোদিত মার্চেন্ট প্ল্যাটফর্মের সাথে চ্যানেল যুক্ত করতে হবে যেমন Shopify, Spreadshop ইত্যাদি।

৩. পণ্যের ধরণ:

  • ইউটিউবের পলিসি অনুযায়ী বৈধ পণ্য নিয়ে ভিডিও করতে হবে। আপত্তিকর বা নিষিদ্ধ পণ্য প্রদর্শন করা যাবে না।

ইউটিউব শপিং ফিচারের সুবিধা

কনটেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক পণ্য বিক্রি: ভিডিও কন্টেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট পণ্য প্রদর্শন করা যায়, যা দর্শকদের জন্য পণ্য কেনা সহজ করে তোলে।

ব্র্যান্ডের পরিচিতি বৃদ্ধি: পণ্যের সাথে ভিডিও কন্টেন্টকে সংযুক্ত করে ব্র্যান্ডের পরিচিতি এবং বিক্রয় বাড়ানো যায়।

বিকল্প আয়ের উৎস: ভিডিও ভিউয়ের পাশাপাশি পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ তৈরি হয়।

ইউটিউব শপিং ফিচার ব্যবহার করে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের কনটেন্টের সাথে সরাসরি ই-কমার্স ইন্টিগ্রেশন করতে পারেন এবং আরও একটি নতুন আয়ের উৎস হিসেবে এটাকে ব্যবহার করতে হবে।

ইউটিউব এর মাধ্যমে কত ভিউ এর জন্য কি পরিমাণ আয় করা যায়?

ইউটিউব থেকে আয় এর পরিমাণ নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর। সাধারণত ইউটিউবে আয় নির্ধারণের জন্য RPM (Revenue Per Mille) এবং CPM (Cost Per Mille) এই দুটি মেট্রিক ব্যবহার করা হয়।

RPM এবং CPM নির্ধারণ করে ইউটিউব আপনাকে কি পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে। তবে শুধু ভিউয়ের সংখ্যা কেবল একটি ফ্যাক্টর, এছাড়া আরও ফ্যাক্টর আছে যেমন বিজ্ঞাপনের ধরণ, কনটেন্টের ধরণ, দর্শকের অবস্থান ইত্যাদিও আয়ের উপর প্রভাব ফেলে।

. CPM (Cost Per Mille):

  • CPM হলো প্রতি ১,০০০ ইমপ্রেশন বা বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য বিজ্ঞাপনদাতা কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে চাচ্ছেন।
  • সাধারণত CPM নির্ধারণ হয় বিজ্ঞাপনের ধরণ, ভিউয়ারদের অবস্থান এবং কনটেন্টের প্রাসঙ্গিকতা অনুযায়ী।
  • CPM এর পরিমাণ সাধারণত $১ থেকে $১০+ পর্যন্ত হতে পারে, তবে এর পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে যদি আপনি নির্দিষ্ট এবং উন্নত দেশকে টার্গেট করে কনটেন্ট তৈরি করেন (যেমন, USA, Canada, UK)।

. RPM (Revenue Per Mille):

  • RPM হলো প্রতি ১,০০০ ভিউ থেকে আপনি কত আয় করছেন তা বোঝায়। এটি মোট আয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়, যেখানে অ্যাড রেভিনিউ, ইউটিউব প্রিমিয়াম রেভিনিউ, চ্যানেল মেম্বারশিপ, সুপার চ্যাট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
  • সাধারণত RPM এর পরিমাণ $১ থেকে $৫ পর্যন্ত হতে পারে, তবে এটি আবার ভিউয়ারের দেশের অবস্থান, ভিডিওর ধরণ এবং কনটেন্টের এনগেজমেন্টের উপর নির্ভর করে।

 উদাহরণ:

  • CPM উদাহরণ: আপনার ভিডিওতে ১০,০০০ বার বিজ্ঞাপন দেখা হয়েছে এবং আপনার CPM যদি $৪ হয়, তাহলে: Revenue=  = 40 USD
  • RPM উদাহরণ: আপনার ভিডিওতে ১০,০০০ ভিউ হয়েছে এবং আপনার RPM যদি $২ হয়, তাহলে: Revenue=   = 20 USD

অন্যান্য ফ্যাক্টর:

  • ভিউয়ারদের অবস্থান: উন্নত দেশ থেকে ভিউ এলে CPM ও RPM বেশি হয়।
  • কনটেন্টের ধরণ: ফাইন্যান্স, টেকনোলজি, এডুকেশন ইত্যাদি বিষয়ভিত্তিক ভিডিওর CPM সাধারণত বেশি হয়।
  • কনটেন্টের দৈর্ঘ্য: ভিডিও যত বেশি সময়ের হয়, তত বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যায়, ফলে আয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য কত ভিউ এর প্রয়োজন?

ইউটিউব এডসেন্স থেকে আয় শুরু করার জন্য কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার লাগবে এবং বিগত ১ বছরে ৪,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।

ইউটিউব ১ ভিউ এর জন্য কত প্রদান করে?

ইউটিউব প্রতি ভিউ এর জন্য ০.০০২ – ০.০১২ ডলার প্রদান করে। দেশ, সময় এবং কন্টেন্টভেদে এর তারতম্য হতে পারে।

প্রতি ১ হাজার ভিউ এর জন্য ইউটিউব কত প্রদান করে?

১ হাজার ভিউ এর জন্য ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন ২-১২ ডলার প্রায়। এক্ষেত্রে একটা নিয়ম আছে, বিজ্ঞাপন দাতার ইউটিউবকে ১ হাজার ভিউ এর জন্য জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করে তার ৪৫% ইউটিউব নিয়ে নেয় এবং ৫৫% কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রদান করে।

১ মিলিয়ন ভিউ এর জন্য ইউটিউব কত প্রদান করে?

আপনার কন্টেন্ট যদি ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউ পায় তাহলে আপনি ২ হাজার থেকে ১২০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

একজন নতুন ইউটিউবার হিসেবে আপনি কত আয় করতে পারবেন?

একজন নতুন ইউটিউবার হিসেবে আপনাকে প্রথম দিকে অনেক ধৈর্য্য ধরতে হবে। নিয়মিত তথ্যবহুল এবং এনগেজিং কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। একজন ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার সমৃদ্ধ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মাসে ৩০-৩০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

ইউটিউব শর্ট ভিডিও এর জন্য অর্থ প্রদান করে?

ইউটিউব তার নীট আয়ের ৪৫% শর্টস (Sgorts) মনিটাইজিং কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রদান করে থাকে।

১ লাখ সাবস্ক্রাইবার থাকলে ইউটিউব থেকে মাসে কত আয় করা যায়?

আপনার যদি ১ লাখ সাবস্ক্রাইবার থাকে তাহলে আপনি মাসে গড়ে ১ থেকে ৫ হাজার ডলার আয় করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে টাকা তোলার উপায় কি?

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় হচ্ছে আপনাকে এডসেন্স একাউন্ট থাকতে হবে। আপনার একাউন্ট যখন ১০০ ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাবে তখন আপনি ইউটিউব থেকে টাকা তুলতে পারবেন। বাংলাদেশ এডসেন্স থেকে টাকা আনার উপায় হচ্ছে ব্যাংক ট্রান্সফার। আপনি যে একাউন্টটি এডসেন্স এ যুক্ত করবেন সেই একাউন্টে এডসেন্স কর্তৃপক্ষ টাকা পাঠাবে।

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়?

অনেকেই ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার বিষয়ে আমাদের প্রশ্ন করেন। আসলে ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করা যায় না।আপনি অন্য কারো ভিডিও যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল এ আপলোড করেন তাহলে সেটি কপিরাইট লঙ্ঘন হবে।

তবে আপনি চাইলে কয়েকটা ভিডিও নিয়ে সেগুলো কাট করে ক্রিয়েটিভ কোন ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন। এছাড়া ইউটিউবে লাইভে এসে কথা বলেও ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments