আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যাচ্ছেন? তাহলে ফ্রিল্যান্সিং স্কিল সম্পর্কে জানা আপনার জন্য খুবই অপরিহার্য। অনেক ফ্রিল্যান্সার তাদের প্রয়োজনীয় ফ্রিল্যান্সিং স্কিল সম্পর্কে কোন প্রকার আইডিয়া না না নিয়েই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করে যার কারণে তাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সুখকর হয় না।
তাই ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে হলে আপনার অবশ্যই নিম্নে আলোচিত স্কিলগুলো আপনার থাকা উচিত। যদি অভাব থাকে তাহলে প্রয়োজন হলে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করে শিখে তারপর ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনার যেসব ফ্রিল্যান্সিং স্কিল লাগবে
১. টেকনিক্যাল স্কিল (প্রযুক্তিগত দক্ষতা)
প্রযুক্তিগত দক্ষতার বিষয়টি নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের কাজ করতে চান তার উপর। নিচে জনপ্রিয় কিছু স্কিলের উদাহরণ দেওয়া হলো:
ডিজিটাল মার্কেটিং
ফ্রিল্যান্সিং স্কিলগুলোর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিংকে এগিয়ে রাখতেই হবে। ডিজিটাল এই যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া বিশাল পরিমাণ গ্রাহকের কাছে পণ্য বা সেবা পৌঁছে দেওয়া খুবই কঠিন ও ব্যয়বহুল বটে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটারের চাহিদাও অনেক। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন তারা অনেক কাজ পাবেন এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপাদান হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম পেজে ওয়েবপেইজ নিয়ে আসতে এবং প্রচুর ট্রাফিক এর জন্য এসইও এর কোন বিকল্প নেই। তাই এই কাজের প্রচুর চাহিদা আছে। তাই এসইও শিখে আপনি ভাল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
কন্টেন্ট মার্কেটিং হচ্ছে কন্টেন্ট এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে ব্র্যান্ডের বিষয়ে মেসেজ পৌঁছে দেওয়া। এই মার্কেটিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে পণ্য বা সেবার ভাল দিকগুলো এমনভাবে তুলে ধরা যাতে ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকের ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয় যা তাকে প্রকৃত গ্রাহকে পরিণত করতে পারে। বর্তমানে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে আপনি যদি এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না।
এছাড়া ইমেইল মার্কেটিং এ দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX)
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইনারদের কাজ হচ্ছে বিজনেস ক্লায়েন্টদের প্লাটফর্ম ব্যবহার অভিজ্ঞতা সহজ করা। ক্লায়েন্টরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য, অ্যাপ বা সার্ভিস ব্যবহার করে যেন সন্তুষ্ট হয় সেটি নিশ্চিত করা UX ডিজাইনারদের কাজ।
ডিজিনাইনাররা এমনভাবে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এর ডিজাইন করে যেখানে ব্যবহারকারীরা ওয়েব বা অ্যাপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয় না, কোন কিছু ক্রয় করলে চেকআউট অভিজ্ঞতা ভাল থাকে, সুবিন্যস্ত তথ্যভান্ডার এবং সহজবোধ্যতা ক্লায়েন্টকে ব্র্যান্ড সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করে। UX দক্ষতা অর্জন করে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ভাল পরিমানে আয় করতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে অবশ্যই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টুইটার(X), টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, কোরা ইত্যাদি প্লাটফর্ম ব্যবহারে খুবই দক্ষ হতে হবে।
ক্লায়েন্টরা তাদের বিজনেস একাউন্ট বা পেজ পরিচালনার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হায়ার করে থাকে। ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী এনগেজিং পোস্ট তৈরি করে এবং অনুসারীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। ব্র্যান্ড সম্পর্কে অনুসারীদের বিভিন্ন পরামর্শের উত্তর প্রদান করে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স স্কিল
ফ্রিল্যান্সিং স্কিল এর মধ্যে এআই স্কিল অন্যতম। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে সারা পৃথিবীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জয়জয়কার চলছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তাদের কাজকর্ম দ্রুত ও কার্যকরভাবে সম্পন্ন করার জন্য এআই ডেভেলপমেন্ট এর পেছনে প্রচুর বিনিয়োগ করছে।
আপনি যদি এআই স্কিল ডেভেলপ করে ফ্রিল্যান্স মার্কেটে প্রবেশ করেন তাহলে আপনি অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকবেন। যেহেতু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এআই ব্যবহারে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে তাই এখানে প্রচুর স্কোপ তৈরি হচ্ছে। তাই আপনি যদি কোডিং প্রোগ্রামিং ভাল বুঝেন তাহলে এআই নিয়ে ভাল করে জানুন। কিভাবে এআই ব্যবহার করে দ্রুত বিভিন্ন ধরণের সেবা দেওয়া যায় সেগুলো সম্পর্কে জেনে মার্কেটে আসুন।
ডেটা এনালিস্ট
ডেটা এনালিস্ট ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টের বিশাল পরিমান ডেটা বিশ্লেষণ করে ডেটা ট্রেন্ড, গ্রাহকের আচরণ বা অন্যান্য ব্যবসার সাথে তুলনা করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করে।
ডেটা এনালিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী কোম্পানিগুলো তাদের দৈনন্দিন কার্ক্রম পরিচালনাএবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশল বাস্তবায়ন করে থাকে। এই কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এই ধরণের কাজ করতে হলে আপনাকে ডেটা ট্রেন্ড এনালাইসিস কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে হবে। নিয়মিত বিভিন্ন ডেটা নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
বিজনেস কনসালটেন্ট
একজন বিজনেস কনসালটেন্ট হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ করতে হলে আপনাকে বিজনেস সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানতে হবে। একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই বিজনেস হতে হবে। বিজনেস অপারেশন, প্রজেক্ট কস্টিং, প্রোডাক্ট কস্টিং, বিজনেস রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে এসব কাজের রেট সবসময় অনেক বেশি থাকে।
পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার
পাবলিক রিলেশন ম্যানেজাররা কোম্পানির জন্য মিডিয়ার সাথে এমনভাবে যোগাযোগ কৌশল তৈরি করে যার ফলে গ্রাহকদের কাছে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়। পিআর ম্যানেজারদের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে প্রেস রিলিজ তৈরি করা, বিভিন্ন মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ করা এবং প্রতিষ্ঠানের নাম কোন নেতিবাচক সংবাদ বের হলে সেটা মোকাবিলা করা।
কোম্পানিগুলো আজকাল তাদের পিআর এর জন্য ফ্রিল্যান্সার হায়ার করছে। আপনার যদি মিডিয়াতে ভাল যোগাযোগ থাকে তাহলে পিআর হিসেবে কাজ করতে পারেন।
গ্রাফিক ডিজাইন
গ্রাফিক ডিজাইনে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সেটি আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে অনেক এগিয়ে রাখবে। একজন ডিজাইনার যখন সুন্দর করে ডিজাইন করে তাদের সার্ভিসগুলো ক্লায়েন্টের সামনে উপস্থাপন করে তখন সেটি সহজে ক্লায়েন্টের নজর কাড়ে।
ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে প্রচুর গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ পাওয়া যায়। গ্রাফিক ডিজাইনে স্কিল ডেভেলপ করতে পারলে আপনি ভাল পরিমাণ আয় করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালে অভিজ্ঞতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্ণ গাইডলাইন।
২. কমিউনিকেশন স্কিল (যোগাযোগ দক্ষতা)
ফ্রিল্যান্সিং স্কিলসমূহের মধ্যে যোগাযোগ দক্ষতা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। ক্লায়েন্টের সাথে ইংরেজিতে বা তার ভাষায় সরাসরি সাবলীলভাবে কথা বলতে পারা এবং দ্রুত শুদ্ধ বাক্যে লিখে যোগাযোগ করতে পারলে আপনি ফ্রিলান্সিং এ ভাল করতে পারবেন।
অনেক সময় দেখা যায় কোন ফ্রিল্যান্সার হয়তো কাজের ক্ষেত্রে খুব ভাল না কিন্তু মৌখিক এবং লিখে যোগাযোগে খুব দক্ষ তখন ক্লায়েন্ট তার সাথে কাজ করতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে। তাই ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে আপনাকে যোগাযোগে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
৩. টাইম ম্যানেজমেন্ট (সময় ব্যবস্থাপনা)
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একাধিক প্রকল্পের ডেডলাইন ম্যানেজ করা গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো কাজ জমা দিতে হলে আপনাকে সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় ভিন্ন টাইমজোনের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করার জন্য। আপনি বাংলাদেশে যখন সকালে কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রে তখন হয়তো রাত। এভাবে ভিন্ন টাইমজোনের সাথে মিলিয়ে আপনাকে সময়মতো কাজ শেষ করে ডেলিভারি দিতে হবে। সময়মতো কাজ ডেলিভারি দেওয়া ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ সময়মতো কাজ ডেলিভারি দিতে না পারলে ক্লায়েন্ট আপনার সাথে চাইলেই চুক্তি ক্যান্সেল করতে পারে।
৪. নেগোসিয়েশন ও মার্কেটিং স্কিল
ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে থাকে ২ ভাবে, ১. ঘন্টা ভিত্তিক রেট ২. ফিক্সড প্রাইস ভিত্তিক। ঘন্টা ভিত্তিক কাজে আপনাকে ঘন্টা হিসেবে করে পেমেন্ট দেওয়া হবে এবং ফিক্সড প্রাইস ভিত্তিক পদ্ধতিতে আপনাকে প্রজেক্ট শেষ হলে পেমেন্ট দিবে আবার অনেক ক্ষেত্রে মাইলস্টোন অর্জন করার পর ভেঙে ভেঙে পেমেন্ট দেওয়া হয়।
আপনার যদি ভাল দরকষাকষি করার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি ক্লায়েন্টের দেওয়া রেট এর চেয়ে আরো বেশি আয় করতে পারবেন।
ধরেন আপনার একটা কাজে অনেক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা আছে। আপনি ক্লায়েন্টের কাজে সেই ধরণের কাজে আবেদনের সময় দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার কথা বলে কিছু প্রাইস বাড়িয়ে নিতে পারেন। আপনাকে বেশি অর্থ দিলে ক্লায়েন্ট কিভাবে উপকৃত হবে সেটা সুন্দর করে বুঝিয়ে বলুন তাহলে ক্লায়েন্ট বিরক্তও হবে না আবার বেশি অর্থ প্রদান করতে চাইবে।
ফ্রিল্যান্সিং স্কিল এর মধ্যে মার্কেটিং স্কিল একটা বড় ফ্যাক্টর। আপনার মত হাজারো ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেসে এসে কাজ খুঁজছে এবং এর ফলে আপনি প্রচুর প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবেন।
এই বিশাল প্রতিযোগিতার মধ্যে কাজ যোগাড় করার জন্য নিজেকে মার্কেটিং করতে হবে অর্থাৎ ক্লায়েন্টের কাছে নিজেকে বিক্রি করতে হবে। নিজের দক্ষতাগুলো এবং অতিত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এমনভাবে নিজেকে মার্কেটিং করতে যাতে ক্লায়েন্ট আপনাকেই তার কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি যোগ্য মনে করে।
৫. ক্লায়েন্ট সম্পর্ক ও নেটওয়ার্কিং
ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে হলে ক্লায়েন্টদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা এবং নেটওয়ার্কিং দক্ষতা দরকার। ক্লায়েন্টদের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক বজায় রাখতে পারলে কাজ পাওয়া অনেক সহজ হয়।
আপনি যখন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করবেন তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে নিয়মিত কাজ পেতে হলে নেটওয়ার্কিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনাকে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারের সাথে নেটওয়ার্ক গড়তে হবে। তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলে তাদের কাছ থেকেও আপনি অনেক কাজের অফার পেতে পারেন। তাই ফ্রিল্যান্সিং স্কিল এর মধ্যে আমি ক্লায়েন্ট সম্পর্ক এবং নেটওয়ার্কিং কে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
৬. ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে জ্ঞান
অনেক ফ্রিল্যান্সার তাদের ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে খুব একটা ধারণা না নিয়েই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে চলে আসে। এর ফলে তারা ফ্রিল্যান্সিং ভাল করতে পারে না।
ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল করতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার কাজের ক্ষেত্র সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। আপনার দক্ষতার সাথে মিলে এমন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে। আপনার ফ্রিল্যান্সিং স্কিল কি এবং কোথায় কাজে লাগবে সেটা খুঁজে বের করতে হবে এবং সেখানে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এমন ৬ টি কাজ
ফ্রিলান্সিং কিভাবে শিখবো?
অনেকেই আমাদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো প্রশ্ন করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং শিক্ষার জন্য অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে চান। আসলে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে হবে বিষয়টা এমন নয়। আপনার যদি উপরে আলোচ্য ফ্রিল্যান্সিং স্কিলগুলো থাকে তাহলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আপনার মনে হয় আপনার স্কিল এর অভাব আছে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো?
ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারেন। দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স চালু করেছে। সেখান থেকে আপনি পেইড বা বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারবেন। নিচে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করার এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হলো:
- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
- BASIS Institute of Technology & Management (BITM)
- ১০ মিনিটস স্কুল
- CodersTrust Bangladesh
- Eshikhon
- Creative IT Institute
বিদেশি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করার প্রতিষ্ঠান
- Udemy
- Coursera
ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
আপনি যদি ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে চান তাহলে ইউটিউব হচ্ছে অন্যতম মাধম। ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে আপনি শত শত ভিডিও পাবেন। এগুলো মন দিয়ে দেখলে এবং সেভাবে চর্চা করলে অবশ্যই আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ ভাল করবেন।