গুগল কোর ওয়েব ভাইটালস (Core Web Vitals) কি?
গুগল কোর ওয়েব ভাইটালস (Core Web Vitals) হল এমন একটি সূচক সেট, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এবং ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্সের মূল দিকগুলো পরিমাপ করে। গুগল এটি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড, ইন্টারেকশন এবং ভিজ্যুয়াল স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন করে। গুগল এই সূচকগুলোকে র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করে, যার মানে হলো আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স সরাসরি সার্চ র্যাঙ্কিংকে প্রভাবিত করতে পারে।
কোর ওয়েব ভাইটালস (Core Web Vitals) এর তিনটি প্রধান সূচক
১. Largest Contentful Paint (LCP)
LCP পরিমাপ করে যে একটি ওয়েবপেজের সবচেয়ে বড় কনটেন্ট (যেমন ছবি বা টেক্সট ব্লক) পুরোপুরি লোড হতে কত সময় লাগে।
আদর্শ সময়: 2.5 সেকেন্ডের মধ্যে LCP হওয়া উচিত। এর বেশি সময় লাগলে ওয়েবপেজ ধীর বলে বিবেচিত হয়।
ওয়েবসাইট দ্রুত লোড করার জন্য যা করতে হবে:
- ইমেজ কমপ্রেস করুন।
- ফাস্ট ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করুন।
- CSS এবং JavaScript ফাইল মিনিফাই করুন।
২. First Input Delay (FID):
FID পরিমাপ করে যে ব্যবহারকারীর প্রথম ইন্টারেকশন (যেমন একটি লিঙ্কে ক্লিক করা বা বাটনে চাপ দেওয়া) এবং ব্রাউজারের সেই ইন্টারেকশনের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে কত সময় লাগে।
আদর্শ সময়: 100 মিলিসেকেন্ডের কম হওয়া উচিত। এর বেশি হলে ব্যবহারকারীর ইন্টারেকশন ধীর মনে হবে।
উন্নতির উপায়:
- JavaScript অপ্টিমাইজ করুন এবং অপ্রয়োজনীয় স্ক্রিপ্ট কমানোর চেষ্টা করুন।
- ব্রাউজারের কাজের চাপ কমানোর জন্য কোডকে ভাগ করুন।
৩. Cumulative Layout Shift (CLS):
CLS হল একটি সূচক যা ওয়েবপেজের লোডিংয়ের সময় যে ভিজ্যুয়াল এলিমেন্টগুলো স্ক্রিনে আসে সেগুলো সরে যেতে কম সময় লাগে তা পরিমাপ করে। এটি ব্যবহারকারীর জন্য বিরক্তিকর হতে পারে যদি কোনো টেক্সট, ছবি বা বাটন আচমকা সরতে থাকে।
আদর্শ মান: 0.1 এর কম CLS স্কোর হওয়া উচিত। এর বেশি হলে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা নষ্ট হয়।
উন্নতির উপায়:
- চিত্রের জন্য সঠিক ডাইমেনশন নির্ধারণ করুন।
- বিজ্ঞাপনের জন্য নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ করুন।
- Dynamic content লোডিংয়ের সময় সাবধানতার সাথে প্লেসমেন্ট নিশ্চিত করুন।
আরও পড়ুন : Yoast seo plugin কি? Yoast seo plugin এর ব্যবহার ও ফিচার।
কোর ওয়েব ভাইটালস (Core Web Vitals) এর গুরুত্ব
গুগল কোর ওয়েব ভাইটালসকে সার্চ র্যাঙ্কিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করে। অর্থাৎ, যদি আপনার ওয়েবসাইট এই সূচকগুলোতে ভালো ফলাফল করে, তবে তা সার্চ র্যাঙ্কিংয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি মূলত ওয়েবসাইটের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) উন্নত করার একটি অংশ।
কোর ওয়েব ভাইটালস উন্নত করার টুল:
- Google PageSpeed Insights: এটি ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের কোর ওয়েব ভাইটালস স্কোর পরীক্ষা করতে পারেন।
- Google Search Console: এখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ওভারঅল পারফরম্যান্স এবং কোর ওয়েব ভাইটালস সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট পেতে পারেন।
- Lighthouse: ব্রাউজারে এই টুল ব্যবহার করে আপনার পেজের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করতে পারবেন।
উপসংহার
গুগল কোর ওয়েব ভাইটালস (Core Web Vitals) মূলত ওয়েবপেজের লোডিং টাইম, ইন্টারেকশন, এবং ভিজ্যুয়াল স্থিতিশীলতা পরিমাপ করে। আপনার ওয়েবসাইটের এই সূচকগুলো ভালো হলে, এটি সার্চ র্যাঙ্কিং উন্নত করতে সহায়ক হবে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করবে।