ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চাচ্ছেন কিন্তু ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম জানেন না তাহলে আপনার জন্যই আমাদের এই লেখা । বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার যেসব পদ্ধতি আছে তার মধ্যে ইউটিউব অন্যতম। কিন্তু অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও অনেকে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম না জানার কারণে ইউটিউব থেকে আয় করা শুরু করতে করতে পারছেন না।
ইউটিউব চ্যানেল কি?
ইউটিউব চ্যানেল হলো ইউটিউবের একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা তাদের ভিডিও কনটেন্ট আপলোড, শেয়ার এবং প্রচার করতে পারে। এটা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে আরো সহজভাবে বললে বলা যায় ফেসবুক পেজের কথা। ফেসবুকে আমরা পেজ খুলে যেমন আমরা নিজেদের কন্টেন্ট প্রচার করি তেমনি ইউটিউবে ব্যবহারকারীরা চ্যানেল খোলার মাধ্যমে তাদের কন্টেন্ট অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়।
ইউটিউব চ্যানেলকে ব্যবহারকারীর হোম পেজও বলা যায়। সকল তথ্য প্রদান করার পর একাউন্ট নাম, ব্যক্তিগত পরিচিতিমূলক বর্ণনা, মেম্বারদের আপলোড করা পাবলিক ভিডিও এবং মেম্বারদের অন্যান্য তথ্য থাকলে সেগুলোও চ্যানেলের প্রদর্শিত হয়।
ইউটিউব চ্যানেল এর ফিচার
চ্যানেল ড্যাশবোর্ড
ইউটিউব ষ্টুডিও (Youtube Studio) হচ্ছে চ্যানেল ড্যাশবোর্ড যেখানে আপনি আপনার ভিডিও এবং চ্যানেলের পারফর্মেন্স দেখতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি চলমান ট্রেন্ড, খবর, ইউটিউব প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীদের কমেন্টস দেখতে পারবেন ।
আপনার কোন ভিডিও খুব ভাল ভিউ পাচ্ছে কোন ভিডিও ভিউ কম পাচ্ছে অর্থাৎ পারফর্মেন্স ট্র্যাক করতে পারবেন।
চ্যানেল এনালিটিক্স
চ্যানেল এনালিটিক্সে আপনার ভিডিও এবং চ্যানেল পারফর্মেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত দেখতে পারবেন । এনালিটিক্সের মাধ্যমে আপনি যেসব তথ্য দেখতে পারবেন:
- প্রতিটি ভিডিও এর গড় ভিউ সময়
- প্রতিটি ভিডিওর ভিউ নাম্বার
- চ্যানেল-স্পেসিফিক ভিউ এবং সাব্স্ক্রাইবাররের সংখ্যা
- ভিডিওর যে অংশ থেকে ব্যবহারকারীরা আপনার ভিডিও দেখা বন্ধ করে দিয়েছে সেটি দেখতে পারবেন
- শ্রোতা এবং তাদের পছন্দের বিষয়ে ডেমোগ্রাফিক তথ্য দেখতে পারবেন অর্থাৎ তাদের পছন্দ, অবস্থান, লিঙ্গ, বয়স ইত্যাদি দেখতে পারবেন।
ফিচার্ড ভিডিও
ইউটিউব চ্যানেলে আপনি এক বা ইউটিউবের অনুমোদন সাপেক্ষে একাধিক ফিচার্ড ভিডিও রাখতে পারবেন। এই ভিডিও আপনার চ্যানেলের একেবারে প্রথম দিকে থাকবে।
এই ভিডিও দেখে ইউটিউব ব্যবহারকারীরা আপনার চ্যানেলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পাবে। ফিচার্ড ভিডিওতে আপনি যদি সুন্দর করে সবকিছু উপস্থাপন করতে পারেন তাহলে নতুন সাবস্ক্রাইবার পেতে আপনার সুবিধা হবে।
সাবস্ক্রাইবার
ফেসবুকে যেমন অনুসারী থাকে তেমনি ইউটিউবে অনুসারী থাকে। তবে ইউটিউবে সেটাকে সাবস্ক্রাইবার বলা হয়। যত বেশি সাবস্ক্রাইবার আপনি বানাতে পারবেন তত বেশি আপনার ভিডিও ভিউ বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
মনিটাইজেশন
ইউটিউব আপনাকে চ্যানেল মনিটাইজেশন এর সুযোগ প্রদান করবে । চ্যানেল মনিটাইজ করে আপনি ইউটিউব থেকে আয় করার সুযোগ পাবেন। ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন: ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়। বিস্তারিত গাইডলাইন।
এছাড়া আরো কিছু ফিচার আছে যেমন অনলাইন শেয়ার বাটন , ভিডিও ডেস্ক্রিপশনে লিংক প্রদান ইত্যাদি।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম (ধাপ ১): গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন (যদি না থাকে)
গুগল ডট কম এ গিয়ে “Create Account” এ ক্লিক করুন।
তারপর নিয়ম অনুসারে নাম, ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে গুগল অ্যাকাউন্ট খুলুন। অ্যাকাউন্ট খোলার পর ভেরিফিকেশনের জন্য ফোন নম্বর বা ইমেইল নিশ্চিত করুন।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম (ধাপ ২): ইউটিউবে লগইন করুন
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম এ দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে যা করতে হবে:
- YouTube.com-এ যান। মোবাইল হলে ইউটিউব অ্যাপসে প্রবেশ করুন।
- ডানদিকে উপরে “Sign In” বাটনে ক্লিক করে গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করুন। আপনার যদি একাধিক গুগল একাউন্ট থাকে তাহলে যে মেইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান সেটি দিয়ে লগ ইন করুন ।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম (ধাপ ৩): চ্যানেল তৈরি করুন
১। আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন।
২। “Create a Channel” অপশন সিলেক্ট করুন।
৩। চ্যানেলের নাম দিন (নিজের বা ব্র্যান্ডের নাম) এবং একটি প্রোফাইল ছবি আপলোড করুন। প্রোফাইল ছবি স্কয়ার বা রাউন্ড হবে। রেজ্যুলেশন হবে ৮০০*৮০০ পিক্সেল। ফরম্যাট হচ্ছে JPG, GIF, BMP, or PNG ।
৪। “Create Channel” বাটনে ক্লিক করুন।
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করা
চ্যানেল তৈরী হয়ে যাবার পর আপনাকে ফোন নাম্বার ভেরিফাই করতে হবে। আপনি যদি ফোন নাম্বার ভেরিফাই করেন তাহলে আপনি ১৫ মিনিটের বেশি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন এবং কাস্টম থাম্বনেইল ব্যবহার করতে পারবেন ।
ফোন নাম্বার ভেরিফাই করার জন্য Youtube Studio থেকে সর্ব বামে নিচের দিকে Settings অপশন থেকে Feature Eligibility থেকে intermediate features অপশন থেকে verify phone number অপশন পাবেন ।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম (ধাপ ৪): চ্যানেল কাস্টমাইজ করুন
আপনাকে আপনার চ্যানেল কাস্টমাইজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। চ্যানেলে আপনার পছন্দ অনুসারে ব্যানার বা কাভার ছবি আপলোড করতে পারবেন।
চ্যানেল “About” সেকশনে আপনার চ্যানেলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে লিখুন। তারপর কন্টেন্ট অনুযায়ী ভিডিও ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন।
ইউটিউব চ্যানেল ব্যানার হচ্ছে একটি লম্বা এবং অনুভূমিক (Horizontal) ছবি যা চ্যানেলের হোমপেজের উপরের দিকে থাকে ।
ভিডিও ওয়াটারমার্ক হচ্ছে একটা ছোট ছবি যা ভিডিওর একেবারে নিচের দিকে ডান পাশে থাকে। যখন কোন ব্যবহারকারী ওই ছবিতে ক্লিক করে তখন ইউটিউব তখন তাকে চ্যানেল সাবস্ক্রিপশনে নিয়ে যায়।
আপনি এই ছবিতে আপনার চ্যানেল লোগো বা ব্র্যান্ডিং কন্টেন্ট এর ইমেজ দিতে পারেন ।
চ্যানেল কাস্টমাইজেশন করতে চাইলে: Youtube Studio > Customization > Profile > Banner Image Upload ।
ইউটিউব ব্যানার সাইজ :
- মিনিমাম সাইজ ২০৪৮ * ১১৫২ পিক্সেল
- রেশিও ১৬ : ৯
- ফাইল সাইজ ম্যাক্সিমাম ৬ এমবি
ভিডিও ওয়াটার মার্ক সাইজ:
- ডাইমেনশন ১৫০ * ১৫০ পিক্সেল
- ফাইল ফরম্যাট PNG, GIF (no animations), BMP, and JPEG.
- ফাইল সাইজ ম্যাক্সিমাম ১ এমবি
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম (ধাপ ৫): ইউটিউব চ্যানেল সেটিংস
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী চ্যানেলের সেটিংস ঠিক করে নিন ।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম (ধাপ ৬): ভিডিও আপলোড করা শুরু করুন
ইউটিউব চ্যানেল সেটিংস ঠিক হয়ে গেলে ইউটিউবের উপরের দিকে থাকা “Create” বা ক্যামেরা আইকনে ক্লিক করুন।
তারপর “Upload Video” সিলেক্ট করে ভিডিও আপলোড করুন। ভিডিওতে শিরোনাম, বিবরণ এবং ট্যাগ যুক্ত করুন। সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং চ্যানেলের এসইও করুন।
আরও পড়ুন : এসইও কি? স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইডলাইন
ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্কাইবার বাড়ানোর উপায়
ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর জন্য অনেক ধৈর্য নিয়ে কাজ করতে হবে, মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং সঠিক কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। নিম্নে ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর কিছু কার্যকরী উপায় তুলে ধরা হলো:
১. নিয়মিত মানসম্মত এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করুন
কন্টেন্টকে বলা হয় “রাজা”। সুতরাং আপনার কন্টেন্ট যদি আপনার মানসম্মত হয় তাহলে আপনার সাবস্ক্রাইবার অবশ্যই বাড়বে। ইউটিউব বা অন্য যে কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলেন সবাই চায় কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা যেন তাদের সেট করা স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী অরিজিনাল কন্টেন্ট তৈরী করে। এসব প্লাটফর্মের এলগরিদম এভাবেই তৈরী করা হয় যেখানে অরিজিনাল এবং মানসম্মত কন্টেন্টকে তারা প্রমোট করে।
২. কনটেন্টের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন
কন্টেন্ট এর ধারাবাহিকতা ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর একটি বড় উপায়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নতুন ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করুন। ধারাবাহিকতা থাকলে শ্রোতারা আপনার চ্যানেলের প্রতি আগ্রহী হয়ে সাবস্ক্রাইব করতে পারে। আপনি যে টাইপের কন্টেন্ট তৈরী করেন সে টাইপের কন্টেন্ট তৈরী করার চেষ্টা করুন তাহলে ওই ধরণের কন্টেন্ট এর সাবস্ক্রাইবার বাড়বে ।
৩. কাস্টম থাম্বনেইল তৈরি করুন
ব্যবহারকারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে থাম্বনেইল দেখে ভিডিওতে ক্লিক করে থাকে। তাই আপনি যদি আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ব্যবহার করেন তাহলে ভিডিওতে ক্লিকের পরিমাণ বাড়বে এবং জত বেশি মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে তত বেশি আপনার সাবস্ক্রাইবার বাড়তে থাকবে।
৪. ভিডিওর শিরোনাম এবং বিবরণ অপটিমাইজ করুন
ভিডিওর শিরোনাম বড় একটা ফ্যাক্টর। শিরোনাম দেওয়ার আগে আপনাকে অনেক ভেবে চিন্তা করে দিতে হবে। আপনার কন্টেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক একটি শিরোনাম দিন। বিবরণ অংশে ভিডিওর বিষয়বস্তু সুন্দর করে তুলে ধরুন এবং কীওয়ার্ড ও ট্যাগ যুক্ত করুন যাতে ভিডিও সার্চে আপনার ভিডিওর প্রথম দিকে প্রদর্শন করে।
৫. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সাবস্ক্রাইবার বাড়ান
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আপনি আপনার চ্যানেলের প্রচার করতে পারেন। ফেসবুক, টিকটক, ইন্সটাগ্রাম এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি চ্যানেল প্রচার করতে পারেন।
৬. দর্শকদের মতামতকে গুরুত্ব দিন
দর্শকরা আপনার ভিডিও দেখে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে মন্তব্য করতে পারে । দর্শকদের এসব মতামতকে গুরুত্ব দিন এবং সুন্দর করে প্রশ্নের জবাব দিন।
৭. ভিডিওর শেষে সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ করুন
ভিডিওর প্রথমে এবং শেষে দর্শকদের সাবস্ক্রাইব করতে অনুরোধ করুন। “Call to Action “ ব্যবহার করুন যেমন সাবস্ক্রাইব করুন এবং নোটিফিকেশন বেল অন করুন।
৮. ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন
ইউটিউবে যেসব টপিক ট্রেন্ডিং এ আছে সে ধরণের বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করলে সেটির ভিউ অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যেমন মনে করুন বাংলাদেশ ক্রিকেটে এশিয়া কাপ জিতল তখন দেখবেন আপনি যদি বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট নিয়ে কোন ভিডিও তৈরি করেন তখন সেটির ভিউ অনেক বেশি হবে এবং এর ফলে আপনার সাবস্ক্রাইবার বেড়ে যেতে পারে।
৯. অন্য ইউটিউবারদের সাথে কোলাবোরেশন করুন
অন্যান্য ইউটিউবারদের সাথে কোলাবোরেশান করতে চেষ্টা করুন এর ফলে আপনি সহজেই নতুন দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। তাদের সাথে বিভিন্ন ইভেন্টে যুক্ত হোন। তাদের শ্রোতাদের সাথে কথা বলুন দেখবেন সেখান থেকেও আপনি কিছু সাবস্ক্রাইবার পেয়ে যাবেন।
১০. গিভঅ্যাওয়ে আয়োজন করুন
দর্শকদের জন্য ছোট ছোট পুরষ্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। এর বিনিময়ে সাবস্ক্রাইব এবং শেয়ার করার কথা বলুন।
এছাড়া SEO অপটিমাইজ করে, ভিডিওতে প্লে লিস্ট প্রদর্শন করে এবং লাইভ স্ট্রিমিং করে ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বাড়ানো যায়।
ইউটিউব চ্যানেলের নাম কি ধরণের দেওয়া উচিৎ?
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম তো জানলেন এখন ইউটিউব চ্যানেলের নাম সম্পর্কে কিছু কথা বলবো। একটি ভালো নাম ইউটিউব চ্যানেলের পরিচিতি ও ব্র্যান্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইউটিউব চ্যানেলের নাম নির্বাচন করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখুন:
১. সংক্ষিপ্ত এবং সহজে মনে রাখার মতো ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিন
ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিবেন ছোট এবং সহজ। কঠিন নাম দিতে যাবেন না কারণ স্বভাবিক কারণেই কঠিন নাম মানুষ মনে রাখতে পারে না।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়:
শিক্ষামূলক ইউটিউব চ্যানেলের নাম:
- Your Tutor
- ABC Guidelines
- Learn with (Your Name)
- (Your Name) School
- (Your Name) Training / Study Centre
- ABC Edu
- (Your Name) Academia
- (Your Name) Lecture / Classes
মোটিভেশন ইউটিউব চ্যানেলের নাম:
- Inspiring Minds
- ABC Motivation Channel
- Achievement Technique
- Learn and Motivate
- Meditated Person
- (Your Name) Motivation
- Drive Thrive
২. চ্যানেলের কনটেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিন
আপনার কন্টেন্ট এর সাথে প্রাসঙ্গিক ইউটিউব চ্যানেলের নাম ব্যবহার করুন। এর ফলে শ্রোতাদের আপনার চ্যানেলের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে এবং তারা মনে রাখার চেষ্টা করবে।
যেমন রান্নার চ্যানেল হলে: ” বাংলাদেশি ফুড”, ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত হলে: “খান ডিজিটাল মার্কেটিং ” ইত্যাদি, রহস্যময় ইউটিউব চ্যানেলের নাম: রহস্যের হাতছানি! ইত্যাদি।
৩. ইউনিক নাম ব্যবহার করুন
ইউটিউব চ্যানেল এর নাম দিতে হবে ইউনিক। অন্যরা ব্যবহার করে ফেলেছে এমন নাম পরিহার করুন। ইউনিক নাম আপনার ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়াবে। এক্ষেত্রে আপনার নিজের নাম বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করতে পারেন।
৪. কীওয়ার্ড যুক্ত করুন
আপনার চ্যানেলের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বুঝাতে সহজ হয় এমন কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। উদাহরণ: LearnDigitalMarketing, LearningHubBangla
৫. ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ মাথায় রাখুন
চ্যানেলের নাম এমন রাখুন যাতে ভবিষ্যতে ভিন্ন ধরণের কনটেন্ট যুক্ত করতে পারেন। কারণ আপনি যত বেশি কন্টেন্ট দিবেন আপনার ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার তত বেশি হবে। ধরেন আপনি ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিলেন “এবিসি গাইডেন্স”। তাহলে আপনি এখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আসতে পারবেন। কারণ এখানে নির্দিষ্ট কোন বিষয় উল্লেখ করা হয় নাই।
৬. অক্ষর ও সংখ্যা এড়িয়ে চলুন
নামের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় সংখ্যা বা অক্ষর (যেমন: CoolDude1234) ব্যবহার না করাই ভালো। এগুলো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রফেশনালিজম রাখতে চেষ্টা করুন।
পাঠক জিজ্ঞাসা
মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই?
মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম খুব সহজ। আপনার যদি গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করা না থাকে তাহলে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম:
ইউটিউব অ্যাপে প্রবেশ করুন। তারপর একেবারে নিচের দিকে আপনার প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করুন। তারপর Add account এ ক্লিক করুন। পরবর্তীতে Create Account এ ক্লিক করুন।
আর আপনার যদি গুগল অ্যাকাউন্টে করা থাকে তাহলে ইউটিউব অ্যাপে প্রবেশ করে নিচের দিকে থাকা প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক কোরিন। তারপর Settings থেকে Account এ ক্লিক করুন। Account থেকে General অপশনে ক্লিক করলেই create a YouTube channel অপশন পাবেন। এটাই হচ্ছে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম।
একাধিক ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়?
হ্যাঁ আপনি চাইলে ইউটিবে একাধিক চ্যানেল খুলতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল ডাউনলোড করার উপায়
ইউটিউব চ্যানেল নিজে ডাউনলোড করা যায় না। তবে, চ্যানেলের ভিডিওগুলো ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ডাউনলোড করতে পারেন। এজন্য আপনাকে ভিডিওর নিচে থাকা ডাউনলোড ক্লিক করে ডাউনলোড করতে হবে তবে এটি কেবল অফলাইনে পড়ার জন্য ডাউনলোড করা যায়।
আবার কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন, যেমন যেমন 4K Video Downloader অথবা Y2Mate ব্যবহার করে ভিডিও ডাউনলোড করা যায়। তবে, এটি ইউটিউবের নিয়মবিরুদ্ধ, তাই এসব পদ্ধতি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।