Home Marketing Guidelines কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন?

কিওয়ার্ড রিসার্চ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে টার্গেট করা গ্রাহক কোন ধরণের কিওয়ার্ড লিখে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে সেটি খুঁজে বের করা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কীওয়ার্ড রিসার্চ এর গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।

আপনি যদি কিওয়ার্ড রিসার্চ করে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড খুঁজে বের করতে না পারেন তাহলে আপনার ওয়েবপেজ যেমন সহজে র‍্যাংক করবে না তেমনি আপনার টার্গেট গ্রাহক পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন।

কিওয়ার্ড (Keyword) কি ?

কিওয়ার্ড (Keyword) হলো একটি নির্দিষ্ট শব্দ বা শব্দগুচ্ছ যা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারী ব্যক্তি কোনো কিছু খোঁজার সময় সার্চ ইঞ্জিনে টাইপ করে থাকে। আবার এভাবেও বলা যায় কীওয়ার্ড হচ্ছে এমন শব্দ যা আপনার পেজে বা ওয়েব কন্টেন্ট এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীদের ধারণা প্রদান করে।

যেমন, নিচের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন আমি ইমেইল মার্কেটিং দিয়ে সার্চ করেছি, তাহলে এখানে “ইমেইল মার্কেটিং” হচ্ছে কীওয়ার্ড। যেকোন কন্টেন্ট তৈরি করার আগে আপনাকে অবশ্যই কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।

কীওয়ার্ড কি

কিওয়ার্ড কত প্রকার?

কিওয়ার্ড প্রধানত অনেক ধরণের হতে পারে। নিচে কিওয়ার্ড এর প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. শর্ট-টেইল কিওয়ার্ড (Short-Tail Keywords)

এই ধরণের কীওয়ার্ড ১-২  শব্দের মধ্যে হতে থাকে। এই ধরণের কিওয়ার্ড জেনেরিক হয়ে থাকে। এইসব কিওয়ার্ড এর সার্চ ভলিউম থাকে অনেক বেশি এবং প্রতিযোগিতার পরিমাণও অনেক বেশি। এর ধরণের কীওয়ার্ড এর কনভারসন রেট কম।

শর্ট-টেইল কিওয়ার্ড এর উদাহরণঃ

লোকাল এসইও
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
রক মিউজিক
মাংশের রেসিপি

আপনার ওয়েবসাইট যদি নতুন হয়ে থাকে তাহলে এই ধরণের কিওয়ার্ড দিয়ে র‍্যাংকিং পাওয়া বেশ কঠিন হবে। হাই অথোরিটি ওয়েবসাইটগুলো এই ধরণের কিওয়ার্ড এ সহজে র‍্যাংকিং পেয়ে থাকে।

তবে যেহেতু শর্ট টেইল কিওয়ার্ড জনপ্রিয় কীওয়ার্ড তাই আপনাকে এই ধরণের কীওয়ার্ড ব্যবহার করে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। প্রথম দিকে হয়তো র‍্যাংকিং পেতে দেরি হবে কিন্তু একসময় র‍্যাংকিং পেয়ে গেলে প্রচুর ট্রাফিক পাবেন।

২. লং-টেইল কিওয়ার্ড (Long-Tail Keywords)

৩ বা ততোধিক শব্দ নিয়র গঠিত কিওয়ার্ডগুলোকে সাধারণত লং-টেইল কীওয়ার্ড বলে। এই ধরণের কীওয়ার্ড র‍্যাংকিং করা অন্যান্য কীওয়ার্ড এর তুলনায় তুলনামূলক সহজ। তাই আপনাকে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে প্রাসঙ্গিক লং টেইল কীওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে।

এই ধরণের কিওয়ার্ড ব্যবহার করে মানুষ কোন কিছু সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চায়। অনেকটা ইনফরমেশনাল কিওয়ার্ড এর মত।

লং টেইল কিওয়ার্ড এর উদাহরণ:

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
কিভাবে শরীর সুস্থ রাখা যায়
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম
স্কুল ব্যাগ কোথায় পাওয়া যায়

গুগল কীওয়ার্ড প্ল্যানারসহ অন্যান্য এসইও টুল ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে লং টেইল কীওয়ার্ড খুঁজে পাবেন।

আবার গুগল অটো কমপ্লিট ফিচার ব্যবহার করে আপনি সহজেই লং টেইল কিওয়ার্ড খুঁজে পাবেন। আপনি নিচের ছবির মত কোন কিছু টাইপ করবেন আর গুগল সেখানে লং টেইল কিওয়ার্ডগুলো প্রদর্শন করবে।

লং টেইল কীওয়ার্ড র‍্যাংকিং করা যেমন সহজ তেমনি এইসব কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি টার্গেট গ্রাহক আপনার সাইটে নিয়ে আসতে পারবেন। তাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি আপনার পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে উৎসাহিত করতে পারেন।

৩. ট্রানজ্যাকশনাল কিওয়ার্ড (Transactional Keywords)

ট্রানজেকশনাল কিওয়ার্ড হচ্ছে সেসব কীওয়ার্ড যেগুলো মানুষ সুনির্দিষ্ট কোন কিছু করার জন্য ব্যবহার করে থাকে। যেমন এটা হতে পারে কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করা বা কোন ফরমে সাইনআপ করা।

ট্রানজেকশনাল কিওয়ার্ড এর কিছু উদাহরণ:

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স কিনুন
এসইও টুল ক্রয়
বেস্ট হোস্টিং ফর স্মল ওয়েবসাইট
আইফোন ১৫ ক্রয়
ল্যাপটপ প্রাইস ইন বাংলাদেশ

ট্রানজেকশনাল কিওয়ার্ড তৈরি করা খুব সহজ, আপনাকে কিছু শব্দ যোগ করলেই হবে, যেমন ক্রয় করুন, অর্ডার করুন, সাবস্ক্রাইব করুন, ডাউনলোড দিন, ফ্রি ট্রায়াল, quote, ডিসকাউন্ট, বিক্রয়, দাম, coupon ইত্যাদি।

মনে করুন আপনি অনলাইনে কেক বিক্রয় করেন তাহলে “কেক ক্রয়” বা “কেক অর্ডার” হবে আপনার ট্রানজেকশনাল কিওয়ার্ড ।

একজন ক্রেতা কোন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সবকিছু জেনে অন্যান্য পণ্য বা সেবার সাথে তুলনা করে তারপর ক্রয় করতে এসব কীওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ করে থাকে। তাই বিক্রয় বাড়াতে ট্রানজেকশনাল কীওয়ার্ড এর গুরুত্ব অনেক বেশি।

৪. ইনফরমেশনাল কিওয়ার্ড (Informational Keywords)

যখন কোন ব্যক্তি কোন বিষয় বোঝা বা শেখার উদ্দেশ্যে যেসব কিওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে তখন সেই কীওয়ার্ডকে ইনফরমেশনাল কীওয়ার্ড বলে।

ইনফরমেশনাল কিওয়ার্ড তখনই ব্যবহার করা হয় যখন কেউ শিক্ষণীয় কোন বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে। এসব কন্টেন্টে ভিজিটরদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়, সমস্যা সমাধানের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইনফরমেশনাল কিওয়ার্ড এর কিছু উদাহরণ :

বাংলাদেশের ১০ টি দর্শনীয় স্থান
ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আপনাকে যা জানতে হবে
কিভাবে ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করবেন?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
শাক-সবজি খাওয়ার উপকারিতা

৫. কমার্শিয়াল কিওয়ার্ড

সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারী যখন কোন ব্যবসা, পণ্য বা সার্ভিস এর ব্যাপারে সার্চ করে তখন যেসব কীওয়ার্ড ব্যবহার করে সেসব কীওয়ার্ড হচ্ছে কমার্শিয়াল কীওয়ার্ড। সাধারণত কোন পণ্য বা সেবা ক্রয় করার আগে সে বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কমার্শিয়াল কীওয়ার্ড ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা সার্চ করে থাকে।

কমার্শিয়াল কীওয়ার্ড এর কিছু উদাহরণ :

৩০,০০০ টাকা মধ্যে স্মার্টফোন
কক্সবাজারের ১০ টি বেস্ট হোটেল
ইবে’তে কিভাবে ব্যবসা করবো?
সবচেয়ে ভাল ১০ টি এসইও এজেন্সি
এবিসি প্রোডাক্ট রিভিউ

কমার্শিয়াল কিওয়ার্ড এ সাধারণত যেসব সব থাকে:
সবচেয়ে ভাল (Best)
সবচেয়ে সস্তা (Cheapest)
টপ-রেটেড ( Top-rated)
রিভিউ
তুলনা

আপনি আপনার কন্টেন্টে এসবা কীওয়ার্ড ব্যবহার করে কমার্শিয়াল গ্রাহকের কাছে সহজে আপনার কন্টেন্ট পৌঁছে দিতে পারেন।

৬. নেভিগেশনাল কিওয়ার্ড

এই ধরণের কিওয়ার্ড ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা কোন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্ম এর খোঁজ করে থাকে। এই ধরণের কিওয়ার্ড এ কোম্পানি নাম বা ব্যবহারকারীরা সাধারণত যেসব পেজ খুঁজে থাকে সেসব পেজের নাম।

নেভিগেশনাল কীওয়ার্ড এর উদাহরণ:

আপওয়ার্ক লগ ইন
খান গাইডেন্স বিজনেস গাইডলাইনস
অ্যামাজন ব্লগ

এই ধরণের কিওয়ার্ড যারা ব্যবহার করে তারা মূলত কোম্পানি সম্পর্কে জানে কিন্তু কোম্পানির সুনির্দিষ্ট অংশে প্রবেশ করার লিংক জানে না। যেমন একজন অ্যামাজন সম্পর্কে জানে কিন্তু লগ ইন পেজের ঠিকানা জানে না তাই অ্যামাজন লগ ইন কিওয়ার্ড র‍্যাংকিং করাতে পারলে সেটি গ্রাহকের জন্য সুবিধা হবে।

৭. প্রাইমারি কিওয়ার্ড (Primary Keywords)

প্রাইমারি কিওয়ার্ড হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজ কন্টেন্ট সম্পর্কিত সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড যেগুলো আপনি র‍্যাংকিং করাতে চান।

প্রাইমারি কিওয়ার্ডগুলো যখন আপনি যখন আপনার বিভিন্ন কন্টেন্টে যুক্ত করবেন তখন গুগল আপনার ওয়েব কন্টেন্ট এর বিষয়বস্তু বুঝে নিবে এবং সেসব কীওয়ার্ডকে র‍্যাংকিং করবে। আপনি যদি সেগুলো আপনার কন্টেন্টে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করেন যেমন ইউরাল স্লাগ থেকে শুরু করে হেডিং তাহলে সার্চ ইঞ্জিন এই কিওয়ার্ডগুলোকে প্রাইমারি কীওয়ার্ড হিসেবে ধরে নিবে।

৮. সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড (Secondary Keywords)

প্রাইমারি কীওয়ার্ড সম্পর্কিত কিওয়ার্ডগুলো হচ্ছে সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড। এগুলো দিয়ে পেজের সাবটপিক তৈরি করা হয়।

যেমন ইমেইল মার্কেটিং যদি হয় আপনার প্রাইমারি কিওয়ার্ড তাহলে ইমেইল মার্কেটিং টিপস বা কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং শুরু করবেন সেটা হবে সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড ।

সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড গুগল এবং ব্যবহারকারীদের কোন টপিক সম্পর্কে বিস্তৃত পরিসরে জানার সুযোগ করে দেয়। এর ফলে প্রাইমারি কীওয়ার্ড এর সাথে সেকেন্ডারি কীওয়ার্ডগুলোও র‍্যাংক পেতে শুরু করে। এর মধ্যে অনেক কম প্রতিযোগিতাপূর্ণ কিওয়ার্ড থাকে যা সহজে র‍্যাংক পেতে সাহায্য করে। তাই সাবহেডিং এবং বডিতে সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

৯. জিওটার্গেটেড কিওয়ার্ড (Geotargeted Keywords)

কোন নির্দিষ্ট দেশ, শহর বা অঞ্চলকে কেন্দ্র করে এই ধরণের কীওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়। মূলত নির্দিষ্ট এলাকার স্থানীয় ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে এই ধরণের কীওয়ার্ড ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনার ব্যবস্থা করা হয়।

জিওটার্গেটেড কীওয়ার্ডের উদাহরণ:

ঢাকার বিখ্যাত রেঁস্তোরা
কক্সবাজারে শুটকির দোকান
বগুরার বিখ্যাত দই
CNG Filling Station near me

কিওয়ার্ড রিসার্চ কি? 

কিওয়ার্ড রিসার্চ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড (বা কীওয়ার্ড ফ্রেজ) অর্থাৎ ব্যবহারকারীরা সাধারণত যেসব কীওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ করে থাকে এই ধরণের কীওয়ার্ড খুঁজে বের করা।

কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন কীওয়ার্ডগুলি আপনার টার্গেট করা ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করছে এবং সে অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন। এসইও সমৃদ্ধ কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ এর কোন বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন: এসইও (SEO) কি? এসইও স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন।

কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

কীওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword Research) এসইও এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এর মাধ্যমে মূলত সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন এবং আচরণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

নিচে কীওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ন তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:

১. সম্ভাব্য ক্রেতাদের প্রয়োজন বুঝা

আপনার সম্ভাব্য পাঠক বা ক্রেতা কোন ধরণের বিষয় খুজছে সেটি কীওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার কন্টেন্টকে আরো নির্দিষ্ট, প্রাসঙ্গিক এবং কার্যকর করতে পারবেন।

উদাহরণ:
যদি আপনি “ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন” বিষয়ে লিখেন, তবে “মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবো? ” বা “ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো” মতো কিওয়ার্ড আপনাকে সঠিক দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।

২. প্রতিযোগিতার পরিধি বোঝা

কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে আপনি কাদের সাথে কি পরিমাণ প্রতিযোগিতা করতে হবে সে ব্যাপারে ভাল একটা ধারণা পাবেন। ধরেন কিভাবে কাচ্চি রান্না করতে হয় এটা নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করবেন। কীওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে আপনি দেখতে পারবেন কোন ডোমেইনগুলো ইতিমধ্যে এই কীওয়ার্ড এ র‍্যাংক পেয়েছে।

রিসার্চ করে আপনি সহজেই বের করতে পারবেন এই কীওয়ার্ড এর প্রতিযোগিতা কোন পর্যায়ে। এটি কীওয়ার্ড রিসার্চ এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

৩. কম প্রতিযোগিতাসম্পন্ন কন্টেন্ট খুঁজে বের করতে কিওয়ার্ড রিসার্চ সাহায্য করে

এর মাধ্যমে আপনি কোন কন্টেন্টগুলোতে প্রতিযোগিতা কম সেটি ধরতে পারবেন। এর ফলে আপনি যখন কম প্রতিযোগিতাসম্পন্ন কীওয়ার্ড নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করবেন তখন প্রচুর অর্গানিক ট্রাফিক পাবেন।

কীওয়ার্ড প্ল্যানার সহ অন্যান্য এসইও টুল ব্যবহার করে আপনি সহজেই কম প্রতিযোগিতাসম্পন্ন কীওয়ার্ড বের করতে পারবেন।

৪. গুগলের সার্চ ইন্টেন্ট বোঝা 

গুগলের মত সার্চ ইঞ্জিনগুলো প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ওয়েব জগতের প্রাসঙ্গিক এবং বিশ্বাসযোগ্য সোর্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং ব্যবহারকারীদের সার্চ অনুযায়ী সেগুলো প্রদর্শিত করা।

সার্চ ইঞ্জিনের ইন্টেন্ট বুঝতে পারলে আপনি ধরতে পারবেন গুগল কোন কন্টেন্টগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়। আপনি যদি সে অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি র‍্যাংক পাবেন এবং সাইটে ট্রাফিক বাড়াতে পারবেন।

ধরেন, আপনি এসইও টুল হচ্ছে আপনার টার্গেট কিওয়ার্ড এবং এই কিওয়ার্ড দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে চান। আপনি এই কীওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ দিন। সার্চ দেওয়ার পর আপনি গুগলের সার্চ ইন্টেন্ট বুঝতে পারবেন।

আপনি যদি গুগলের প্রথম পেজটি বিশ্লেষণ করেন তাহলে দেখবেন গুগল এসইও টুল নিয়ে তৈরি হয়েছে এমন কন্টেন্টকে প্রাধান্য দিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করেছে। বিশেষ করে যারা এসইও টুল নিক্রয় করছে তাদেরকে র‍্যাংকিং করেছে। তাই আপনি এসইও টুল বিক্রয় না করেন তাহলে এই কীওয়ার্ড এড়িয়ে যান।

এই ক্ষেত্রে আপনি যদি তথ্যবহুল ব্লগ লিখে থাকেন তাহলে আপনি এসইও টুলের তুলনামূলক আর্টিকেল লিখতে পারেন। যেমন বেস্ট এসইও টুল।

৫. কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে নতুন কন্টেন্ট আইডিয়া তৈরি

আপনার হয়তো অনেক কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষমতা আছে কিন্তু আইডিয়ার অভাব আছে।

কিওয়ার্ড রিসার্চ এজন্য প্রয়োজন যে আপনি এর মাধ্যমে নতুন কন্টেন্ট আইডিয়া খুঁজে পেতে পারেন। আপনি যখন রিসার্চ করবেন তখন আপনি আপনার প্রাইমারি কীওয়ার্ড এর পাশাপাশি অন্যান্য সম্পর্কিত কীওয়ার্ড খুঁজে পাবেন। এসব কীওয়ার্ড দিয়ে আপনি নতুন নতুন কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

৬. কনভার্সন বাড়ানো (Conversion)

কিওয়ার্ড নিয়ে সঠিকভাবে গবেষণা করে আপনি যদি ট্রানজেকশনাল কীওয়ার্ড খুঁজে আপনার কন্টেন্টে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার সরাসরি বিক্রয় বা সাবস্ক্রিপশন বৃদ্ধি পাবে।  যেমন”বেস্ট এসইও কোর্স অনলাইন” কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি সম্ভাব্য শিক্ষার্থীকে আকর্ষণ করতে পারেন।

৭. বাজার বিশ্লেষণ ও ট্রেন্ড নির্ধারণ

কিওয়ার্ড রিসার্চ করে করে আপনি জনপ্রিয় এবং ট্রেন্ডি কীওয়ার্ড সম্পর্কে জানতে পারবেন। এর ফলে আপনি প্রাসঙ্গিক এবং সময়োপযোগী কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল

কীওয়ার্ড রিসার্চের জন্য অনেক টুল রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি সঠিক কীওয়ার্ড খুঁজে পেতে পারেন এবং কনটেন্টকে আরও কার্যকর করতে পারেন। নিচে কিছু জনপ্রিয় কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল এবং তাদের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো:

১. Google Keyword Planner

২. Ahrefs Keyword Explorer

৩. SEMrush

৪. Ubersuggest

৫. Moz Keyword Explorer

৬. KeywordTool.io

৭. AnswerThePublic

৮. Google Trends

১০. SpyFu

আরও পড়ুন: ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপাদানগুলো কি কি?

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হয়

.সার্চ ভলিউম

কতজন মানুষ প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড সার্চ করে তা জেনে নেয়া জরুরি। বেশি সার্চ ভলিউম বিশিষ্ট কীওয়ার্ড বেশি ট্রাফিক আনতে পারে। এসইও টুল ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই সার্চ ভলিউম বের করতে পারবেন ।

আমি সেমরাশ তুলে ব্যবহার করে “Digital Marketing” কিওয়ার্ডটির সার্চ ভলিউম বের করে দেখলাম। নিচের ছবিতে দেখুন “Digital Marketing” মার্কেটিং কীওয়ার্ডটির ইউস এ সার্চ ভলিউম এবং গ্লোবাল সার্চ ভলিউম কত তা দেখাচ্ছে এবং এটি সার্চ র‍্যাংকিং করতে কত কঠিন সেটিও দেখাচ্ছে।  ছবিতে দেখা যাচ্ছে এর ডিফিকাল্টি স্কোর ৯৬  অর্থ্যাৎ এই কিওয়ার্ডটি ইউএসএ তে র‍্যাংকি করানো খুব কঠিন।

. প্রতিযোগিতা

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় সংশ্লিষ্ট কীওয়ার্ডের প্রতিযোগিতা কেমন তা দেখতে হবে।

উচ্চ প্রতিযোগিতামূলক কীওয়ার্ডে র‍্যাঙ্ক করানো কঠিন হতে পারে। তবে মাঝারি বা কম প্রতিযোগিতামূলক কীওয়ার্ডগুলি সহজে র‍্যাঙ্ক করানো যায়। নিচের ছবিতে দেখুন Digital Marketing কীওয়ার্ডটির ডিফিকাল্টি স্কোর ৯৬ অন্যদিকে “Digital Marketing Salary” কীওয়ার্ডের ডিফিকাল্টি স্কোর ৫৮ অর্থাৎ এই লং-টেইল কিওয়ার্ডটি আপনি তুলনামূলক সহজে র‍্যাঙ্ক করাতে পারবেন ।

৩.কিওয়ার্ড এর প্রাসঙ্গিকতা

আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু এবং আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য কীওয়ার্ডের প্রাসঙ্গিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল কীওয়ার্ড বেছে নিলে আপনার ওয়েবসাইটে ভুল ব্যবহারকারী আসতে পারে। আবার গুগল সবসময় প্রাসঙ্গিক কন্টেন্টের র‍্যাংকিং করে। ব্যবহারকারীদের সার্চ কোয়েরি অনুযায়ী গুগল সবচেয়ে তথ্যবহুল কন্টেন্টকে ব্যবহারকারীদের সামনে প্রদর্শন করে।

৪. ট্রেন্ড বিশ্লেষণ

কীওয়ার্ডের সার্চ ট্রেন্ড কেমন তা বিশ্লেষণ করা দরকার। সময়ের সাথে কোন কীওয়ার্ডগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়ছে বা কমছে তা দেখতে হবে। Google Trends ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই সার্চ ট্রেন্ড বের করতে পারবেন । নিচের ছবিতে দেখুন বাংলাদেশে বর্তমানে কোন কীওয়ার্ডগুলো ট্রেন্ড এ আছে তা প্রদর্শন করছে ।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে Zimbabwe vs Pakistan কীওয়ার্ডটির বর্তমান সার্চ ভলিউম ৫০ হাজার+ তার মানে এই কীওয়ার্ডটি বর্তমানে খুব বেশি সার্চ হচ্ছে। আপনি যদি এই মুহূর্তে এই কীওয়ার্ড ব্যবহার করে কন্টেন্ট তৈরি করেন তাহলে আপনার কন্টেন্ট প্রচুর ট্রাফিক পাবে।

 

আরও পড়ুন : গুগল কীওয়ার্ড প্ল্যানার টুল কি? এর ফিচার এবং ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। 

মনে করুন “ইকমার্স ব্যবসা কিভাবে শুরু করবো” এই বিষয়ে আপনি একটি কন্টেন্ট তৈরি করতে চান। এখন এই কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন সেটা উদাহরণসহ নিচে আলোচনা করলাম যাতে কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করবেন সে ব্যাপারে আপনার ধারণা আরও পরিষ্কার হয়। 

“ইকমার্স ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন” বিষয়ে একটি কার্যকর ও তথ্যবহুল আর্টিকেল লেখার জন্য সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে উপরোক্ত বিষয়ে কীওয়ার্ড রিসার্চ করবেন তা ধাপে ধাপে উদাহরণসহ তুলে ধরা হলো:

ধাপ : প্রাথমিক কীওয়ার্ড আইডিয়া তৈরি করুন 

প্রথমে আপনাকে চিন্তা করতে হবে কোন কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করে আপনি সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করবেন। এজন্য আপনাকে ৫ থেকে ১০ টি টপিক খুঁজে বের করতে হবে যা আপনার ইকমার্স ব্যবসার সাথে প্রাসঙ্গিক। এগুলো থেকে আপনাকে ঠিক করতে হবে কোন কিওয়ার্ডগুলো আপনি কন্টেন্টে ব্যবহার করবেন।

এজন্য আপনার বিষয়বস্তুর জন্য সম্ভাব্য কিওয়ার্ড এর একটি তালিকা তৈরি করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ভাবতে পারেন:

  • ইকমার্স ব্যবসা শুরু করা
  • অনলাইন শপ খোলার নিয়ম
  • ইকমার্স মার্কেটিং কৌশল
  • ইকমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট এর গুরুত্ব
  • ইকমার্স ব্যবসায় সফল হতে যা করতে হবে

আপনাকে এই পর্যায়ে আপনার গ্রাহক করা সেটি আপনাকে ঠিক করতে হবে এবং সেই গ্রাহকরা কোন ধরণের কীওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগলে সার্চ করছে সেটি বের করতে হবে।

মনে করুন আপনি একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপার। আপনার টার্গেট হচ্ছে সেসব গ্রাহক যারা ইকমার্স ব্যবসা করছে বা করতে চায় এমন লোক। যেহেতু ইকমার্স ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট একটা অন্যতম উপাদান তাই যারা ইকমার্স ব্যবসা করছে তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়।

এখন আপনি যদি ইকমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের গুরুত্ব নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করেন তাহলে আপনি আপনার টার্গেট গ্রাহক ধরতে পারবেন এবং আপনার বিক্রয় বাড়াতে পারবেন।

ধাপ : কিওয়ার্ড টুল ব্যবহার করে সার্চ ভলিউম বের করুন 

Google Keyword Planner, Ubersuggest, Ahrefs, SEMrush বা Moz এর মতো টুল ব্যবহার করে আপনার তালিকায় থাকা কিওয়ার্ড এর সার্চ ভলিউম কেমন সেটা জেনে নিন। সার্চ ভলিউম বের করার সময় সেই কীওয়ার্ড এর ডিফিকাল্টি লেভেল দেখতে পারবেন।

উদাহরণ:

. ইকমার্স ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন:

  • সার্চ ভলিউম: ৫০০ মাসিক সার্চ
  • প্রতিযোগিতা: মাঝারি

. অনলাইন ব্যবসা শুরু করার উপায়:

  • সার্চ ভলিউম: ৮০০ মাসিক সার্চ
  • প্রতিযোগিতা: বেশি

. ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরির টিপস:

  • সার্চ ভলিউম: ৩০০ মাসিক সার্চ
  • প্রতিযোগিতা: কম

এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। আপনার ব্লগের অথরিটি যদি কম থাকে তাহলে আপনার কম প্রতিযোগিতাসম্পন্ন কিওয়ার্ড হিসেবে “ইকমার্স ওয়েবসাইট তৈরির টিপস” নির্বাচন করা উচিত আর যদি হাই অথিরিটিসম্পন্ন ব্লগ হয় তাহলে আপনি “কমার্স ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন” কীওয়ার্ড নির্বাচন করা উচিত।

অথিরিটি স্কোর বেশি থাকলে দ্রুত র‍্যাংকিং পেতে অনেক সুবিধা হয়। তবে অবশ্যই এমন কিওয়ার্ড বেছে নিবেন যেটি আপনার টার্গেট গ্রাহক ব্যবহার করে বা যেটি ব্যবহার করলে আপনি টার্গেট ট্রাফিক ওয়েবসাইটে নিয়ে আস্তে পারবেন।

ধাপ : প্রতিযোগীদের বিশ্লেষণ করুন 

আপনার প্রতিযোগীদের ওয়েবসাইটে কোন ধরনের কিওয়ার্ড ব্যবহার হচ্ছে তা দেখুন। গুগল সার্চে আপনার প্রাথমিক কিওয়ার্ডগুলো লিখে দেখুন শীর্ষ ফলাফলের ওয়েবসাইটগুলো কোন কীওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে র‍্যাঙ্ক করছে। এরপর সেই অনুযায়ী আপনার কিওয়ার্ড পরিকল্পনা করতে পারেন।

উদাহরণ: গুগলে “ইকমার্স ব্যবসা শুরু করা” লিখে সার্চ করুন এবং দেখুন কোন ওয়েবসাইটগুলো প্রথমে আসে। তাদের শিরোনাম, মেটা ডিসক্রিপশন এবং বডিতে কী ধরনের কীওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছে তা বিশ্লেষণ করুন। আপনিও আপনার শিরোনাম, মেটা ডেসক্রিপশন এবং বডিতে সে ধরণের কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন।

ধাপ : কিওয়ার্ড প্রুপ তৈরি করুন 

কীওয়ার্ডগুলিকে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করুন, যেমন:

  • মূল কিওয়ার্ড: ইকমার্স ব্যবসা, অনলাইন ব্যবসা
  • সাপোর্টিং কিওয়ার্ড: ইকমার্স মার্কেটিং, ইকমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • লংটেইল কিওয়ার্ড: বাংলাদেশে ইকমার্স ব্যবসা শুরু করা, ইকমার্স ব্যবসার আইডিয়া

এখন সুচিন্তিতভাবে আপনার টার্গেট কীওয়ার্ডগুলিকে কন্টেন্টের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন একটি কন্টেন্ট একাধিক কীওয়ার্ড এ র‍্যাংক করতে পারে। তাই আপনি যদি প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড কন্টেন্টের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার কন্টেন্ট একাধিক কীওয়ার্ড এর বিপরীতে র‍্যাংক করবে।

ধাপ : সার্চ ইন্টেন্ট বোঝার চেষ্টা করুন 

গুগল নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড এর বিপরীতে কোন কন্টেন্টগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেজ সাজাচ্ছে সেটি বুঝতে হবে। আপনি যেহেতু ইকমার্স নিয়ে কাজ করছেন তাই ধরে নিলাম আপনি ইকমার্স ব্যবসা নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করবেন তাই “ইকমার্স ব্যবসা” নিয়ে সার্চ দিয়ে দেখবেন কোন ওয়েবসাইটের কন্টেন্টকে গুগল র‍্যাংক করছে।  তাদের কন্টেন্টকে কেন গুগল গুরুত্ব দিচ্ছে সেটি খুঁজে বের করুন এবং আপনার নিজের কন্টেন্ট তাদের চেয়ে উন্নত করার চেষ্টা করুন যাতে গুগল আপনাকে অগ্রাধিকার বেশি দেয়।

ব্যবহারকারীরা সার্চ করার সময় কি চাচ্ছে তা বোঝা জরুরি। সার্চ ইঞ্জিনগুলো ব্যবহারকারীদের সার্চ ইন্টেন্টকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনার কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর কতটুকু দিতে পারছে এবং ব্যবহারকারীদের কতটুকু সন্তুষ্ট করতে পারছে এগুলো সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

উদাহরণস্বরূপ, যদি ব্যবহারকারীরা “ইকমার্স ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন” সার্চ করে, তারা ব্যবসা শুরু করার ধাপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছে।

তাই আপনার আর্টিকেলে এই তথ্যগুলো সুনির্দিষ্টভাবে থাকা উচিত। ব্যবহারকারীদের সার্চ ইন্টেন্ট বুঝার জন্য আপনি গুগলে আপনার কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করার সময় দেখবেন নিচে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীরা ওই কিওয়ার্ড সম্পর্কিত অন্যান্য কি সার্চ করছে সেটা দেখাবে।  সে বিষয়গুলো আপনাকে আর্টিকেল লেখার সময় বিবেচনায় রাখতে হবে।

উপসংহার 

এই ধাপগুলো অনুসরণ করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করলে আপনি একটি কার্যকর আর্টিকেল লিখতে পারবেন যা সার্চ ইঞ্জিনে ভালোভাবে র‍্যাঙ্ক করবে এবং আপনার টার্গেট করা পাঠকদের কাছে পৌঁছাবে। মনে রাখবেন এসইও এর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ অত্যন্ত গুরত্বপূর্ন তাই এটিকে অবহেলা করবেন না। যেকোন কন্টেন্ট তৈরি করার আগে অবশ্যই ভাল করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে তারপর কন্টেন্ট তৈরি করুন।

1 COMMENT

  1. অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তবে
    বর্তমান এসইও ফিল্ডে যে পরিবর্তন আসছে,তার সাথে কিভাবে খাপ খাওয়ানো যায়? আপনার মতামত জানতে চাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version