Home Digital Marketing Affiliate Marketing অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর গাইডলাইন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর গাইডলাইন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কী?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের  পণ্য বা সার্ভিস প্রমোট করে কমিশন উপার্জন করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত প্রকার?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রধানত কয়েকটি ভিন্ন প্রকারভেদে বিভক্ত। কার্যপ্রক্রিয়া, সহযোগিতার ধরণ এবং কমিশন মডেলের ওপর ভিত্তি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রকারভেদ নির্ধারিত হয়। নিচে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর প্রধান প্রকারগুলো উল্লেখ করা হলো:

কন্টেন্ট-ভিত্তিক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এখানে ব্লগার, ইউটিউবার এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা বিভিন্ন পণ্য বা সেবার রিভিউ, টিউটোরিয়াল বা পরামর্শমূলক কন্টেন্ট তৈরি করে তার মধ্যে লিঙ্ক শেয়ার করেন। দর্শকরা লিঙ্কের মাধ্যমে যদি কোন পণ্য কিনে তখন কমিশন আয় করা যায়।

ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

ইনফ্লুয়েন্সাররা বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট তৈরি করে বা অ্যাফিলিয়েট পণ্যের গুণাগুণ তাদের ফলোয়ারদের সামনে তুলে ধরে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করেন।

কুপন এবং ডিল সাইট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এই মডেলে বিশেষ কুপন বা ডিল অফার করে ক্রেতাদের মনযোগ আকর্ষণ করা হয়। সাইট যেমন: RetailMeNot বা Coupons.com এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় বাড়াতে চেষ্টা করা হয়।

ইমেইল মার্কেটিং অ্যাফিলিয়েট

ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রচার করা হয়। তবে সরাসরি লিংক প্রচার করতে যাবেন না তাতে আপনার লাভ হবে না। আপনি যে পণ্য বা সেবা প্রচার করছেন সেটি সম্পর্কে রিভিউ কন্টেন্ট তৈরি করুন এবং গ্রাহককে সেটি দেখার আমন্ত্রণ জানান।

পেইড মিডিয়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

ফেসবুক অ্যাডস, গুগল অ্যাডস এর মত পেইড মিডিয়া ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ধরণের অ্যাফিলিয়েট করতে যাবেন না। একটা পর্যায়ে যাওয়ার পরই এই ধরণের খরচ করা যায়।

ডাটা-ড্রাইভেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

গ্রাহকের আচরণ এবং ডাটা বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা তাদের কাছে প্রচার করা হয়। এই ধরণের অ্যাফিলিয়েট কৌশল বেশ কার্যকর।

লয়ালটি প্রোগ্রাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এই মডেলে ক্রেতারা পণ্য কিনলে পয়েন্ট, ক্যাশব্যাক বা ইনসেন্টিভ পান। এই পদ্ধতিতে ক্রেতা ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য যেসব বিষয় জানা জরুরী 

১. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কমিশন মডেল

একেক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম একেক ধরণের কমিশন মডেল ব্যবহার করে থাকে। নিচে অ্যাফিলিয়েট কমিশন মডেল নিয়ে আলোচনা করা হলো :

CPC (Cost Per Click): এই মডেল অনুসারে প্রতি ক্লিকের বিপরীতে কমিশন প্রদান করা হয়।

CPA (Cost Per Action): এই মডেলে কোনো একটি নির্দিষ্ট অ্যাকশন (যেমন: সাইনআপ, সাবস্ক্রিপশন) সম্পন্ন হলে কমিশন প্রদান করা হয়।

CPS (Cost Per Sale): এই মডেল অনুসারে আপনি যখন কোন পণ্য বা সেবা বিক্রি করবেন তখন কমিশন প্রাপ্ত হবেন।

CPM (Cost Per Mille): প্রতি ১০০০ ইমপ্রেশন বা ভিউ অনুসারে অর্থ প্রদান করা হয়। অর্থাৎ আপনি যখন কোন অ্যাফিলিয়েট পণ্য প্রচার করবেন তখন সেটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিউ হলে আয় করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কমিশন মডেল সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কমিশন মডেল সম্পর্কে বিস্তারিত।

২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটে অর্থাৎ অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস এস মতো মধ্যে রয়েছে :

  • অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট,
  • ClickBank,
  • ShareASale,
  • CJ Affiliate

এসব অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট এ যুক্ত হয়ে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম নিজেরাই পরিচালনা করে যেমন Shopify, Bluehost ইত্যাদি।

. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য সঠিক নিশ (Niche) নির্বাচন করা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করার আগে আপনাকে একটি নিশ সিলেক্ট করতে হবে। নিশ সিলেক্ট করার আগে যেসব বিষয় ভাবতে হবে:

  • আপনার আগ্রহ আছে এবং আপনি কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন এমন একটি নিশ বেছে নিন ।
  • চাহিদা আছে এমন একটি নিশ নির্বাচন করুন যাতে আপনার অ্যাফিলিয়েট পণ্য বা সেবাসমূহ বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • জনপ্রিয় নিশগুলোয় কি পরিমাণ প্রতিযোগিতা আছে তা বিশ্লেষণ করে বুঝে নিন আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা কতটুকু।

. অ্যাফিলিয়েট পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর জন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং SEO সম্পর্কে জানতে হবে

অ্যাফিলিয়েট শুরু করলেই হবে না। আপনাকে অ্যাফিলিয়েট পণ্য বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে। ব্লগ, ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, পডকাস্ট ইত্যাদি মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি করুন। কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনার প্রচার করা পণ্য ক্রয় করতে ভিজিটরদের আগ্রহী করে তুলুন।

সার্চ ইঞ্জিনে আপনার কন্টেন্টকে র‍্যাঙ্ক করানোর জন্য  কীওয়ার্ড রিসার্চ করে সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন অন-পেজ SEO কৌশল প্রয়োগ করুন।

ব্লগিং, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক বা পিন্টারেস্টের মত প্ল্যাটফর্মে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক নিয়মিত শেয়ার করুন।

. অ্যাফিলিয়েট বিক্রি বাড়ানোর জন্য ট্রাফিক সোর্স ভিজিটর আনা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফল হতে হলে আপনার প্রয়োজন প্রচুর ট্রাফিক। তাহলে কিভাবে এত ট্রাফিক পাবেন? দুইভাবে আপনি ট্রাফিক পেতে পারেন:

  • অর্গানিক ট্রাফিক: SEO, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ফ্রি ট্রাফিক আনা যায়। যেমন আপনার ওয়েবসাইট যদি সার্চ ইঞ্জিনে হাই র‍্যাংকি পায় তাহলে আপনি ফ্রিতে প্রচুর ভিজিটর পাবেন।  এক রিপোর্টে দেখা গেছে অ্যাফিলিয়েট ট্রাফিকের ৬৯% আসে SEO থেকে।
  • পেইড ট্রাফিক: গুগল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস, ইনস্টাগ্রাম অ্যাডস ব্যবহার করে টার্গেটেড ভিজিটর আনা যায়। পেইড বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগে অবশ্যই এসব বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করে নিবেন।

. অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবস্থাপনা ও ট্র্যাকিং কার্যক্রম জানতে হবে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবস্থাপনা ও ট্র‍্যাকিং বিষয়ে ভালভাবে জানতে হবে।

লিঙ্ক ব্যবস্থাপনা: আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কগুলো কীভাবে সংরক্ষণ এবং প্রমোট করবেন তা শিখতে হবে। লিঙ্কগুলো শর্ট করার জন্য Bitly বা Pretty Links ব্যবহার করতে পারেন।

ট্র্যাকিং: Google Analytics বা অন্যান্য টুল ব্যবহার করে লিঙ্ক পারফরম্যান্স এবং ট্রাফিক সোর্স ট্র্যাক করুন।

বিস্তারিত জানুন : অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবস্থাপনা ও ট্র্যাকিং কিভাবে করবেন?

. কনভার্সন বাড়ানোর কৌশল সম্পর্কে জানা

অ্যাফিলিয়েট কনভার্সন বাড়ানোর জন্য আপনাকে কিছু কৌশল প্রয়োগ করতে হবে :

বিশ্বাস তৈরি করুন: আপনার দর্শকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠার জন্য রিভিউ, কেস স্টাডি এবং সৎ মতামত দিন।

কলার টু অ্যাকশন (CTA): আপনার কন্টেন্টের শেষে কার্যকর CTA ব্যবহার করুন, যেমন “এখনই কিনুন”, “অফার দেখুন” ইত্যাদি।

ল্যান্ডিং পেজ অপ্টিমাইজেশন: আপনার ল্যান্ডিং পেজটি এমনভাবে ডিজাইন করুন যাতে এটি ভিজিটরদের আকর্ষণ করে এবং অ্যাকশন নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ল্যান্ডিং পেজ অপটিমাইজেশন করার টেকনিক জানতে পড়ুন ( ল্যান্ডিং পেইজ কি? ল্যান্ডিং পেইজ অপ্টিমাইজ করার উপায়) ।

১০. ফলাফল বিশ্লেষণ উন্নয়ন পরিকল্পনা থাকতে হবে

Key Performance Indicators (KPIs): যেমন ক্লিক-থ্রু রেট (CTR), কনভার্সন রেট, মোট ট্রাফিক, কমিশন রেট ইত্যাদি ট্র্যাক করুন।

রিপোর্ট তৈরি: আপনার পারফরম্যান্স অনুযায়ী মাসিক বা সাপ্তাহিক রিপোর্ট তৈরি করুন, যাতে আপনি কোথায় উন্নতি করতে পারবেন তা বুঝতে পারেন।

১১. আইনগত নৈতিক বিষয়াবলী জানতে হবে

ফেডারেল ট্রেড কমিশন (FTC) ডিক্লোজার: অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করার সময় FTC গাইডলাইন অনুযায়ী ডিসক্লোজার দেওয়া বাধ্যতামূলক।

কপিরাইট এবং কন্টেন্ট: কপিরাইট আছে এমন কন্টেন্ট শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

আরও পড়ুন : অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়? 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কতগুলো পক্ষ থাকে/ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সাধারণত ৪টি পক্ষ থাকে। এই চার পক্ষ একসঙ্গে কাজ করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সিস্টেমটি সফলভাবে পরিচালিত করে। তারা হলো:

. মার্চেন্ট (Merchant)

মার্চেন্ট হল সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সরবরাহ করে। এদেরকে রিটেইলার, ব্র্যান্ড, অথবা প্রোডাক্ট ক্রিয়েটর বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামাজন, নর্ডস্ট্রম, ব্লুহোস্ট প্রভৃতি বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট প্রমোট করতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। তাই তাদেরকে মার্চেন্ট বলা যায়।

. অ্যাফিলিয়েট (Affiliate)

অ্যাফিলিয়েট হল সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করে এবং প্রতিটি বিক্রয় বা নির্দিষ্ট অ্যাকশনের এর বিনিময়ে কমিশন অর্জন করে। এদেরকে পাবলিশার বা প্রমোটারও বলা হয়। ব্লগার, ইউটিউবার, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত এই ধরণের ভূমিকা পালন করে থাকে।

. ভোক্তা বা কাস্টমার (Consumer)

কাস্টমার বা ভোক্তা হলো সেই পক্ষ যারা প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটি কিনে থাকে। অ্যাফিলিয়েটদের প্রচারণার মাধ্যমে তারা প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারে এবং প্রোডাক্ট কিনে বা নির্দিষ্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে।

. অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক (Affiliate Network) [ঐচ্ছিক]

অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক একটি তৃতীয় পক্ষ যা মার্চেন্ট এবং অ্যাফিলিয়েটদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এবং প্রযুক্তিগত দিকগুলো পরিচালনা করে, যেমন: ট্র্যাকিং, পেমেন্ট প্রসেসিং, রিপোর্টিং ইত্যাদি। যেমন: Amazon Associates, ShareASale, ClickBank, CJ Affiliate ইত্যাদি নেটওয়ার্ক অ্যাফিলিয়েট এবং মার্চেন্টের মধ্যে সংযোগকারী হিসেবে কাজ করে।

সব মিলিয়ে, এই চারটি পক্ষ একসঙ্গে কাজ করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সিস্টেম তৈরি করে এবং এরা একে অপরের পরিপূরক।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সুবিধা কি কি?

অনেকেই প্রশ্ন করেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবেন এবং এর কি কি সুবিধা আছে? আপনি কিছু পরিসংখ্যান দেখলেই বুঝবেন কেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রয়োজন।

২০২২ সালে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটের সাইজ ছিল ৮.২ বিলিয়ন ডলার ছিল সেটা ২০২৪ সালে বেড়ে ১৫.৭ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৩০ সালের ভেতর ৩৬.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।

পৃথিবীতে ৯৬০০ কোম্পানি বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রি করছে এবং ক্রমাগত এই সংখ্যা বাড়ছে।

২০২১ সালের ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হাব এর রিপোর্ট অনুযায়ী কোম্পানিগুলো তাদের বাজেটের ৯% বরাদ্দ রেখেছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের কমিশন বরাদ্দ হিসেবে।

এক রিপোর্টে দেখা গেছে ৬৫% রিটেইলার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য তাদের রেভিনিউ ২০% বৃদ্ধি পেতে দেখেছে। একারণে বলা যায় রিটেইলারদের নিকট এ জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নিচে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো :

১. কম বিনিয়োগের প্রয়োজন

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য খুব কম পুঁজির প্রয়োজন। এখানে নিজস্ব প্রোডাক্ট বা সার্ভিস থাকার কোন প্রয়োজন নেই, ফলে বিনিয়োগের খরচ কম।

২. প্যাসিভ আয়

একবার সফলভাবে প্রচারণা চালালে আপনি দীর্ঘমেয়াদে প্যাসিভ আয় উপার্জন করতে পারেন। একটি কন্টেন্ট তৈরি করার পর বারবার সেটি থেকে কমিশন আয় হতে পারে।

৩. প্রোডাক্ট স্টক করার প্রয়োজন নেই

নিজস্ব কোনো পণ্য তৈরি বা মজুদ করতে হয় না। অ্যাফিলিয়েট হিসাবে, আপনি কেবলমাত্র অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোট করবেন এবং বিক্রি থেকে কমিশন অর্জন করবেন।

৪. নিষ্পত্তিমূলক স্বাধীনতা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা নিজের সময় এবং কাজের ধরণ নির্ধারণ করতে পারেন। আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাজ করতে চান সেটি নিজের পছন্দমত বেছে নিতে পারেন।

৫. বৈচিত্রময় আয়ের উৎস

আপনি একাধিক কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারেন, ফলে আপনার আয়ের উৎস বৈচিত্রময় হয়ে উঠবে। যদি একটি প্রোগ্রাম বন্ধ হয়ে যায়, অন্যটি চালু থাকবে।

পাঠক জিজ্ঞাসা

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়?

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। মোবাইল দিয়ে আপনি সহজেই অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে পারবেন। তারপর তাদের প্লাটফর্ম থেকে লিঙ্ক সংগ্রহ করে সেটা আপনি আপনার ব্লগ, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, টিকটক বা ইউটিউব ভিডিওতে প্রচার করে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারেন।  এসব কাজ খুব সহজে মোবাইল দিয়েই করা যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান এই ধরণের কোর্স করিয়ে থাকে যেমন: ক্রিয়েটিভ আইটি, ১০ মিনিটস স্কুল, ঘুড়ি লার্নিং। এছাড়া উদেমি, কোর্সিয়া থেকেও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স করতে পারবেন।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version