Home Business Guidelines ইবে (eBay) প্লাটফর্মে ব্যবসা শুরু করার স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন।

ইবে (eBay) প্লাটফর্মে ব্যবসা শুরু করার স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন।

ইবে (eBay) এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি যদি সফলভাবে একটি ব্যবসা দাড় করাতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আপনি ইবে থেকে যে পরিমাণ আয় করতে পারবেন যা দিয়ে আপনি সহজেই আপনার সকল খরচ বহন করতে পারবেন।

কিন্তু ইবে প্লাটফর্মে সেলার অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবসা করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু ধাপ অতিক্রম করতে হবে।

আপনি যদি সঠিক মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ইবে এর মত মিলিয়ন মিলিয়ন গ্রাহকের প্লাটফর্ম থেকে আপনি খুব ভাল ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে ইবে (eBay) প্লাটফর্মে বিক্রয় করবেন?

ইবে (eBay )

 

ইবে (eBay) তে পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে যেমন,
১. ইবে অ্যাকাউন্ট এর জন্য সাইনআপ করুন
২. সেলার অ্যাকাউন্ট সেট করা
৩. লিস্টিং তৈরি
৪. লিস্টিং অপিটিমাইজ করা
৫. শিপিং এবং ডেলিভারি নির্বাচন

১. ইবে (eBay) সেলার অ্যাকাউন্ট এর জন্য সাইনআপ করুন

আপনার যদি একটা রেজিস্টার্ড একমালিকানা বা কোম্পানি থাকে তাহলে আপনি ইবে এর রেজিস্ট্রেশন পেজে একটা ইবে (eBay) সেলার অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনাকে ব্যবসার নাম, ধরণ এবং ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।

eBay সেলার অ্যাকাউন্ট রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে,

১. রেজিস্ট্রেশন পেজে যেতে প্রবেশ করতে হবে।

২. ব্যবসার নাম এবং ঠিকানা দিতে হবে,

৩. পাসওয়ার্ড দিন,

৪. Create Account অপশন সিলেক্ট করুন,

৫. ইউজার নেম দিন

৬. শেষের ধাপে আপনাকে ইউজার নেম দিতে হবে তবে আপনি সেটা পরেও পরিবর্তন করতে পারবেন

২. ইবে (eBay) সেলার অ্যাকাউন্ট সেট করা

eBay সেলার অ্যাকাউন্ট অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবার পর ইবে আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য আপনাকে মেইল পাঠাবে। ভেরিফাই করার পর আপনাকে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে যেমন আপনার ব্যবসার ধরণ, ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন, নন প্রফিট নাকি প্রফিটেবল প্রতিষ্ঠান, ব্যবসার ঠিকানা, স্ট্যাক হোল্ডার এবং ব্যাকের তথ্য। এসব উত্তর দেওয়ার পর আপনাকে ইবে এর হোম পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।

৩. লিস্টিং তৈরি

এই পর্যায়ে আপনাকে প্রোডাক্ট লিস্টিং করতে হবে। আপনি যদি নতুন সেলার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আপনার স্টোরে পণ্য যুক্ত করতে হবে।
লিস্টিং তৈরি করার জন্য Seller Hub Listing ড্রপডাউন ম্যানু থেকে Create Listing সিলেক্ট করুন।

এক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে:

  • পণ্যের নাম বা আইডেন্টিফায়ার দিন,
  • পণ্যের ছবি বা ভিডিও আপলোড
  • পণ্যের বিবরণ দিন
  • পণ্যের ক্যাটাগরি দিন
  • পণ্যের পরিমাণ, দাম, ওজন উল্লেখ করুন
  • প্যাকেজ সেটিংস এবং শিপিং এর ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করুন
  • পণ্যের দাম এবং কন্ডিশন উল্লেখ করুন
আপনি পণ্যের ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করতে পারবেন। সবশেষে ” Save your changes” এ ক্লিক করে লিস্টিং প্রক্রিয়া শেষ করুন।
আরও পড়ুন : অল্প পুঁজির ১২ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া

৪. লিস্টিং অপিটিমাইজ করা

সাধারণত ইবে ব্যবহারকারীরা ইবে থেকে কোন কিছু কেনার জন্য নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড ব্যবহার করে পণ্যের ব্যাপারে খোজ করে। ইবে অ্যালগরিদম ব্যবহারকারীদের কীওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে তাদের সামনে পণ্য প্রদর্শন করে থাকে।

তাই আপনাকে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড প্রোডাক্ট ডেস্ক্রিপশনে দিতে হবে। এর পাশাপাশি যথোপযুক্ত আইডেন্টিফায়ার ( Identifier) যুক্ত করতে হবে। যেমন কীওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ( “men’s nike air yeezy solar red shoes”, “32gb apple iphone 7s unlocked”) এক্ষেত্রে আইডেন্টিফায়ার হবে ( Brand (“Nike,” “Apple”) Model (“Air Yeezy,” “iPhone”)।

প্রোডাক্ট ডেস্ক্রিপশন এ প্রোডাক্ট এর সুবিধাগুলো সুন্দর করে উল্লেখ করতে হবে। এসব করতে পারলে সার্চ রেজাল্টে আপনার প্রোডাক্ট প্রথম দিকে প্রদর্শিত হবে।

আপনি চাইলে প্রতিটি ইবে লিস্টিং এবং প্রোডাক্ট পেজ এডিট করতে পারবেন।
এছাড়া প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর যুক্ত করতে পারেন, এর ফলে গ্রাহকরা ক্রয় করতে উৎসাহিত হবে। যেমন,
  • এই পণ্যেটি ক্রয় করলে আপনি কি কি সুবিধা পাবেন?
  • পণ্যটির কোন কোন সাইজ বর্তমানে স্টকে আছে এবং কোন সাইজের পণ্য আপনার ক্রয় করা উচিত?
  • পণ্যটির জীবনকাল কতদিন হতে পারে?
গুগলে সার্চ দিয়ে এই ধরণের আরো কিছু প্রশ্ন সংগ্রহ করতে পারেন। মনে রাখবেন এসব প্রশ্নের উত্তর সংক্ষিপ্ত এবং তথ্যবহুল হবে। বুলেট পয়েন্ট দিয়ে মূল বিষয়গুলো লিখবেন। অযথা বড় প্যারাগ্রাফ লিখবেন না তাহলে অনেক গ্রাহক স্কিপ করে চলে যেতে পারে।

আপনার পণ্যের সুন্দর একটা ছবি দিন

ছবি একটা বড় ফ্যাক্টর। যে কোন ক্ষেত্রেই সুন্দর ছবি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। তাই আপনার উচিৎ হবে উচ্চ রেজুলেশন এর ছবি ব্যবহার করা এবং সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করবেন।
আপনি মোট ২৪ টি ছবি পোস্ট করতে পারবেন । তাই আমাদের পরামর্শ হচ্ছে আপনার পণ্যগুলো জীবনযাপণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিভাবে ব্যবহার করা হয় সেসব ছবি ব্যবহার করতে পারেন, এই বিষয়গুলো ক্রেতাদের মনযোগ আকর্ষণ করতে পারে সহজে।

আপনার পণ্যের দাম নির্ধারণ করুন

আপনাকে মনে রাখতে হবে, ইবে এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনার মত প্রচুর বিক্রেতা আছে যারা একই ধরণের পণ্য বিক্রয় করছে। তাই আপনার পণ্যের দাম যদি প্রতিযোগিতামূলক না হয় তাহলে আপনি গ্রাহক হারাতে পারেন।

ইবে এর দুটি বিক্রয় অপশন থেকে আপনি যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন, যেমন:

The Online Auction: এই অপশনে আপনি ১, ৩,৫, ৭, ১০ দিনের জন্য দাম সেট করতে পারবেন। এই প্রাইসিং স্ট্র্যাটেজির একটা বিষয় হচ্ছে আপনি প্রাথমিক একটা দাম সেট করে দিবেন তারপর ক্রেতারা তাদের পক্ষ থেকে একেকজন একেকটা দাম অফার করবে।
এভাবে নিলাম এর শেষ দিন পর্যন্ত ক্রেতারা দাম অফার করতে থাকবে তারপর যিনি সবচেয়ে বেশি অফার করবে সেই পণ্যটি ক্রয় করতে পারবে। সাধারণত খুব চাহিদাসম্পন্ন কিন্তু বাজারে সাপ্লাই কম আছে বা যেসব পণ্যের ক্ষেত্রে আপনি দাম কেমন ধরবেন তা যদি নিশ্চিত থাকেন তাহলে আপনি এই ধরণের দাম নির্ধারণ করতে পারেন। যেমনটি: শখের আর্ট, কোন ডিজাইন, খেলাধুলার সংগ্রহশালা ইত্যাদি।
Buy It Now: এটাকে ফিক্সড প্রাইসি লিস্টিং ও বলা হয়। যেহেতু ফিক্সড প্রাইস তাই এখানে দামাদামির কোন কিছু নাই। গ্রাহক যদি মনে করে আপনার ধার্য করা দামে তার পুষাবে তাহলে সে ক্রয় করবে।

eBay accepts the following payment method options at checkout:

ইবে পেমেন্ট এর জন্য যেসব পেমেন্ট ম্যাথড সাপোর্ট করে সেগুলো হচ্ছে:
  • অ্যাপল পে (Apple পায়)
  • ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড (Credit and debit কার্ড)
  • ইবে গিফট কার্ড (eBay gift card), ইবে ভাইচার (voucher), and ইবে বাকস (eBay Bucks)
  • গুগল পে (Google Pay)
  • ক্যাশ অন পিকআপ
  • পেপাল এবং পেপাল ক্রেডিট (PayPal and PayPal Credit)
  • সাসপেন্ডেবল ফান্ড (Suspendable funds)
ক্ষেত্র বিশেষে চেক, এস্ক্রো (Escrow), মানি অর্ডার, ব্যাংক ট্রান্সফার, অনলাইন পেমেন্ট সার্ভিস যেমন Allpay.net, CertaPay, Fiserv, Nochex.com, XOOM ব্যবহার করতে পারেন।

৫. শিপিং এবং ডেলিভারি নির্বাচন

এখানে শিপিং সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দিবেন যেমন শিপিং ম্যাথড, প্যাকেজিং (ঐচ্ছিক), খরচ ইত্যাদি।  বর্তমানে বেশিরভাগ ক্রেতাই শিপিং খরচ নিয়ে বেশি মনযোগ দিয়ে থাকে। তাই দেখা যদি যেসব প্রতিষ্ঠান ফ্রি শিপিং বা কম খরচে ডেলিভারি দেয় তাদের পণ্য তুলনামূলক বেশি বিক্রি হয়। তাই এই বিষয়টা শিপিং নির্বাচনের সময় মাথায় রাখবেন।

eBay Guaranteed Delivery Delivery (EGD) ব্যবহার করতে পারেন

এই প্রোগ্রাম ব্যবহার করে আপনি ক্রেতাদের কাছে দ্রুত পণ্য সরবরাহ করতে পারেন।

EGD ব্যবহার করতে হলে সেলারকে একদিনের ভেতর পণ্য সরবরাহ করার অফার দিতে হবে। আপনার অফার দেখে ইবে সেই অফার হিসেব করে দ্রুত সরবরাহের বিষয়ে নিশ্চিয়তা দিবে। আর দ্রুত সরবরাহ করতে পারলে আপনার গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়বে এবং এর ফলে গ্রাহক ধরে রাখা সহজ হবে।

এই প্রোগ্রাম ব্যবহারের কিছু শর্ত আছে। যেমন আপনাকে বছরে কমপক্ষে ১০০ টি লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে এবং দেরিতে সরবরাহ করার হার ৫% এর কম হতে হবে। এছাড়া গ্রাহককে হ্যান্ডলিং সময় এবং অন টাইম ট্র্যাকিং এর তথ্য প্রদান করতে হবে।

ইবে (eBay) গ্লোবাল শিপিং প্রোগ্রাম

এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য অন্যান্য দেশে সহজেই সরবরাহ করতে পারবেন।

অন্য দেশে সরবরাহের ক্ষেত্রে আপনাকে কিছুই করতে হবে না। কেন্টাকিতে (Kentucky) অবস্থিত ইবে গ্লোবাল শিপিং সেন্টার সমস্ত দায়িত্ব পালন করবে। এই সার্ভিসের সুবিধা হচ্ছে আপনি কম খরচে ডেলিভারি দিতে পারবেন এবং শিপমেন্ট এর ব্যাপারে অন টাইম ট্র্যাকিং করতে পারবেন।

রিটার্ন এবং এক্সচেঞ্জ পলিসি তৈরি করুন

ইবে প্লাটফর্মে ৩০ দিনের রিটার্ন পলিসি হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড। আপনি চাইলে অন্যান্য অপশনও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে গ্রাহকদের যত বেশি দিনের রিটার্ন সুবিধা দিবেন তত আপনার উপর তাদের আস্থা বাড়বে।

৬. লিস্টিং প্রমোট করা (ঐচ্ছিক)

ইবে বিক্রেতারা তাদের লিস্টিং প্রমোট করার সুযোগ পান। প্রমোট করলে সার্চ রেজাল্টে আপনার লিস্টিং প্রথম দিকে প্রদর্শন করবে এবং ক্লিক পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

এই সার্ভিস ব্যবহার করে যখন কোন পণ্য বিক্রি হবে তখনই শুধু আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে। এই সার্ভিসের অতিরিক্ত কিছু ট্র্যাকিং টুল আছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ক্যাম্পেইনকে নতুন করে সাজাতে পারবেন যা আপনার বিক্রয় বাড়াতে সাহায্য করবে।

ইবে (eBay) প্লাটফর্মে আপনি কোন ধরণের পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন?

ইবে প্লাটফর্মে আপনি বিভিন্ন ধরণের জিনিস বিক্রয় করতে পারবেন। নিচে এরকম ক্যাটাগরি দেওয়া হলো:

অটোমোটিভ: গাড়ির বডির এবং বাইরের বিভিন্ন ধরণের পার্টস এবং এক্সেসরিজ, মোটর সাইকেলের পার্টস এবং এক্সেসরিজ, লাইটিং এবং বালবস, জ্বালানি, ইঞ্জিন এবং ইঞ্জিনের পার্টস, অটো ইলেকট্রনিকস ইত্যাদি।
ব্যবসা ও শিল্প : ব্যবসা ও শিল্প ক্যাটাগরিতে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন ও মোশন কন্ট্রোল, পিএলসি এবং এইচএমাই, মেডিকেল, ল্যাব এবং ডেন্টাল সরঞ্জাম, বিভিন্ন ধরণের মেডিকেলে ব্যবহৃত জামা, জুতা এবং এক্সেসরিজ।

ব্যবসা ও শিল্প: ব্যবসা ও শিল্প ক্যাটাগরিতে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন ও মোশন কন্ট্রোল, পিএলসি এবং এইচএমাই, মেডিকেল, ল্যাব এবং ডেন্টাল সরঞ্জাম, বিভিন্ন ধরণের মেডিকেলে ব্যবহৃত জামা, জুতা এবং এক্সেসরিজ ইত্যাদি ।

পোশাক: পুরুষ এবং মহিলাদের জামাকাপড়, ব্যাগ, ফ্যাশন পণ্য, ঘড়ি এবং এক্সেসরিজ ইত্যাদি ।
সংগ্রহীত পণ্যসামগ্রী: আধুনিক এবং ঐতিহাসিক সেনাবাহিনীর যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য সামগ্রী, পাথর, জীবাশ্ম, মিনারেলস, সংগ্রহীত ছুরি তলোয়ার এবং ব্লেড ইত্যাদি ।

কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্কিং: ল্যাপটপ, ডেক্সটপ এবং ডেক্সটপ পার্টস, নোটবুক , প্রিন্টার , টোনার, পেপার, গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদি ।

স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য: সুগন্ধি, ভিটামিনস, মিনারেলস, প্রাত্যহিক জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় সামগ্রী , ফিটনেস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সামগ্রী ।

বসতবাড়ী এবং বাগান: ফায়ারপ্লেস, কালা, এসি, নবায়নযোগ্য এনার্জি ডিভাইস, ইলেকট্রিক আইটেম এবং রান্নাঘরের জিনিসপত্র ।

জুয়েলারি এবং ঘড়ি: ঘড়ি এবং ঘড়ির এক্সেসরিজ, বিভিন্ন পার্টস , জুয়েলারি ,  ডায়মন্ড এবং বিভিন্ন ধরণের দামি।

ইবে (eBay) থেকে কি কি উপায়ে  আয় করা যায়?

১।  নিজস্ব নতুন বা পুরাতন পণ্য ইবে প্লাটফর্মে বিক্রি করে যায় করতে পারেন ।

২। ইবে (eBay) প্লাটফর্মে আপনি ড্রপশিপিং ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারেন । ড্রপশিপিং হলো এমন একটি ব্যবসার মডেল যেখানে আপনাকে কোনো পণ্য মজুদ করতে হবে না । আপনি আপনার অনলাইন স্টোরে পণ্য প্রদর্শন করবেন, ক্রেতা যখন সেই পণ্য দেখে অর্ডার করবে তখন আপনি সাপ্লায়ারকে জানাবেন তখন সাপ্লায়ার সেই পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিবে।

৩। আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে পণ্য কিনে তা eBay-তে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। এটিকে আরবিট্রাজ বলা হয়। যেমন আপনি Amazon বা স্থানীয় দোকান থেকে কোন জিনিস কিনে সেটি ইবে প্লাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন।

৪। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি ইবে থেকে আয় করতে পারবেন ।

ইবে (eBay) প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বিক্রয় করতে কি পরিমাণ খরচ করতে হয়?

ইবে ব্যবহার করার জন্য আপনাকে দুটি প্লাটফর্ম ফি প্রদান করতে হবে। যেমন,

লিস্টিং ফি: আপনি যখন প্রোডাক্ট লিস্টিং করবেন তখন আপনাকে লিস্টিং ফি প্রদান করতে হবে। তবে সবাইকে এই ফি দিতে হয় না। আপনি যদি প্রতি মাসে ২৫০ এর অধিক প্রোডাক্ট লিস্টিং করেন শুধুমাত্র তখনই আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে।

ফাইনাল ভ্যালু ফি: মোট আইটেমের বিক্রয় মূল্য, যার মধ্যে আইটেমের খরচ, ডেলিভারি খরচ, বিক্রয় কর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ যোগ করে ফাইনাল ভ্যালু নির্ধারণ করা হয়।

আপনি যখন কোন পণ্য বিক্রয় করবেন তখন প্রোডাক্ট ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে ফাইনাল ভ্যালুর ৩% থেকে ১৫% ইবে’কে প্রদান করতে হবে, প্লাস প্রতি অর্ডারে ৩০ সেন্ট।

আরও পড়ুনঃ ফেসবুক থেকে আয় করার ৫ টি উপায়

ইবে (eBay) তে বিক্রয় বাড়ানোর টিপস

উচ্চ মানের পণ্য বিক্রি করুন: মানুষ এখন একটু বেশি খরচ করে হলেও ভাল পণ্য চায়। তাই আপনি যদি ভাল কোয়ালিটির পণ্য বিক্রয় করতে পারেন তাহলে আপনি গ্রাহক ধরে রাখতে পারবেন এবং নতুন গ্রাহক বাড়বে।

নিয়মিত লিস্টিং করা: আপনি যদি নিয়মিত আপনার স্টোর আপডেট রাখেন এবং নতুন পণ্য লিস্টিং করেন তাহলে গ্রাহকরা আপনার স্টোরের প্রতি আকর্ষিত হবে এবং বিক্রয় বাড়বে।

কাস্টমার সার্ভিস উন্নত করুন: আপনি যদি আপনার কাস্টমারদের যে কোন প্রশ্ন যেমন প্রোডাক্ট ফিচার, শিপিং খরচ, রিয়েল টাইম ট্র‍্যাকিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করে তাহলে দ্রুত ফিডব্যাক দিন এবং তাদের পরামর্শ আমলে নিয়ে কাস্টমার সার্ভিস উন্নত করুন।

ফ্রি শিপিং বা ডিসকাউন্ট অফার করুন:গ্রাহকদের ফ্রি শিপিং বা ডিসকাউন্ট এর অফার দেয়ার চেষ্টা করুন এর ফলে আপনার বিক্রয় বাড়তে পারে। 

SEOবান্ধব টাইটেল এবং ডেসক্রিপশন: কীওয়ার্ড রিসার্চ করে সঠিকভাবে প্রোডাক্ট টাইটেল দিন এবং ডেস্ক্রিপশনে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

উপসংহার

ইবে (eBay) হলো একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম, যা দিয়ে আপনি পুরাতন পণ্য থেকে শুরু করে নতুন পণ্য বিক্রি করতে পারেন। সঠিক প্রোডাক্ট চয়ন এবং সঠিকভাবে মার্কেটিং করলে, eBay থেকে আয় করা সহজ।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version