Home Make Money Online ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করে অনলাইন থেকে আয় করার টেকনিক।

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করে অনলাইন থেকে আয় করার টেকনিক।

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং

    ক্রিপ্টোকারেন্সি কী?

    ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা যা ক্রিপ্টোগ্রাফির মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকে। এটি কোন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে না এবং এটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করে। ক্রিপ্টোকারেন্সি বিকেন্দ্রীকৃত হওয়ার কারণে এটি সহজেই বিশ্বব্যাপী লেনদেন করা যায়। বিটকয়েন (Bitcoin) হলো প্রথম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি, তবে এর পাশাপাশি আরও হাজারো ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে যেমন ইথেরিয়াম (Ethereum), রিপল (Ripple), লাইটকয়েন (Litecoin) ইত্যাদি।

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং কী?

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যে লেনদেন করা হয়। এটি স্টক মার্কেটের মতোই কাজ করে, তবে এখানে ফিজিক্যাল কারেন্সির পরিবর্তে ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন করা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংয়ের উদ্দেশ্য হলো কম দামে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে বেশি দামে বিক্রি করা, যাতে লাভ করা যায়।

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করে অনলাইন থেকে কীভাবে আয় করা যায়?

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং থেকে আয় করার জন্য কয়েকটি মূল ধাপ আছে, যা নিচে আলোচনা করা হলো:

    . ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জে অ্যাকাউন্ট খোলা

    ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনাবেচার জন্য প্রথমে একটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ (যেমন Binance, Coinbase, Kraken) প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এক্সচেঞ্জ হলো একটি ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস, যেখানে আপনি বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে এবং বিক্রি করতে পারবেন।

    • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস: সাধারণত আইডি যাচাইকরণের জন্য KYC (Know Your Customer) পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়।

    . ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা

    এক্সচেঞ্জে টাকা ডিপোজিট করার পর আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারবেন। ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার সময় মূল্য নির্ধারণ করা হয় মার্কেটের সরবরাহ এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে।

    • বিটকয়েন, ইথেরিয়াম বা অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনুন: স্টার্টার হিসেবে বিটকয়েন এবং ইথেরিয়াম বেশি জনপ্রিয় এবং তুলনামূলক নিরাপদ।

    . ট্রেডিং কৌশল নির্ধারণ

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং থেকে লাভ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট কৌশল প্রয়োগ করা হয়। যেমন:

    • ডে ট্রেডিং: একই দিনে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে এবং বিক্রি করার মাধ্যমে ছোট পরিমাণে লাভ করা।
    • স্কাল্পিং: একাধিক ছোট ট্রেডের মাধ্যমে দ্রুত লাভ তোলা।
    • সুইং ট্রেডিং: মার্কেটের দাম ওঠানামার সময় লম্বা সময়ের জন্য ধরে রেখে বিক্রি করা।
    • হোল্ডিং (HODL): দীর্ঘমেয়াদে লাভের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে দীর্ঘ সময় ধরে রাখা।

    . টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস ব্যবহার

    মার্কেটের দামের পরিবর্তন ও ভবিষ্যৎ প্রবণতা বিশ্লেষণ করতে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন চার্ট, গ্রাফ এবং ইন্ডিকেটর যেমন RSI (Relative Strength Index), Moving Averages, MACD ইত্যাদি ব্যবহার করে মার্কেটের ভবিষ্যৎ প্রবণতা নির্ধারণ করা হয়।

    . রিস্ক ম্যানেজমেন্ট

    ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট অত্যন্ত ভোলাটাইল (অনির্দেশ্য), তাই রিস্ক ম্যানেজমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু মূল পদ্ধতি রয়েছে:

    • স্টপলস অর্ডার: একটি নির্দিষ্ট দামে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিক্রি করে দেওয়া যাতে আরও ক্ষতি না হয়।
    • লট সাইজ কন্ট্রোল: একটি লেনদেনে কতটুকু অর্থ বিনিয়োগ করবেন তা নির্ধারণ করা।

    . আয়ের সম্ভাবনা

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংয়ে আয় আপনার ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি, বাজারের অবস্থা এবং আপনার ঝুঁকি নেওয়ার সক্ষমতার উপর নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে কিছু ট্রেডার দৈনিক ট্রেডিং করে উল্লেখযোগ্য আয় করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ:

    • ডে ট্রেডাররা প্রতি দিনে ১%-২% লাভ করতে পারে।
    • লংটার্ম ইনভেস্টররা মাস বা বছরের শেষে শতকরা লাভের জন্য অপেক্ষা করতে পারে, যেমন ১০%-১০০% পর্যন্ত।

    আরও পড়ুন : টেলিগ্রাম থেকে আয় করা যায় কি কি উপায়ে?

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে কি কি ঝুঁকি আছে?

    যেহেতু ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট অত্যন্ত ভোলাটাইল (দাম দ্রুত ওঠানামা করে) তাই এখানে ট্রেডিং করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।  নিচে কিছু ঝুঁকির বিষয় তুলে ধরা হলো:

    ১. অত্যধিক মূল্য পরিবর্তন: ক্রিপ্টো মার্কেটে দাম অনেক দ্রুত বাড়তে এবং কমতে পারে, যা ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলে।

    ২. বাজারের অস্থিরতা: প্রথাগত মুদ্রার তুলনায় ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার অনেক বেশি অস্থির থাকে।

    ৩. নিয়ন্ত্রণের অভাব: অনেক দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এর ট্রেডিং আইনগত দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং এর জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম কোনগুলো?

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং এর জন্য পৃথিবীতে অনেক প্লাটফর্ম আছে। এসব প্লাটফর্মের মধ্যে জনপ্রিয় কিছু প্লাটফর্ম হচ্ছে-

    • Binance: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ, যেখানে বিভিন্ন ধরণের ট্রেডিং অপশন ও ফিচার রয়েছে।
    • Coinbase: সহজ ইন্টারফেসের জন্য বিখ্যাত এবং নতুনদের জন্য একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম।
    • Kraken: এটি বেশ নিরাপদ প্লাটফর্ম এবং ব্যবহারকারীদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকে।
    • KuCoin: বিভিন্ন ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সির ট্রেডিং সাপোর্ট দেয়।

    সফলভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করার জন্য কিছু টিপস

    ১. ছোট বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করুন: নতুন হিসেবে বড় বিনিয়োগ না করে ছোট পরিমাণ দিয়ে শুরু করুন।

    ২. মার্কেট রিসার্চ করুন: বাজারের খবর, বিশ্লেষণ এবং প্রবণতা সম্পর্কে সচেতন থাকুন।

    ৩. রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করুন: স্টপ-লস এবং অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে ঝুঁকি কমান।

    সারসংক্ষেপ

    ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো ডিজিটাল মুদ্রা, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। বিভিন্ন এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করে আয় করা যায়, এসব এক্সচেঞ্জে কম দামে ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে বেশি দামে বিক্রি করা হয়। ক্রিপ্টো ট্রেডিং থেকে লাভ করার জন্য আপনাকে ভালোভাবে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস শিখতে হবে এবং সঠিক ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করতে হবে। তবে ক্রিপ্টো মার্কেটের ভোলাটিলিটি এবং ঝুঁকি সম্পর্কেও সচেতন থাকা জরুরি।

    আরও পড়ুন : কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়? 

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংয়ের জন্য জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। 

    ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং এর জন্য অনেক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরণের ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেন করতে পারেন। নিচে কিছু জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

    . Binance

    Binance হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জগুলির একটি। নতুন এবং অভিজ্ঞ উভয় ট্রেডারদের জন্য বাইনান্স  উপযুক্ত।

    প্রধান বৈশিষ্ট্য:

    কম ট্রেডিং ফি: Binance সাধারণত ০.০১%-০.০৫% ট্রেডিং ফি চার্জ করে, যা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের তুলনায় কম।

    ক্রিপ্টোকারেন্সি পরিমাণ বেশি: Binance-এ ৩৫০টিরও বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেড করা যায়, যেমন Bitcoin, Ethereum, Ripple, Litecoin ইত্যাদি।

    অ্যাডভান্সড ট্রেডিং টুলস: Binance ট্রেডারদের জন্য অ্যাডভান্সড চার্টিং টুল, মার্জিন ট্রেডিং, ফিউচার ট্রেডিং ইত্যাদি অফার করে থাকে।

    লিকুইডিটি: Binance এর লিকুইডিটি সিস্টেম খুব ভাল যার কারণে দ্রুত ট্রেডিং করা সহজ।

    সুবিধা:

    • ৩৫০টিরও বেশি ক্রিপ্টো অ্যাসেট।
    • লো ট্রেডিং ফি।
    • অ্যাডভান্সড ফিচারস, যেমন স্টেকিং, ফিউচারস ট্রেডিং।
    • মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সহজ ব্যবহার।

    অসুবিধা:

    জটিল ইউজার ইন্টারফেস, নতুন ট্রেডারদের জন্য প্রথমে ব্যবহার করা কিছুটা কঠিন হতে পারে।

    . Coinbase

    Coinbase হলো একটি ইউজার-ফ্রেন্ডলি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ, যা বিশেষ করে নতুনদের জন্য উপযোগী। এটি সহজেই ব্যবহারযোগ্য এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এর সুখ্যাতি আছে।

    প্রধান বৈশিষ্ট্য:

    • সহজ ইউজার ইন্টারফেস: Coinbase-এর ইন্টারফেস অত্যন্ত সহজ। নতুন ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারে।
    • উচ্চ নিরাপত্তা: Coinbase এর রয়েছে শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যেমন 2FA (Two-Factor Authentication) এবং এনক্রিপ্টেড ওয়ালেট ইত্যাদি।
    • মার্কেট এডুকেশন টুলস: নতুন ট্রেডারদের জন্য Coinbase কর্তৃপক্ষ মার্কেট এডুকেশন এবং টিউটোরিয়াল সরবরাহ করে থাকে।
    • কয়েনের পছন্দ: Coinbase-এ প্রায় ১৫০টির বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা-বেচা করা যায়।

    সুবিধা:

    • নতুনদের জন্য সহজ ইন্টারফেস।
    • মার্কেট লার্নিং টুলস সরবরাহ করে।
    • ভালো নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    অসুবিধা:

    • ট্রেডিং ফি কিছুটা বেশি (১.৪৯%-৩.৯৯%)।
    • অ্যাডভান্সড ট্রেডিং ফিচার কম।

    . Kraken

    Kraken হলো একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ। এর সুরক্ষা ব্যবস্থা বেশ ভাল।  এটি নতুন   ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ সহজ, কিন্তু অভিজ্ঞ ট্রেডারদের জন্যও পর্যাপ্ত ফিচার প্রদান করে।

    প্রধান বৈশিষ্ট্য:

    • উন্নত নিরাপত্তা: Kraken উচ্চ মানের সিকিউরিটি প্রদান করে যার কারণে হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা কম।
    • মার্জিন ট্রেডিং: Kraken অ্যাডভান্সড মার্জিন ট্রেডিং ফিচার আছে। এই ফিচারটি অভিজ্ঞ ট্রেডারদের কথা চিন্তা করেই তৈরি করা হয়েছে।
    • কম ফি: সাধারণত Kraken-এর ট্রেডিং ফি ০.১৬%-০.২৬%।
    • করেন্সি সাপোর্ট: ৬০টির বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেড করা যায়।

    সুবিধা:

    • সুরক্ষিত এবং নির্ভরযোগ্য।
    • অ্যাডভান্সড ট্রেডিং ফিচার।
    • লো ট্রেডিং ফি।

    অসুবিধা:

    • নতুনদের জন্য কিছুটা জটিল হতে পারে।
    • ক্রিপ্টো অ্যাসেটের পরিমাণ সীমিত।

    . KuCoin

    KuCoin হলো একটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ, যা নতুন এবং অভিজ্ঞ ট্রেডারদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ট্রেডিং অপশন সরবরাহ করে থাকে।

    প্রধান বৈশিষ্ট্য:

    • অল্প ফি: KuCoin-এর ট্রেডিং ফি অত্যন্ত কম, সাধারণত ০.১%।
    • বিপুল পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি: KuCoin ৬০০টিরও বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সির ট্রেডিং সাপোর্ট দেয়।
    • ট্রেডিং বট এবং মার্জিন ট্রেডিং: KuCoin এর স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং বট আছে এবং আপনি এখানে মার্জিন ট্রেডিং ফিচার অপশন পাবেন।
    • স্টেকিং এবং ইয়ার্নিং: KuCoin বিভিন্ন স্টেকিং এবং লাভ অর্জন করার জন্য প্রোগ্রাম সরবরাহ করে।

    সুবিধা:

    • ফি এর পরিমাণ কম
    • স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং বট আছে
    • ৬০০টিরও বেশি ক্রিপ্টো ট্রেডিং করার সুবিধা বিদ্যমান

    অসুবিধা:

    কিছুটা কম পরিচিত এবং জনপ্রিয় এক্সচেঞ্জের তুলনায় নিরাপত্তা ফিচার কম।

    . Gemini

    Gemini হলো আরেকটি জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ। এটি তার নিরাপত্তা এবং রেগুলেটেড ফিচারের জন্য বিখ্যাত। বিশেষত যারা সুরক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণের দিক থেকে সচেতন, তাদের জন্য এটি বেশ উপযুক্ত।

    প্রধান বৈশিষ্ট্য:

    • নিয়ন্ত্রিত প্ল্যাটফর্ম: Gemini একটি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত এক্সচেঞ্জ, যা মার্কিন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ দ্বারা মনিটর করা হয়ে থাকে।
    • সুরক্ষিত হোল্ডিং: প্ল্যাটফর্মটি ৯৫% ক্রিপ্টোকারেন্সিকে অফলাইন কোল্ড স্টোরেজে রাখে।
    • সহজ এবং নিরাপদ ট্রেডিং ব্যবস্থা: এটি সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং এর ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ ।
    • মোবাইল এবং ওয়েব অ্যাপ: মোবাইল এবং ওয়েবে সহজেই ট্রেড করা যায়।

    সুবিধা:

    • Gemini একটি সুরক্ষিত এবং নিয়ন্ত্রিত ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ।
    • প্রিমিয়াম ইউজার এক্সপেরিয়েন্স।
    • অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি নিশ্চিত করা হয়।

    অসুবিধা:

    • ট্রেডিং ফি কিছুটা বেশি।
    • সীমিত কয়েন অপশন।

    . eToro

    eToro হলো একটি জনপ্রিয় ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম যা শুধুমাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়, স্টক এবং অন্যান্য ট্রেডিং অপশনও সরবরাহ করে। এটি সোশ্যাল ট্রেডিংয়ের জন্য পরিচিত।

    প্রধান বৈশিষ্ট্য:

    • সোশ্যাল ট্রেডিং: eToro-তে অন্যান্য সফল ট্রেডারদের ট্রেড কপি করার সুবিধা রয়েছে।
    • মাল্টিঅ্যাসেট ট্রেডিং: ক্রিপ্টোকারেন্সি ছাড়াও আপনি এখানে স্টক, ফোরেক্স ইত্যাদি ট্রেড করতে পারেন।
    • সহজ ইন্টারফেস: ইন্টারফেস অত্যন্ত সহজ এবং নতুনদের জন্য উপযোগী।

    সুবিধা:

    • সোশ্যাল ট্রেডিং ফিচার।
    • মাল্টি-অ্যাসেট ট্রেডিং এর সুবিধা বিদ্যমান।
    • ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস।

    অসুবিধা:

    • ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাসেট সংখ্যা কম।
    • ট্রেডিং ফি কিছুটা বেশি।

    সারসংক্ষেপ

    আপনার অভিজ্ঞতা এবং চাহিদা অনুযায়ী আপনি যে প্ল্যাটফর্মটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল মনে হবে আপনি সেটই বেছে নিন। নতুন ট্রেডারদের জন্য Coinbase বা eToro সহজ হতে পারে, আর অভিজ্ঞ ট্রেডাররা Binance, Kraken, বা Bitfinex ব্যবহার করে বেশ লাভবান হতে পারেন।

    NO COMMENTS

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Exit mobile version