Home Digital Marketing Affiliate Marketing ফেসবুক অ্যাডস কি? স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন।

ফেসবুক অ্যাডস কি? স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন।

ফেসবুক অ্যাডস (Facebook Ads) কি?  

ফেসবুক অ্যাডস (Facebook Ads) হলো ফেসবুকের অনলাইন বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবসা বা ব্যক্তিদের পণ্য, সেবা, বা কন্টেন্টকে টার্গেট করা দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ দেয়। বর্তমানে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দাতার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। Statista এক রিপোর্টে দেখা যায় ৮৯ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক বিজ্ঞাপন পদ্ধতি হিসেবে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।  

ফেসবুক অ্যাডসের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট বয়স, স্থান, আগ্রহ এবং আচরণের ভিত্তিতে আপনার বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেন, যা বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। বর্তমানে এটি বর্তমানে মেটা অ্যাডস (Meta Ads) এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। 

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন কেন দিবেন?

আপনি জাননেন বর্তমানে প্রতিদিন কত জন ব্যবহারকারী ফেসবুক ব্যবহার করছে? প্রায় ১.৯ বিলিয়ন ব্যবহারকারী প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহার করছে। এই বিপুল পরিমান ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে আপনি যদি বিজ্ঞাপন তাহলে সেটা কাজে না দিয়ে যাবে কোথায়?

ফেসবুক বিজ্ঞাপন দিলে আপনি যেসব সুবিধা পাবেন:

  • ফেসবুক বিজ্ঞাপন দিলে আপনি খুব সহজেই অল্প খরচে বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবেন ।
  • ফেসবুক অ্যাডস এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি নির্দিষ্ট বয়স, লিঙ্গ, অবস্থান, আগ্রহ এবং অন্যান্য ডেমোগ্রাফিক্সের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন যা প্রচলিত মাধ্যমে সম্ভব নয়।
  • ফেসবুক অ্যাডস  এর খরচ তুলনামূলকভাবে কম। এছাড়া CTR (Click-through-rate) বেশি , CPM (Cost per 1k Impression) বেশি । ফেসবুকে ব্যবহারকারীরা গড়ে মাসে ১১ টি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে।

ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার (Facebook Ads Manager) 

ফেসবুক এডস ম্যানেজার

ফেসবুক অ্যাডস ক্যাম্পেইন শুরু করার আগে আপনাকে Facebook Ads Manager সেট করতে হবে। এই টুল  ব্যবহার করে আপনি আপনার ফেসবুক বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন । মূলত Facebook Ads Manager হচ্ছে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন পরিচালনা করার টুল। আপনি যাতে সহজে বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন চালাতে পারেন তাই এখানে বিভিন্ন ধরণের ফিচার যুক্ত করা আছে।

আরও পড়ুন : গুগল অ্যাডস (Google Ads) কি? কিভাবে গুগল অ্যাডস ব্যবহার করতে হয়? 

ফেসবুক অ্যাডস কিভাবে ব্যবহার করবেন/ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নিয়ম 

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আপনাকে কতগুলো ধাপ অতিক্রম করতে হবে যেমন :

১. ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন

২. ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন চালু করা

৩. ক্যাম্পেইন লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

৪ . ক্যাম্পেইন এর নাম দিন এবং ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন

৫. A/B টেস্টিং সিলেক্ট করুন

৬ . পারফর্মেন্স লক্ষ্য সেট করা

৭.  বাজেট এবং বিডিং নির্ধারণ করুন

৮.  অডিয়েন্স কন্ট্রোল

৯.  অ্যাড প্লেসমেন্ট নির্বাচন করুন

১০. অ্যাড ফরম্যাট নির্ধারণ করুন

১১. অ্যাড ক্যাম্পেইন পরিচালনা এবং অপ্টিমাইজেশন

১. ফেসবুক অ্যাড অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিতে হলে প্রথমেই আপনার একটি ফেসবুক একাউন্ট থাকতে হবে । তারপর একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। খুব সহজেই ফেসবুকে পেজ তৈরী করা যায়। আপনার ফেসবুক ফিডেই আপনাকে page নাম অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করলেই create new page অপশন পাবেন এবং আপনার যদি আরো পেজ থাকে তাহলে সেগুলোও দেখতে পাবেন ।

২. ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন চালু করা 

ফেসবুক পেজ তৈরি হয়ে ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার ব্যবহার করে আপনি ফেসবুক বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন চালু করতে পারবেন ।

photo: hubspot

এই পর্যায়ে আপনাকে দুইটি অপশন দেওয়া হবে Auction এবং Reservation ।

Auction এর মাধ্যমে আপনি বেশি সুবিধা পাবেন। এর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম , মেসেঞ্জার এ বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন । বাজেট নির্ধারণ হয় প্রতিদিন এবং লাইফটাইম হিসেবে। বিডিং প্রসেস হয় সর্বোচ্চ ভলিউমের ভিত্তিতে। CPM নির্ধারিত থাকে না।

Reservation তুলনামূলক কম সুবিধা প্রদান করে। তবে এর মাধ্যমেও আপনি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন । এখানে বাজেট নির্ধারিত হয় লাইফটাইম হিসেবে ।  বিডিং প্রসেস স্বয়ংক্রিয়। CPM থাকে নির্ধারিত ।এ বিষয়ে বিস্তারিত জানুন 

৩ . ক্যাম্পেইন লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

ফেসবুক অ্যাডস ম্যানেজার আপনাকে বিভিন্ন ধরণের ক্যাম্পেইন লক্ষ্য নির্ধারণ করতে দিবে । এসব লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে :

  • Awareness: ফেসবুক বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইনের একটা উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে  ব্র্যান্ড সচেতনতা তৈরি করা। এর মাধ্যমে আপনি আপনার টার্গেট গ্রাহকদের কাছে নিজের ব্র্যান্ড সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারেন।
  • Traffic: আপনার ওয়েবসাইটে সরাসরি ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারেন। এছাড়া ইনস্টাগ্রাম, ল্যান্ডিং পেজ, ইকমার্স স্টোর বা হোয়াটসঅ্যাপে আপনি ট্রাফিক ড্রাইভ করতে পারেন ।
  • Engagement: আপনার কোন নির্দিষ্ট পোস্ট, ওয়েবসাইট বা শেয়ার করা লিংকে যদি অনেক এনগেজমেন্ট চান তাহলে উদ্দ্যেশ্য হিসেবে এটি সিলেক্ট করতে পারেন ।
  • Lead generation:  লিড জেনারেশন হচ্ছে নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে উৎসাহিত করা যেমন : ফর্ম পূরণ করা, ক্লাসে জয়েন করা বা কোন কিছু বুক করা ইত্যাদি।
  • Sales : আরেকটি অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে বিক্রি বাড়ানো ।  মূলত বেশিরভাগ ব্যবসায়ী তাদের পণ্য বা সেবার বিক্রি বাড়ানোর উদ্দ্যেশে ফেসবুক বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। আপনি সঠিকভাবে ফেসবুক অ্যাডস ক্যাম্পেইন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার বিক্রি বাড়বে ।
  • Software/App promotion: অনেক সফটওয়ার বা অ্যাপ ডেভেলপার তাদের তৈরীকৃত সফটওয়ার বা অ্যাপ ফেসবুকে প্রচার করতে চায়। অ্যাড ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সফটওয়ার বা অ্যাপ ইন্সটল বা ক্রয় করতে গ্রাহকদের উৎসাহিত করা হয়।

আরও পড়ুন : কিভাবে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা যায়?

৪ . ক্যাম্পেইন এর নাম দিন এবং ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন

এরপর আপনার ক্যাম্পেইনের নাম সিলেক্ট করুন । আপনার ব্র্যান্ডের নামের সাথে মিল রেখে ফেসবুক ক্যাম্পেইনের নাম দিন।

নাম দেওয়ার পর ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন । এখানে ফেসবুক আপনাকে ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে দিবে।  ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে:

Financial Products and services ( formerly credit)
Employment
Housing
Social Issues, elections or politics

আপনার বিজ্ঞাপন যদি এসব ক্যাটাগরির মধ্যে না পরে তাহলে আপনার স্পেশাল ক্যাটাগরি সিলেক্ট করার দরকার নেই।

৫. A/B টেস্টিং সিলেক্ট করুন

এবি টেস্টিং এর মাধ্যমে আপনি বিজ্ঞাপন পারফর্মেন্স তুলনা করতে পারবেন ।  আপনি বিভিন্নভাবে এই টেস্ট করতে পারেন যেমন:  কখনো টেস্কট, কখনো ভিডিও বা নতুন লোকেশনে বিজ্ঞাপন দেওয়া ইত্যাদি।

৬. পারফর্মেন্স লক্ষ্য সেট করা 

আপনি যে লক্ষ্য স্থির করে ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন ফেসবুক তার ভিত্তিকে পারফর্মেন্স গোল সেট করতে দিবে। যেমন আমি ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য ঠিক করেছিলাম ট্রাফিক তাই আমাকে ট্রাফিক এর কার্যক্রম বিষয়ে আরো নির্দিষ্টভাবে পারফর্মেন্স সেট করার সুযোগ দিয়েছে। এখানে কতগুলো অপশন আছে যেমন লিংকে ক্লিক বাড়ানো , ল্যান্ডিং পেজ ভিউ বাড়ানো , ইউনিক রিচ বাড়ানো ইত্যাদি।

৭.  বাজেট এবং বিডিং নির্ধারণ করুন

এই সেকশনে আপনি বাজেট সেট করবেন । আপনি ডেইলি ভিত্তিক এবং লাইফটাইম ভিত্তিক বাজেট সেট করতে পারবেন । ডেইলি বাজেট সেট করলে আপনি যতদিন বিজ্ঞাপন চালাবেন ততদিন নির্দিষ্ট পরিমান বাজেট কাটবে আর লাইফটাইম সেট করলে আপনি যে পরিমান টাকা সেট করবেন সেটা শেষ হলেই বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যাবে। ফেসবুকে বিজ্ঞাপণ দিতে কেমন খরচ হয় তা নিচের ছবি দেখলে আপনার ভাল একটা ধারণা হবে।

Source: Facebook

৮. অডিয়েন্স কন্ট্রোল 

আপনার বিজ্ঞাপন কোন লোকেশনে কোন বয়স, লিঙ্গ অথবা অন্য কোন মানদণ্ডের মানুষের কাছে পৌঁছাবে তা আপনি কন্ট্রোল করতে পারবেন ।

৯ . অ্যাড প্লেসমেন্ট নির্বাচন করুন

ফেসবুক এর ফিড, স্টোরিস, রিলিস ইন – স্ট্রিম, সার্চ রেজাল্ট, মেসেজ, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার অথবা Audience Network এ বিজ্ঞাপন দেখানোর প্লেসমেন্ট নির্বাচন করুন। আপনি নিজে প্লেসমেন্ট ঠিক করতে পারেন বা ফেসবুকের Automatic Placements বেছে নিতে পারেন।

১০ . বিজ্ঞাপন ফরম্যাট নির্বাচন করুন

বিজ্ঞাপন সেট করার পর আপনার বিজ্ঞাপনটি কেমন হবে তা ঠিক করুন।  ফেসবুক বিজ্ঞাপন ফরম্যাট বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে:

১. Image Ads

এই বিজ্ঞাপনগুলোতে একক চিত্র থাকে, যা টেক্সট এবং CTA (Call to Action) সহ প্রদর্শিত হয়। ইমেজ বিজ্ঞাপনের জন্য ফেসবুকের কিছু নির্দেশনা থাকে যেমন টেক্সট ১২৫ অক্ষর, হেড লাইন ২৫ অক্ষর, ইমেজ রেশিও ১:৯১:১ , ইমেজ রেজুলেশন ১০৮০৮*১০৮০ পিক্সেল ।

২. Video Ads

ভিডিওর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা প্রদর্শন করা যায়। এটি ফেসবুক ফিড, ইনস্টাগ্রাম বা স্টোরিজে প্রদর্শিত হতে পারে।

৩. Carousel Ads

এতে একাধিক ছবি বা ভিডিওসহ প্রতিটি স্লাইডে আলাদা CTA ব্যবহার করা যায়। পণ্য বা সেবাসমূহ একটি ক্যাটালগের মাধ্যমে প্রদর্শনের জন্য Carousel Ads  বেশ কার্যকর। ক্যারোসোল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ফেসবুকের নিয়ম হচ্ছে ইমেজ রেজুলেশন ১০৮০৮*১০৮০ পিক্সেল, রেশিও ১:১, টেক্সট ১২৫ অক্ষর, হেড লাইন ৪০ অক্ষর, লিংকের বর্ণনা ২০ অক্ষর ।

৪. Slideshow Ads

এটি স্টিল ইমেজ বা টেক্সটের মাধ্যমে ছোট ভিডিও তৈরি করতে সাহায্য করে, যা বিজ্ঞাপন হিসাবে প্রদর্শিত হয়।

৫. Collection Ads

মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনটিতে একাধিক পণ্য দেখা যায়, যেখানে ব্যবহারকারী একটি পণ্য ক্লিক করলে সেটির বিস্তারিত দেখা যায়।

১১ . ক্রিয়েটিভ বিজ্ঞাপন তৈরি করুন

ছবি: একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ছবি আপলোড করুন এবং বিজ্ঞাপনের উদ্দ্যেশ্য সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু কথা লিখুন।

শিরোনাম: একটি স্পষ্ট এবং মানুষকে আকর্ষণ করতে পারে এমন শিরোনাম দিন।

ডেসক্রিপশন (Description) : টার্গেট করা গ্রাহকদের বিজ্ঞাপন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক বর্ণনা দিন ।

CTA (Call to Action): স্পষ্ট CTA বোতাম যুক্ত করুন, যেমন “এখনই কিনুন,” “আরও জানুন,” বা “রেজিস্টার করুন।”

১২ . অ্যাড ক্যাম্পেইন পরিচালনা এবং অপ্টিমাইজেশন

ক্যাম্পেইন চালানোর পরে ফলাফল পর্যবেক্ষণ করুন। বিজ্ঞাপনের কনভার্সন রেট, ক্লিক রেট (CTR), এবং লিড জেনারেশন ফলাফল দেখে বিজ্ঞাপনটি অপ্টিমাইজ করুন।

ফেসবুক অ্যাডস অপ্টিমাইজ করার উপায়:

A/B টেস্টিং করুন: ফেসবুক অ্যাডের বিভিন্ন উপাদান যেমন শিরোনাম, ছবি বা লেখা পরিবর্তন করে দেখুন কোনটি বেশি কার্যকর। এর ফলে আপনার বিজ্ঞাপনের পারফর্মেন্স আরো ভাল হবে।

স্পষ্ট CTA যুক্ত করুন: বিজ্ঞাপনেই মধ্যে CTA বোতাম যুক্ত করুন। এটি খুবই কার্যকরী কৌশল। এটি গ্রাহকদের উপর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলে।

বিজ্ঞাপনের কনটেন্ট মানসম্পন্ন রাখুন: কন্টেন্ট এর মান অবশ্যই গ্রাহকদের কোন কিছু ক্রয় করতে উদ্বুদ্ধ করে। মনে করুন আপনি একটি একটি ইবুক বিক্রি করবেন। এজন্য আপনি একটা বিজ্ঞাপন দিলেন। বিজ্ঞাপনে আপনি যে ডেমো দিবেন সেটি যদি মানসম্মত হয় তাহলে পাঠকরা আপনার ইবুক কিনতে উৎসাহিত হবে।

মোবাইল রেসপন্সিভ ডিজাইন ব্যবহার করুন: মেটা’র সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী ফেসবুকের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩.০৬৫ বিলিয়ন এর মধ্যে ২.১১ বিলিয়ন মোবাইল ব্যবহারকারী। তারমানে ৬৮.৮৫ শতাংশ ব্যবহারকারী মোবাইল থেকে ফেসবুক ব্যবহার করে। তাই মোবাইল রেসপনসিভ ডিজাইন বিজ্ঞাপন অপটিমাইজেশনে বড় ভূমিকা পালন করে।

Audience Insights ব্যবহার করুন: ফেসবুকের Audience Insights টুল ব্যবহার করে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স সম্পর্কে আরও জানতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী বিজ্ঞাপন অপ্টিমাইজ করতে পারবেন।

উপসংহার:

ফেসবুক অ্যাডস (Facebook Ads) হলো ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং পণ্য প্রচারের অন্যতম একটি কার্যকর মাধ্যম। সঠিকভাবে বিজ্ঞাপন দিতে পারলে আপনি সহজেই নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন, যেমন ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানো, লিড সংগ্রহ করা বা বিক্রয় বৃদ্ধি করা। আশা করা যায় আপনি যদি আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন তাহলে আপনি সফলভাবে আপনার উদ্দ্যেশ্য সাধন করতে পারবেন ।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version