Home Make Money Online গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করা যায় কিভাবে?

    গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করা যায় কিভাবে?

    গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয়

    গুগল এডসেন্স কি?

    গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করতে চান? তাহলে আপনাকে প্রথমেই গুগল এডসেন্স সম্পর্কে জানতে হবে।  Google AdSense হলো গুগল পরিচালিত একটি বিজ্ঞাপন সেবা। এটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলের মালিকদের প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়।

    যখন একজন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে আসেন বা ইউটিউব ভিডিও দেখেন এবং বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করেন বা সেগুলো দেখেন, তখন আপনি আয় করতে পারেন।

    এডসেন্স মূলত কনটেক্সট অনুযায়ী বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু এবং ব্যবহারকারীর আগ্রহ অনুযায়ী বিজ্ঞাপনগুলো প্রদর্শিত হয়।

    গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করা যায় কিভাবে? 

    গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করার জন্য আপনাকে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। ধাপগুলো হচ্ছে-

    ১. ওয়েবসাইট/ ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা

    প্রথমে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হবে।

    আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু যত আকর্ষণীয় এবং প্রাসঙ্গিক হবে, তত বেশি দর্শনার্থী আপনার সাইটে আসবে।

    এছাড়া আপনার ইউটিউব চ্যানেল থাকলে ইউটিউব ভিডিওতে এডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করা যায়।

    ২. এডসেন্সের জন্য আবেদন করা

    আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি হয়ে গেলে বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে গেলে Google AdSense-এর জন্য আবেদন করতে হবে। Google আপনার সাইটের বা চ্যানেলের বিষয়বস্তু এবং নীতিমালা যাচাই করবে এবং সব কিছু ঠিক থাকলে আপনার অ্যাকাউন্ট অনুমোদন করবে।

    ৩. বিজ্ঞাপন বসানো

    অ্যাকাউন্ট অনুমোদনের পর, Google AdSense থেকে বিজ্ঞাপন কোড পাবেন। এই কোডগুলো আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বা ইউটিউব চ্যানেলে সঠিক জায়গায় বসাতে হবে।

    Google স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ওয়েবসাইটের বা ইউটিউব ভিডিওর বিষয়বস্তু অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে।

    ৪. আয় করা

    ভিজিটররা আপনার সাইটে আসার পর তারা যদি আপনার সাইটে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে তাহলে আপনি আয় করতে পারবেন।

    আরও পড়ুন : ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করা যায় কি কি উপায়ে?

    ইউটিউব এর ক্ষেত্রে দর্শক যদি ভিডিওতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন দেখে বা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে তখন আপনি এডসেন্স থেকে আয় করতে শুরু করবেন।  এডসেন্স থেকে আপনি দুইভাবে আয় করতে পারবেনঃ

    • CPM (Cost Per Mille): প্রতি ১০০০ বিজ্ঞাপন ভিউ এর জন্য আপনি অর্থ পাবেন।
    • CPC (Cost Per Click): যখন একজন ভিজিটর আপনার সাইটে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন, তখন আপনি নির্দিষ্ট অর্থ পাবেন।

    ৫. বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করা

    যদি বিজ্ঞাপনে বেশি ক্লিক এবং ভিউ পেতে চান, তবে আপনার সাইটের বা ইউটিউব কন্টেন্ট আকর্ষণীয় ও শ্রোতাদের জন্য উপকারী হওয়া উচিত।

    জনপ্রিয় এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু তৈরি করলে বেশি অডিয়েন্স আকৃষ্ট করা সম্ভব, যার ফলে বিজ্ঞাপন ভিউ ও ক্লিক এর পরিমাণ বাড়ে এবং আয় বৃদ্ধি পায়।

    ৬. ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করা

    ওয়েবসাইটে যত বেশি ট্র্যাফিক আসে, তত বেশি আয় করার সম্ভাবনা থাকে।

    SEO (Search Engine Optimization) ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাঙ্ক বাড়াতে পারেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট শেয়ার করে ভিজিটর বাড়াতে পারেন।

    উপসংহার: অনলাইন থেকে আয় করার জন্য Google AdSense একটি সহজ ও জনপ্রিয় উপায় ।

    একটি মানসম্পন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে, নিয়মিত কন্টেন্ট প্রকাশ করে এবং সঠিকভাবে বিজ্ঞাপন বসিয়ে আপনি গুগুল এডসেন্সের এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

    তবে ধৈর্য ধরে কাজ করা এবং নিয়মিত সাইটে ভিজিটর আনার কৌশলগুলো অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

    আরও পড়ুন : ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করবেন কি কি উপায়ে?

    Google AdSense এর অনুমোন পেতে কি কি শর্ত পূরণ করতে হয়? 

    গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় শুরু করার আগে আপনাকে গুগল এডসেন্স এর অনুমোদন পেতে হবে।  Google AdSense-এর অনুমোদন পেতে একটি ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পালন করতে হয়। নিচে ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলের জন্য আলাদা শর্তগুলো উল্লেখ করা হলো:

    ১. ওয়েবসাইটের জন্য Google AdSense অনুমোদনের শর্তসমূহ:

    • অনন্য মানসম্পন্ন কন্টেন্ট: এডসেন্স এর অনুমোদন পেতে হলে ওয়েবসাইটে থাকা বিষয়বস্তু (কন্টেন্ট) হতে হবে মৌলিক, মানসম্পন্ন এবং প্রাসঙ্গিক।কপি-পেস্ট করা কন্টেন্ট বা তথ্যবহুল নয় এমন কন্টেন্ট গ্রহণযোগ্য নয়।
    • ওয়েবসাইটের বয়স: Google কিছু দেশ (যেমন: ভারত, বাংলাদেশ) থেকে আবেদন করলে ওয়েবসাইট কমপক্ষে ৬ মাস পুরানো হতে হবে। তবে এটি সব দেশে প্রযোজ্য নয়। তবে ওয়েবসাইট খুব মানসম্মত হলে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকেও এডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়া যায়।
    • Google AdSense নীতিমালা মেনে চলা: ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট অবশ্যই Google-এর সমস্ত নীতিমালা মেনে তৈরি করতে হবে। এই নীতিমালাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
      • কপিরাইট করা কন্টেন্ট ব্যবহার না করা।
      • অবৈধ বা নিষিদ্ধ বিষয়বস্তু না থাকা (যেমন: প্রাপ্তবয়স্ক বিষয়বস্তু, জুয়া, হিংসাত্মক কন্টেন্ট)।
      • ক্লিকবেইট বা মিথ্যা শিরোনাম ব্যবহার না করা।
    • ভাল নেভিগেশন সিস্টেম এবং ভালো ডিজাইন: ওয়েবসাইটের নেভিগেশন হতে হবে ব্যবহারকারী বান্ধব (User-Friendly)। ভিজিটরদের জন্য সহজে তথ্য খুঁজে পাওয়ার সুবিধা থাকতে হবে এবং ওয়েবসাইটের ডিজাইন রেস্পন্সিভ (মোবাইল এবং ডেস্কটপ উভয় প্ল্যাটফর্মে সুন্দরভাবে দেখা যায়) হতে হবে।
    • গোপনীয়তা নীতি (Privacy Policy): ওয়েবসাইটের একটি গোপনীয়তা নীতি (Privacy Policy) পেইজ থাকা প্রয়োজন। এতে ব্যবহারকারীর তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করা হয় এবং তা ব্যবহারের প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে।
    • About এবং Contact পেইজ: ওয়েবসাইটে ‘About Us’ এবং ‘Contact’ পেজ থাকা উচিত, যাতে ভিজিটর এবং Google সহজেই আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে পারে এবং আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
    • ট্র্যাফিকের পরিমাণ: ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণ ট্র্যাফিক থাকা দরকার। যদিও Google AdSense ট্র্যাফিকের নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করে না, তবে সাধারণভাবে বেশি ট্র্যাফিক থাকলে অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

    . ইউটিউব চ্যানেলের জন্য Google AdSense অনুমোদনের শর্তসমূহ

    • ,০০০ সাবস্ক্রাইবার: গুগল এডসেন্স এর অনুমোদন পেতে হলে ইউটিউব চ্যানেলে কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
    • ,০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম: সর্বশেষ ১২ মাসের মধ্যে চ্যানেলে মোট ৪,০০০ ঘন্টা ভিডিও দেখা (ওয়াচ টাইম) হতে হবে।
    • Community Guidelines মেনে চলা: ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। চ্যানেলে কোনও স্প্যাম, কপিরাইট লঙ্ঘন বা অনুপযুক্ত কন্টেন্ট থাকলে AdSense অনুমোদন পেতে অসুবিধা হয়।
    • মৌলিক কন্টেন্ট: ভিডিওগুলোকে হতে হবে মৌলিক এবং মানসম্মত। কপিরাইট করা ভিডিও ব্যবহার করলে AdSense অনুমোদন বাতিল হতে পারে।
    • দুই ধাপের যাচাইকরণ: YouTube পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে দুটি ধাপের যাচাইকরণ (Two-Step Verification) চালু করতে হবে। এটি আপনার চ্যানেলের নিরাপত্তা বাড়াবে।
    • YouTube পার্টনার প্রোগ্রামের আবেদন করা: চ্যানেল যখন প্রয়োজনীয় সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইমের শর্ত পূরণ করবে, তখন আপনি YouTube পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য YouTube Studio থেকে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

    আরও পড়ুন : ইউটিউব থেকে আয় করা যায় কিভাবে? বিস্তারিত গাইডলাইন।

    উপসংহার: Google AdSense-এর অনুমোদন পেতে আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলের জন্য নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হবে।

    ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে কন্টেন্টের মান, নীতিমালা অনুসরণ এবং গোপনীয়তা নীতি গুরুত্বপূর্ণ। ইউটিউবের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইমের শর্ত পূরণ করতে হবে এবং কপিরাইট লঙ্ঘন না করা জরুরি।

    গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় কি পরিমাণ করা সম্ভব?

    কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর নির্ভর করবে আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় কি পরিমাণ করতে পারবেন, যেমন:

    ট্র্যাফিকের পরিমাণ

    আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে যত বেশি ভিজিটর বা দর্শক থাকবে, আপনার আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। বেশি ভিজিটর মানে বেশি বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে এবং ক্লিকের সম্ভাবনা বাড়বে।

    CPC (Cost Per Click)

    প্রতি ক্লিকে আপনার আয়ের পরিমাণ নির্ভর করবে। ভিন্ন ভিন্ন শিল্প (industry) এবং অঞ্চল অনুযায়ী CPC-এর পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে।

    উদাহরণস্বরূপ, প্রযুক্তি বা ফাইন্যান্স বিষয়ক ওয়েবসাইট বা ভিডিওর জন্য CPC সাধারণত বেশি হয়, যেখানে বিনোদন বা সাধারণ ব্লগের জন্য CPC কম হতে পারে।

    সাধারণত প্রতি ক্লিকের জন্য $0.0১ থেকে $২ বা তার বেশি আয় হতে পারে, তবে কিছু ক্ষেত্রেও $৫ বা তার বেশি আয় সম্ভব।

    • CTR (Click-Through Rate): CTR হলো আপনার ওয়েবসাইটে বা ইউটিউব ভিডিওতে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনের প্রতি ক্লিকের হার। যদি ১০০ জন ভিজিটরের মধ্যে ৫ জন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে, তাহলে CTR হবে ৫%। CTR বেশি হলে আয়ও বেশি হবে।
    • CPM (Cost Per Mille): CPM হলো প্রতি ১,০০০ বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আপনার আয়। ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু এবং দর্শকের দেশ অনুসারে CPM নির্ধারিত হয়। CPM সাধারণত $1 থেকে $10 বা তারও বেশি হতে পারে।
    • নিশ (Niche) বা বিষয়বস্তু: যেসব বিষয় বা শিল্পের প্রতি বেশি বিজ্ঞাপনদাতার আগ্রহ থাকে, সেইসব বিষয়ের জন্য আয় বেশি হয়। যেমন: ফাইন্যান্স, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি এবং শিক্ষা বিষয়ক কন্টেন্টের জন্য সাধারণত আয় বেশি হয়ে থাকে।
    • ভিজিটরের অবস্থান: ভিজিটরের অবস্থানের উপরও আয় নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের দেশগুলো থেকে ভিজিটরদের CPC এবং CPM সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় বেশি হয়।

    আয়ের উদাহরণ:   

    ওয়েবসাইট থেকে আয়:

      • যদি আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ১০০০ ভিজিটর আসে এবং প্রতিদিন প্রায় ১০০০ বিজ্ঞাপন দেখানো হয় তাহলে যদি আপনার CPM $5 হয়, তাহলে প্রতিদিনের আয় হতে পারে প্রায় $5।
      • যদি আপনার CPC $0.20 হয় এবং প্রতি ১০০০ ভিজিটরের মধ্যে ২০ জন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে (CTR = ২%), তাহলে আপনার আয় হতে পারে ২০ x $0.20 = $4।

    মাসিক আয়: $4 + $5 = $9 প্রতিদিন হলে, মাসে ৯ x ৩০ = $২৭০ আয় করা সম্ভব।

    ইউটিউব চ্যানেল:

      • যদি আপনার চ্যানেলে প্রতিদিন ৫,০০০ ভিডিও ভিউ আসে এবং CPM হয় $২, তাহলে প্রতিদিনের আয় হতে পারে (৫,০০০/১০০০) x $২ = $১০।
      • যদি CPC $0.10 হয় এবং ৫,০০০ ভিউয়ের মধ্যে ৫০ জন ক্লিক করে (CTR = ১%), তাহলে আপনার আয় হতে পারে ৫০ x $0.10 = $৫।

    মাসিক আয়: $১০ + $৫ = $১৫ প্রতিদিন হলে, মাসে ১৫ x ৩০ = $৪৫০ আয় করা সম্ভব।

    উপসংহার: Google AdSense থেকে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলের ট্র্যাফিক, বিষয়বস্তু, ক্লিকের হার, এবং দর্শকদের অবস্থানের উপর। আয় কিছু ক্ষেত্রে কয়েকশো ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে, তবে আয় বাড়ানোর জন্য আপনার বিষয়বস্তু এবং ট্র্যাফিক উন্নত করতে হবে।

    আরও পড়ুন : ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় করা যায় কি কি উপায়ে? বিস্তারিত গাইডলাইন।

    Google AdSense এর বিকল্প প্লাটফর্ম আছে?

    হ্যাঁ, Google AdSense-এর বিকল্প হিসেবে আরও অনেক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, বা ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করতে পারেন। নিচে কিছু জনপ্রিয় AdSense এর বিকল্প প্ল্যাটফর্মের তালিকা দেওয়া হলো:

    1. Media.net

    • Media.net হলো একটি জনপ্রিয় AdSense বিকল্প, যা মূলত Bing এবং Yahoo বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের উপর ভিত্তি করে কাজ করে। এটি কনটেক্সট-ভিত্তিক বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে থাকে। এই প্লাটফর্ম থেকে আপনি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে CPC ভিত্তিক আয় করতে পারেন।
    • বৈশিষ্ট্য: কনটেক্সচুয়াল বিজ্ঞাপন, কাস্টমাইজড বিজ্ঞাপন ফরম্যাট, উচ্চ CPC।
    • উপযুক্ত: প্রধানত কনটেন্ট-ভিত্তিক ওয়েবসাইটের জন্য।
    1. PropellerAds

    • PropellerAds হলো একটি ফ্রিল্যান্স বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। পপ-আন্ডার, নেটিভ অ্যাড, পুশ বিজ্ঞাপন এবং ডিসপ্লে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি PropellerAds থেকে আয় করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন ফরম্যাট আছে এবং AdSense-এর চেয়ে PropellerAds এ সহজে অ্যাকাউন্ট অনুমোদন পাওয়া যায়।
    • বৈশিষ্ট্য: পুশ নোটিফিকেশন, নেটিভ বিজ্ঞাপন, CPM এবং CPA মডেল।
    • উপযুক্ত: বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট এবং ব্লগ, বিশেষত বেশি ট্র্যাফিক আছে এমন ওয়েবসাইটের জন্য।
    1. AdThrive

    • AdThrive একটি প্রিমিয়াম বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, যা উচ্চমানের প্রকাশকদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বিশেষভাবে ব্লগারদের জন্য কার্যকর এবং AdSense-এর চেয়ে অনেক বেশি CPM প্রদান করে।
    • বৈশিষ্ট্য: উচ্চ CPM, কাস্টমাইজড বিজ্ঞাপন অপশন, বিশেষজ্ঞ সাপোর্ট।
    • উপযুক্ত: ব্লগার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য, যাদের প্রতি মাসে ১,০০,০০০ বা তার বেশি পেইজভিউ রয়েছে।
    1. Ezoic

    • Ezoic হলো একটি AI-চালিত প্ল্যাটফর্ম। এই প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন অপ্টিমাইজেশন করা যায়। এই প্লাটফর্ম এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে আপনি উচ্চ আয় করতে পারেন। এটি AdSense-এর সাথেও কাজ করতে পারে, তবে এটি এককভাবেও একটি কার্যকরী বিকল্প।
    • বৈশিষ্ট্য: AI অপ্টিমাইজেশন, দ্রুত লোডিং বিজ্ঞাপন, উচ্চ CPM।
    • উপযুক্ত: বড় এবং মাঝারি আকারের ওয়েবসাইট এবং ব্লগ।
    1. SHE Media

    • SHE Media হলো একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, যা বিশেষভাবে নারী ব্লগার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি উচ্চমানের বিজ্ঞাপনদাতাদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং ব্লগারদের উচ্চ CPM প্রদান করে।
    • বৈশিষ্ট্য: উচ্চ CPM, কাস্টম বিজ্ঞাপন, নারী কেন্দ্রিক বিষয়বস্তু।
    • উপযুক্ত: মহিলা-কেন্দ্রিক ব্লগ এবং ওয়েবসাইট।
    1. Monumetric

    • Monumetric একটি জনপ্রিয় প্রিমিয়াম বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, যা উচ্চমানের বিজ্ঞাপন এবং বড় প্রকাশকদের জন্য উচ্চ আয় প্রদান করে থাকে। এই প্লাটফর্ম CPM মডেলে কাজ করে এবং বড় ট্র্যাফিক থাকা ওয়েবসাইটগুলোর জন্য উপযুক্ত।
    • বৈশিষ্ট্য: উচ্চ CPM, কাস্টমাইজড বিজ্ঞাপন, বিশেষজ্ঞ সাপোর্ট বিদ্যমান।
    • উপযুক্ত: ১০,০০০ পেজভিউ বা তার বেশি ট্র্যাফিক আছে এমন ব্লগ বা ওয়েবসাইট।
    1. Infolinks

    • Infolinks হলো একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। এটি নন-ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন (টেক্সট লিংক, ইনফোলিংক অ্যাড) সরবরাহ করে থাকে। এটি ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু অনুসারে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এবং এটি AdSense-এর একটি সহজ একটি বিকল্প।
    • বৈশিষ্ট্য: ইন-টেক্সট, ইন-ফ্রেম, এবং ইন-আড ফরম্যাট, কনটেক্সচুয়াল বিজ্ঞাপন।
    • উপযুক্ত: কনটেন্ট-ভিত্তিক ওয়েবসাইট এবং ব্লগ।
    1. Revcontent

    • Revcontent হলো একটি নেটিভ বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, যা বিশেষভাবে ওয়েবসাইট এবং ব্লগের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি নেটিভ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করতে সহায়তা করে এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের চেয়ে বেশি CPC প্রদান করে।
    • বৈশিষ্ট্য: নেটিভ বিজ্ঞাপন, উচ্চ CPC।
    • উপযুক্ত: ওয়েবসাইট এবং ব্লগ, যেগুলোতে উচ্চমানের ট্র্যাফিক আছে।
    1. Mediavine

    • Mediavine হলো একটি প্রিমিয়াম বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, যা বিশেষভাবে ব্লগার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি খুবই উচ্চ মানের বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে এবং Google AdSense-এর চেয়ে বেশি পেমেন্ট প্রদান করে।
    • বৈশিষ্ট্য: উচ্চ CPM, কাস্টমাইজড বিজ্ঞাপন, দ্রুত লোডিং বিজ্ঞাপন।
    • উপযুক্ত: ৫০,০০০ বা তার বেশি মাসিক পেজভিউ আছে এমন ব্লগ বা ওয়েবসাইট।
    1. BuySellAds

    • BuySellAds হলো একটি ডিরেক্ট বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, যা প্রকাশকদের সরাসরি বিজ্ঞাপন বিক্রয়ের সুযোগ দেয়। এটি CPM মডেলে কাজ করে এবং বিভিন্ন ধরণের বিজ্ঞাপন ফরম্যাট সরবরাহ করে।
    • বৈশিষ্ট্য: ডিরেক্ট বিজ্ঞাপন বিক্রয়, CPM মডেল।
    • উপযুক্ত: উচ্চ ট্র্যাফিক থাকা ওয়েবসাইট।

    NO COMMENTS

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    Exit mobile version