পেওনিয়ার হচ্ছে বিশ্বব্যাপী অর্থ আদান -প্রদানের একটি মধ্যম। ২০০৫ সাল থেকে এটি তাদের কার্ক্রম শুরু করে। পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে আপনি সহজেই বিদেশ থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে অর্থ নিয়ে আসতে পারবেন। এর সাহায্যে আপনি মাল্টি কারেন্সি ব্যবহার করে ব্যবসা করতে পারবেন। বর্তমানে কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী পেওনিয়ার ব্যবহার করছে।
পেওনিয়ার এর সুবিধা
১. খুব সহজে একাউন্ট খোলা যায়। খুব সহজে ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করে আপওয়ার্ক থেকে ব্যাংকে ডলার ট্রান্সফার করা যায়।
২. আপওয়ার্ক ফাইবার, ইবে সহ ২ হাজারের অধিক মার্কেটপ্লেস থেকে অর্থ আদান প্রদান করা যায়।
৩. ইকমার্স সাইটে পেমেন্ট গ্রহণ করার জন্য ব্যবহার করা যায়।
৪. ট্রানজেকশন ফি তুলনামূক কম।
৫. পৃথিবীর ১৯০ টি দেশে ৭০ টি কারেন্সিতে এটিএম বুথ থেকে অর্থ উত্তোলন করা যায়।
পেওনিয়ার এর অসুবিধা
এটি পেপাল এর মত সব জায়গায় ব্যবহার করা যায় না। পেওনিয়ারের পরিচিত কম হওয়ায় এর দ্বারা পরিপূর্ন আন্তঃদেশীয় লেনদেন করা যায় না। এর মানে হচ্ছে আপনি যদি আপনার ড্রপশিপিং ব্যবসায় পেওনিয়ার পেমেন্ট মাধ্যম হিসেবে সেট করেন তাহলে আপনি অনেক ক্লায়েন্টকে বলতে শুনবেন তারা এর সাথে পরিচিত নয়।
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম খুব সহজ। পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য পেওনিয়ার সাইটে প্রবেশ করুন। Open your account এ ক্লিক করুন।
তারপর আপনাকে পরবর্তী ইউন্ডোতে নিয়ে যাবে। আপনি যেহেতু ফ্রিল্যান্সার তাই Freelancer or online professional নির্বাচন করুন।
পরবর্তী পেজে প্রবেশ করে Receive money from international clients or freelance marketplaces অপশন নির্বাচন করুন।
এটি নির্বাচন করার পর আপনাকে আপনার জন্য সঠিক একাউন্ট নির্বাচন করতে হবে। ধরেন আপনার আয় ১,০০০ ডলারের নিচে তাহলে Under 1,000 US dollars নির্বাচন করুন।
পরবর্তী পেজে নিবন্ধন করুন বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে সাইন আপ পেজে নিয়ে যাবে।
সেখানে আপনাকে বিভিন্ন ধরণের তথ্য প্রদান করতে হবে। প্রথম ধাপে Getting Started অপশনে নাম, ইমেইল ঠিকানা, ডেট অব বার্থ এসব তথ্য দিয়ে Next এ ক্লিক করুন। তারপর Contact Details এ দেশের নাম, নিজের ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। মোবাইল নাম্বার দেওয়ার পর Verification code এ ক্লিক করে code দিয়ে Next এ ক্লিক করুন। তারপর Security Details এ ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড, সিকিউরিটি প্রশ্ন ও উত্তর, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার দিতে হবে।
পরবর্তী ধাপে আপনাকে Personal account নির্বাচন করতে হবে। তারপর কারেন্সি, ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, একাউন্ট এর নাম , নাম্বার এসব তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। মনে রাখবেন পেওনিয়ার একাউন্ট নাম এবং ব্যাংকের একাউন্ট এর নাম একই হতে হবে।
আরও পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কি ? ৫ টি সেরা মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বিস্তারিত ।
পেওনিয়ার একাউন্ট সেটাপ এবং ট্রানজেকশন ফি
পেওনিয়ার সেটআপ সম্পূর্ণ ফ্রি। মাসিক কোন চার্জ নেই।অন্য কোন পেওনিয়ার গ্রাহকের কাছ থেকে পেমেন্ট পাওয়া ফ্রি।
আপনি যদি পেওনিয়ার একাউন্ট এর ব্যালেন্স থেকে থেকে অন্য দেশে কাউকে পেমেন্ট পাঠান তাহলে ট্রানজেকশন এমাউন্টের ১% ফি দিতে হবে এবং সর্বনিম্ন ফি হচ্ছে ৪ ডলার। কিন্তু পেওনিয়ার থেকে ব্যাংকে ট্রান্সফার দিলে ৩% পর্যন্ত ফি ধার্য হতে পারে ।
পেওনিয়ার থেকে ব্যাংকে ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে মোট লেনদেনের ৩% পর্যন্ত ফি ধার্য করা হয়।
মাস্টার কার্ডের বাৎসরিক ফি হচ্ছে ২৯.৯৫ ডলার। কারেন্সি কনভার্সন ফি ৩.৫% পর্যন্ত। এটিএম উত্তোলন ফি ৩.১৫ ডলার। ব্যালেন্স জানতে চাইলে ১ ডলার ফি। কার্ড রিপ্ল্যাসমেন্ট ফি ১২.৯৫ ডলার।
বিকাশে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ অ্যাপ থেকে Remittance সেকশনে প্রবেশ করে Payoneer এ ক্লিক করুন। তারপর আপনাকে পেওনিয়ার একাউন্ট ওপেনিং পেজে নিয়ে যাবে। তারপর উপরে উল্লেখিত পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুসারে একাউন্ট খুলে নিন।
বিকাশের মাধ্যমে আপনি সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন এবং ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং Q-Cash ATM বুথ থেকে হাজারে ৭ টাকা চার্য দিয়ে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারবেন। এখানে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে না।
আপনার যদি আগে থেক পেওনিয়ার একাউন্ট থাকে তাহলে সেটা বিকাশ অ্যাপে লিংক করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্টের নাম এবং পেওনিয়ার একাউন্ট এর নাম একই হতে হবে। লিংক করার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন Remittance icon > Payoneer > Link Payoneer account। আপনাকে পেওনিয়ার একাউন্ট পেজে নিয়ে গেলে ইমেইল /ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করুন। তারপর আপনার মোবাইলে OTP আসলে সেটা ইনপুট দিলেই পেওনিয়ার একাউন্ট বিকাশ এর সাথে লিংক হয়ে যাবে।
একটি বিকাশে একটি পেওনিয়ার একাউন্ট লিংক করতে পারবেন।
বিকাশ এ একাউন্ট লিঙ্ক করার পর “এই একাউন্টে টাকা আনুন” অপশনে ক্লিক করলে আপনাকে আপনার একাউন্টের ডলারের পরিমাণ দেখাবে। এর নিচে টাকার পরিমাণ এর ঘরে আপনাকে ডলার এমাউন্ট লিখলে সেটা টাকায় কত হবে তা দেখাবে। তারপর নিচে “এগিয়ে যান” অপশনে ক্লিক করলে আপনাকে ভেরিফিকেশন কোড দিবে সেটা বসালেই আপনার টাকা বিকশে চলে আসবে।
পেওনিয়ার থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করার সর্বনিম্ন এমাউন্ট ১ হাজার এবং সর্বোচ্চ একাউন্ট হচ্ছে ২,৫০,০০০ টাকা প্রতি ট্রানজেকশনে। পেওনিয়ার প্রতি ট্রানজেকশনে মোট এমাউন্টের উপর ২% চার্য ধার্য করবে, এর বাইরে আপনাকে কোন চার্য দিতে হবে না।
পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে ব্যাংকে কিভাবে কারেন্সি ট্রান্সফার করবেন?
পেওনিয়ার থেকে টাকা লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফার করা খুব সহজ। প্রথমে আপনাকে পেওনিয়ারে লগ ইন করতে হবে। হোম পেজে প্রবেশ করলেই আপনি ব্যালেন্স দেখতে পারবেন। ব্যালেন্স এর নিচে withdraw অপশনে ক্লিক করলেই withdrawl details পেজে নিয়ে যাবে। এছাড়া আপনি withdraw & transfer এ ক্লিক করলেও আপনাকে withdrawl details পেজে নিয়ে যাবে।
সেখানে আপনি কারেন্সি সেট করবেন, ব্যাংকের নাম দিবেন, কত উত্তোলন করবেন সে এমাউন্ট দিবেন। আপনি ইউএস ডলারে এমাউন্ট দিলে সেখানে টাকায় কত পাবেন, কনভার্সন রেট কত সেটা দেখাবে। তারপর Review এ ক্লিক করলে আপনাকে রিভিউ চেক পেজে নিয়ে যাবে। সব ঠিক থাকলে Withdraw বাটনে ক্লিক করলে OTP চাইবে OTP দিলেই আপনার ট্রানজেকশন সম্পন্ন হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: আপওয়ার্ক এবং ফাইবার এ অ্যাকাউন্ট এবং প্রোফাইল তৈরির উপায়
পেওনিয়ার থেকে সর্বোচ্চ কত উত্তোলন করা যায়?
বর্তমানের নিয়ম অনুসারে আপনি সর্বোচ্চ ৩০ বার উত্তোলন করতে পারবেন এবং ৫,০০০ ডলার হচ্ছে প্রতিদিনের সর্বোচ্চ লিমিট।
কিভাবে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড এর জন্য আবেদন করবো?
পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড এর জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি পেওনিয়ার একাউন্ট থাকতে হবে। গত ৬ মাসে আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট এ ১০০ ডলার জমা হতে হবে। আপনি আপনার পেওনিয়ার একাউন্টে লগ ইন করার পর বাম পাশে Payoneer Cards এ ক্লিক করলেই দেখতে পারবেন Order a card অপশন। সেখানে ক্লিক করলে আপনি ২টি অপশন পাবেন Vartual card এবং physical card। ভার্চুয়াল কার্ড অনলাইন লেনদেনের জন্য ভাল আর ফিজিক্যাল কার্ড এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার জন্য এবং ইকমার্স স্টোরে পেমেন্ট প্রদানের জন্য বেস্ট।
আমরা যেহেতু এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলব তাই ফিজিক্যাল কার্ড সেট করবো। তারপর কার্ড কারেন্সি এবং শিপিং এড্রেস প্রদান করবেন। শিপিং এড্রেসে বর্তমান ঠিকানা দিন। ঠিকানা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউটিলিটি বিল বা অন্য সরকারি ডকুমেন্টস এ যেভাবে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেভাবে ঠিকানা দিতে হবে নাহলে আপনি পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড নাও পেতে পারেন.তারপর Next এ ক্লিক করলে একটা প্রিভিউ দেখাবে।
সেখানে আপনাকে শিপিং ম্যাথড নির্বাচন করতে হবে। ফ্রিতে পেতে চাইলে Standard Shipping নির্বাচন করুন। এজন্য আপনাকে পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড পেতে ৭ থেকে ২১ দিন সময় লাগতে পারে। আর তাড়াতাড়ি পেতে চাইলে Express Shipping নির্বাচন করুন এতে আপনাকে কিছু খরচ করতে হবে।
কার্ডটি ৩ বছর মেয়াদের হবে। ৩ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আপনাকে আবার আবেদন করতে হবে। পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড একটিভ করার জন্য Payoneer Cards এ ক্লিক করে current cards দেখতে পারবেন। সেখানে ক্লিক করে ১৬ ডিজিটের কার্ড নাম্বার দিয়ে Active এ ক্লিক করে কার্ড একটিভ করুন।
কিভাবে আপওয়ার্ক এ পেওনিয়ার একাউন্ট যুক্ত করবো?
আপওয়ার্কে প্রবেশ করে আপনার প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করে settings এ প্রবেশ করুন। সেটিংস থেকে get paid অপশন সিলেক্ট করুন। সেখানে আপনি payment details থেকে Add Method এ ক্লিক করুন। Add Method থেকে Payoneer নির্বাচন করুন। আপওয়ার্ক থেকে পেওনিয়ার এ ডলার ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে আপওয়ার্ক ২ ডলার চার্জ করবে।
ফাইবার এ পেওনিয়ার কিভাবে যুক্ত করবো?
ফাইবার এ পেওনিয়ার যুক্ত করার জন্য ফাইবারে লগ ইন করুন। তারপর selling এ সুইচ করে My Business থেকে Earnings নির্বাচন করুন। সেখান থেকে Manage payout methods এ ক্লিক করে Payoneer account নির্বাচন করুন।
এখানে কিছু নীতিমালা আছে যেমন,
- আপনার শুধুমাত্র একটি পেওনিয়ার একাউন্ট থাকতে হবে,
- সর্বনিম্ন ৭ ডলার হলে আপনি পেমেন্ট নিতে পারবেন তবে এজন্য আপনাকে ৩ ডলার উত্তোলন ফি প্রদান করতে হবে।
- পেমেন্ট পেতে কমপক্ষে ২ কার্যদিবস লাগবে।
- ডলার থেকে টাকায় কনভার্ট করার জন্য কনভারসন ফি লাগবে।
কিভাবে আমার পেওনিয়ার একাউন্ট ব্যালেন্স দেখবো?
আপনার একাউন্টে প্রবেশ করে My Account থেকে Activity মেন্যু থেকে একাউন্ট ব্যালেন্স দেখতে পারবেন। ব্যালেন্স এর পাশাপাশি ট্রানজেকশন এবং পেমেন্ট ইতিহাস দেখতে পারবেন।
পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে পেমেন্ট গ্রহণের কোন সীমাবদ্ধতা আছে?
না কোন সীমাবদ্ধতা নেই। পেওনিয়ার ব্যবহার করে আপনি যত ইচ্ছা তত পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন।
পেওনিয়ার বাংলাদেশে আছে?
হ্যাঁ পেওনিয়ার বাংলাদেশে আছে। আপনি বাংলাদেশ থেকে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুসারে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন।
পেওনিয়ার কি নিরাপদ?
হ্যা পেওনিয়ার ব্যবহার করা নিরাপদ। গ্রাহকের সকল প্রকার তথ্য গুরুত্বসহকারে পেওনিয়ার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে থাকে। এছাড়া তারা যেসব দেশে ব্যবসা করে সেসব দেশের নীতিমালা মেনে ব্যবসা করে তাই লেনদেনের কোন সমস্যা হয় না।
পেওনিয়ার একাউন্ট ব্লক হওয়ার কারণ কি?
বিভিন্ন কারণে আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট ব্লক হতে পারে যেমন,
১. একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম একাধিক একাউন্ট খুললে,
২. কয়েকবার ভুল পাসওয়ার্ড দিলে একাউন্ট কিছুক্ষণের জন্য (৩০ মিনিট) লক হতে পারে। তারপর আবার পাসওয়ার্ড রিসেট করতে হবে।
৩. পেওনিয়ার নীতিমালা ভঙ্গ করলে,
৪. আপনার প্রদান করা তথ্যের সাথে সরকারি ডকুমেন্টস এ থাকা তথ্য মিল না থাকলে,
৫. কমপক্ষে ৬ মাস সক্রিয় না থাকলে,
৬. ১৮ বছরের কম বয়স হলে,
ব্যাংক একাউন্ট ছাড়া পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা যায়?
ব্যাংক একাউন্ট ছাড়াই আপনি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন তবে পেওনিয়ার থেকে অর্থ উত্তোলনের সময় আপনার ব্যাংক একাউন্ট লাগবে।
পরিশেষে
পেওনিয়ার কয়েকটা জনপ্রিয় অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম এর মধ্যে একটি। বাংলাদেশের মত যেসব দেশে পেপাল নেই সেসব দেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য পেওনিয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পেমেন্ট মাধ্যম। আশা করি আমাদের এই গাইডলাইন পড়ে পেওনিয়ার একাউন্ট কি, পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম, বিকাশের মাধ্যমে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা, পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড পাওয়ার নিয়ম, পেওনিয়ার থেকে ব্যাংক এ কারেন্সি ট্রান্সফার এসব বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সফল হোক এই কামনা করি।