যেহেতু আপনি স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে এই লেখাটি পড়তে আসছেন তাহলে অবশ্যই ধরে নিতে হবে আপনি এই ধরণের ব্যবসা নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ আগ্রহী। তবে স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে জানার আগে আপনাকে স্মার্ট ব্যবসা কি সে সম্পর্কে জানতে হবে।
স্মার্ট ব্যবসা হচ্ছে এমন ব্যবসা যেখানে কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টেকনোলজি ব্যবহার করে ব্যবসার কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। গ্রাহক সেবা প্রদান, নতুন পণ্য উদ্ভাবন, কর্মীদের দক্ষতার উন্নয়ন এবং বিপণনসহ সকল ক্ষেত্রে টেকনোলজির ছোঁয়া থাকে।
স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া
১. ব্লগিং
২. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি
৩. ড্রপশিপিং
৪. কন্টেন্ট ক্রিয়েট
৫. সিভি রাইটার
৬. ইমেইল মার্কেটিং
৭. সফটওয়্যার ব্যবসা
৮. রাইড শেয়ারিং ব্যবসা
৯. ই-কমার্স ব্যবসা
১০. অনলাইনে কোর্স বিক্রি
১. ব্লগিং
স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে ব্লগিংকে আমি ১ নাম্বারে রেখছি কারণ একটি ব্লগ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা করতে পারবেন।
ব্লগিং শুরু করার জন্য আপনাকে একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে। ব্লগ তৈরি করার দুটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হচ্ছে ব্লগার ডট কম (Blogger.com) এবং ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)। ব্লগারে আমি ফ্রিতেই ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। ফ্রি সাবডোমেইন এবং হোস্টিং পাবেন। আর ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করলে একটি ডোমেইন, থিম এবং হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা করতে হলে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করার বিকল্প নেই।
ব্লগিং এর মাধ্যমে ব্যবসার করার মূল টেকনিক হচ্ছে ব্লগ পোস্ট তৈরি করে ব্লগে ভিজিটর নিয়ে আসা এবং তাদের সামনে নিজস্ব পণ্য বা সেবা প্রদর্শন করে ক্রয় করতে উৎসাহিত করা।
ধরেন আপনি একজন গাড়ির ব্যবসায়ী। আপনি গাড়ি নিয়ে ব্লগ পোস্ট শেয়ার করেন। গাড়ি নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে বা গাড়ি কিনতে চায় এমন ব্যক্তিরাই এই ধরণের পোস্ট পড়তে আসে। পোস্টের মাঝে আপনি আপনার গাড়ির দোকানের বিজ্ঞাপন দিবেন। এভাবেই আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে গ্রাহক সংগ্রহ করতে পারেন।
এছাড়া আপনি আপনার ব্লগে কোর্স তৈরি করে বিক্রয় করতে পারেন, নিজস্ব সার্ভিস বিক্রি করতে পারেন বা মেম্বারশিপ এর মাধ্যমে ব্লগ বিজনেস করতে পারেন। তবে ব্লগে প্রচুর ভিজিটর আনতে হলে আপনাকে অবশ্যই এসইও সম্পর্কে জানতে হবে। বিস্তারিত পড়ুন: এসইও (SEO) কি? এসইও স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন।
২. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি
স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে আমাকে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিকে রাখতেই হবে। এই এজেন্সির কাজ হবেঃ
- গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিজনেস পেজ তৈরি করা,
- গ্রাহক আকর্ষণ করে এমন পোস্ট ( লেখা, ছবি, শর্ট ভিডিও, স্টোরিজ, ইভেন্ট) তৈরি করা,
- শ্রোতাদের লাইক,কমেন্ট, শেয়ারে উৎসাহিত করা,
- তাদের জিজ্ঞাসার উত্তর দেওয়া,
- সার্বিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে সে অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া।
আপনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট টুল তৈরি করতে পারেন। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট শিডিউল করা, পোস্ট পারফরম্যান্স মনিটর করা, কনভারসন ট্র্যাকিং ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকবে।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? এর গুরুত্ব, কৌশল, শুরু করার টিপস।
৩. ড্রপশিপিং
ড্রপশিপিং হচ্ছে এমন একটি ব্যবসার মডেল যেখানে একজন ড্রপশিপার তার অনলাইন স্টোরে থার্ড পার্টির পণ্য প্রদর্শন করে এবং কোন ক্রেতা যখন অর্ডার প্রদান করে তখন ড্রপশিপার সেই অর্ডার বিক্রেতার কাছে পাঠিয়ে দেয়। তারপর৷ ক্রেতার কাছে পণ্য পাঠানো হচ্ছে বিক্রেতার কাজ।
ড্রপশিপিং ব্যবসায় বিক্রেতা হচ্ছে উতপাদক বা পাইকার। তিনি ড্রপশিপারের কাছ থেকে অর্ডার পেলেই ক্রেতার নিকট পণ্য পাঠিয়ে দেন। ড্রপশিপাররা বিক্রেতার মূল্যর সাথে লাভ যোগ করে মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। এভাবেই তিনি মুনাফা অর্জন করে।
ড্রপশিপিং ব্যবসা করার জন্য আপনাকে একটা অনলাইনে স্টোর খুলতে হবে। বিভিন্ন ধরণের ড্রপশিপিং ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি সহজেই একটি অনলাইন স্টোর তৈরি করতে পারবেন। এসব ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে :
BigCommerce
Wix
WooCommerce
Weebly
Printify
DSers
Spocket
এছাড়া আপনি নিজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিক্রেতার পণ্য প্রদর্শন করতে পারেন। ভিজিটর আনার জন্য ফেসবুক বিজ্ঞাপন এবং গুগলে বিজ্ঞাপন দিন। এর ফলে আপনি সহজেই টার্গেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। আর অর্গানিক ট্রাফিকের জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করে উপযুক্ত কিওয়ার্ড খুঁজে বের করুন এবং কিওয়ার্ড অপ্টিমাইজ করুন। এটি আপনার সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংকিং বাড়াতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: ড্রপশিপিং কি? ড্রপশিপিং ব্যবসার পূর্ণ গাইডলাইন।
৪. কন্টেন্ট ক্রিয়েট
কন্টেন্ট ক্রিয়েট একটি স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া কন্টেন্টকে বলা হয় কিং। আপনার কন্টেন্টের উপর নির্ভর করবে একটি ব্যবসার সফলতা।
একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কন্টেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে গ্রাহকদের আকর্ষণ করে থাকে। কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা আপনার মার্কেটিং ক্যাম্পেইন, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করার জন্য পোস্ট, ব্লগের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করে থাকে।
কন্টেন্ট তৈরি করে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করাই হচ্ছে এই ব্যবসার মূল বিষয়। যেমন একটি কোম্পানি তাদের মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করবে সেখানে তারা তাদের ক্যাম্পেইন কার্যকরভাবে সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে দিয়ে কপিরাইটিং করাতে পারে, দর্শক আকর্ষণ করার জন্য ভিজুয়াল কন্টেন্ট তৈরি করাতে পারে, তারপর তাদের জন্য ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে পারে। এছাড়া একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ব্লগ পোস্ট, পডকাস্ট, কেস স্টাডি,ইনফোগ্রাফিক, হোয়াইট পেপার ইত্যাদি তৈরি করে।
এই ধরণের ব্যবসার করার জন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিকস ডিজাইনিং এ এক্সপার্ট লোক লাগবে। এই ধরণের ব্যবসার সুবিধা হচ্ছে অফিস ছাড়াও ঘরে বসেও করা যায়। কর্মীরা তাদের বাসায় বসেই এসব কাজ করতে পারবে। আর অফিস নিয়ে যদি শুরু করতে পারেন তাহলে তো খুব ভাল ব্যাপার।
৫. সিভি রাইটার
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর মতে বর্তমানে প্রায় ২৬ লাখ মানুষ বেকার। এই বিশাল সংখ্যক বেকার জনগোষ্ঠীসহ চাকরিজীবীদের অনেকেই বিভিন্ন কারণে তাদের চাকরি পরিবর্তন করে অন্য চাকরির জন্য আবেদন করছে।
চাকরির আবেদনের পর ইন্টারভিউ এ কল পাওয়ার ক্ষেত্রে রেজুম একটা বড় ফ্যাক্টর। আপনি যদি সঠিকভাবে প্রফেশনাল সিভি তৈরি করতে না পারেন তাহলে আপনি ইন্টারভিউ এ কল পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে যাবেন।
বেশিরভাগ চাকুরীপ্রার্থী সঠিকভাবে সিভি লিখতে পারে না। তাই তারা জব কনসাল্টেন্সি এজেন্সি থেকে রেজুম লিখিয়ে নিয়ে থাকে। আপনার যদি রেজুম লেখার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি জব কনসাল্টেন্সি এজেন্সি খুলে রেজুম লেখা শুরু করে দিন।
এই ব্যবসায় সাফল্য পেতে হলে আপনার সিভি লেখায় প্রফেশনালিজম থাকতে হবে। আপনার সিভি দিয়ে যদি চাকুরিপ্রার্থীরা ইন্টার্ভিউ এ ডাক পায় তাহলে মার্কেটে আপনার সুনাম ছড়িয়ে যাবে এবং আপনি প্রচুর ক্লায়েন্ট পাবেন।
আরও পড়ুন: অল্প পুঁজির ১২ টি ছোট ব্যবসার আইডিয়া
৬. ইমেইল মার্কেটিং – স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমানে ইমেইল মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে না এমন প্রতিষ্ঠান পাওয়া কঠিন। তাই দিন দিন ইমেইল মার্কেটারের চাহিদা বেড়েই চলছে। এটি একটি স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া।
ইমেইল মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করা করার জন্য আপনার প্রথমেই প্রয়োজন ইমেইল লিস্ট বানানো। আপনার কাছে যত বেশি ইমেইলের লিস্ট থাকবে তত বেশি মানুষের কাছে আপনি ইমেইল পাঠাতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটারের মূল কাজ হচ্ছে টার্গেট গ্রাহকের কাছে ক্লায়েন্টের পণ্য, সেবা বা ব্র্যান্ডিং এর জন্য ইমেইল কন্টেন্ট তৈরি করা এবং ইমেইল পাঠানো। গ্রাহক আকর্ষণ করে এরকম ইমেইল কপি তৈরি করার দক্ষতা থাকা এই ব্যবসায়ে একটি আবশ্যক বিষয়। এছাড়া ইমেইল মার্কেটিং টুলস ব্যবহার করা, অডিয়েন্স সেগমেন্টেশন এবং পারসনালাইজেশন, ডেটা বিশ্লেষণ এবং রিপোর্টিং এসব বিষয়ে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে।
Mailchimp, Constant Contact ইত্যাদির মতো ইমেইল মার্কেটিং টুলস তৈরি করতে পারেন। এসব ইমেইল মার্কেটিং গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরণের সেবা দিয়ে থাকে যেমন,
- ইমেইল মার্কেটিং প্রিমেইড টেমপ্লেট
- অটোমেশন
- সেগমেন্টেশন
- পারসনালাইজেশন
- এনালিটিক্স
- ইন্টিগ্রেশন
- ল্যান্ডিং পেজ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: ইমেইল মার্কেটিং এর সংজ্ঞা টুলস সুবিধা এবং শুরু করার গাইডলাইন।
৭. সফটওয়্যার ব্যবসা – স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া
স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে সফটওয়্যার ব্যবসা অন্যতম। অটোমেশন এর এই যুগে সফটওয়ারের কোন বিকল্প নেই। প্রতিটি ব্যবসায় সফটওয়ারের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
Precedence Research এর তথ্য মতে ২০২৩ সালে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির আকার ছিল ৬৫৯.১৭ বিলিয়ন ডলার, ২০২৪ সালে ৭৩৬.৯৬ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৩৪ সালের মধ্যে ২,২৪৮.৩৩ ডলারে পৌঁছাবে।
সফটওয়ারের বিভিন্ন ক্ষেত্র আছে। আপনি বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার তৈরি করে ব্যবসা করতে পারেন। এসবের মধ্যে রয়েছেঃ
সাইবার সিকিউরিটি সল্যুশন
AR/VR ট্রেনিং সিমুলেশন
এআই ভিত্তিক কন্টেন্ট তৈরি করার টুলস
এসইও টুলস
ইমেইল মার্কেটিং টুলস
শিক্ষামূলক টুলস
ফুড ডেলিভারি অ্যাপ
রাইড শেয়ারিং অ্যাপ
ফিটনেস কোচিং অ্যাপ
কাস্টমার সার্ভিস বট
রিমোট টিম কোলাবোরাশন প্লাটফর্ম
ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন এবং এনালিটিক্স প্লাটফর্ম
প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ইত্যাদি।
আপনি চাইলে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে সফটওয়্যার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আবার ছোট পরিসরে শুরু করতে চাইলে নিজের বাড়িতে বসেও এই ব্যবসা শুরু করা যায়। সফটওয়্যার তৈরিতে আপনার দক্ষতা থাকলে এই ব্যবসা শুরু করা আপনার জন্য কোন ব্যাপার না।
৮. রাইড শেয়ারিং ব্যবসা – স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া
রাইড শেয়ারিং ব্যবসার মডেল হচ্ছে ভাড়া দিতে ইচ্ছুক গাড়ির মালিক এবং গাড়ি ভাড়া নিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির মাঝে যোগসূত্র স্থাপন করা। এই কাজটা করা হয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে।
এজন্য গাড়ির মালিক এবং গাড়ি ভাড়া নিতে ইচ্ছুক উভয় ব্যক্তিকে রাইড শেয়ারিং কোম্পানির অ্যাপে সাইন আপ করতে হবে। রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো প্রতিটি রাইডের বিপরীতে ১৫-৩০ শতাংশ চার্য ধার্য করে যা তাদের আয়ের মূল ক্ষেত্র।
রাইড শেয়ারিং ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে যা করতে হবেঃ
- মার্কেট যাচাই করতে হবে,
- বিজনেস মডেল তৈরি করতে হবে,
- নিজের কোম্পানির ব্র্যান্ডিং করতে হবে,
- একটি অ্যাপ তৈরি করতে হবে,
- মানুষকে জানানোর জন্য মার্কেটিং করতে হবে,
৯. ই-কমার্স ব্যবসা
ই-কমার্স বা ইলেক্ট্রনিক কমার্স ব্যবসা হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা। ইন্টারনেটের প্রসারের সাথে সাথে ই-কমার্স ব্যবসার প্রসার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Statista এর রিপোর্ট অনুযায়ী ই-কমার্স ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ই-কমার্স মার্কেটের আকার ৮.০৫ বিলিয়ন ডলার হবে।
বিভিন্ন ধরণের ই-কমার্স ব্যবসা রয়েছে যেমনঃ
বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস)
বিটুসি (বিজনেস টু কনজুমার)
সিটুবি (কনজুমার টু বিজনেস)
সিটুসি (কনজুমার টু কনজুমার)
বিটুজি (বিজনেস টু গভর্নেন্ট)
সিটুজি (কনজুমার টু গভর্নেন্ট)
ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ওয়েবসাইটে আপনার সকল পণ্য বা সেবা ক্যাটাগরি অনুযায়ী গ্রাহকের কাছে প্রদর্শন করতে হবে।
আপনি যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন তার চাহিদা কেমন সেটা অবশ্যই যাচাই করে নিবেন। আপনি যদি কোন সাপ্লায়ারের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে থাকেন তার সক্ষমতা যাচাই করে নিন।
আপনার চাহিদা অনুযায়ী কি পরিমাণ পণ্য দিতে পারবে তার একটা আইডিয়া নিন। এটা জানা প্রয়োজন এজন্য যে যখন কোন ক্লায়েন্ট অর্ডার করবে তখন তাকে যেন আপনি পণ্যটি দিতে পারেন। যদি কোন কারণে আপনি তাকে কথা দিয়ে দিতে না পারেন সেটি আপনার ব্যবসার জন্য নেতিবাচক বিষয় হবে এবং গ্রাহক হারাতে পারেন।
১০. অনলাইনে কোর্স বিক্রি
অনলাইনে কোর্স বিক্রি বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ব্যবসার মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরণের ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে কোন বিষয়ে খুব দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হতে হবে। কারণ দক্ষ এবং অভিজ্ঞ না হলে আপনি উচ্চ মানসম্মত কোর্স তৈরি করতে পারবেন না।
তবে আপনার কাছে ভাল পরিমাণ মুলধন থাকে তাহলে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। তারপর বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ লোকদের দিয়ে কোর্স তৈরি করতে পারেন। তারপর সেসব কোর্স আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে বিক্রয় করতে পারেন। এই পদ্ধতিতেই অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে।
পরিশেষে
স্মার্ট ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে যে ব্যবসাগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম এগুলো বর্তমান যুগে স্মার্ট ব্যবসা হিসেবে সারা পৃথিবিতেই স্বীকৃত। এসব ব্যবসা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই বর্তমান ট্রেন্ড এবং টেকনোলোজি সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে। কারণ বর্তমান ট্রেন্ড এবং টেকনোলোজির বিবর্তন এই ধরণের ব্যবসায় বড় প্রভাব সৃষ্টি করে।